hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৬৯
মারওয়ান ইব্‌ন হাকামের ধৃষ্টতা
হযরত উসমান গনী (রা) ছিলেন অত্যন্ত শালীন এবং নম্র স্বভাবের লোক। এ সুযোগে মারওয়ানের দুঃসাহসও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। মারওয়ান এবং তার পিতা হাকামকে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মদীনা শরীফ থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছিলেন। হযরত সিদ্দীকে আকবর ও ফারূকে আযম (রা) তাঁদের খিলাফত কালেও ঐ বাপ-বেটাকে মদীনা শরীফে প্রবেশ করতে দেন নি। কিন্তু হযরত উসমান গনী (রা) খলীফা হওয়ার পর তাদেরকে মদীনা শরীফে ডেকে নিয়ে আসেন এবং আত্মীয়তার সুবাদে তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন জরুরী মনে করে মারওয়ানকে তার মীর মুন্‌শী (মুখ্য সচিব) নিয়োগ করেন। মীর মুনশী বা কাতিব হয়ে মারওয়ান খলীফার উপর আধিপত্য বিস্তারের সুবর্ণ সুযোগ পায় এবং অত্যন্ত চাতুর্যের সাথে মাঝে মাঝে ‘দরবারে খিলাফত’ থেকে সাহাবিগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নির্দেশাদি জারি করার ব্যাপারেও সাফল্য লাভ করে। এ কারণেই মদীনা শরীফের অধিবাসীরা মারওয়ান ইব্‌ন হাকামের উপর অসন্তুষ্ট ছিল। ফলে দীর্ঘ চল্লিশ দিনের অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা এবং অবরোধকালীন দিনগুলোতে তারাও বিদ্রোহী ও বিক্ষোভকারীদের সাথে মিশে মারওয়ানকে তার পদ থেকে অপসারণের দাবী তুলে। যদি হযরত উসমান গনী (রা) মারওয়ানকে বিক্ষোভকারীদের হাতে সমর্পণ করতেন, তাহলে নিশ্চিতভাবে ঐ বিক্ষোভ এবং বিশৃঙ্খলারও পরিসমাপ্তি ঘটত। কেননা, অন্তত মদীনাবাসীদের কোন ক্ষোভ বা দুঃখ থাকলে তা মারওয়ানের প্রতিই ছিল। হযরত উসমান গনী (রা)-এর সাথে মদীনা শরীফের কারো কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা বা বিদ্বেষ ছিল না। কিন্তু হযরত উসমান গনী (রা) মারওয়ানকে বিক্ষোভকারীদের হাতে সমর্পণ করতে অস্বীকার করেন এজন্য যে, তাঁর বিশ্বাস ছিল তারা সুযোগ পাওয়া মাত্র মারওয়ানকে হত্যা করে ফেলবে। তাই তিনি তা চাননি যে, তাঁরই সুযোগ দানের কারণে মারওয়ানকে হত্যা করা হোক। যখন বিক্ষোভকারীরা অত্যধিক গণ্ডগোল আরম্ভ করে এবং অনুমিত হতে থাকে যে, এখনই তারা হযরত উসমান গনী (রা)-এর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে হত্যা করবে তখন হযরত আলী (রা) আপন পুত্রদ্বয় ইমাম হাসান ও ইমাম হুসায়ন (রা)-কে সেখানে পাঠান এবং নির্দেশ দেন যেন তাঁরা সশস্ত্র অবস্থায় হযরত উসমান গনী (রা)-এর দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে এবং ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়। অনুরূপভাবে হযরত তালহা (রা) এবং হযরত যুবায়র (রা) আপন আপন পুত্রদেরকে হযরত উসমান (রা)-এর দরজায় পাহারা দেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেন। তারা সবাই সেখানে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদেরকে রুখে দাঁড়ায়। ফলে তারা ভিতরে প্রবেশ করার সাহস পায়নি। কেননা এ সব ব্যক্তিদের কেউ না কেউ বিক্ষোভকারীদের হাতে আহত বা নিহত হলে আশংকা ছিল যে সমগ্র বনী হাশিম তাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে। অপর দিকে বিক্ষোভকারীদের এ ভয়ও ছিল যে হযরত উসমান গনী (রা)-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবরোধের সংবাদ পাওয়ার পর অবশ্যই মদীনা শরীফ অভিমুখে তাদের সেনাবাহিনী প্রেরণ করবে এবং ঐসব সেনাবাহিনী মদীনা শরীফ পৌঁছে গেলে তাদের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তারা অবিলম্বে হযরত উসমান গনী (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। দরজায় কড়া পাহারা থাকার দরুন তারা হযরত উসমান (রা)-এর গৃহসংলগ্ন অন্য একটি গৃহে প্রবেশ করে এবং সে গৃহের দেওয়াল টপকিয়ে হযরত উসমান গনী (রা)-এর গৃহে প্রবেশ করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন