hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৮০
হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর ইন্তিকাল
শামদেশে (সিরিয়ার) ইয়ারমুকের যুদ্ধ কায়সার হিরাক্লিয়াসকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। ইয়ারমুকের পলাতক সৈন্যরা যখন হিমসে হিরাক্লিয়াসের নিকট—যেখানে তিনি যুদ্ধের ফলাফলের অপেক্ষা করছিলেন—পৌঁছলো, তখন তিনি তার কয়েক লাখ লৌহ সৈনিকের মুষ্টিমেয় মুসলমানের হাতে তছনছ হওয়ার কথা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়লেন এবং তৎক্ষণাৎ হিমস থেকে রওয়ানা হয়ে অন্য কোথাও চলে গেলেন। যাওয়ার সময় এই নির্দেশ দিয়ে গেলেন যে, দামেশক ও হিম্‌স্ শহরকে ভালভাবে দুর্গবেষ্টিত ও সুদৃঢ় করতে হবে। মুসলমানগণ ইয়ারমুক থেকে অগ্রসর হয়ে দামেশক অবরোধ করেছিলেন। শামদেশ যেনো মুসলমানরা দখল করেই ফেলেছিলেন কিংবা দখল করার উপক্রম করেছিলেন। হিরাক্লিয়াসের কোমর ইয়ারমুকে ভেঙ্গে গিয়েছিল। তখন আরবের দিকে চোখ তুলে তাকানোর চাইতে রোমকদের চোখে স্বয়ং নিজেদের মৃত্যু ও ধ্বংসই ভেসে উঠেছিল। অনুরূপভাবে ইরাকের উর্বর ও বিস্তীর্ণ অঞ্চল মুসলমানদের দখলে এসেছিল। ইসলামী রাষ্ট্র আরব দেশে সুদৃঢ় ও সুস্থির হয়ে ইরান ও রোমের সীমানাকে পেছনে হটানো এবং নিজে বিস্তৃত হওয়ার ক্ষেত্রে আত্মনিয়োগ করেছিল।

১৩ হিজরীর জমাদিউস-সানীর শুরুতে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) জ্বরে আক্রান্ত হন। একনাগাড়ে ১৫ দিন মারাত্মক জ্বর ছিল। তিনি যখন নিশ্চিত হলেন যে, নিদানকাল ঘনিয়ে এসেছে, তখন তিনি সর্বপ্রথম হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা)-কে ডেকে খিলাফত সম্পর্কে পরামর্শ করলেন। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা)-কে তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে, উমর সম্পর্কে তোমার ধারণা কি? তিনি বললেন, উমরের মেজাযে কঠোরতা বেশী। তিনি বললেন, উমরের কঠোরতার কারণ হচ্ছে আমি কোমল স্বভাবের ছিলাম। আমি স্বয়ং অনুমান করতে পেরেছি যে, আমি যে বিষয়ে কোমলতা অবলম্বন করতাম, তাতে উমরের অভিমত কঠোরতার দিকে আসক্ত মনে হতো। কিন্তু যেসব ব্যাপারে আমি কঠোরতা অবলম্বন করেছি, তাতে উমর সর্বদা কোমলতার দিক অবলম্বন করতো। আমার ধারণা, খিলাফত তাকে নিশ্চিতরূপেই নরম-দিল ও সংযত বানাবে। এরপর তিনি হযরত উছমান গনী (রা)-কে ডেকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন। তিনি জবাব দিলেন যে, উমরের অন্তর তার বহির্ভাগ অপেক্ষা উত্তম। আমাদের মধ্যে কেউ তার সমকক্ষ হতে পারবে না। তারপর তিনি হযরত আলী (রা)-কে ডেকে এই প্রশ্নই তাঁকেও জিজ্ঞেস করলেন। তিনিও ঠিক সেই জবাবই দিলেন, যা হযরত উছমান গনী (রা) দিয়েছিলেন। তারপর হযরত তালহা (রা) আগমন করলেন। তিনি তাঁর সামনেও বললেন : আমার ইচ্ছা যে, উমর ফারুককে মুসলমানদের খলীফা নিযুক্ত করে যাবো। হযরত তালহা (রা) বললেন, আপনি আল্লাহ্ তা‘আলাকে কি জবাব দেবেন যে, আপনি প্রজাদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? একথা শুনে তিনি বললেন, আমাকে উঠিয়ে বসিয়ে দাও। অতঃপর তাকে বসানো হলো। তিনি বললেন, আমি আল্লাহ্ তা‘আলাকে জবাব দেবো, আমি তোমার সৃষ্ট জীবের উপর তোমার সৃষ্ট জীবের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তিকে খলীফা নিযুক্ত করেছি। একথা শুনে হযরত তালহা (রা) চুপ হয়ে রইলেন। তারপর তিনি হযরত উছমান গনী (রা)-কে ডেকে ওসীয়তনামা লেখার নির্দেশ দিলেন। রোগের প্রকোপের দরুন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) থেমে থেমে কথা বলছিলেন এবং হযরত উছমান গনী (রা) তা লিখে যাচ্ছিলেন। যে ওসীয়তের বিষয়বস্তু ছিল এরূপ।

“এটা হচ্ছে সেই চুক্তি, যা খলীফাতুর রাসূল (সাঃ) হযরত আবূ বকর (রা) তাঁর ইহলৌকিক জীবনের শেষ সময় এবং পারলৌকিক জীবনের প্রথম সময় করেছেন। এরূপ অবস্থায় কাফির ব্যক্তিও ঈমান আনয়ন করে এবং কাফির (পাপী) ব্যক্তিও বিশ্বাস স্থাপন করে। আমি তোমাদের উপর হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবকে নিযুক্ত করেছি এবং আমি তোমাদের মঙ্গল ও কল্যাণ করতে ত্রুটি করিনি। অতএব উমর যদি সুবিচার ও সবর দ্বারা পরিচালিত হয় তবে তা হবে তার সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতার ফল। আর যদি সে অন্যায় ও অবিচার করে, তবে আমি গায়ব সম্বন্ধে অবহিত নই। আমি তো মঙ্গল ও কল্যাণই কামনা করেছি। আর প্রত্যেক ব্যক্তিই তার কর্মফল ভোগ করে থাকে।

وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنْقَلَبٍ يَنْقَلِبُونَ

অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন