hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৩৫
যুদ্ধ শুরু
অবশেষে পরদিন অর্থাৎ দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ই রমযান রণক্ষেত্র জেগে উঠলো। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রথমে তার ইবাদতের সেই ছোট্ট ঝুঁপড়ীতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতে লাগলেন :

اللهم ان تهلك هذه العصابة من اهل الإيمان فلا تعب في الارض ابدا

হে আল্লাহ, যদি ঈমানদারদের এই দলটিকে তুমি ধ্বংস করে দাও, তবে যমীনে তোমার ইবাদতকারী কেউ থাকবে না।

তারপর তিনি দু’রাকাআত নামায পড়লেন। তারপর কিছুক্ষণের জন্য তিনি তন্দ্রাগ্রস্ত হলেন। তারপরই মুচকি হাসতে হাসতে বেরিয়ে এসে বললেন :

سيهزم الجمع ويولون البر .

কাফির বাহিনী পরাজিত হবে এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবে।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন যে, যুদ্ধের সূচনা তোমরা করবে না। মুসলমানদের মধ্যে আশিজন অথবা তার চাইতে আরো দু’তিনজন বেশী সংখ্যক মুহাজিরীন এবং অবশিষ্টরা আনসার ছিলেন। আনসারদের মধ্যে আওস গোত্রসমূহের একষট্টিজন ও ১৭০ জন খাযরাজ গোত্রের লোক ছিলেন। উভয় পক্ষের সৈন্যরা সারিবদ্ধ হলেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর হাতে একটি তীর ছিল। তিনি সেই তীরের ইংগিতে সারিগুলোকে বিন্যস্ত করছিলেন। তারপর আরবের প্রথা অনুসারে কাফিরদের মধ্য থেকে সর্বপ্রথম রবীআর পুত্রদ্বয়, উত্‌বা ও শায়বা এবং ওয়ালীদ ইব্‌ন উত্‌বা যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হলো এবং মুসলিম সৈন্যদের তিনজনকে দ্বন্দ্বযুদ্ধের জন্য আহবান জানালো। এদের মুকাবিলা করার জন্যে আনসারদের মধ্য থেকে আফরার পুত্রদ্বয় আওফ ও মুআব্বিয এবং আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন রাওয়াহা (রা) বেরিয়ে এলেন। উত্‌বা জিজ্ঞেস করলো : من انتم -তোমরা কারা হে? তারা জবাব দিলেন : رهط من الانصار আমরা আনসার অর্থাৎ মদীনাবাসী মুসলমান। উত্‌বা অত্যন্ত দর্পের সাথে শ্লেষাত্মক সুরে বলে উঠলো :

ما لنا بكم من حاجة

তোমাদের সাথে আমাদের লড়বার প্রয়োজন নেই।

তার পর চীৎকার করে বললো :

محمد اخرج الينا احفاءنا من قومنا

হে মুহাম্মদ! আমাদের স্বজাতীয় এবং সমকক্ষদেরকে আমাদের সাথে মুকাবিলার জন্যে প্রেরণ করো!

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উত্‌বার মুকাবিলায় হযরত হামযা ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিব (রা)-কে, শায়বার মুকাবিলায় হযরত উবায়দা ইবনুল হারিছ (রা)-কে এবং উত্‌বার পুত্র ওয়ালীদের মুকাবিলায় হযরত আলী ইব্‌ন আবূ তালিব (রা)-কে অবতীর্ণ হতে আদেশ দিলেন। উত্‌বা এ তিন জনের নাম কি কি জিজ্ঞেস করলো। অথচ এদেরকে সে খুব ভাল করেই চিনতো। এঁদের নাম শুনে বললো : হাঁ, তোমাদের সাথে আমাদের লড়াই হতে পারে। দ্বন্দ্বযুদ্ধ শুরু হলো। হযরত হামযা (রা) এবং হযরত আলী (রা) প্রথম আঘাতেই উত্‌বা এবং ওয়ালীদ পিতাপুত্র উভয়কে পরাভূত ও কতল করলেন। শায়বার মুকাবিলায় হযরত উবায়দা (রা) আহত হলেন। যখম ছিল মারাত্মক, তাই সে আঘাত তিনি সহ্য করতে পারলেন না। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। হযরত আলী (রা) তখন অগ্রসর হয়ে শায়বাকে হত্যা করলেন এবং উবায়দা (রা)-কে উঠিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে নিয়ে আসলেন। তারপর কাফিররা সারিবদ্ধ হলো। এদিকে মুসলমানরাও সক্রিয় হলেন। উভয় পক্ষে তুমুল যুদ্ধ শুরু হলো। উভয় পক্ষ বীরত্বের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করলো। ফলাফল দাঁড়ালো এই যে, কাফির পক্ষ তাদের সত্তর জন বীরের শবদেহ এবং নব্বই জনকে বন্দী অবস্থায় রেখে রণে ভঙ্গ দিয়ে পলায়ন করলো। ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হুযূর (সাঃ) একটি ছায়াযুক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে যুদ্ধের গতিবিধি প্রত্যক্ষ করছিলেন এবং নিজ বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাদি দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি মুসলমানদেরকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন যে, কুরায়শদের সাথে আগত বনী হাশিম-এর লোকজন যেহেতু স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে নয়, কুরায়শদের চাপের মুখে এসেছেন তাই তাদের প্রতি যেন কঠোরতা প্রদর্শন না করা হয় এবং আব্বাস ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিবকে যেন হত্যা করা না হয়। অনুরূপভাবে আবদুল বুখতরী সম্পর্কেও তিনি বলে রেখেছিলেন যে, তার ব্যাপারেও যেনো তেমন কঠোরতা অবলম্বন না করা হয়। এ নির্দেশ শুনে আবূ হায়ফা বলে উঠলেন : এটা কেমন করে হতে পারে যে, আমি আমার সহোদরকে হত্যা করবো এবং আব্বাসকে ছেড়ে দেবো। আব্বাস যদি আমার মুকাবিলায় আসেন, তাহলে তো নির্ঘাত তাকে আমি হত্যা করবো, একটুও দ্বিধাবোধ করবো না। পরবর্তীকালে হুযায়ফা এজন্যে অত্যন্ত লজ্জিত হয়েছিলেন এবং এজন্যে দুঃখ প্রকাশও করেছিলেন। মাহ্‌যার ইব্‌ন যিয়াদের মুকাবিলা হয় আবুল বুখতরীর সাথে। মাহযার ইব্‌ন যিয়াদ বলেন যে, আমাদের প্রতি তোমার সাথে লড়তে নিষেধ আছে, তাই তুমি আমার সম্মুখ থেকে চলে যাও! আবুল বুখতরী তার এমন একজন সাথীকে বাঁচাতে প্রয়াস পায়-যাকে মাহযার ইব্‌ন যিয়াদ হত্যা করতে যাচ্ছিলেন। এ প্রয়াস চালাতে গিয়ে আবুল বুখতরী নিহত হয়। উমাইয়া ইব্‌ন খাল্‌ফ এবং তার পুত্র আলী ইব্‌ন উমাইয়া নিজেদের প্রাণ রক্ষার জন্যে অস্থির হয়ে ছুটাছুটি করছিলো। উমাইয়া ও আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফের মধ্যে জাহিলিয়াতের যুগে বন্ধুত্ব ছিলো। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) তাকে এ অবস্থায় দেখে নিজের হিফাযতে নিয়ে নেন এবং উমাইয়ার হাত ধরে অগ্রসর হতে থাকেন। এমন সময় হযরত বিলাল (রা) তাকে দেখতে পেয়ে চীৎকার করে আনসার যুবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সবাই মিলে পিতাপুত্র দু’জনকে হত্যা করেই তবে ছাড়েন। হযরত উমায়র ইব্‌ন হুমাম আনসারী (রা) নামক এক সাহাবী খেজুর খেতে খেতে হুযূর (সাঃ)-এর কাছে এসে আরয করেন : যদি আমি কাফিরদের সাথে লড়তে লড়তে মারা যাই তা হলে কি সাথে সাথে জান্নাতে চলে যাবো? প্রিয়নবী (সাঃ) বললেন : হাঁ। তখন ঐ সাহাবী হাতের খেজুর ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তলোয়ার হাতে দুশমনদের মধ্যে ঢুকে পড়েন এবং লড়াই করতে করতে শহীদ হয়ে যান।

লড়াই যখন খুব জোরসোরে চলছিল তখন হুযুর (সাঃ) এক মুষ্টি ধূলো মাটি নিয়ে তাতে দম করে তা কাফিরদের দিকে নিক্ষেপ করেন। সাথে সাথে কাফির সৈন্যরা পালাতে শুরু করে। ঘটনাক্রমে এক আনসারী তরুণ হযরত মুআয ইব্‌ন আমর (রা)-এর সাথে আবূ জাহেলের মুকাবিলা হয়। আবূ জাহেলের দেহ লৌহ বর্মাদির দ্বারা পূর্ণ আচ্ছাদিত ছিলো। হযরত মুআয ইব্‌ন আমর (রা) এক ফাঁকে আবূ জাহেলের পা খোলা দেখে সেই বরাবর এমন জোরে কোপ দিলেন যে, পা দূরে গিয়ে ছিটকে পড়লো। আবূ জাহেলের পুত্র ইকরামা পিতার এ শোচনীয় অবস্থা লক্ষ্য করে মুআয ইব্‌ন আমর (রা)-এর উপর এমনি এক আঘাত হানলো যে, তাঁর বাম হাত স্কন্ধের নিকট থেকে কেটে গিয়ে ঝুলে পড়লো। হাতটি তখন কেবল চামড়ার উপরই লটকে ছিলো। হযরত মুআয (রা) সারা দিন এ অবস্থাতেই লড়াই করে যেতে লাগলেন। ঝুলন্ত হাতটি যখন একটা বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো তখন তিনি নিজেই হাতটি পায়ের নীচে রেখে টান দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। তারপর আনসারের অপর এক তরুণ মুআব্বিয ইব্‌ন আফরা আবূ জাহেলের নিকটবর্তী হয়ে এমনি এক আঘাত হানলেন যে, সে অর্ধমৃত হয়ে গেলো। কাফিররা রণক্ষেত্র ছেড়ে পালালো আর মুসলমানেরা বিজয় পতাকা উড্ডীন করলো। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আবূ জাহেলের শবদেহ যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে আছে কিনা তদন্ত করে দেখতে নির্দেশ দিলেন। নির্দেশ পাওয়া মাত্র হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন মাসঊদ (রা) যুদ্ধক্ষেত্রে শবদেহগুলো পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো। আবূ জাহেলকে অর্ধমৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো। হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসঊদ (রা) তার বুকের উপর চেপে বসে বললেন : আল্লাহর দুশমন, দেখ, আল্লাহ তোকে কিভাবে অপদস্থ করলেন! আবূ জাহেল জিজ্ঞেস করলো, যুদ্ধের ফলাফল কী হলো? হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসঊদ (রা) বললেন : মুসলমানদের জয় এবং কাফিরদের পরাজয় হয়েছে। একথা বলেই তিনি তার শির কাটতে উদ্যত হলেন। আবূ জাহেল বললো : আমার গলাটি কাঁধের একেবারে নিকটে এমনভাবে কাটবে যেনো অন্যান্য কাটা শিরের তুলনায় তা একটু দীর্ঘ বলে মনে হয় এবং স্পষ্ট বোঝা যায় যে, এটা সরদারের শির। হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসঊদ (রা) তার শির কেটে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর খিদমতে এসে উপস্থিত হলেন এবং তাঁর কদম মুবারকের নিকট তা ফেলে দিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আবূ জাহেলের কর্তিত শির দেখে আল্লাহর শোকর আদায় করলেন। এ যুদ্ধে মোট চৌদ্দজন সাহাবী শহীদ হন। এঁদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন মুহাজির এবং আটজন আনসার। যুদ্ধান্তে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শহীদদের লাশ দাফন করলেন। মুশরিকদের লাশ একটি বড় গহবরে বা কূপে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হলো। কেবল উমাইয়া ইব্‌ন খালফের লাশ শতধাবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে উঠিয়ে নিয়ে কূপে নিক্ষেপ করা সম্ভবপর হয়নি। তার লাশ যেখানে ছিলো, সেখানেই মাটি চাপা দেয়া হয়।

কাফিররা এমনি দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্যভাবে মাঠ পরিত্যাগ করেছিল যে, তাদের অর্ধমৃত নেতা আবূ জাহেলকে পর্যন্ত তারা রণক্ষেত্রেই আহত অবস্থায় ফেলে যায়। হারিছ ইব্‌ন যামআ, আবুল কায়স ইবনুল ফাকিহ, আলী ইব্‌ন উমাইয়া ও ‘আস ইব্‌ন খাবআ ছিল বয়সে তরুণ। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মক্কায় অবস্থানের সময় এরা তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন অথবা সম্ভবত মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন। নবী করীম (সাঃ)-এর মদীনায় হিজরতের পর তাদের আত্মীয়-স্বজনরা তাদেরকে অত্যন্ত কঠোরভাবে শাসন করে এবং মুরতাদ হওয়ার প্ররোচনা দেয়। প্রাণ রক্ষার্থে বাহ্যিকভাবে তাঁরা নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে সম্পর্ক ত্যাগের কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হন এবং কাফির বাহিনীর সাথে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে যুদ্ধক্ষেত্রেই নিহত হন। মক্কার যেসব বড় বড় সরদার এ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল তাদের প্রায় সবাই নিহত হয়। পরাজিত এ কাফির বাহিনী মক্কায় প্রত্যাবর্তন করলে ঘরে ঘরে কান্নার রোল উঠে। হযরত নবী করীম (সাঃ) যুদ্ধলব্ধ সমস্ত গনীমতের মাল একত্রিত করে বনু নাজ্জার বংশীয় আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন কা‘বের হাতে অর্পণ করেন। হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন রাওয়াহা (রা) এবং হযরত যায়দ ইব্‌ন হারিছা (রা)-কে মদীনার উঁচু ও নীচু এলাকায় যুদ্ধজয়ের সুসংবাদ দানের জন্যে প্রেরণ করলেন। হযরত উসামা ইব্‌ন যায়দ—যাঁকে হযরত নবী করীম (সাঃ) মদীনায় তাঁর নায়েবরূপে রেখে এসেছিলেন, তিনি বলেন যে, যুদ্ধজয়ের এ সুসংবাদ ঠিক ঐ সময় আমাদের কাছে পৌঁছলো যখন আমরা নবীনন্দিনী ও হযরত উসমান (রা)-এর সহধর্মিণী হযরত রুকাইয়া (রা)-কে দাফন করছিলাম। মদীনায় ১৮ই রমযান তারিখে এ সুসংবাদটি পৌঁছে।

যুদ্ধশেষে বদরের যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে হযরত নবী করীম (সাঃ) মদীনার দিকে রওয়ানা হলেন। সাফরা নামক স্থানে এসে তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে সমস্ত গনীমতের মাল মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করলেন এবং যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে নযর ইব্‌ন হারিছের প্রাণদণ্ডাদেশ দান করলেন। সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে আরকুয যাবিয়া নামক স্থানে পৌঁছে উকবা ইব্‌ন আবূ মুআয়ত ইব্‌ন আমর ইব্‌ন লায়তের প্রাণ দণ্ডাদেশ দান করলেন। বদর যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে এরা দু’জন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও ইসলামের সঙ্গে চরম শত্রুতা করতো এবং বিবাদ ও ষড়যন্ত্র করার ব্যাপারে আবূ জাহেলের সমকক্ষ ছিলো। নযর ইব্‌ন হারিছকে সাফরা নামক স্থানে হযরত আলী (রা) এবং উকবা ইব্‌ন আবূ মুআয়তকে আরকুয যাবিয়া নামক স্থানে হযরত আসিম ইব্‌ন ছাবিত আনসারী (রা) কতল করেন। তারপর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বন্দীদেরকে এবং তাদের প্রহরায় নিযুক্ত বাহিনীকে পিছনে রেখে দ্রুত মদীনার দিকে রওয়ানা হন। তার একদিন পরে বন্দীরাও মদীনায় পৌঁছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন