hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৪৩
মুনাফিকদের ঔদ্ধত্য
মদীনা থেকে বেরিয়ে দেড় দু’মাইল যেতে না যেতেই এক হাজার লোকের মধ্যে তিন শ’ জনকে নিয়ে আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উবায়্য মদীনায় ফিরে চললো। সে বললো, আমাদের মতামত অনুসারে যেহেতু কাজ করা হয়নি এজন্যে আমরা মদীনার বাইরে গিয়ে লড়তে প্রস্তুত নই। এ তিন শ’ মুনাফিক দলত্যাগ করায় মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা কেবল সাত শ’তে এসে দাঁড়ালো। এ সাত শ’র মধ্য থেকেও অল্প বয়স্কদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মদীনায় ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। দিনের অল্প কিছু সময় বাকী থাকতেই তিনি সদলবলে মদীনা থেকে তিন মাইল দূরবর্তী উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে এসে পৌঁছলেন। তাঁরা পৌঁছেই দেখতে পেলেন যে, কাফির বাহিনী ইতোপূর্বেই সেখানে পৌঁছে ছাউনি স্থাপন করেছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় কোন পক্ষই যুদ্ধের কোন লক্ষণ দেখালো না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উহুদ পাহাড়কে পিছনে রেখে ছাউনি স্থাপন করলেন। রাত নির্লিপ্তভাবে অতিবাহিত হওয়ার পর পরদিন ১৫ই শাওয়াল ৩ হিজরী রোজ শনিবার উভয় পক্ষ সক্রিয় হয়ে উঠলো। যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে হযরত নবী করীম (সাঃ) পঞ্চাশ জন দক্ষ তীরন্দাজের একটি বাহিনীকে হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন জুবায়র আনসারী (রা)-এর নেতৃত্বে পিছনের ঘাঁটিতে এই আদেশ দিয়ে মোতায়েন করেন যে, যুদ্ধের অবস্থা যাই হোক না কেন, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা স্থান ত্যাগ করবে না। ব্যাপার ছিলো এই যে, ঐ সংকীর্ণ গিরিপথ দিয়ে শত্রুর পাহাড়ের পিছন দিক থেকে এসে হামলা করার আশংকা ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থান দেখেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ব্যাপারটি অনুধাবন করেছিলেন। এজন্যে শত্রুপক্ষের সে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে তিনি এদেরকে ঐ স্থানে মোতায়েন করেছিলেন।

যোদ্ধাদেরকে সারিবদ্ধ করে নবী করীম (সাঃ) ডানের বাহিনীর নেতৃত্ব হযরত যুবায়র ইব্‌ন আওয়াম (রা)-এর উপর এবং বামের বাহিনীর নেতৃত্ব হযরত মুনযির ইব্‌ন আমর (রা)-এর উপর ন্যস্ত করেন। হযরত হামযা (রা)-কে বাহিনীর অগ্রভাগে অগ্রপথিক সেনানী নিযুক্ত করেন এবং পতাকা হযরত মুসআব ইব্‌ন উমায়র (রা)-এর হাতে দেন। নবী করীম (সাঃ) তার নিজ তলোয়ার হযরত আবূ দুজানা (রা)-কে দেন। তিনি এ তলোয়ার নিয়ে গোটা যুদ্ধক্ষেত্রে উল্লাসের সাথে গর্বভরে প্রদক্ষিণ করতে থাকেন। তার এতাদৃশ আচরণে তিনি বলেন যে, এরূপ পদক্ষেপ আল্লাহ পছন্দ করেন না। কিন্তু কাফিরদের সঙ্গে মুকাবিলা করতে যেয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে এভাবে চলা জাইয।

অপর দিকে কুরায়শরাও তাদের সারি বিন্যস্ত করলো। তারা একশত জন অশ্বারোহী সৈন্যে সম্বলিত ডান বাহিনীর নেতৃত্ব খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদের হাতে অর্পণ করে (তিনি তখনো ইসলাম গ্রহণ করেন নি)। কুরায়শের পতাকা বহনের দায়িত্ব প্রাচীনকাল থেকেই বনী আবদে দার-এর উপর ন্যস্ত ছিল। আবূ সুফিয়ান বনী আবদে দারকে উত্তেজিত করার জন্যে বললো, যদিও প্রাচীনকাল থেকেই তোমরা কুরায়শদের পতাকা বহন করে আসছো, কিন্তু বদর যুদ্ধে তোমাদের পতাকা বহনের অলক্ষুণে প্রভাবের কথাটি স্মরণ হলেই ইচ্ছে হয় যে, পতাকা বহনের দায়িত্ব অন্য কোন গোত্রকে অর্পণ করি। তোমরা যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও যে, পতাকা বহনের গুরুদায়িত্ব তোমরা প্রাণপণে পালন করবে তাহলে পতাকা তোমাদের কাছে রাখ, নতুবা তা ফিরিয়ে দাও। বনু আবদের দার গোত্র পতাকা ফেরত দিল না বরং বীরত্বের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের অঙ্গীকার করলো। উক্ত দু’জন অশ্বারোহী ছাড়া দুইশ রিজার্ভ ঘোড়া প্রয়োজনের সময় ব্যবহারের জন্য তৈরী রাখা হয়। মুশরিকদের তীরন্দায বাহিনীর সরদার ছিলো আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন রবীআ। ওদিকে কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রের বাছাই করা অন্তত তিন হাজার সশস্ত্র সৈন্যের দুর্ধর্ষ বাহিনী আর এদিকে সাতশ’রও কম সৈন্য হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বাহিনী ছিল। এ বাহিনীতে পনের বছরের কম বয়সের বালকরাও ছিল। মুসলিম বাহিনীতে ঘোড়া ছিল কেবল দুটি। মোটকথা সংখ্যার দিক থেকে মুসলমানরা এক-চতুর্থাংশেরও কম ছিলেন এবং যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জামের অনুপাত ছিল তার চাইতে অনেক গুণ কম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন