hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম
সুবিশাল বায়যান্টাইন সাম্রাজ্য শতধা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তার অর্ধপাশবিক আইন-কানুনও বিকৃত হয়ে তার নিপীড়ন ও ক্রটিসমূহকে বর্ধিত এবং পূর্ব থেকেই যাতে গুণের পরিমাণ ছিল খুবই অল্প তা দিন দিন অবলুপ্ত করে ফেলেছিল। ইরানের শাহানশাহী জুলুম ও বিবাদের গুদামে পরিণত হয়েছিলো। চীন ও তুর্কিস্তান হয়ে উঠেছিল রক্তপাতের এক-একটি নিরাপদ ঘাঁটি। ভারতবর্ষে মহারাজা অশোক এবং রাজা কনিষ্ণের যুগের সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা অবলুপ্ত হয়ে পড়েছিল। মহারাজা বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালের কথা তখন কেউ চিন্তাও করতে পারতো না। বৌদ্ধ রাজত্বের কোন নমুনাও তখন বিদ্যমান ছিল না। বৈদিক ধর্মের কোন উল্লেখযোগ্য নিদর্শনও তখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তথাগত বুদ্ধের নাম যারা ভক্তি গদগদ কণ্ঠে উচ্চারণ করতো, তাদের অবস্থাও এতই শোচনীয় ছিল যে, রাজত্বের মোহ, ভোগস্পৃহা ও বিশ্বাসগত দুর্বলতার দরুন যে কোন লজ্জাকর কাজ করতেও তারা দ্বিধাবোধ করতো না। শ্রীকৃষ্ণের নাম জপকারীদের অবস্থা ছিল এই যে, আশরাফুল মাখলুকাত মানুষকে বৃক্ষলতা ও জড় পদার্থের সম্মুখে অবনত মস্তকে প্রণিপাত করতে তারা একটুও দ্বিধাবোধ করতো না। ইউরোপ ছিল এক ব্যাঘ্র-সঙ্কুল বিভীষিকাময় প্রান্তর আর তার অধিবাসীরা ছিল রক্তলোলুপ ব্যাঘ্রের চাইতেও ভয়ঙ্কর জীব। আরব ছিল সমস্ত নৈতিকতা বিগর্হিত ও শান্তি বিনষ্টকারী কার্যকলাপের অভয়ারণ্য। সেখানকার অধিবাসীরা জীব-জন্তুরও অধম জীবন-যাপন করতো। মোটকথা, পৃথিবীর কোন দেশে কোন ভূখণ্ডে মানুষ মানবীয় মহত্ত্ব ও গুণাবলীসহ বিদ্যমান ছিল না। জল-স্থল অন্তরীক্ষে এক শোকার্ত করুণ পরিবেশ বিরাজ করছিল। গোটা বিশ্ব যখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল তখন ভারতবাসীর কর্তব্য ছিল শ্রীকৃষ্ণ মহারাজের সেই বাণীটি স্মরণ করা, যাতে তিনি বলেছেন :

হে অর্জুন! যখন ধর্মের হানি হয় এবং অধর্ম বেড়ে যায়, তখন আমি পুণ্যবানদেরকে রক্ষা করি এবং পাপের বিনাশ সাধন করে ধর্মকে কায়েম রাখি।

ইরানবাসীদের কর্তব্য ছিল জরথুস্ত্রের বাণী অনুসারে কেবল পথ প্রদর্শকের অনুসন্ধান করা। ইয়াহূদীদের কর্তব্য ছিল ফারানের পর্বতশীর্ষ থেকে আলো বিকীরণের প্রতীক্ষা করা এবং খ্রিস্টানদের কর্তব্য ছিল হযরত ইবরাহীম (আ)-এর দু‘আ এবং মসীহ-এর সুসমাচারকে আশা-ভরসার স্থল বানানো। কিন্তু বিশ্বজোড়া ফিতনা-ফাসাদ ও যুগের অন্ধকার সর্বত্র বিবেকসমূহকে এমনি আচ্ছন্ন এবং চোখসমূহকে এমন অন্ধ করে রেখেছিল যে, কারো এতটুকু হুঁশও ছিল না। যে, নিজেদেরকে রুগ্ন জ্ঞান করবে এবং চিকিৎসার জন্য যত্নবান হবে।

এমনি যুগসন্ধিক্ষণে আরব দেশের মতো ভূখণ্ডে হাদীয়ে বরহক, রাসূলে রাব্বিল ‘আলামীন, খায়রুল বাশার, শাফীউল মুযনিবীন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম—শিরকেরভ্রষ্টতা, মূর্তিপূজার অন্ধকার, মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি, পাপাচারিতা ও অশ্লীলতার ক্লেদ থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’-এর বুলন্দ আওয়াজ তুলে, মানুষরূপী অমানুষগুলোকে প্রকৃত মানুষে ও চরিত্রবান মানুষে এবং চরিত্রবান মানুষকে আল্লাহওয়ালা মানুষে রূপান্তরিত করে দুনিয়ার যুগ-যুগান্তের জমাট অন্ধকাররাশিকে হিদায়াত, আলো, শান্তি ও পুণ্যে রূপান্তরিত করেন অর্থাৎ পথভ্রষ্ট মূর্তিপূজারী ও পাপাচারী লোকদেরকে মুসলমান বানাবার গুরুদায়িত্ব পালন করেন।

হযরত নূহ (আ) ইরাকের পথভ্রষ্ট মানুষকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সাধনায় শত শত বছর তাবলীগ করার পর অবশেষে ( رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا ) “প্রভু। এ পৃথিবীতে কাফিরদের একটি ঘরও আর অবশিষ্ট রেখো না” (৭১: ২৬) রূপী তরবারি প্রয়োগে সকলের কিসসা খতম করতে বাধ্য হন। হযরত মূসা (আ) মিসরবাসী এবং তাদের মদমত্ত বাদশাহদেরকে সুপথে আনার সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টাই চালান। কিন্তু অবশেষে মূসা (আ)-ও বনী ইসরাঈল সেই দৃশ্যও অবলোকন করলেন যার সম্পর্কে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে :

وَأَغْرَقْنَا آلَ فِرْعَوْنَ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ .

আমি ফিরাউনের দলবলকে ডুবিয়ে মারলাম আর তোমরা তা প্রত্যক্ষ করছিলে। (২:৫০)

ভারতবর্ষে মহারাজা রামচন্দ্রজীকে লঙ্কায় অভিযান চালাতে হয় এবং রাক্ষসদের সাথে যুদ্ধ করতে হয়। শ্রীকৃষ্ণ মহারাজকে কুরুক্ষেত্রে সমরাঙ্গনে অর্জুনকে যুদ্ধে উৎসাহিত করে কুরুদের পাপাচারী দলকে পাণ্ডবদের হাতে ধ্বংস করতে হয়। ইরানে জরথুস্ত্রকে ইসফান্দিয়ারের বাহুবল ও রাজত্বকে ধর্ম প্রচারের মাধ্যমরূপে গ্রহণ করতে হয়।

কিন্তু প্রাচীন শিলালিপি ও প্রত্নতাত্ত্বিক যে সমস্ত বিবরণ পাওয়া যায় তাতে এ ব্যাপারে জ্ঞানীগুণীরা সকলেই ঐকমত্য পোষণ করেন যে, মহামতি ধর্ম প্রবর্তকগণ এবং সত্য সাধকদের জীবনে এ নযীর খুঁজে পাওয়া যায় না যে, মাত্র পঁচিশ বছরের স্বল্প সময়ে আরবের অজ্ঞ বেদুঈনদের মত একটি জাতি সমস্ত সভ্য দুনিয়ার শিক্ষক, সর্বাধিক সভ্য ও চরিত্রবান জাতিতে পরিণত হয়েছে। এক শতাব্দীরও কম সময়ের মধ্যে কেবল আশিটি বছরের মধ্যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর আনীত ধর্মের অনুসারীরা আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত অর্থাৎ চীনের পূর্ব উপকূল পর্যন্ত অন্য কথায় সমস্ত সভ্যজগত জয় করে নেয়। এ বিস্ময়কর ও অলৌকিক সাফল্যের কোন নযীর পৃথিবীতে নেই।

ইসলামের নীতিমালার সৌন্দর্য যদি সমস্ত ধর্মের নীতিমালার সৌন্দর্যের সমাহার হয় এবং এর শিক্ষাবলী যদি সকল ধর্মের শিক্ষাবলীর চাইতে উত্তমই হয়, তাহলে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের মানবশ্রেষ্ঠ, খাতিমুন নাবিয়্যীন এবং রাহমাতুল্লিল আলামীন তথা গোটা বিশ্বজগতের জন্য করুণা ও রহমত হওয়ার ব্যাপারে সংশয়ের কী থাকতে পারে? পৃথিবীর কেইবা সাহস করতে পারে যে, তারই আনীত কিতাব কুরআন মজীদের এ অনন্য বিশেষণ আরোপ এবং অনস্বীকার্য দাবী তথা আল্লাহর দাবীর প্রতিবাদ করবে, যাতে তিনি বলেছেন :

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ .

নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাযিল করেছি এবং নিশ্চয় আমিই এর সংরক্ষণ করবো। (১৫:৯)

বিভিন্ন জাতিকে উন্নতি ও প্রগতির পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে এবং তাদেরকে অধঃপতন ও অবনতি থেকে রক্ষা করতে ইতিহাস একটি অত্যন্ত কার্যকর ও মূল্যবান মাধ্যম। কোন জাতি যখন অধঃপতনের নিম্নতম স্তর থেকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে পা বাড়িয়েছে তখন ইতিহাসকেই সে তার প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎসরূপে পেয়েছে। কুরআনুল কারীম আমাদেরকে এও শিখিয়েছে যে, মানুষের সৌভাগ্য এবং দীন-দুনিয়ার সাফল্য অর্জন করতে হলে ইতিহাস পাঠ অপরিহার্য। তাই কালাম মজীদে আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে উপদেশ গ্রহণের জন্যে স্থানে স্থানে বিগত জাতিসমূহের অবস্থাদি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এভাবে যে অমুক জাতি নিজেদের অনিষ্টকর কার্যকলাপের জন্যে ধ্বংস হয়েছে এবং অমুক জাতি তাদের সৎ কর্মসমূহের বদৌলতে কেমন করে সৌভাগ্য ও সাফল্য অর্জন করেছে।

হযরত আদম (আ), হযরত নূহ (আ), হযরত ইবরাহীম (আ), হযরত মূসা (আ) প্রমুখ নবী-রাসূলের ঘটনাবলী, ফিরাউন, নমরূদ, ‘আদ, ছামূদ প্রভৃতির বর্ণনা কুরআনুল করীমে এ জন্যে উল্লিখিত হয়নি যে, আমরা এগুলো উপভোগ করবো বা আমাদের ঘুমপাড়ানীর কাজে এগুলো লাগবে, বরং এসব সত্য কাহিনী এজন্যে আমাদের সম্মুখে তুলে ধরা হয়েছে যেন আমাদের মধ্যে পুণ্য কাজের সাহস সঞ্চিত হয় এবং পাপাচার থেকে নিবৃত্ত থাকার প্রেরণা সৃষ্টি হয় এবং আমরা আমাদের নিজেদের অবস্থাকে উন্নত ভবিষ্যতের মাধ্যমরূপে গড়ে তুলতে পারি।

মানব জাতির সবচাইতে উপকারী, সর্বাধিক কল্যাণকামী এবং সৃষ্ট জীবসমূহের প্রতি সর্বাধিক সংবেদনশীল দরদী বন্ধু নবী-রাসূলগণ (আ) যখনই কোন জাতিকে ধ্বংস থেকে বাঁচানোর এবং তাদেরকে সম্মান ও সাফল্যের অধিকারী করার জন্যে যত্নবান হয়েছেন, তখনই তাঁরা তাঁদের জাতিসমূহকে অতীত ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির বড় বড় রাজনৈতিক নেতা ও সমাজ সংস্কারকদের মধ্যে এমন একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি অতীত ইতিহাস ও অতীত যুগের ঘটনাবলী দ্বারা অনুপ্রাণিত ও কর্মোদ্দীপ্ত হননি। এজন্যেই প্রত্যেক বাগ্মী বক্তাই তাদের বক্তৃতায় অবশ্য অবশ্যই অতীতের স্মৃতি মন্থন ও অতীত যুগের মহামানবদের ঘটনাবলী রূপী চাটনীর সংমিশ্রণ দিয়ে শ্রোতৃমণ্ডলীকে নিজেদের ইচ্ছেমত উদ্দীপ্ত করে থাকেন। অতীত যুগের খ্যাতনামা পুরুষদের মধ্যে যাদের সাথে আমাদের ধর্মীয়, জাতীয় বা দেশীয় মিল থাকার দরুন নিকট সম্পর্ক থাকে, তাদের ঘটনাবলী আমাদেরকে অধিকতর প্রভাবিত করে থাকে। রুস্তম, ইসফান্দিয়ার বা গশ্‌তাসিপও নওশেরওয়ার দ্বারা একজন পারস্যবাসীর অন্তরে যতটুকু ধর্মরোধ, বীরত্ব ও ন্যায়বোধ জাগিয়ে তোলে কোন চীনদেশীয় বা ভারতীয় ব্যক্তির মধ্যে তা ততটুকু করবে না। ভীম, অর্জুন, পৃথ্বীরাজ বা বিক্রমাদিত্যের ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হিন্দুদেরকে যতটুকু অনুপ্রাণিত করবে, একজন খ্রিস্টানকে তা ততটুকু অনুপ্রাণিত করবে না। এজন্যেই আজ যখন বিভিন্ন জাতির ইতিহাস ও তার প্রভাব সম্পর্কে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এ সত্য দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, কোন জাতিকে জীবন্ত করে তুলতে বা জীবন্ত রাখতে সেই জাতির অতীত ইতিহাসই হচ্ছে সবচাইতে মোক্ষম অস্ত্র, তখন আমরা দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি যে, যে সমস্ত জাতির তেমন কোন মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত ইতিহাস নেই, তারাও ইতিহাসের নামে কল্পকাহিনী রচনায় ব্যস্ত রয়েছে এবং সেসব স্বকপোলকল্পিত কাহিনীকে ইতিহাসের জামা পরিয়ে তাদের নতুন প্রজন্মকে উপহার দিচ্ছে যেন তারা এগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস করে। মিথ্যার এ বেসাতির আশ্রয় নিতে এ সব জাতি এজন্যে বাধ্য হচ্ছে যে, জাতিসমূহের প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দানে এরূপ একটা প্রতীতি সৃষ্টি ব্যতিরেকে তাদের লোকজনকে সক্রিয় ও কর্মোদ্দীপ্ত করে তোলার বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। আর এ জন্যে যে জাতি অপর কোন জাতিকে তাদের শত্রু ও প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে তারা ঐ জাতির লোকজনকে তাদের গৌরবময় ইতিহাসকে বিস্মৃত বা বিকৃত করে তাদের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে তাদেরকে অজ্ঞ রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন