hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২০২
আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-এর প্রথম প্রতিনিধি
তাবূক থেকে প্রত্যাগমন করার পর প্রতিনিধি দলগুলোর কাণ্ড এরূপ ছিল যে, হযরত নবী করীম (সাঃ) মদীনা থেকে কোথাও যেতে পারতেন না। কেননা, আরব গোত্রগুলো অনবরত এসে এসে ইসলামে প্রবেশ করছিল। হজ্জের মওসুম এলে তিনি তাঁর স্থলে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-কে হজ্জের আমীর বানিয়ে রওয়ানা করে দিলেন এবং নিজের পক্ষ থেকে বিশটি উট কুরবানী করার জন্য তার সাথে প্রেরণ করলেন। হযরত আবূ বকর (রা) কুরবানী করার জন্য নিজের পক্ষ থেকেও পাঁচটি উট দিলেন। তিনশ মুসলমানের কাফেলা রওয়ানা হলো। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর রওয়ানা হওয়ার পর সূরা বারাআতের চল্লিশটি আয়াত নাযিল হলো। এ আয়াতগুলোতে বলা হয়েছিল যে, এ বছরের পর মুশরিকরা মসজিদে হারামের নিকট যেতে পারবে না এবং উলঙ্গ হয়ে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে পারবে না। আর যার সাথে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কোন চুক্তি করেছেন, তা সেই সময় পর্যন্ত পূর্ণ করা হবে। হজ্জের সময় এই কথাগুলো ঘোষণা করা জরুরী ছিল।

হযরত নবী করীম (সাঃ) হযরত আলী (রা)-কে এই আয়াতগুলো দিয়ে তার উটনীর উপর সওয়ার করিয়ে রওয়ানা করে দিলেন এবং বলে দিলেন যে, হজ্জের পর কুরবানীর দিন দাঁড়িয়ে সবাইকে এই আয়াতগুলো শুনিয়ে দেবে। হযরত আলী (রা) রওয়ানা হলেন এবং দাওমাতুল হুলায়ফা নামক মনযিলে গিয়ে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর কাফেলার সাথে মিলিত হলেন। হযরত আবূ বকর (রা) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি আমীর হয়ে এসেছো, না মা’মূর (অধীন) হয়ে? হযরত আলী (রা) জবাব দিলেন, আমি মা’মূর হয়ে এসেছি। আমীর আপনিই থাকবেন, আমাকে শুধু এই আয়াতগুলো শুনিয়ে দেয়ার জন্য আদেশ করা হয়েছে। সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে তারা মক্কা পৌঁছলেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) আমীর হিসাবে হজ্জের রুকনগুলো আদায় করলেন। তারপর হযরত আলী (রা) সূরা বারাআতের আয়াতগুলো শুনিয়ে দিলেন।

এ বছর নবী করীম (সাঃ)-এর কন্যা উম্মু কুলছুম ইনতিকাল করেন। এ বছরই হজ্জ ফরয হয়। এ বছরই হজ্জ মুসলমানদের পরিচালনাধীনে আসে। হযরত আবূ বকর (রা) লোকদেরকে আরকানে হজ্জের তা‘লীম দেন। এই হজ্জের পর সকল মুশরিককে মাত্র চার মাসের সময় দেয়া হয় এবং ঘোষণা দেয়া হয় যে, চার মাসের পর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল মুশরিকদের বেলায় সম্পূর্ণ দায়িত্বমুক্ত। এই ঘোষণা শুনে মক্কায় যেসব লোক তখনো শিরকের উপর দৃঢ় ছিল, তারাও ইসলামে প্রবেশ করলো এবং সর্বদিক থেকে বিভিন্ন গোত্র দলে দলে এসে মুসলমান হতে লাগলো। কোন কোন ঐতিহাসিক লিখেন, এই বছরই তাবূক থেকে প্রত্যাগমন করে নবী করীম (সাঃ) ইরানের বাদশাহ কিসরার কাছে পত্র প্রেরণ করেছিলেন, সপ্তম হিজরীর ঘটনাবলীতে যার উল্লেখ করা হয়েছে। এই বছরই মুনাফিক সর্দার আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উবায়্য মারা যায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন