hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৮৬
কুরায়শ কবীলাসমূহের মধ্যে বিবাদ মীমাংসাকারী হিসেবে
একদা কোন এক অসতর্ক মুহূর্তে কা‘বা ঘরে আগুন ধরে যায় এবং এর ফলে কা‘বা ঘরের দেওয়ালের স্থানে স্থানে ফাটল দেখা দেয়। কুরায়শরা ইমারতটি ভেঙ্গে ফেলে নতুনভাবে তা নির্মাণ করতে মনস্থ করে। সকলে তো এ মর্মে সম্মতি দিলো কিন্তু কেউই এ ইমারতটি ভাঙ্গতে সাহসী হলো না। অবশেষে কুরায়শ সরদারদের মধ্যে ওয়ালীদ ইব্‌ন মুগীরা এ কাজটি শুরু করেন। তার দেখাদেখি এ অপসারণ কার্যে অন্যান্য কবীলার লোকেরাও অংশগ্রহণ করলো। এ সময় জেদ্দা বন্দরের নিকটে একটি জাহাজ বিধ্বস্ত হয়। সংবাদ পেয়ে কুরায়শরা লোক পাঠিয়ে তা খরিদ করে এবং উটে বোঝাই করে তার কাঠ মক্কায় নিয়ে আসে। এ কাঠ কা‘বা ঘরের ছাদের জন্যে কেনা হয়েছিল।

কা‘বা ঘরের প্রাচীর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে যখন ইব্রাহীমী ভিত্তির গোড়া পর্যন্ত তারা পৌঁছে গেল, তখন পুনর্নির্মাণের কাজ তারা শুরু করলো। ছাদের কাঠ যেহেতু পরিমাণে কম ছিল তাই সেবার তারা কা‘বা ঘর ইবরাহীমী ভিতের উপর পুরোপুরি সম্পন্ন করতে পারলো না বরং একদিকের কিছু অংশ তারা বাদ দিয়ে দিল। প্রাচীরের কাজ যখন হাজরে আসওয়াদের স্থান পর্যন্ত পৌঁছলো তখন কুরায়শ কবীলাসমূহের মধ্যে এক বিরাট সংঘাত দেখা দিল। প্রত্যেক কবীলার সর্দার নিজ হাতে এ পবিত্র কাল পাথরটি কা‘বা প্রাচীরে স্থাপন করার জন্যে লালায়িত ছিলো। এ নিয়ে তুমুল যুদ্ধ বাধবার উপক্রম হলো। প্রত্যেক গোত্রের,লোক তলোয়ার কোষমুক্ত করে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেল। বনু আবদেদার এজন্যে প্রয়োজন হলে মরতে বা মারতে প্রস্তুত বলে কসম খেয়ে বসলো। এ কলহে পাঁচ দিন পর্যন্ত নির্মাণ কার্য মুলতবি রইলো। অবশেষে কুরায়শ কবীলাসমূহ এর একটা সুরাহা করার উদ্দেশ্যে কা‘বা ঘরে সমবেত হলো। আবূ উমাইয়া ইব্‌ন মুগীরা প্রস্তাব করলেন : সর্বপ্রথম যে ব্যক্তিটি কা‘বা ঘরে প্রবেশ করবেন তাকেই এর ফায়সালার ভার অর্পণ করা হোক। এমনি সময় লোকজন দেখতে পেলো হুযূর (সাঃ) কা‘বা ঘরে প্রবেশ করলেন। সকলেই ‘আল-আমীন’ ‘আল-আমীন’ বলে সমস্বরে চীৎকার করে উঠলো। তারা জানালো যে, তিনি এ ব্যাপারে যে ফায়সালা করবেন, তাতেই সকলে রাযী থাকবে।

এখানে প্রণিধানযোগ্য, যে মর্যাদাটি লাভের জন্য প্রতিটি কবীলা লালায়িত ছিল এবং রক্তভর্তি পেয়ালায় অঙ্গুলি ডুবিয়ে ডুবিয়ে সে যুগের প্রথামত যে সম্মানটি অর্জনের জন্যে সকলেই মরতে এবং মারতে কসম খেয়ে বসেছিল সে মহাসম্মানের ফায়সালার ভার হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর সমর্পণ করতে কারো কোন দ্বিধা ছিল না। এ থেকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে, হযরতের বিশ্বস্ততা ও ন্যায়নিষ্ঠার প্রতি সকলেরই অগাধ আস্থা ছিল। ব্যাপারটি অনুধাবন করতে পেরে তিনি তৎক্ষণাৎ সে কলহ দূর করে দিলেন। কুরায়শ বংশের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা পর্যন্ত তখন তাঁর এ অপূর্ব ন্যায়নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতা দেখে অভিভত হয়ে যান এবং সকলেই মারহাবা বলে তাকে অভিনন্দিত করেন। তিনি এর ফায়সালা করেন এভাবে, একটি চাদর বিছিয়ে স্বহস্তে তাতে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন করেন এবং সকল কবীলার সরদার সে চাদরের চতুর্দিকে ধরে পাথরটি বহন করে নিতে বলেন। কুরায়শ সরদাররা তাঁর কথামত চাদরের চতুর্দিকে ধরে পাথরটি যথাস্থানে বয়ে নিয়ে যায়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তখন আপন হস্তে তা উঠিয়ে প্রাচীরে স্থাপন করে দেন। এতে সকলেই খুশী হলো এবং কারো বলার কিছু রইলো না। এ ঘটনায় উত্‌বা ইব্‌ন রবী‘আ ইব্‌ন আবদে শামস, আসওয়াদ ইব্‌ন মুত্তালিব ইব্‌ন আসাদ ইব্‌ন আবদুল উজ্জা, আবূ হুযায়ফা ইব্‌ন মুগীরা ইব্‌ন উমর ইব্‌ন মাখদূম এবং কায়স ইব্‌ন আদী আস্-সাহামী অগ্রণী ছিলেন। এরা যেমন করেই হোক এ ব্যাপারটির একটি সুরাহা কামনা করছিলেন। হযরত নবী (সাঃ)-এর এ ফায়সালায় তারা অত্যন্ত মুগ্ধ হন। ঘটনাচক্রে এ নিয়ে যদি যুদ্ধ বাঁধতো তাহলে এ হতো জাহিলিয়াত যুগে সংঘটিত এ যাবৎ কালের সবচাইতে প্রচণ্ড ও ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। হাজরে আসওয়াদের সমস্যা সমাধানকালীন এ ঘটনার সময় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বয়স ছিলো পঁয়ত্রিশ বছর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন