hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৬৩
আপত্তি উত্থাপন
হযরত উসমান গনী (রা) এ পর্যন্ত বলার পর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজনকে অবৈধভাবে ধন-সম্পদ দান করেন। যেমন আপনি আবদুল্লাহ ইব্‌ন সা‘দ (রা)-কে সমগ্র মালে গনীমত বিলিয়ে দিয়েছেন। হযরত উসমান গনী (রা) উত্তর দেন, আমি মালে-গনীমতের খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) থেকে শুধু এক-পঞ্চমাংশ দান করেছি। আর এভাবে দান করার দৃষ্টান্ত হযরত আবূ বকর (রা) ও হযরত উমর (রা)-এর খিলাফতকালেও বিদ্যমান ছিল। তারপর আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলে, আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজনকে ‘এমারত’ (প্রশাসক পদ) দান করেছেন—যেমন মু‘আবিয়া ইব্‌ন আবূ সুফিয়ান (রা)-কে সমগ্র সিরিয়া রাজ্যের আমীর (প্রশাসক) বানিয়ে দিয়েছেন এবং হযরত আবূ মূসা আশআরী (রা)-কে পদচ্যুত করে তার জায়গায় আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমের (রা)-কে বসরার আমীর নিযুক্ত করেছেন। অনুরূপভাবে আপনি কূফার প্রশাসকের পদ থেকে মুগীরা ইব্‌ন শু‘বাকে অপসারণ করে সেখানে ওয়ালীদ ইব্‌ন উকবা (রা)-কে, তারপর সাঈদ ইব্‌ন ‘আসকে প্রশাসক নিয়োগ করেছেন। হযরত উসমান গনী (রা) তার উত্তরে বললেন, যাদেরকে আমি প্রশাসক পদ দান করেছি তারা আমার আত্মীয়-স্বজন নন, বরং নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করার যোগ্যতা রাখেন। যদি আপনাদের দৃষ্টিতে তারা প্রশাসক পদের যোগ্য না হয় এবং এজন্য আমার উপর অযথা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, তাহলে আমি তাদের জায়গায় অন্য লোক নিয়োগ করতে প্রস্তুত আছি। আমি তো ইতিমধ্যে সাঈদ ইব্‌ন ‘আস (রা)-কে পদচ্যুত করে তার স্থলে আবূ মূসা আশআরী (রা)-কে কূফার গভর্নর নিয়োগ করেছি। তারপর আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, আপনি আপনার অযোগ্য আত্মীয়-স্বজনকে প্রশাসকের চাকরি দিয়েছেন—যেমন, আপনার আত্মীয় আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমের (রা) একজন যুবক মাত্র; তাকে প্রশাসকের চাকরি দেওয়া উচিত হয়নি। হযরত উসমান (রা) উত্তরে বলেন, বিবেক-বুদ্ধি, দূরদর্শিতা, ধর্মপরায়ণতা এবং অন্যান্য যোগ্যতার ক্ষেত্রে আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। কাজেই, তার যুবক বয়সী হওয়াটা দোষের কোন ব্যাপার নয়। আপনারা বলুন, হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) হযরত উসামা ইব্‌ন যায়দ (রা)-কে মাত্র ১৭ বছর বয়সে কেন ‘আমীর’ (সেনাপতি) নিযুক্ত করেছিলেন? তারপর আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, আপনি আপনার গোষ্ঠীর লোককে বড় বেশী ভালবাসেন এবং তাদেরকে বড় বড় উপহার দিয়ে থাকেন। হযরত উছমান গনী (রা) উত্তরে বলেন, নিজের গোষ্ঠির লোককে ভালবাসা কোন অপরাধ নয়। যদি আমি তাদেরকে কোন উপহার দিয়ে থাকি, তাহলে তা বায়তুল মাল থেকে দেইনি, বরং আমার নিজস্ব সম্পদ থেকে দিয়েছি। যেখানে বায়তুল মাল থেকে আমি আমার নিজের খরচের জন্যও একটি কানাকড়ি নেইনি, সেখানে আত্মীয়-স্বজনের জন্য কী করে বায়তুল মালের অর্থ খরচ করতে পারি? আমার ব্যক্তিগত যে ধন-সম্পদ আছে তা তো আমি যাকে ইচ্ছা দান করতে পারি।

তারপর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, আপনি চারণভূমিকে নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে নিয়েছেন। হযরত উসমান গনী (রা) উত্তরে বলেন, আমি যখন খলীফা নির্বাচিত হলাম, তখন মদীনা তাইয়িবাতে আমার চাইতে অধিক উট বকরী কারোরই ছিল না। কিন্তু বর্তমানে আমার কাছে মাত্র দু’টি উট আছে, যা শুধু হজ্জের পরিবহন কাজে ব্যবহার করার জন্য রাখা হয়েছে। আমি এগুলোকেও চারণভূমিতে পাঠাই না। অবশ্য বায়তুল মালের উটসমূহের নির্দিষ্ট চারণভূমি রয়েছে। আর এ নীতি শুধু আমার সময়ে নয় বরং আমার পূর্ব থেকেই চলে আসছে। কাজেই, এজন্য আমাকে অভিযুক্ত করা চলে না। তারপর আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, আপনি মীনায় (কসর নামায না পড়ে) পুরা নামায পড়লেন কেন? সেখানে তো কসর (নামায সংক্ষেপ) করা উচিত ছিল। হযরত উসমান গনী (রা) উত্তরে বলেন, আমার পরিবার-পরিজন যেহেতু মক্কা শরীফের ‘মুকীম’ (অবস্থানকারী) ছিল, তাই মিনায় আমার জন্য নামায কসর (সংক্ষিপ্ত) না করা বৈধ ছিল। মোটকথা, প্রকাশ্য মজলিসে এভাবে একের পর এক আপত্তি উত্থাপন করা হয় এবং হযরত উসমান গনী (রা) প্রত্যেকটি আপত্তিরই সন্তোষজনক জবাব দেন। এভাবে মজলিসের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং লোকেরা যে যার পথে চলে যায়। তারপর হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা) হযরত উছমান গনী (রা)-কে বলেন, আপনি মানুষের সাথে যতটুকু প্রয়োজন নয় তার চাইতেও বেশী নম্র ব্যবহার করেছেন। ফারূকে আযম (রা)-এর দস্তুর এটা ছিল না। তার থেকে শতশত মাইল দূরে থেকেও একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাঁকে তার (উমরের) সম্মুখে উপবিষ্ট ভৃত্যের চাইতেও অধিক ভয় করত এবং সর্বদা ভীত-সন্ত্রস্ত থাকত। মানুষের সাথে সেই পরিমাণ নম্র ব্যবহার করা উচিত যার ফলে কোন ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অবকাশ না থাকে। আপনি যে সমস্ত লোককে জানেন যে, তারা মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টির প্রয়াস পাচ্ছে তাদেরকে হত্যা করছেন না কেন? হযরত উসমান গনী (রা) হযরত আমর (রা)-এর এ পরামর্শ শুনে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যান।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন