hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৮৮
ফারূকী খিলাফতের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী
হিজরী ১৩ সনের ২৩শে জুমাদা উখরা মঙ্গলবার মুসলমানগণ কোনরূপ মতানৈক্য ছাড়াই ফারূকে আযম (রা)-এর হাতে বায়‘আত করেন। তার আগের দিন ২২শে জুমাদাল উখরা সোমবার মুছান্না ইব্‌ন হারিছা মদীনা শরীফে আসেন। হযরত আবূ বকর (রা) তার কাছ থেকে যুদ্ধের অবস্থাদি শোনার পর হযরত উমর (রা)-কে ডেকে পাঠিয়ে যে নির্দেশ দেন তা ছিল নিম্নরূপ :

আমার দৃঢ় আশা যে, আমি আজই মারা যাব। কাজেই, আমার মৃত্যুর পর আগামীকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই লোকদেরকে মুছান্নার সাথে যুদ্ধের জন্য রওনা করে দেবে। কোন প্রকার বিপদই যেন তোমাকে তোমার এ দীনী দায়িত্ব ও আল্লাহর হুকুম থেকে উদাসীন করে না রাখে। হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ইন্তিকালের পর আমি কি কি ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, তা তুমি দেখেছ। অথচ, তা ছিল তখন সবচেয়ে বড় বিপদ। যখন সিরীয়দের উপর বিজয় অর্জিত হবে, তখন ইরাকবাসীদেরকে ইরাকের দিকে পাঠিয়ে দেবে। কেননা ইরাকবাসীরা ইরাকেরই কাজসমূহ সুষ্ঠভাবে সম্পাদন করতে পারে। আর ইরাকেই তাদের মন সুপ্রসন্ন থাকে।

তাঁর নির্দেশের এ ভাষা থেকে একথাও খুব ভালভাবে বোধগম্য হয় যে, হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ওফাতের পর যা কিছু করেছেন, দীনী কাজ ও দীনী লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার প্রদান করেই করেছেন। মৃত্যুকালেও তাঁর মনে দীনী কাজেরই চিন্তা ছিল। তিনি তাঁর সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রীদের জন্য কোন ওসীয়ত (উইল) করে যাননি। ফারূকে আযম (রা) খিলাফতের বায়‘আত গ্রহণের পর মানুষকে জিহাদের প্রতি বিশেষভাবে সম্বোধন করে মহান আল্লাহ্‌র পথে জিহাদের আহবান জানান। কিন্তু এতে জনগণের মধ্যে কোন ঔৎসুক্য বা ব্যগ্রতা পরিলক্ষিত হয়নি। হযরত উমর ফারূক (রা) জনগণকে একত্রিত করে তিন দিন পর্যন্ত জিহাদ সম্পর্কে বক্তৃতা করেন। তবুও জনগণ নির্লিপ্ত থাকে। চতুর্থ দিন হযরত আবূ উবায়দ ইব্‌ন মাসঊদ সাকাফী (রা) ইরাক-যুদ্ধের জন্য নিজের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন, তারপর সা‘দ উবায়দ আনসারী (রা), সালীত ইব্‌ন কায়স (রা) এবং আরো অনেক লোক একের পর এক দাঁড়িয়ে যুদ্ধের জন্য নিজেদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। এভাবে ইরাকের জন্য একটি বাহিনী গড়ে উঠে। হযরত উমর ফারূক (রা) হযরত আবূ উবায়দ ইব্‌ন মাসঊদ (রা)-কেই, যিনি সর্বাগ্রে নিজের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছিলেন, ঐ বাহিনীর নেতা মনোনীত করে মুছান্না ইব্‌ন হারিছা (রা)-এর সাথে ইরাক অভিমুখে প্রেরণ করেন।

তিনদিন পর্যন্ত জনগণের নির্লিপ্ত থাকার বিষয়টি ঐতিহাসিকদের দৃষ্টি বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে। তারা এর কারণ বর্ণনা করেছেন যে, হযরত উমর ফারূক (রা) যেহেতু প্রথম দিনই হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা)-এর পদচ্যুতির নির্দেশ লিখে সিরিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, তাই জনগণ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছিল। আর এ কারণেই তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা সত্ত্বেও তারা উদ্বুদ্ধ হয়নি। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত ও অমূলক। মদীনা শরীফে কেউই হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর নির্দেশের এমন বিরোধিতা করেন নি, যার ফলে বিষয়টি সাধারণ মানুষ জেনে ফেলতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, যদি প্রথম দিনই হযরত ফারূক আযম (রা)-এর প্রতি মানুষ অসন্তুষ্ট হয়ে উঠত, তাহলে তা একটি মামুলী ঘটনা হিসাবে বিবেচিত হত না। ঐতিহাসিককে সে সম্পর্কে অবশ্যই কিছু না কিছু লিখতে হত এবং ঐ অসন্তুষ্টি দূর হওয়ার কারণসমূহও তাদেরকে বর্ণনা করতে হত। এটি এমন এক ভ্রান্ত ধারণা, যা সাহাবায়ে কিরামের প্রতি মারাত্মক অশিষ্টতা প্রদর্শনেরই শামিল। কেননা তারা এমন ছিলেন না যে, কোন মতপার্থক্যের কারণে জিহাদের প্রতি উৎসাহ প্রদর্শনকে হেয় নযরে দেখবেন। মোদ্দাকথা, জিহাদের জন্য সবাই প্রস্তুত ছিলেন। তবে এর দায়িত্ব ও নেতৃত্ব গ্রহণের ব্যাপারে তারা ইতস্তত করছিলেন এবং একে অপরের অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকেই মনে করতেন, আমার চাইতেও অধিক যোগ্য ও অধিক সম্মানিত লোক রয়েছেন। তারাই খলীফার এ সম্বোধনের জবাব দেবেন। এভাবে প্রত্যেকেই অপরের অপেক্ষায় ছিলেন। কোন কোন সময় বিরাট বিরাট জনসমাবেশে এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়ে থাকে। আমরা আমাদের যুগের এ ধরনের অনেক ঘটনা প্রত্যক্ষ করে থাকি। এটা মানুষের এক প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য বলেই মনে হয়। এ কারণেই নেক কাজ সম্পাদন ও দান-খয়রাতের ক্ষেত্রে, (লোক দেখানো থেকে বাঁচার জন্য) একদিকে যেমন গোপনীয়তা রক্ষার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি তা প্রকাশ্যে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এ থেকে অন্যরা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা লাভ করে এবং নীরবতার কারণে এ পথে কোনরূপ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়। খিলাফতের বায়‘আত নেওয়ার পর পরই হযরত ফারূকে আযম (রা) তাঁর প্রথম ভাষণে ও প্রথম বৈঠকে সবাইকে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। কাজেই তিনি যদি তার খিলাফতের প্রথম দিনই হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা)-এর পদচ্যুতির নির্দেশনামা লিখে থাকেন, তাহলে তিনি তার এ ভাষণে এবং উদ্বুদ্ধকরণের পরই তা লিখেছিলেন। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে, তার এ প্রথম আহবানের প্রতি জনগণের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যায় নি কেন? তার জবাব হলো, কোন কোন সময় কোন শিক্ষক স্কুলের পাঠকক্ষে যখন তার ছাত্রদেরকে নির্দেশ দেন, ডাষ্টার দিয়ে ব্ল্যাক বোর্ডটি পরিষ্কার করে ফেল কিংবা লেখাগুলো মুছে ফেল’—তখন সাথে সাথে কোন ছাত্র তাঁর সে নির্দেশ পালন করে না। তার কারণ এই নয় যে, ঐ শিক্ষকের নির্দেশ পালন করাকে ছাত্ররা জরুরী মনে করে না বরং যে শিক্ষক নির্দেশ দিয়েছেন, যদি সেই শিক্ষকই কোন একজন বা দু’জন ছাত্রের নাম ধরে সেই একই নির্দেশ দিতেন তখন সাথে সাথেই তার সে নির্দেশ পালিত হত। মোটকথা, জনগণের তিন দিন পর্যন্ত নীরব বা নির্লিপ্ত থাকাটা আর যে কারণেই হোক—নিশ্চয়ই এ কারণে নয় যে, তারা হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা) পদচ্যুতি সম্পর্কিত নির্দেশের কারণে হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। কেননা, খোদ মদীনা শরীফেই আনসারগণের মধ্য এমন এক বিরাট দল বিদ্যমান ছিল যারা মালিক ইব্‌ন নুওয়ায়রার ব্যাপারে হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা)-এর প্রতি অসন্তুষ্ট থাকলেও আনসারগণ নিশ্চয়ই তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন। তবে কোন্ জিনিসটি তাদেরকেও তখন নীরব বা নির্লিপ্ত রাখলো?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন