hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৫০
হিজরী ২৯ সনের হজ্জ
হযরত উসমান গনী (রা) মুহাজির ও আনসারগণের একটি দল নিয়ে হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা মুকাররমা অভিমুখে রওয়ানা হয়ে যান। মিনা নামক স্থানে পৌঁছার পর তিনি নির্দেশ দেন যে, তাঁবু ফেলে হাজী সাহেবদের যিয়ারতের ব্যবস্থা করা হোক। লোকেরা বিদ্আতজ্ঞানে এ কাজকে অপছন্দ করে। কেননা হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ), হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) ও হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর যুগে এরূপ করা হতো না। এ সফরেই জুহায়না গোত্রের একটি স্ত্রীলোককে তার সামনে পেশ করা হল। স্ত্রীলোকটি বিধবা ছিল। তারপর সে দ্বিতীয় বিবাহ করে এবং বিবাহের পর ছয় মাস অতিক্রান্ত হতেই সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। ফলে হযরত উসমান (রা) (ব্যভিচারের অভিযোগে) তাকে ‘রজম’ (প্রস্তরাঘাতে বধ) করার নির্দেশ দেন। যখন হযরত আলী (রা)-এর কাছে এ নির্দেশের সংবাদ পৌঁছে, তখন তিনি হযরত উসমান গনী (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন : পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন :

وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

তাকে গর্ভ ধারণ করতে ও তার স্তন ছাড়াতে লাগে ত্রিশ মাস। (৪৬:১৫)

এ থেকে জানা গেল যে, গর্ভধারণ ও স্তন ছাড়ানোর সময় কাল ত্রিশ মাস। আর স্তন্যদানের সময়কাল সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে :

۞ وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ

যে স্তন্য দানকাল পূর্ণ করতে চায়, তাদের জন্য মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর পান করাবে (২:২৩৩)।

যেহেতু স্তন্যদানের সময়কাল দু’বছর অর্থাৎ ত্রিশ মাস থেকে চব্বিশ মাস বাদ দিলে গর্ভধারণের সর্ব নিম্ন সময়কাল ছয় মাস থাকে। কাজেই, ঐ স্ত্রীলোকের উপর ব্যভিচার প্রমাণিত হয় না।

হযরত উসমান গনী (রা) হযরত আলী (রা)-এর একথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে একটি লোক পাঠিয়ে বলে দিলেন যেন স্ত্রীলোকটিকে ‘রজম’ করা না হয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই ‘রজম’-এর পাট চুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। হযরত উসমান গনী (রা) এতে খুবই ব্যথিত ও অনুতপ্ত হন। এ বছরই হযরত উসমান গনী (রা) মসজিদে নববীর আয়তন বৃদ্ধি করেন। এবার মসজিদের দৈর্ঘ্য একশ ষাট গজ এবং প্রস্থ একশ পঞ্চাশ গজে গিয়ে দাঁড়ায়। সাথে সাথে মসজিদে পাথরের স্তম্ভ লাগানো হয় এবং দেওয়ালগুলোও পাকা করা হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন