hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৯৭
তাবূক যুদ্ধ
মূতা যুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য গাস্‌সানী বাদশাহ এক বিরাট বাহিনী সংগ্রহ করে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। হিরাক্লিয়াস চল্লিশ হাজার বাহাদুর সৈন্য গাস্‌সানী বাদশাহর সাহায্যে প্রেরণ করলেন এবং তিনি নিজেরও এক বিশাল বাহিনী নিয়ে পশ্চাতে রওয়ানা হওয়ার সংকল্প করলেন। পূর্বোক্ত খ্রিস্টান ধর্মযাজক আবূ আমির মক্কা থেকে রোম সম্রাটের নিকট চলে গিয়েছিল। মদীনা আক্রমণের জন্য রোম সম্রাটকে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল তার কাজ ও লক্ষ্য। এ দিকে সে মদীনার মুনাফিকদের সাথেও বরাবর গোপন যোগাযোগ অব্যাহত রাখলো। তারই পরামর্শক্রমে মুনাফিকরা মসজিদে যিরার নির্মাণ করা শুরু করেছিল। মোটকথা, সিরীয় সীমান্তে খ্রিস্টান বাহিনীর সমাবেশ ও রোম সম্রাটের মদীনা আক্রমণের খবর অনবরত মদীনায় পৌঁছা শুরু হলো। হযরত নবী করীম (সাঃ) এই খ্রিস্টানদের আক্রমণকে সিরিয়া সীমান্তেই বাধা দেয়া প্রয়োজন মনে করলেন। কেননা, আরব দেশের অভ্যন্তরে রোমক বাহিনী ঢুকে পড়লে গোটা আরবদেশেই নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হওয়ার প্রবল আশংকা ছিল। তাছাড়া সীমান্তে এত বিরাট বাহিনীর সমাবেশ এমন কোন ব্যাপার ছিল না যে, নবী করীম (সাঃ) তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে নীরব থাকতে পারতেন। তিনি সাধারণভাবে সমস্ত গোত্র-গোষ্ঠীকে জানিয়ে দিলেন যে, হিরাক্লিয়াস বাহিনীর মুকাবিলার জন্য সবাইকে এক জায়গায় সমবেত হতে হবে। মুসলমানরা চতুর্দিক থেকে এসে মদীনা মুনাওয়ারায় একত্রিত হতে লাগলো। মুনাফিকদের দল মদীনায় উপস্থিত ছিল। তারা মুসলমানদের সর্বদা বিভ্রান্ত ও ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তৎপর ছিল।

ইতিপূর্বে হযরত নবী করীম (সাঃ) যখনই কোন দিকে সৈন্য পরিচালনার সংকল্প করতেন, পূর্বাহ্নে তিনি তা কাউকে অবহিত করতেন না, যাতে মুনাফিকরা আপত্তি করা এবং মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করার সুযোগ পায়। যথাসময়ে মুসলমানরা ঠিকই জানতে পারতো তারা কোথায় যাচ্ছে। এবার যেহেতু বিরাট বাহিনী সংগ্রহ করতে হবে এবং তার উপায়-উপকরণও যোগাড় করা দুরূহ ব্যাপার, তাই তিনি ঘোষণা করে দিলেন যে, হিরাক্লিয়াস বাহিনীর মুকাবিলার জন্য সিরিয়া সীমান্তে মুসলমানদের যেতে হবে। গত বছর যেহেতু দুর্ভিক্ষ ছিল, তাই লোকদের আর্থিক অবস্থাও ভাল ছিল না। এ বছর ফসল ও শস্যাদি ভাল হয়েছে এবং ফসল কাটার সময়ও আগত। তাই লোকেরা তাদের শস্যক্ষেত্রে রেখে যাওয়াটা স্বভাবতই একটু অপছন্দ করলো। হিরাক্লিয়াস ও তার পারিষদবর্গ তাদের এই আক্রমণ-প্রস্ততি পর্বে মদীনার মুনাফিকদের পূর্বেই তাদের দোসর বানিয়ে নিয়েছিল। মদীনার মুনাফিকদের ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকাদি মুওয়ায়লিম নামক ইয়াহূদীর ঘরে প্রত্যহ অনুষ্ঠিত হতো। বারো জন মুনাফিক মিলে তাদের জন্য একটি পৃথক মসজিদ তৈরি করলো। উদ্দেশ্য ছিল : এই মসজিদে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকাদি এবং ইসলাম বিরোধী যাবতীয় সলা-পরামর্শ হবে। আর এই মসজিদের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ সৃষ্টির উপকরণ তৈরি করা হবে। এই মুনাফিকরা যখন দেখলো, মুসলমানরা যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন নিরুৎসাহমূলক কথাবার্তা আরম্ভ করলো এবং গ্রীষ্মকালের এই দীর্ঘ সফরের কষ্ট-ক্লেশের কথা লোকদের শোনাতে লাগল। কেননা, তাদের উদ্দেশ্য ছিল হিরাক্লিয়াস বাহিনী দ্বারা মদীনা আক্রমণ করানো। মুসলমানরা সিরিয়া সীমান্তে গিয়ে পূর্বাহ্নেই হামলা করে খ্রিস্টান বাহিনীর সয়লাব আরবদেশে প্রবেশ করা প্রতিরোধ করুক মুনাফিকরা তা চাইত না।

হযরত নবী করীম (সাঃ) মদীনায় সমস্ত সাহাবাকে প্রস্তুত হতে এবং মুজাহিদ বাহিনীর সাথে শরীক হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সাথে পথের সম্বল সওয়ারী। অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের অর্থের খুব প্রয়োজন ছিল। তাই চাঁদার জন্যও সাধারণ আহবান রেখেছিলেন। মুনাফিকরা লোকদের বিভ্রান্ত ও মুসলমানদের জন্য সংকট সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে কোন কার্পণ্য করেনি। হযরত উসমান গনী (রা) তার বাণিজ্যিক মালামাল সিরিয়ার দিকে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি সেগুলো ইসলামী লশকরের সরঞ্জাম তৈরীর জন্য চাঁদা হিসাবে দান করলেন। এর পরিমাণ ছিল—নয়শত উট, যুদ্ধের সরঞ্জামসহ একশত ঘোড়া ও এক হাজার স্বর্ণ দীনার। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) তার গৃহের সমস্ত মাল আসবাব এনে চাঁদা হিসাবে দান করলেন এবং বললেন, পরিবার-পরিজনকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করেছি। হযরত উমর ফারূক (রা) তার সমস্ত সম্পদের অর্ধেক আল্লাহর রাস্তায় পেশ করলেন আর অবশিষ্ট অর্ধেক পরিবার-পরিজনের জন্য রাখলেন। যারা খুব গরীব ছিলেন এবং মেহনত মযদূরী করে দিন গুযরান করতেন, তাঁরাও খুব সাহসিকতার সাথে সাধ্য অনুযায়ী যা পারলেন দান করলেন। মুনাফিকরা এ চাঁদার মধ্যেও অংশগ্রহণ করল না। ত্রিশ হাজার সৈন্য মদীনায় সমবেত হলো। ফৌজী সরঞ্জামের মধ্যে কেবল এতটুকুই যোগাড় হলো যে, প্রত্যেক সৈন্য তার জুতা বানাতে পারলো। নবী করীম (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছিলেন, তোমরা প্রত্যেকে জুতা বানিয়ে নাও। কেননা, পায়ে জুতা পরা থাকলে মানুষ সওয়ার বা আরোহী বিবেচিত হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন