hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৩০
দীনী খিলাফত ও জাগতিক সালতানাতের পার্থক্য
খিলাফত সম্পর্কে উপরে যা উল্লিখিত হয়েছে তাতে এ সন্দেহ হতে পারে যে, খিলাফত বলা হয় নিছক রাজত্ব ও সালতানাতকে। এই হিসাবে প্রত্যেক রাজা-বাদশাহকেই খলীফা বলা যেতে পারে। বলা যেতে পারে, ধর্মের সাথে খিলাফতের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু একথা জ্ঞাত থাকা উচিত যে, মুসলমানদের মধ্যে খলীফা কেবল সেই রাজা-বাদশাহ বা শাসককেই বলা যেতে পারে, যিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ও সালতানাতের উত্তরাধিকারী এবং সালতানাতে তাঁর স্থলাভিষিক্ত রূপে দীনী কার্যাবলী অর্থাৎ সালাত, ফাতওয়া, কাযা, আদালত, ইহতিসাব, জিহাদ প্রভৃতির বন্দোবস্ত ও শরীআতের আহকাম পালনের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করেন। ইসলামী শরীআত ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উভয় কল্যাণের বাহক। একজন অমুসলিম ও ইহলৌকিক রাজা-বাদশাহর দ্বারা মানব জাতির যে সেবা ও জনকল্যাণমূলক কর্ম সাধিত হয়, তার চেয়ে অনেক উত্তমভাবে এ কাজটি সমাধা হয় খলীফা অর্থাৎ রাসূলের আদর্শ অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনাকারীর দ্বারা। ইসলামী শরীআত যেহেতু তার অনুসারীকে প্রতিটি পার্থিব সৌন্দর্যের অধিকারী করে তোলে, তাই যে রাষ্ট্র ইসলামী শরীআত অনুযায়ী পরিচালিত হবে, সেটিই মানব জাতির জন্য অধিক কল্যাণকর ও উত্তম বলে বিবেচিত হবে। ইসলামী শরীআত এও কামনা করে যে, মুসলিম জনগণ সেই রাষ্ট্র ও সালতানাতের অধীনেই জীবন যাপন করবে যা ইসলামী শরীআত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। অতএব, ইসলামী শরীআতের সাথে খিলাফতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামের সাথে খিলাফতের কোন সম্পর্ক নেই এ কথা সম্পূর্ণ ভুল। যে রাষ্ট্র ও সালতানাত শরীআতী আহকাম অনুযায়ী কায়েম হয়, আর যে রাষ্ট্র ও সালতানাত জোরজবরদস্তি তথা মানবীয় কলা-কৌশলের ভিত্তিতে স্থাপিত হয়, তা কখনো মানব জাতির জন্য ততটা কল্যাণকর ও মঙ্গলজনক প্রমাণিত হতে পারে না, যতটা শরীআতী কানুন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র মানব জাতির জন্য কল্যাণের কারণ হয়। শরীআতী কানুন অনুযায়ী যে রাষ্ট্র দুনিয়ায় কায়েম হয়েছিল, তা ছিল নবী করীম (সাঃ) ও তাঁর সাহাবায়ে কিরামের রাষ্ট্র। দুনিয়ায় এর পূর্বে কিংবা এর পর এমন কোন রাষ্ট্র দেখা যায় না, যা নবী করীম (সাঃ)-এর আসহাবদের রাষ্ট্র থেকে উত্তম এবং মানব জাতির জন্য কল্যাণকর প্রমাণিত করা যেতে পারে। সেই হুকুমাত ও সালতানাতেরই নাম খিলাফতে রাশিদা। তারপর যদিও খিলাফতের নামে ইসলামী রাষ্ট্রের ধারা আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু তাতে অল্প বিস্তর পার্থিব রাজা-বাদশাহদের রীতি-নীতি যোগ হতে থাকে এবং সেই হারেই শরীআতী রাষ্ট্র ও শরীআতী কানুনের রূপ পাল্টে যেতে থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন