hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৬২
খন্দকের যুদ্ধ
বনু নাযীরের হুই ইব্‌ন আখতাব ছিল সবচেয়ে বড় ফেতনাবাজ ও কলহপরায়ণ। সে এবং বনূ নাযীর গোত্রের বড় অংশটি খায়বরে বসতি স্থাপন করেছিল। হুই ইব্‌ন আখতাব, সালাম ইব্‌ন আবিল হাকীক, সালাম ইব্‌ন মাশকাম, ইব্‌ন কিনানা ইব্‌ন রবীঈ প্রমুখ বনূ নাযীর নেতৃবৃন্দ এবং হূদ ইব্‌ন কায়স ও আবূ আম্মারা প্রমুখ বনূ ওয়ায়িল নেতৃবৃন্দ একত্র হয়ে প্রথমে মক্কায় গেলো। চাঁদার তহবিলও খুললো। কুরায়শরা খুব বেশী বেশী যুদ্ধ তহবিলে চাঁদা দিলো। এখানে যখন খুব উত্তেজনা সৃষ্টি হলো, তখন মক্কার কুরায়শদের পরামর্শক্রমে তারা গাতফান গোত্রগুলোর কাছে গেলো এবং তাদেরকেও এভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য উত্তেজিত করতে সফল হলো। বনূ কিনানা গোত্রগুলোও উদ্বুদ্ধ হলো। এরপর যেসব ইয়াহূদী তখন পর্যন্ত মদীনায় বসবাস করছিল (অর্থাৎ বনূ কুরায়যা), তাদের সাথে গোপন ষড়যন্ত্র শুরু হলো। অথচ বনূ কুরায়যা তখনো পর্যন্ত নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল এবং চুক্তিপত্র অনুসারে মুসলমানদের সাহায্য করা তাদের কর্তব্য ছিল। বনূ সুলায়ম, ফাযারা, আশজা‘, বনূ সা‘দ ও বনূ মুররা প্রভৃতি কুরায়শ গোত্র এবং বনূ নাযীর ও গাতফান প্রভৃতি গোত্রের নেতৃবর্গ যাদের সংখ্যা পঞ্চাশের কম ছিল না, কা‘বা ঘরে গিয়ে কসম করলো যে, আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো মুসলমানদের বিরুদ্ধাচরণ করতে পরাঙমুখ হবে না এবং ইসলামের মূলোৎপাটন করতে কোন সুযোগই হাতছাড়া করবো না। বিগত অভিজ্ঞতার আলোকে এই বিরাট ষড়যন্ত্রে সীমাতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হলো। আর এ জন্যই হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট মদীনা মুনাওয়ারায় ইসলাম বিরোধীদের এই বিরাটতম ষড়যন্ত্রের সংবাদ চরম মুহূর্তের পূর্বে পৌঁছতে পারে নি। প্রথমে আবূ সুফিয়ান কুরায়শ ও তার সাথে চুক্তিবদ্ধ গোত্রসমূহের চার হাজার সৈন্য সমভিব্যাহারে মক্কা থেকে যাত্রা করলো। মাররুয-যাহ্‌রান নামক স্থানে বনূ সুলায়মান ফৌজও এসে মিলিত হলো। এভাবে সবগুলো গোত্র পথিমধ্যে এসে এসে এই বাহিনীতে শামিল হতে থাকলো। বনু নাযীরের অধিনায়ক ছিল হুই ইব্‌ন আখতাব এবং গাতফান গোত্রগুলোর অধিনায়ক ছিল উআয়না ইব্‌ন হিসন। সমগ্র কাফির বাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিল আবূ সুফিয়ান। মদীনার কাছে পৌঁছে সমুদয় শত্রুসেনার সংখ্যা দাঁড়াল বিভিন্ন বর্ণনা মতে ন্যূনপক্ষে দশ হাজার এবং ঊর্ধ্বপক্ষে চব্বিশ হাজার। এই বিশাল বাহিনীতে ছিল সাড়ে চার হাজার উট ও তিনশ’ ঘোড়া।

হযরত নবী করীম (সাঃ) যখন এই বিপুল বাহিনীর আক্রমণের কথা জানতে পারলেন, তখন তিনি মজলিসে শূরার বৈঠক ডাকলেন। সিদ্ধান্ত হলো যে, মদীনার ভেতরে থেকেই প্রতিরোধ করতে হবে। হযরত সালমান ফারসী (রা) পরামর্শ দিলেন যে, শত্রুবাহিনীর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্যে অবরুদ্ধ বাহিনীর চতুর্দিকে খন্দক (পরিখা) খনন করতে হবে। আরবরা এরূপ খন্দক খননের ধারণা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল ছিল না। হযরত নবী করীম (সাঃ) হযরত সালমান ফারসী (রা)-এর এই প্রস্তাব পছন্দ করলেন। একদিকে ছিল ছোট ছোট পর্বতমালা এবং আরেক দিকে মদীনা মুনাওয়ারার আবাস গৃহের দেয়ালগুলো প্রাচীরের কাজ করছিল। যে দিকটি খোলা ছিল এবং যে দিক থেকে শত্রুর আক্রমণ হতে পারতো, সেদিকে খন্দক খনন শুরু করা হলো। পর্বতমালা ও খন্দকের মাঝখানে একটি ডিম্বাকৃতির ময়দান সৃষ্টি হয়ে গেলো। এটিই যেন মুসলমানদের দুর্গ ছিল। এর মাঝখানে ছিল হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর তাঁবু। খন্দক পাঁচ গজ চওড়া ও পাঁচ গজ গভীর খনন করা হলো। খন্দকের গোটা দৈর্ঘ্য—সমান ভাগ করে দশ দশজন লোককে এক একটি অংশ খনন করার জন্য দেয়া হলো। হযরত নবী করীম (সাঃ)-ও একটি অংশের খননকার্যে শামিল ও খন্দক খননে নিয়োজিত হলেন। খন্দক খননের সময় এক স্থানে একটি বিরাট পাথর দেখা গেলো। সবাই শক্তি পরীক্ষা করলেন কিন্তু পাথর ভাঙ্গতে পারলেন না। হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট নিবেদন করা হলো যে, খন্দকটি এই জায়গা থেকে ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে খনন করার অনুমতি দিন। তিনি যে জায়গায় খন্দক খনন করছিলেন সেখান থেকে তার কোদাল নিয়ে চললেন। পাথরের স্থানে পৌঁছে খন্দকে নেমে তাঁর কোদাল দ্বারা আঘাত করতেই পাথরটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে একটি আলোকরশ্মি বিচ্ছুরিত হলো। তিনি আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিলেন। সাহাবায়ে কিরামও তাঁর অনুসরণে আল্লাহু আকবর ধ্বনি তুললেন। তিনি বললেন, আমাকে শাম দেশের (সিরিয়ার) চাবি দান করা হয়েছে। এরপর তিনি পাথরটিতে দ্বিতীয়বার আঘাত করলেন। এবার আরো খণ্ডিত হলো। এবারের আঘাতেও একটি আলোকরশ্মি বিচ্ছুরিত হলো। সুতরাং অনুরূপ আল্লাহু আকবার ধ্বনি উত্থিত হলো। তিনি বললেন, আমাকে পারস্যের চাবি দান করা হয়েছে। তৃতীয় আঘাতে পাথরটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেলো এবং পূর্বের মতো আলোকরশ্মি বের হলো। এবারো আল্লাহু আকবার ধ্বনি বুলন্দ হলো। তিনি বললেন, আমাকেই ইয়ামেনের চাবি দান করা হয়েছে। তারপর তিনি বললেন, আমাকে জিবরাঈল আমীন জানালেন যে, এই দেশগুলো আপনার উম্মতের করায়ত্ত হবে। এখানে লক্ষণীয় যে, চব্বিশ হাজার সশস্ত্র শত্রুসেনার মুকাবিলায় মুষ্টিমেয় মুসলমান তাদের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার উপায় অন্বেষণে ব্যস্ত। গোটা আরবদেশ দুশমনীতে লিপ্ত ও রক্তপানে উদ্যত। বাহ্যত ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু এ সময়ও ইরান, রোম ও ইয়ামন দেশের রাজত্ব লাভের সুসংবাদ শোনানো হচ্ছে। এ কাজ আল্লাহ ছাড়া আর কারো হতে পারে না এবং আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ এরূপ খবর দিতে পারেন না।

এই অবস্থায় হযরত নবী করীম (সাঃ) খবর পেলেন যে, বনূ কুরায়যা প্রধান কা‘ব ইব্‌ন উসায়দ ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুসেনাদের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছে এবং হুই ইব্‌ন আখতাব বনূ কুরায়যার দুর্গে প্রবেশ করে তাদেরকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। তিনি ঘটনা তদন্ত ও তাদের নিবৃত্ত করার জন্য সা‘দ (রা) ইব্‌ন মুআয (রা) ও সা‘দ ইব্‌ন উবাদা (রা)-কে বনূ কুরায়যার নিকট প্রেরণ করলেন। এই দু’জন মনীষীই তাদেরকে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। কিন্তু তারা সফল হলেন না। বনূ কুরায়যা খুব ঔদ্ধত্যভরে জবাব দিলো যে, আমরা মুহাম্মদ (সাঃ)-কে চিনি না। তাঁর সাথে আমাদের কোন চুক্তিও নেই।

কাফির বাহিনী যখন খন্দকের নিকট এসে পৌঁছলো, তখন খন্দক দেখে হতবাক হয়ে গেল এবং চিন্তায় পড়লো। কেননা, ইতিপূর্বে আরবরা এ ধরনের খন্দক কখনো দেখেনি। কাফিরদের বিরাট বাহিনী মদীনা অবরোধ করলো। এ হামলা ছিল কাফিরদের শক্তি ও সামর্থ্যের চূড়ান্ত প্রকাশ এবং ইসলামের মুকাবিলায় কুফরের সবচেয়ে বড় প্রয়াস। মুসলমানরা তাদের বিবি-বাচ্চাদের মদীনার একটি বিশেষ সুরক্ষিত গর্তের মধ্যে হিফাযত মানসে রেখে দিয়েছিলেন। মদীনায় অবস্থানকারী ইয়াহূদীদের তরফ থেকে সর্বদা হামলার আশংকা ছিল। অপরদিকে মুসলমানদের সাথে বসবাসকারী মুনাফিকদের তরফ থেকেও বড় ভয় ছিল। কাফিরদের তরফ থেকে একাধিকবার খন্দক পার হওয়ার প্রয়াস চললো। কিন্তু তারা খন্দক পার হতে পারলো না। খন্দকের এক স্থান দিয়ে প্রশস্ততা একটু কম ছিল। একবার দু’তিনজন কাফির সেনা সেখান দিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। তন্মধ্যে আমর ইব্‌ন আবদ উদকে দুই হাজার পুরুষের সমান মনে করা হতো। সে ছিল আরব দেশের প্রখ্যাত বীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী যোদ্ধা। হযরত আলী (রা) তাকে হত্যা করলেন। অন্যরা পলায়ন করলো। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তীর দ্বারা যুদ্ধ চলতো। মুসলমানরাও কাফিরদের যথাযোগ্য জবাব দিতেন। প্রায় এক মাস পর্যন্ত এই অবস্থা বিদ্যমান ছিল। শত্রুদের অবরোধ ছিল বড় কঠোর। তারা অনবরত বাইরে থেকে সব ধরনের সাহায্য পাচ্ছিল। না রসদপত্র তাদের কম ছিল, না তাদের জনশক্তির কোন কমতি ছিল। মুসলমানদের অবস্থা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কোথাও থেকে রসদপত্র যোগাড় করা যেতো না। উপোসের পর উপোস চলছিল। একবার এক সাহাবী তাঁর উপোসের কথা জানালেন এবং জামা উঠিয়ে দেখালেন পেটে পাথর বেঁধে রেখেছেন। যাতে ক্ষুধার কারণে কোমর ঝুঁকে না পড়ে। হযরত নবী করীম (সাঃ)-ও তার জামা উঠালেন। দেখা গেলো তাঁর পেটে দু’টি পাথর বাঁধা রয়েছে।

রাতে যেহেতু হামলার ভয় ও খন্দক রক্ষা করা আবশ্যক ছিল, সেহেতু রাতভর সবাইকে ময়দানে বিনিদ্র থাকতে এবং দিনভর দুশমনের মুকাবিলা করতে হতো। মুসআব ইব্‌ন কুশায়র নামক জনৈক মুনাফিক বললো, মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর বন্ধুদেরকে সিরিয়া, ইরান ও ইয়ামন দেশ শাসন করার সুসংবাদ দিচ্ছেন, কিন্তু আমরা তো দেখছি যে, তিনি মদীনায়ও এখন থাকতে পারবেন না। কেউ কেউ বলতো, ঘর থেকে বের হয়ে পায়খানা করতেও যেতে পারছে না, অথচ কায়সার ও কিসরার দেশ ইরান ও রোম দখলের স্বপ্ন দেখছে। মোটকথা, মুনাফিকদের বিদ্রুপ, রাতের শিশির, দিনের রৌদ্র, ক্ষুৎ-পিপাসা, কাফিরদের মুকাবিলা, বনূ কুরায়যার আশংকা, মুনাফিকদের ভয়, কাফিরদের সংখ্যাধিক্য, মুসলমানদের সংখ্যাল্পতা—এই সামগ্রিক অবস্থায় মুসলমানরা যে সাহস ও দৃঢ়তার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন, তা এতেই অনুমিত হয় যে, কাফিররা যখন মুসলমানদের কাছে অপমানকর সন্ধির প্রস্তাব করলো, তখন তারা তা সরাসরি নাকচ করে দিলেন। এই অবস্থায়ও ভাগ্যবানেরা বের হয়ে আসতেন এবং ইসলাম গ্রহণ করতেন। যেমন নাঈম ইব্‌ন মাসঊদ ইব্‌ন আমির নামীয় জনৈক ব্যক্তি গাতফান গোত্রের সৈন্য থেকে বের হয়ে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর নিকট এসে হাযির হলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করলেন। মুসলমান হওয়ার পর তিনি বললেন, আমি বনু কুরায়যা ও কাফির বাহিনীর মধ্যে ফাটল ধরিয়ে দেবো। সুতরাং তিনি প্রথমে বনু কুরায়যার কাছে গেলেন। তারপর গেলেন আবূ সুফিয়ানের কাছে। তিনি এমন এমন কথা বললেন যাতে বনূ কুরায়যা ও কুরায়শরা উভয়েই পরস্পর থেকে নিজ নিজ নিরাপত্তা দাবী করলো। তার ফল এই দাঁড়ালো যে, বনূ কুরায়যা কুরায়শদের ইচ্ছানুযায়ী প্রকাশ্যে কোন জঙ্গী তৎপরতা চালাতে বিরত থাকলো। নাঈম ইব্‌ন মাসঊদ দুই তরফেই তার ইসলাম গ্রহণের কথা গোপন রাখলেন। এ জন্য তাঁর পরামর্শ দুই তরফেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলো।

যখন অবরোধের সাতাশ দিন অতিবাহিত হলো, তখন একদিন রাতের বেলা প্রচণ্ড ঝঞ্ঝাবায়ু প্রবাহিত হলো। তাঁবুসমূহের পেরেকগুলো উপড়ে গেলো। চুলোর উপর থেকে ডেগচিগুলো উল্টে পড়ে গেলো। فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا (এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে ঝঞ্ঝাবায়ু প্রেরণ করেছিলাম এবং এমন এক বাহিনী, যা তোমরা দেখতে পাও নি (৩৩ :৯)। এই ঘূর্ণিবায়ু ও ঝঞ্ঝাবাত্যা বিরাট কাজ করলো। সর্বত্র তাঁবুগুলোর আগুন নিভে গেলো। মুশরিকরা আগুন নিভে যাওয়াকে অশুভ লক্ষণ ভাবলো এবং রাতের মধ্যেই ডেরা-তাঁবু উঠিয়ে পলায়ন করলো। কাফিরদের পলায়নের খবর হযরত নবী করীম (সাঃ)-কে আল্লাহর তরফ থেকে জানিয়ে দেয়া হলো। তখনই তিনি হযরত হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রা)-কে খবর নেয়ার জন্য অকুস্থলে পাঠালেন। তিনি এসে খবর দিলেন যে, কাফিরদের সৈন্যস্থল ফাঁকা পড়ে আছে এবং তারা পলায়ন করছে। হযরত নবী করীম (সাঃ) বললেন, এরপর কুরায়শরা আমাদের উপর আর কখনো আক্রমণ করবে না। মুসলমানরা আনন্দের সাথে মদীনায় প্রবেশ করলেন। এ ঘটনা পঞ্চম হিজরীর যুল-কাদাহ মাসে সংঘটিত হয়। নবী করীম (সাঃ) যখন কাফিরদের মুকাবিলায় মদীনার বাইরে খন্দকের দিকে অবস্থান করছিলেন, তখন ইব্‌ন উম্মে মাকতূমকে মদীনার শাসক নিয়োগ করে গিয়েছিলেন। মদীনায় ফিরে এসে তিনি খুব অল্প সময় অবস্থান করলেন এবং যোহরের সালাত আদায় করে হুকুম দিলেন যে, আসরের সালাত যেন এখানে কেউ আদায় না করে। তারা আসরের সালাত বনু কুরায়যার মহল্লায় গিয়ে আদায় করলেন। কোন কোন সাহাবা হাতিয়ারও খুলে রাখতে পারেন নি, ইত্যবসরে এই নির্দেশ জারি হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে বনূ কুরায়যার দিকে গমন করলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন