hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১০৮
তায়িফবাসীদের ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন আবদে ইয়ালীল ও তার ভাইয়ের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেলেন, তখন তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন : আচ্ছা, আপনারা আপনাদের এ চিন্তাধারা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন, অন্যদেরকে আর এসব কথা বলবেন না। সেখান থেকে বিদায় গ্রহণ করে তিনি তায়িফের অন্যান্য লোকের মধ্যে ইসলাম প্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ করলেন। কিন্তু আবদে ইয়ালীল ও তার ভাইয়েরা নিজেদের গোলামদেরকে এবং শহরের ছেলে-পিলে ও গুণ্ডা বদমায়েশদেরকে তার পিছনে লেলিয়ে দিল। তিনি যেখানেই যেতেন, তারাও পিছু পিছু গালি দিতে দিতে এবং ঢিল ছুঁড়তে ছুঁড়তে চলতে লাগলো। তাঁর বিশ্বস্ত খাদিম যায়দ ইব্‌ন হারিছ (রা) তাঁর সাথে সাথে চলছিলেন এবং তাঁকে দুরাচারদের ঢিল ও আক্রমণ থেকে হিফাযত করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পাথর ও ঢিলের আঘাতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও যায়দ উভয়েই রক্তাক্ত হয়ে গেলেন। তাদের-তায়িফে অবস্থান অসম্ভব হয়ে উঠলো। অগত্যা তারা সেখান থেকে বের হয়ে গেলেন।

তায়িফের গুণ্ডা-বদমায়েশেরা দল বেঁধে পাথর আর ঢিল নিক্ষেপ করতে করতে তাদের পিছু পিছু ছুটে চলেছিলো। তারা যখন তায়িফের সীমা পেরিয়ে বের হয়ে গেলেন তখন তারা তাদের পিছন ছাড়ছিল না। দীর্ঘ তিন মাইল পর্যন্ত তারা তাদের পিছু পিছু ছুটতে থাকে। তার পদযুগল তাদের পাথরের আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে গেল। আহত পদযুগল থেকে প্রবাহিত রক্তে জুতা পর্যন্ত ভরে উঠলো। এরূপভাবে সারা দেহই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে উঠেছিলো। তিনি নিজে বলেন : আমি তায়িফ থেকে তিন মাইল দূর চলে আসি। তখনো আমার হুঁশ ছিল না যে, কোথা থেকে আসছি আর কোথায় যাচ্ছি! তায়িফ থেকে তিন মাইল দূরে মক্কার জনৈক সরদার উত্‌বা ইব্‌ন রবীআর একটি বাগান ছিল। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সেখানে এসে আশ্রয় নিলেন। তায়িফের গুণ্ডা-বদমায়েশেরা তখন তায়িফে ফিরে চললো। তিনি তখন উক্ত বাগানের দেয়ালের ছায়ায় বসলেন এবং নিজের অসহায় অবস্থার জন্যে আল্লাহ্‌র দরবারে এভাবে ফরিয়াদ জানালেন :

“ইলাহী, অসহায় ও দুর্বলদের তুমিই হিফাযতকারী

আমি তোমারই দরবারে মদদ কামনা করছি।”

উতবা ইব্‌ন রবীআ তখন বাগানে উপস্থিত ছিলো। সে তাকে এ অবস্থায় দূর থেকে দেখতে পেলো। আরবের আভিজাত্যবোধ ও অতিথিপরায়ণতা তার মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। একটি রেকাবীতে আঙুরের কয়েকটি থোকা রেখে সে তার গোলাম আদ্দাসের মাধ্যমে তার কাছে পাঠিয়ে দিলো। গোলামটি ছিলো নিনোভার অধিবাসী একজন খ্রিস্টান। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আঙুর খেতে খেতে গোলামটিকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। গোলাম আদ্দাসের অন্তরে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কথা দাগ কাটলো। সে মাথা নিচু করে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দাস্ত মুবারকে চুমু খেলো। উত্‌বা দূর থেকে গোলামের এ চুমু খাওয়ার দৃশ্যটি লক্ষ্য করলো। আদ্দাস ফিরে গেলে উত্‌বা তাকে বললো, সাবধান! ঐ লোকটির কথায় কান দিও না; তার চেয়ে তো তোমার ধর্মই উত্তম। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কিছুক্ষণ উত্‌বার বাগানে বিশ্রাম নিলেন। তারপর সেখান থেকে চলে গেলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে নাখলা নামক স্থানে এক খেজুর বাগানে এসে উপনীত হলেন। সেখানে জিন সরদাররা তাকে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে শুনে তার উপর ঈমান আনয়ন করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন