hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২০০
মসজিদে যিরারে অগ্নি-সংযোগ
সিরীয় সীমান্তবর্তী শাসক ও সরদারদের নিকট থেকে আনুগত্য, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার অঙ্গীকার নিয়ে হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) সাহাবায়ে কিরামের সাথে পরামর্শ করলেন। সবাই মত প্রকাশ করলেন যে, এখন আর এখানে অবস্থান ও অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। হিরাক্লিয়াস ও তার সেনাবাহিনী ভীত হয়ে পড়েছে। তাদের সাহস থাকলে মুকাবিলা করতে আসতো। শেষে হযরত (সাঃ) তাবূক থেকে মদীনা রওয়ানা করলেন। যখন মদীনার নিকটবর্তী পৌঁছলেন এবং মদীনা পৌঁছতে মাত্র এক ঘন্টার পথ বাকী রইল তখন তিনি মালিক ইব্‌ন ওয়াখ্‌শাম সালিমী ও মাইন ইব্‌ন আদী আজলীকে মুনাফিকদের তৈরী মসজিদে অগ্নি-সংযোগ ও ভূমিসাৎ করার জন্য নির্দেশ দিলেন। কেননা, ঐ মসজিদ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলা এই আয়াত নাযিল করেছিলেন :

وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مَسْجِدًا ضِرَارًا وَكُفْرًا وَتَفْرِيقًا بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ وَإِرْصَادًا لِمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ مِنْ قَبْلُ ۚ وَلَيَحْلِفُنَّ إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا الْحُسْنَىٰ ۖ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ

এবং যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতিসাধন, কুফরী ও মু’মিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি স্বরূপ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তারা অবশ্যই শপথ করবে। ‘আমরা সদুদ্দেশ্যেই তা করেছি’ ; আল্লাহ্ সাক্ষী, তারা তো মিথ্যাবাদী। (৯ : ১০৭)

আর এভাবে মুনাফিকদের ধোঁকা সম্পর্কে নবী করীম (সাঃ) অবগত হয়েছিলেন। সুতরাং মসজিদে যিরারের নাম-নিশানা মিটিয়ে দেয়া হলো। হযরত নবী করীম (সাঃ) নবম হিজরীর রমযান মাসে মদীনায় প্রবেশ করলেন। এই সফরে অর্থাৎ গাযওয়া তাবূকে দু’টি মাস অতিবাহিত হয়।

হযরত কা‘ব ইব্‌ন মালিক, মারারা ইব্‌ন রবী‘ঈ, হিলাল ইব্‌ন উমাইয়া—এই তিনজন সাহাবী ছিলেন নেক সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু নিছক আলস্যের কারণে আজ-কাল করে সফরের সামান যোগাড় করেন নি। এমনকি ইসলামী লশকর মদীনা থেকে রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর অলসতার দরুন রওয়ানা হতে পারলেন না। হযরত নবী করীম (সাঃ) তাবূক থেকে মদীনা ফিরে এলে ঐ তিনজন সাহাবী তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে অকপটে নিজেদের ভুল স্বীকার করলেন। তাঁদের সম্পর্কে নির্দেশ জারি হলো যে, কেউ যেনো তাদের সাথে কথাবার্তা না বলে। পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত তারা অনবরত তাওবা-ইসতিগফার করতে থাকলেন। তখন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হুকুম নাযিল হলো যে তাদের তাওবা কবুল হয়েছে। যে পর্যন্ত তাদের তাওবা কবুল না হয়েছে, তাবত তাদের পরিবার-পরিজনও তাদের কোন কথার জবাব দিতেন না। তাঁদের সালামের জবাবও দিতেন না। জীবন তাঁদের জন্য অসহ্য ও দুর্বিষহ ছিল। এই ঘটনা যখন প্রসিদ্ধি পেতে পেতে গাস্‌সানী বাদশাহর কান পর্যন্ত পৌঁছলো, তখন তিনি তার দূত মারফত কা‘ব ইব্‌ন মালিকের নিকট এই মর্মে একটি পত্র লিখে পাঠান যে, আপনি একজন সরদার ও শরীফ লোক। আপনার সাথে মুহাম্মদ (সাঃ) খুব খারাপ ব্যবহার করেছেন। আপনি আমার নিকট চলে আসুন। আমি আপনাকে উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা দান করবো। হযরত কা‘ব ইব্‌ন মালিকের নিকট যখন এই পত্র পৌঁছলো, তখন তিনি এই পত্র পাঠ করে চুলোয় নিক্ষেপ করলেন এবং দূতকে বললেন, যাও, এটাই হচ্ছে তার জবাব। হযরত কা‘ব ইব্‌ন মালিকের তাওবা যখন কবুল হলো এবং হযরত নবী করীম (সাঃ) ও সাহাবায়ে কিরাম তাঁকে মুবারকবাদ দিলেন, তখন তিনি তার সমস্ত সম্পদ আল্লাহর নামে দান করে দিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন