hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩০০
বুয়াইবের যুদ্ধ
হযরত উমর ফারুক (রা)-এর কাছে যখন হযরত আবূ উবায়দ ইব্‌ন মাসঊদ ছাকাফী (রা)-এর শাহাদত এবং মুসলমানগণের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সংবাদ পৌঁছলো, তখন তিনি বিশেষ ব্যবস্থাধীনে ইরানীদের মুকাবিলা করার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন। তিনি বিভিন্ন গোত্রের কাছে দূত পাঠালেন এবং জনসাধারণকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে লাগলেন। ফলে বেশ কয়েকটি গোত্রের লোক তার খিদমতে হাযির হল এবং তিনি হযরত মুছান্না ইব্‌ন হারিছার (রা) সাহায্যের জন্য মদীনা শরীফ থেকে ইরাক অভিমুখে এক বাহিনী প্রেরণ করলেন। ইতিমধ্যে হযরত মুছান্না (রা)-ও আরব-অন্তর্ভুক্ত ইরাক এলাকা থেকে সেনাদলে লোক ভর্তি করে ইরাকী আরবদের একটি নতুন বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন।

ইরানীদের কাছে যখন মুসলমানগণের এ প্রস্তুতির সংবাদ পৌঁছলো, তখন ইরানের প্রধানমন্ত্রী (সমর মন্ত্রীও বটে) রুস্তম, মাহরান হামাদানীকে সেনাপতি করে বার হাজার বাছাইকৃত সৈন্যের একটি দুর্ধর্ষ বাহিনী মুসলিমগণের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। হামাদানীকে সেনাপতি মনোনয়নের কারণ, তিনি আরবদেশেই প্রতিপালিত হয়েছিলেন। তাই আরব বাহিনীর শক্তির সঠিক মূল্যায়ন তার পক্ষেই সম্ভব ছিল। হযরত মুছান্না (রা) মাহরান হামাদানীর আগমন-সংবাদ শুনে আপন সমগ্র বাহিনীকে ফুরাত নদীর তীরে বুয়াইব নামক স্থানে একত্রিত করেন। মাহরানও বুয়াইব বরাবর ফুরাতের অপর তীরে এসে তাঁবু খাটান। তিনি হযরত মুছান্না ইব্‌ন হারিছা (রা)-এর কাছে পয়গাম পাঠান, হয় তুমি নিজে ফুরাত অতিক্রম করে এপারে চলে আস, নতুবা আমাকে সুযোগ দাও যাতে আমি নদী অতিক্রম করে ওপারে গিয়ে তোমার মুখোমুখি হতে পারি। হযরত মুছান্না (রা) যেহেতু গত যুদ্ধে ফুরাত নদী অতিক্রম করার তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করেছিলেন তাই এবার তিনি উত্তরে বলে পাঠালেন, তুমিই ফুরাত অতিক্রম করে এপারে চলে আস। কাজেই মাহরান জঙ্গী হাতিগুলোসহ সমগ্র ইরানী বাহিনী নিয়ে নদী অতিক্রম করে এপারে চলে এলেন। তিনি সর্বাগ্রে পদাতিক বাহিনীকে দাঁড় করালেন, তারপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করালেন হাতিগুলোকে। হাতির পিঠে বসেছিলো তীরন্দাজরা। ডানে বামে বাহিনীও ইরানীদের মুকাবিলা করার জন্য সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ইরানীরা প্রথমে হামলা প্রতিহত করে। তারপর শুরু হয় এক ভীষণ যুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত ইরানীরা মুসলিমগণের হাতে পরাজয় বরণ করে। যখন ইরানীরা পালাতে শুরু করে, তখন মুসলিম সেনাপতি হযরত মুছান্না (রা) দৌড়ে গিয়ে সেতু ভেঙ্গে ফেলেন, যাতে ইরানীরা সহজে নদী অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে না পারে। এর ফলে অনেক ইরানী সৈন্য নিহত হয় এবং অনেকে পানিতে ডুবে মারা যায়। মাহরান হামাদানীও যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন। ইব্‌ন খালদূনের বর্ণনামতে, ঐ যুদ্ধে ইরানী বাহিনীর যে সমস্ত সৈন্য পলায়ন করেছিল মুসলমানগণ সাবাত’ পর্যন্ত তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে। এ যুদ্ধের পর সাওয়াদ থেকে দজলা পর্যন্ত সমগ্র এলাকা মুসলমানগণের অধিকারে চলে আসে। এ যুদ্ধ হিজরী ১৩ সনের ১৩ই রমযান সংঘটিত হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন