hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৯৯
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র
আপোস-রফার এই পটভূমি সৃষ্টি হওয়ার পর আলী (রা) সমগ্র বাহিনীকে একত্রিত করে বলিষ্ঠ ভাষায় একটি হৃদয়স্পর্শী বক্তৃতা প্রদান করেন। এরপর তিনি নির্দেশ দেন, আগামীকাল আমরা বসরার দিকে যাত্রা করব। কিন্তু আমাদের এই যাত্রা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে নয়, বরং শুধু আপোসরফা ও যুদ্ধের আগুন নির্বাপনের উদ্দেশ্যে। সাথে সাথে তিনি এ নির্দেশ দেন, যে সমস্ত লোক উসমানকে ঘেরাও করেছিল বা ঐ কাজে শরীক ছিল তারা যেন আমাদের সাথে যাত্রা না করে বরং তারা যেন আমার বাহিনীর থেকে পৃথক হয়ে যায়। আলী (রা)-এর এই বক্তৃতা এবং নির্দেশ শুনে মিসরবাসীরা এবং তাদের নেতা আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা অত্যন্ত চিন্তান্বিত হয়ে পড়ে।

আলী (রা)-এর বাহিনীতে ঐ ধরনের লোকের সংখ্যা মোটামুটি আড়াই হাজারের মত ছিল। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী ও সুচতুর লোকও ছিল। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবা তাদের নেতৃস্থানীয় লোকদের একটি বিশেষ বৈঠকে আহবান করে। ঐ বৈঠকে ইব্‌ন মুলজিম, আশতার এবং আশতারের বিশিষ্ট বন্ধুবান্ধব যেমন, উলিয়া ইব্‌ন হায়সাম, সালিম ইব্‌ন সা‘লাবা, শুরায়হ্ ইব্‌ন আদানা প্রমুখ বিদ্রোহী অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা বলাবলি করতে থাকে, তালহা ও যুবায়র এখনো কিসাস গ্রহণে সংকল্পবদ্ধ। সম্প্রতি আমীরুল মু’মিনীনও তাঁদেরই অনুরূপ মত পোষণ করেছেন। আজ আমাদেরকে তার বাহিনী থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁদের মধ্যে একটা আপোসরফা হয়ে যায় তাহলে তারা একজোট হয়ে কিসাস গ্রহণ করবে এবং আমাদের সকলকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। আশতার বলে, প্রকৃত ব্যাপার এই যে, তালহাই হোক বা যুবায়রই হোক অথবা আলী আমাদের সম্পর্কে তারা সকলেই একমত। এখন যদি তারা একটা আপোস-মীমাংসায় পৌঁছে যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে আমাদের হত্যা করবে। অতএব আমাদের উচিত তালহা, যুবায়র, আলী-এই তিনজনকেই উসমান (রা)-এর কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া (হত্যা করা)। এরপর আপনা আপনি শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। ঐ বৈঠকের সভাপতি আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা বলল, তোমাদের সংখ্যা অনেক কম। আলীর বাহিনীতে এই মুহূর্তে বিশ হাজার সৈন্য রয়েছে। অনুরূপভাবে বসরায় তালহা ও যুবায়রের সাথে কমপক্ষে ত্রিশ হাজার সৈন্য রয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের লক্ষ্য অর্জন করা খুবই কঠিন। সালিম ইব্‌ন সা‘লাবা বলল, একটা আপোস-মীমাংসা হওয়া পর্যন্ত আমাদের উচিত দূরে কোথাও চলে যাওয়া। শুরায়ই বলে এই অভিমত দুর্বল ও অন্তঃসারশূন্য। তারপর প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করতে থাকে। ফলে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছা কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সকলেই আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবাকে বলে, আপনি আপনার অভিমত ব্যক্ত করুন; হয়ত এর উপরই আমরা একমত হতে পারব। আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা বললো, ভ্রাতৃবৃন্দ, আমাদের সকলেরই মঙ্গল এর মধ্যে নিহিত রয়েছে যে, আমরা হযরত আলী (রা)-এর বাহিনীতে মিশে থাকব এবং কখনো তা থেকে বিচ্ছিন্ন হব না। যদি তিনি একান্তই আমাদের তাঁর বাহিনী থেকে বের করে দেন তাহলেও আমরা তার আশেপাশে অবস্থান করব, দূরে কোথায় চলে যাব না। উপরন্তু তাকে বলব, আমরা আপনার আশেপাশে থাকতে চাই এজন্য যে, যদি আপনি কোন আপোস-মীমাংসায় পৌঁছতে না পারেন এবং যুদ্ধ বেঁধে যায় তাহলে যথাসময়ে আমরাও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আপনাকে সাহায্য করতে পারব। হযরত আলীর বাহিনীর সাথে অথবা তাদের সন্নিকটে থেকে আমাদেরকে এই চেষ্টা করতে হবে যে, যখন উভয় বাহিনী একে অন্যের নিকটবর্তী হবে তখন কোন না-কোন ভাবে যেন যুদ্ধ বেঁধে যায় এবং কোনরূপ আপোস-মীমাংসা হতে না পারে। আর এটা কঠিন কাজ নয়। শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষ যখন একে অন্যের বিরুদ্ধে লিপ্ত হবে তখন আমাদের আর দুশ্চিন্তার কোন কারণ থাকবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন