hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২২৯
খিলাফত প্রশ্নে মতানৈক্য
মুসলমানদের মধ্যে কোন কোন লোক এমনও সৃষ্টি হয়েছে, যারা নবী করীম (সাঃ)-এর খলীফাগণ অর্থাৎ স্থলাভিষিক্তগণ সম্পর্কে উদ্ভট উদ্ভট আপত্তি উত্থাপন করেছে। কাউকে অপরাধী ও জালিম এবং কাউকে নিষ্পাপ ও মজলুম সাব্যস্ত করেছে। অথচ খিলাফত সম্পর্কে কোন মানুষের কোন অভিযোগ বা আপত্তি উত্থাপন করার কোন অধিকার নেই। আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীর রাজত্ব ও খিলাফতকে কাউকে দান করা বা কারো নিকট থেকে ছিনিয়ে নেয়ার কাজটি কেবল নিজের সাথেই সম্পৃক্ত রেখেছেন। বাহ্যিক বা রূপকভাবেও খিলাফত দান বা তা ছিনিয়ে নেয়ার কাজকে কোন মানুষের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করেননি। আর এ কারণেই স্বয়ং নবী করীম (সাঃ)-ও খলীফার নির্বাচন ও নিযুক্তি সম্পর্কে কোন নির্দেশ দান করেননি। কুরআনুল করীম বলে দিয়েছে খলীফাকে কি কাজ করতে হবে, কোন্ কাজ থেকে বিরত ও ভীত থাকতে হবে। কোন সৎকর্ম খিলাফতের উপযুক্ত বানায় তাও বলে দিয়েছে। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর খলীফা অর্থাৎ তার পরে মুসলমানদের শাসক কে হবে-একথা বলেনি। সাওম, সালাত, হাজ্জ, যাকাত এবং বান্দার হক ও আল্লাহর হকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় ও ইসলামী শরীআত স্পষ্ট ও প্রমাণসিদ্ধরূপে বর্ণনা করেছে। কিন্তু নবী করীম (সাঃ)-এর স্থলাভিষিক্ত নির্ধারণ করেনি। আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা খিলাফত দান করেন এবং স্বয়ং তিনিই খিলাফতের উপযুক্ত ব্যক্তিকে তার খিলাফত লাভের উপকরণ যুগিয়ে দেন—এর মধ্যে এই গূঢ় রহস্যই নিহিত ছিল। খিলাফত লাভের কাজ যেহেতু মানবীয় চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও মানবীয় ফন্দি-কৌশলের উর্ধ্বে, তাই মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম খিলাফতের উপযুক্ত কে ছিলেন এবং তারপর কে ছিলেন, আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং তাঁর কার্য দ্বারা তা বাতলে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে লড়াই-ঝগড়া করা ও প্রশ্ন তোলা একেবারে অবান্তর এবং আল্লাহ তা‘আলার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার নামান্তর। নবী করীম (সাঃ)-এর পর কার খলীফা হওয়া উচিত ছিল? তার জবাব পরিষ্কার : যিনি খলীফা হয়েছেন, তাঁরই। একথা বলা ঠিক নয় যে, যিনি খলীফা হয়েছেন, তিনি খলীফা হওয়ার উপযুক্ত ছিলেন না। অন্য দৃষ্টিকোণে একথা বলার অনিবার্য পরিণতি দাঁড়ায় এই যে, খলীফা স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা বানাননি। অর্থাৎ আল্লাহ যাকে খলীফা বানাতে চেয়েছিলেন, তাকে বানাতে পারেন নি এবং মানবীয় ফন্দি-কৌশলের কাছে (নাউযুবিল্লাহ) আল্লাহ তা‘আলা পরাজিত হয়েছেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর খিলাফতের বিরুদ্ধে যারা আপত্তি তুলেছে, তাদের অবস্থা হচ্ছে সেই ব্যক্তির মতো, যে বিচারকের আদালত থেকে নিজের প্রত্যাশা বিরোধী রায় শ্রবণ করে আদালত থেকে বের হয়ে আসে এবং বাইরে এসে বিচারককে গালাগাল করে। কিন্তু বিচারক তবু বিচারকই থাকেন এবং এই অপরাধী অপরাধীই থাকে। বিচারকের রায় এই অসন্তুষ্ট ব্যক্তির অসন্তোষ রদ করতে পারে না। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা খিলাফত সম্পর্কে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন এবং যাকে খলীফা বানাতে চেয়েছেন, তাকেই খলীফা বানিয়েছেন। এখন আল্লাহর এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যদি কেউ অসন্তুষ্ট হয়, তবে হোক।

وَاللَّهُ يُؤْتِي مُلْكَهُ مَنْ يَشَاءُ

এবং আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন