hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৭০
হযরত উসমান গনী (রা)-এর শাহাদত বরণ
মিসরের বিক্ষোভকারীরা যখন পুনরায় মদীনা শরীফে ফিরে এসে জনসাধারণকে ঐ চিঠি দেখায় এবং হযরত উসমান গনী (রা) যখন শপথ করে বলেন যে, তিনি ঐ চিঠি সম্পর্কে কিছুই জানেন না-তখন বিক্ষোভকারীদের নেতা আবদুর রহমান ইব্‌ন আদীস হযরত উসমান গনী (রা)-কে বলে, আপনি আপনার এ শপথ বাক্যে চাই মিথ্যাবাদী হন, আর চাই সত্যবাদী, আপনাকে কোন অবস্থায়ই খলীফা পদে বহাল রাখা বৈধ হবে না। কেননা, আপনি যদি মিথ্যাবাদী হন, তাহলে কোন মিথ্যাবাদী তো মুসলমানদের খলীফা হতে পারে না। আর আপনি যদি সত্যবাদী হন, তাহলে এমন দুর্বল খলীফা যার অনুমতি ও অবগতি ব্যতীতই তার নামে যার ইচ্ছা সেই যে কোন নির্দেশ লিখে পাঠাতে পারে, তাঁকে তো কোন মতেই খলীফা পদে বহাল রাখা চলে না। আবদুর রহমান ইব্‌ন আদীস হযরত উসমান গনী (রা)-কে বলে, আপনি নিজেই খলীফা পদে ইস্তফা দিন। তিনি উত্তর দিলেন, যে জামাটি আল্লাহ তা‘আলা আমাকে পরিয়ে দিয়েছেন আমি স্বয়ং তা খুলে ফেলতে পারি না। অর্থাৎ আমি নিজ থেকে খলীফা পদ পরিত্যাগ করতে পারি না। তারপর বিক্ষোভকারীরা তার গৃহ অবরোধ করে ফেলে এবং তার উপর বাড়াবাড়ি শুরু করে। যখন হযরত উসমান গনী (রা)-এর পানি বন্ধ করে দেওয়া হল এবং পানির অভাবে তিনি আপন পরিবারসহ ভীষণ কষ্টের সম্মুখীন হলেন তখন তিনি ঘরের ছাদের উপর আরোহণ করে সকলকে তার ন্যায্য অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। তিনি এও স্মরণ করিয়ে দিলেন যে তিনি হচ্ছেন সর্বপ্রথম ঈমান আনয়নকারীদের অন্যতম। বিক্ষোভকারীদের উপর তাঁর এ বক্তৃতার কিছুটা প্রভাব পড়ে। ফলে, তাদের কেউ কেউ বলতে থাকে, ভাই, ওকে ছেড়ে দাও এবং ক্ষমা কর। ইতিমধ্যে মালিক ইব্‌ন আশতার এসে পড়ে এবং জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলে, খবরদার! এসব কথায় ভুলে গেলে চলবে না। এগুলো প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। এতে ফেঁসে যাওয়ার অর্থ নিজেদেরই সর্বনাশ ডেকে আনা। তার কথা শুনে লোকেরা আবার হযরত উসমান গনী (রা)-এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেল। বিক্ষোভকারীরা যখন নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারল যে, ইসলামী রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে যেসব সেনাবাহিনী আসবে তারা অনিবার্যভাবে হযরত উসমান গনী (রা)-এর সমর্থক ও আমাদের বিরোধী হবে। তাই তারা হযরত উসমান গনী (রা)-কে অবিলম্বে হত্যা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। ঐ সময় হযরত আয়েশা (রা) হজ্জ পালনের সংকল্প নেন এবং আপন ভাই মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা)-কে তাঁর সাথে মক্কা মুকাররমাতে যেতে বলেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা) তার সাথে যেতে অস্বীকার করেন। কেননা, ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের সাথে তার বেশ ভাব জমে উঠেছিল। কাতিবে ওয়াহী হযরত হানযালা (রা) মুহাম্মদকে বলেন, তুমি উম্মুল মু’মিনীনের সাথে যাচ্ছ না, বরং আরবের মূর্খজনদের অনুসরণ করছ, তা কিন্তু তোমার সম্মান ও মর্যাদার সাথে খাপ খাচ্ছে না। মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা) তার ঐ কথার কোন উত্তর দেন নি। তারপর হানযালা (রা) কূফার দিকে চলে যান। এ ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি লক্ষ্য করে হযরত তালহা (রা), হযরত যুবায়র (রা) এবং অন্যান্য সাহাবী তাদের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। তারা তখন না ঘর থেকে বের হতেন, আর না কারো সাথে মেলামেশা করতেন। হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) হযরত উসমান গনী (রা)-এর দরজায় দণ্ডায়মান থেকে দৃঢ়তার সাথে বিক্ষোভকারীদের মুকাবিলা করেন এবং তাদেরকে রুখে দাঁড়ান। কিন্তু হযরত উসমান গনী (রা) তাঁকে আমীরে হজ্জ নিযুক্ত করে জবরদস্তিমূলকভাবে মুয়াযযমাতে পাঠিয়ে দেন। অথচ তিনি তখন বলেছিলেন, এ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা আমার কাছে হজ্জের চাইতেও অধিক পছন্দনীয়। হযরত হাসান ইব্‌ন আলী, হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন যুবায়র, মুহাম্মদ ইব্‌ন তালহা এবং সাঈদ ইব্‌ন ‘আস (রা)-ও দৃঢ়তার সাথে বিক্ষোভকারীদের রুখে দাঁড়ান এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করে তাদেরকে পিছনে হটিয়ে দেন।

কিন্তু হযরত উসমান গনী (রা) কসমের পর কসম কেটে তাদেরকে লড়াই থেকে বিরত রাখেন এবং ঘরের ভিতরে ডেকে নিয়ে যান। এ সুযোগে বিক্ষোভকারী দরজায় আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ভিতরে ঢুকে পড়ে। তখন আবদুল্লাহ ইব্‌ন যুবায়র (রা) প্রমুখ বের হয়ে আবার বিক্ষোভকারীদের মুকাবিলা করে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেন। তখন হযরত উসমান গনী (রা) কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। যখন তিনি–

الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ .

তাদেরকে লোকে বলেছিল যে, তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েত হয়েছে সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় কর, কিন্তু তা তাদের ঈমান মযবুত করেছিল এবং তারা বলেছিল, আল্লাহ্ আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কর্ম বিধায়ক। (৩:১৭৩)

–এ আয়াতে পৌঁছেন তখন উপস্থিত লোকদেরকে সম্বোধন করে বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) আমার থেকে একটি অঙ্গীকার নিয়েছেন এবং আমি সে অঙ্গীকারের উপর কায়েম আছি।

কাজেই, তোমরা কখনো এ বিক্ষোভকারীদের মুকাবিলা করো না এবং তাদেরকে হত্যাও করো না। তিনি হযরত হাসান ইব্‌ন আলী (রা)-কে নির্দেশ দেন, তুমি এখনি তোমার পিতার কাছে চলে যাও। কিন্তু তিনি পরিস্থিতি লক্ষ্য করে ফিরে যাওয়া পছন্দ করলেন না এবং দরজায় দাঁড়িয়ে পূর্বের ন্যায় বিক্ষোভকারীদেরকে বাধা দিতে থাকলেন।

মুগীরা ইব্‌ন আখনাস (রা)-কোন মতেই এ ভয়াবহ পরিস্থিতি মেনে নিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি তার কয়েকজন সাথীসহ বিক্ষোভকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং লড়তে লড়তে শাহাদত বরণ করেন। অনুরূপভাবে হযরত আবূ হুরায়রা (রা)–

یا قوم ما لى ادعوكم الى النجاة وتدعوتني الى النار .

(হে আমার সম্প্রদায়! আমার কি হয়ে গেল যে, আমি তোমাদেরকে নাজাতের দিকে আহবান করছি, অথচ তোমরা আমাকে আগুনের দিকে আহবান করছ)।

একথা বলতে বলতে বিক্ষোভকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। হযরত উসমান গনী (রা) যখন তা জানতে পারেন তখন তিনি জোর করে হযরত আবূ হুরায়রা (রা)-কে ডেকে নিয়ে আসেন এবং তাঁকে লড়াই থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। ঐ সময়ে হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন সালাম (রা) সেখানে আসেন। তিনিও বিক্ষোভকারীদেরকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে এ ফিতনা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা তাঁর উপদেশ শোনা দূরের কথা, উল্টো তাকে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নেয়। হযরত উসমান গনী (রা)-এর ঘরে তখন যে সমস্ত লোক ছিলেন তাদের কেউ কেউ ছাদে উঠে বিক্ষোভকারীদের গতিবিধি লক্ষ্য করছিলেন, কেউ কেউ দরজায় দাঁড়িয়ে যে সমস্ত বিক্ষোভকারী ভিতরে আসতে চাচ্ছিলো তাদেরকে বাধা প্রদান করছিলেন। হযরত উসমান গনী (রা) এবং তাঁর স্ত্রী নায়েলা বিনতে ফারাফাদাহ্ তখন ঘরে অবস্থান করছিলেন।

বিক্ষোভকারীরা প্রথমে প্রতিবেশীর ঘরে ঢুকে। তারপর সেখান থেকে দেওয়াল টপকিয়ে হযরত উসমান গনী (রা)-এর ঘরে ঢুকে তার উপর হামলা চালায়। মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর সর্বাগ্রে হযরত উসমান গনী (রা)-এর কাছে পৌঁছে এবং তার দাঁড়ি টেনে ধরে রাগত স্বরে বলে, হে না’সাল! (নির্বোধ বৃদ্ধ), আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুন। হযরত উসমান (রা) তখন বলেন, আমি না’সাল নই বরং আমি হচ্ছি আমীরুল মু’মিনীন উসমান। মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর বলে, এ বার্ধক্যেও তোমার মধ্যে খিলাফতের সখ রয়েছে। হযরত উসমান গনী (রা) বলেন, তোমার বাবা যদি আজ জীবিত থাকতেন, তাহলে তুমি আমার এ বার্ধক্যকে সম্মানের চোখে দেখতে এবং এ ভাবে আমার দাঁড়ি টেনে ধরতে না। একথা শুনে মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর ভীষণভাবে লজ্জিত হন এবং হযরত উসমান (রা)-এর দাঁড়ি ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতিকারীদের একটি দল দেওয়াল টপকিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে। ঐ দলে বিক্ষোভকারীদের নেতা আবদুর রহমান ইব্‌ন আদীস, কিনানাহ ইব্‌ন বশীর, আমর ইব্‌ন উমুক, আমীর ইব্‌ন হানাবী, সাওদান ইব্‌ন হুমরান গাফিকী ছিল। কিনানাহ্ ইব্‌ন বশীর এসেই হযরত উসমান গনী (রা)-এর উপর তরবারি চালায়। হযরত উসমান গনী (রা)-এর স্ত্রী নায়িলাহ আগে বেড়ে হাত দিয়ে তরবারির আঘাত রুখে রাখার চেষ্টা করেন। ফলে তার অঙ্গুলীগুলো কেটে গিয়ে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিনানাহ আবার আঘাত করে এবং সেই আঘাতেই হযরত উসমান গনী (রা) শাহাদত বরণ করেন। তখন তিনি কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করছিলেন। রক্তের ফোঁটা কুরআনের যে আয়াতের উপর পড়েছিল তা ছিল–

فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ ۚ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ .

তাদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (২:১৩৭)

আমর ইব্‌ন উমুক তাঁকে বর্শা দিয়ে নয়টি আঘাত করে। আমীর ইব্‌ন হানাবী আগে বেড়ে এমনভাবে ঘুষি মারে যে তার পাঁজরের হাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। সে অনবরত ঘুষি মারছিল এবং বলছিল, “তুমি কেন আমার বাবাকে এমনভাবে বন্দী করে রেখেছিলে যে, সে অবস্থায়ই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।” ঘরের মধ্যে যে এ প্রলয়কাণ্ড ঘটে গেছে, ছাদের উপরে বা দরজায় অবস্থানকারী লোকেরা তখন তা জানতে পারে নি। হযরত উসমান গনী (রা)-এর স্ত্রী নায়িলাহ্ যখন চীৎকার দিয়ে উঠে তখন লোকেরা ছাদ থেকে এবং দরজার দিক থেকে সেদিকে ছুটে আসে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ইতিমধ্যে তাদের কাজ সেরে ফেলেছে। এবার তারা দ্রুত পলায়ন করে। অবশ্য তাদের কেউ কেউ হযরত উসমান গনী (রা)-এর ভৃত্যদের হাতে মারা যায়। এ মর্মান্তিক ঘটনার পর, দরজায় যারা পাহারারত ছিলেন, তারা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন বোধ করেননি। এ সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা দলে দলে হযরত উসমান (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করে তার যাবতীয় মাল-আসবাব, এমন কি দেহের কাপড়টি পর্যন্ত লুট করে নিয়ে যায়। এ অশান্ত ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে হযরত উসমান গনী (রা)-এর মৃত্যু সংবাদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে হিজরী ৩৫ সনের ১৮ই যিলহজ্জ তারিখে। তিন দিন পর্যন্ত হযরত উসমান গনী (রা)-এর লাশ এভাবে পড়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত হাকীম ইব্‌ন হিযাম এবং যুবায়র ইব্‌ন মুতঈম হযরত আলী (রা)-এর কাছে যান। হযরত আলী (রা) লাশ দাফনের অনুমতি দেন। রাতের বেলা ‘ঈশা ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে জানাযা বের করা হয়। জানাযার সাথে যুবায়র, হাসান, আবূ জাহম ইব্‌ন হুযায়ফা (রা) ও মারওয়ান প্রমুখ ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা জানাযার নামাযে এবং দাফনেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু হযরত আলী (রা)-এর কারণে তাদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। যুবায়র ইব্‌ন মুতঈম (রা) জানাযার নামায পড়ান। গোসল ছাড়াই পরিধানে যে কাপড় ছিল তা দিয়েই লাশ দাফন করা হয়।

হযরত উসমান গনী (রা)-এর শাহাদতের সময় আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন হাযরামী মক্কা শরীফের, কাসিম ইব্‌ন রাবীআ ছাকাফী তায়িফের, ইয়া‘লা ইব্‌ন মীনাহ সান‘আর, আবদুল্লাহ ইব্‌ন রাবীআ জুনদের, আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমিল বসরার, মুআবিয়া ইব্‌ন আবূ সুফিয়ান সিরিয়ার, আবদুর রহমান ইব্‌ন খালিদ হিমসের, হাবীব ইব্‌ন মাসলামা কিন্নাসরীনের, আবুল আওয়ার সালামী জর্দানের এবং আবদুল্লাহ ইব্‌ন কায়েস ফাযারী বাহ্‌রায়নের গভর্নর ছিলেন। আর আলকামা ইব্‌ন হাকীম কুনদি আমীর মুআবিয়া (রা)-এর পক্ষ থেকে ফিলিস্তীনের কর্মকর্তা ছিলেন। আবূ মূসা আশআরী (রা) কূফার প্রশাসক এবং আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমর প্রধান সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। জারির মুখনী এবং সাম্মাক আনসারী উভয়েই সাওয়াদের রাজস্ব কর্মকর্তা ছিলেন। জারীর ইব্‌ন আবদুল্লাহ কারকীসীয়ার, আশআস ইব্‌ন কায়স আযারবায়জানের এবং সায়িব ইব্‌ন আকরা ইসফাহানের গভর্নর ছিলেন। মদীনা শরীফে বায়তুল মালের কর্মকর্তা ছিলেন উকবা ইব্‌ন আমর এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন হযরত যায়দ ইব্‌ন ছাবিত (রা)।

হযরত উসমান গনী (রা) ১২ বছর খিলাফতের আসনে অধিষ্ঠিত থেকে ৮২ বছর বয়সে শাহাদাত লাভ করেন। তাঁকে “জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়। তার মোট ১১ জন ছেলে ও ৬ জন মেয়ে ছিলো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন