hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২০৫
মুবাহালা
এই বছরই নাজরানের খ্রিস্টানদের একটি প্রতিনিধি দল আগমন করলো। এই দলে সত্তরজন আরোহী, মতান্তরে চৌদ্দজন আরোহী ছিল। তাদের সরদার আবদুল মাসীহ ও তাদের প্রধান ধর্মযাজক আবূ হারিছাও ছিলেন। তারা মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে তর্ক-বিতর্ক শুরু করে দিলো। ইতিমধ্যে সুরা আলে-ইমরানের প্রথম আয়াত ও আয়াতে মুবাহালা নাযিল হলো। হযরত নবী করীম (সাঃ) তাদেরকে ইসলাম গ্রহণ করতে বললে তারা অত্যন্ত অভদ্র আচরণ করলো। তিনি তাদের বললেন, ঈসা (আ) আল্লাহর নিকট ঠিক তেমনি ছিলেন, যেমনি ছিলেন আদম (আ)। আর আদম (আ) ছিলেন মাটি দ্বারা সৃষ্ট। খ্রিস্টানরা বললো : না, বরং ঈসা (আ) আল্লাহর পুত্র ছিলেন। তিনি বললেন : তোমরা যদি তোমাদের দাবীতে সত্যবাদী হও, তবে আমার সাথে ময়দানে চলো। আমার প্রিয় পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনও আমার সাথে থাকবে। উভয় পক্ষ পৃথক স্থানে বসে বলবে, যে মিথ্যাবাদী, তার উপর আল্লাহর আযাব নাযিল হোক। এ কথা শুনে তারা নীরব হয়ে গেলো। পরদিন সকালে হযরত নবী করীম (সাঃ) হযরত আলী (রা), হযরত ফাতিমা (রা), হযরত হাসান (রা), হযরত হুসায়ন (রা)-কে সাথে নিয়ে ময়দানে হাযির হলেন এবং ঐ খ্রিস্টানদের বললেন যে, আমি যখন এই দু‘আ করবো যে, আমাদের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী, তার উপর আল্লাহর আযাব নাযিল হোক, তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে। হযরত নবী (সাঃ)-এর এই প্রস্তুতি দেখে খ্রিস্টানরা ভীত হয়ে বললো, আমরা মুবাহালা করবো না। হযরত নবী করীম (সাঃ) বললেন, মুবাহালা না করলে ইসলাম কবুল করো এবং মুসলমান হয়ে যাও। তারা বললেন : আমরা জিযিয়া দেবো। নবী করীম (সাঃ) বলেন : তারা যদি মুবাহালা করতো, তবে দুনিয়ায় কিয়ামত পর্যন্ত কোন খ্রিস্টান থাকতো না। যাওয়ার সময় খ্রিস্টানগণ তাদের জন্য একজন আমীন (তহসীলদার) নিযুক্ত করতে বললেন। তিনি হযরত আবূ উবায়দা ইবনূল জার্‌রাহ (রা)-কে তাদের সাথে পাঠালেন। কিছুদিন পর নাজরানের সমস্ত খ্রিস্টান মুসলমান হয়ে গেল।

ইয়ামনের প্রায় সবগুলো গোত্র এবং ইয়ামনের বাদশাহ বাযান মুসলমান হয়েছিলেন। হযরত নবী করীম (সাঃ) গোটা ইয়ামন দেশের শাসনভার বাযানকেই সোপর্দ করেছিলেন। এই বছরই বাযান ইনতিকাল করেন। হযরত নবী করীম (সাঃ) বাযানের ইনতিকালের পর শাহর ইব্‌ন বাযান, ‘আমির ইব্‌ন শাহর হামদানী (র), আবূ মূসা আশআরী (রা), আলী ইব্‌ন উমাইয়া (রা), মুইয ইব্‌ন জাবাল (রা) প্রমুখকে ইয়ামন দেশের এক একটি অংশের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন এবং হযরত আলী (রা)-কে অন্যান্য কয়েকজন সাহাবীসহ ইয়ামন প্রেরণ করেন। তিনি তাদেরকে এই মর্মে তাকীদ করলেন যে, যে পর্যন্ত কেউ মুকাবিলা শুরু না করবে, তোমরা অস্ত্র ধারণ করবে না। হযরত আলী (রা)-কে ইয়ামন দেশে থাকতে ও সাদাকা ওয়াসিল করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই সব ঘটনার পর যূ-কাআদা মাস এলো। হযরত নবী করীম (সাঃ) দশম হিজরীর যু-কাআদা মাসে মদীনা মুনাওয়ারা থেকে বায়তুল্লাহ্‌র হজ্জ করার জন্য রওয়ানা হলেন। তাঁর সাথে মুহাজির, আনসার ও আরব নেতৃবৃন্দের একটি জামাআত এবং কুরবানীর একশ’ উট ছিল। মক্কায় তিনি যুলহাজ্জ মাসের রোববার প্রবেশ করলেন। হযরত আলী (রা) যিনি ইয়ামনে যাকাত ওয়াসিলের জন্য গিয়েছিলেন—মক্কায় তাঁর সাথে এসে মিলিত হলেন এবং হজ্জ আদায় করলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন