hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৪৪
আর্মেনিয়া বিজয়
হযরত ফারূকে আযম (রা) যে অবস্থায় ও যেভাবে শাহাদত বরণ করেন, সে সংবাদ পেয়েই রোমানদের মধ্যে ইসকান্দারিয়া আক্রমণের দুঃসাহস জন্মে। এ খবরে হামাদান, রাই প্রভৃতি ইরানী অঞ্চলেও বিদ্রোহ দেখা দেয়। ইরানীরা বলতে শুরু করে, আমরা আরবদের প্রজা হয়ে থাকব না, বরং নিজেদেরই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো। এ সমস্ত বিদ্রোহের খবর শুনে তা দমন করার জন্য হযরত উসমান গনী (রা) হযরত আবূ মূসা আশআরী (রা), হযরত বারা ইব্‌ন আযিব (রা), কুরত ইব্‌ন কা‘ব (রা) প্রমুখ সেনাপতিকে নির্দেশ দেন এবং তারা শীঘ্রই তা দমন করতে সক্ষম হন। হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর খিলাফতকালেই পদচ্যুত হয়ে মদীনা শরীফে চলে এসেছিলেন। হযরত উসমান গনী খিলাফতের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েই হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা)-কে পুনরায় গভর্নর পদে নিয়োগ করেন। ঐ সময়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন মাসঊদ (রা) কুফায় বায়তুল মালের কর্মকর্তা বা ট্রেজারী অফিসার ছিলেন।

হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) যিনি কুফার গভর্নর হয়ে এসেছিলেন, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ট্রেজারী অফিসার হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসঊদ (রা)-এর কাছ থেকে কিছু ঋণ গ্রহণ করেন। কিছু দিন পর যখন আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসঊদ (রা) ঐ ঋণ পরিশোধের জন্য তাগাদা দেন, তখন হযরত সা‘দ (রা) তা পরিশোধ করতে পারেন নি। এ বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁদের উভয়ের মধ্যে মন কষাকষি ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয় এবং এ খবর যখন মদীনা শরীফে হযরত উসমান গনী (রা)-এর কানে গিয়ে পৌঁছে তখন তিনি হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা)-কে (হিঃ ২৫ সনে) পদচ্যুত করে তার স্থলে হযরত ওয়ালীদ ইব্‌ন উকবা ইব্‌ন আবূ মুয়ীত (রা)-কে কূফার গভর্নর নিয়োগ করেন। আযারবায়জান রক্ষার জন্য যে বাহিনী মোতায়েন ছিল তাও কূফার গভর্নরের অধীন মনে করা হত। আর কূফার ছাউনী থেকে পালাক্রমে এক একজন সেনাপতিকে নির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্য দিয়ে আযারবায়জানে প্রেরণ করা হত। হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা)-এর সময়ে উত্‌বা ইব্‌ন ফারকাদ আযারবায়জানে নিযুক্ত ছিলেন। হযরত সা‘দ (রা)-কে পদচ্যুত করার পর উত্‌বা ইব্‌ন ফারকাদ (রা)-কেও পদচ্যুত করে আযারবায়জান থেকে ডেকে পাঠানো হয়। আর উত্‌বার সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথে আযারবায়জানবাসীরা বিদ্রোহ করে বসে। ওয়ালীদ ইব্‌ন উত্‌বা সঙ্গে সঙ্গে আযারবায়জান সৈন্য প্রেরণ করেন। শেষ পর্যন্ত আযারবায়জানবাসীরা পুরাতন শর্তাদির উপরই পুনরায় সন্ধি করে এবং নিয়মিত জিযিয়া পরিশোধ করতে থাকে। ওয়ালীদ ইব্‌ন উকবা যিনি হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর খিলাফতকালে জাযীরার কর্মকর্তা ছিলেন এবং এখন কূফার গভর্নর নিযুক্ত হয়েছেন, তিনি হযরত উসমান গনী (রা)-এর রিযায়ী ভাই (দুধভাই) ছিলেন। হযরত সা‘দ (রা) যেহেতু অত্যন্ত মুত্তাকী ও আল্লাহভীরু লোক ছিলেন এবং যেহেতু ওয়ালীদ ইব্‌ন, উকবা পরহিযগারী ও ইবাদত বন্দেগীর ক্ষেত্রে হযরত সা‘দ (রা)-এর সমপর্যায়ে ছিলেন না, তাই কূফাবাসীরা ওয়ালীদ (রা)-এর আগমনে ও হযরত সা‘দ (রা)-এর নির্গমনে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না। ঐ সময়েই ওয়ালীদ ইব্‌ন উকবা আযারবায়জানে সৈন্য প্রেরণ করেছিলেন।

দামিশকের কর্মকর্তা হযরত আমীর মুয়াবিয়া (রা) হযরত হাবীব ইব্‌ন মাসলামা (রা)-কে আর্মেনিয়ার দিকে প্রেরণ করেছিলেন এবং তিনি সেখানকার বেশীর ভাগ শহর ও দুর্গ জয় করে রোমানদেরকে জিযিয়া প্রদানে বাধ্য করেছিলেন। এ সংবাদ শুনে রোমান সম্রাট কনস্টান্টিনোপলের নির্দেশ অনুযায়ী একজন রোমান সেনাপতি মালীতাবাহ, সিওয়াম, কাউনিয়া প্রভৃতি শহর ও সেনাছাউনি থেকে আশি হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে সোজা কনস্টান্টিনোপল উপসাগর দিয়ে হাবীব ইব্‌ন মাসলামা (রা)-কে আক্রমণ করে। হযরত হাবীব (রা) শত্রুপক্ষের এ বিরাট বাহিনীর আগমন সংবাদ শুনে সঙ্গে সঙ্গে হযরত আমীরে মুআবিয়া (রা)-কে সে সম্পর্কে অবহিত করেন। হযরত আমীরে মুআবিয়া (রা) সঙ্গে সঙ্গে কূফার গভর্নর ওয়ালীদ ইব্‌ন উকবা (রা)-কে লিখেন : “তুমি হাবীব ইব্‌ন মাসলামা (রা)-এর সাহায্যার্থে অবিলম্বে দশ হাজার সৈন্য আর্মেনিয়ার দিকে পাঠাও।” হযরত উসমান গনী (রা)-এর এ নির্দেশ হযরত ওয়ালীদ ইব্‌ন উকবা (রা) মূসেলে প্রাপ্ত হন। তখন তিনি আযারবায়জান বিজয়ের পর কূফার দিকে আসছিলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে হযরত সালমান ইব্‌ন রাবীআ (রা)-এর নেতৃত্বে আট হাজার সৈন্য আর্মেনিয়ার দিকে প্রেরণ করেন।

হযরত হাবীব ইব্‌ন মাসলামা (রা) ও হযরত সালমান ইব্‌ন রাবীআ (রা) সম্মিলিতভাবে সমগ্র আর্মেনিয়া দখল করে নেন এবং কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী কোহে কাফে (ককেশাস পর্বতে) গিয়ে পৌঁছেন। সেখানে হযরত সালমান ইব্‌ন রাবীআ (রা) শিরওয়ান এবং সমগ্র পার্বত্য এলাকা জয় করে কূফার দিকে প্রত্যাবর্তন করেন। আর হযরত হাবীব ইব্‌ন মাসলামা (রা) দামিশকে হযরত আমীরে মুআবিয়ার কাছে চলে যান। তারপর হযরত আমীরে মুআবিয়া (রা) খোদ একটি বাহিনী নিয়ে রোমান এলাকার উপর চড়াও হন। তখন রোমান বাহিনী আতংকিত হয়ে ইনতাকিয়াহ্ ও তারবাউসের মধ্যবর্তী সমগ্র এলাকা ছেড়ে দ্রুতবেগে পলায়ন করে। হযরত আমীরে মুআবিয়া (রা) ঐ এলাকার কয়েকটি দুর্গে নিজের সেনাছাউনি প্রতিষ্ঠা করেন এবং কিছু কিছু দুর্গ ধ্বংস করে ফেলেন। এ সমস্ত ঘটনা ঘটে হিজরী ২৫ সনে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন