hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১১১
অধ্যায়- ৩ : যাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে
কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে :

يَاۤ اَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِيْنَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْؕ وَمَاْوَاهُمْ جَهَنَّمُؕ وَبِئْسَ الْمَصِيْرُ

হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করো এবং তাদের ব্যাপারে কঠোর হও। তাদের আশ্রয়স্থল হলো জাহান্নাম; আর তা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল। (সূরা তাহরীম- ৯, সূরা তাওবা- ৭৩)

ব্যাখ্যা : মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার অর্থ ইসলামী সমাজে মুনাফিকীর বিষ ছড়ানোর যে সুযোগ তারা পেয়েছে তা ভবিষ্যতের জন্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে হবে। যে দল নিজের মধ্যে মুনাফিকী লালন করে, তার নৈতিক অধঃপতন এবং সবশেষে পূর্ণ ধ্বংস ছাড়া আর কোন পথ নেই।

মুশরিকদের বিরুদ্ধে :

فَاِذَا انْسَلَخَ الْاَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِيْنَ حَيْثُ وَجَدْتُّمُوْهُمْ وَخُذُوْهُمْ وَاحْصُرُوْهُمْ وَاقْعُدُوْا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍۚ فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوْا سَبِيْلَهُمْؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাবে হত্যা করবে, বন্দী করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে। কিন্তু যদি তারা তাওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে; নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তাওবা- ৫)

যারা আল্লাহর বিধান মানতে চায় না তাদের বিরুদ্ধে :

قَاتِلُوا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَلَا يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُوْلُهٗ وَلَا يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتَابَ حَتّٰى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَّدٍ وَّهُمْ صَاغِرُوْنَ

যাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করা হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান আনয়ন করে না, আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম হিসেবে গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনের অনুসরণ করে না তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে স্বহস্তে জিযয়া (কর) দেয়। (সূরা তাওবা- ২৯)

যারা চুক্তি ভঙ্গ করে এবং দ্বীন নিয়ে বিদ্রূপ করে তাদের বিরুদ্ধে :

وَاِنْ نَّكَثُوْاۤ اَيْمَانَهُمْ مِّنْ ۢبَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوْا فِيْ دِيْنِكُمْ فَقَاتِلُوْاۤ اَئِمَّةَ الْكُفْرِ اِنَّهُمْ لَاۤ اَيْمَانَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنْتَهُوْنَ

তাদের সাথে চুক্তির পর তারা যদি তা ভঙ্গ করে ও তোমাদের দ্বীন সম্বন্ধে বিদ্রূপ করে, তবে কাফিরদের প্রধানদের সাথে যুদ্ধ করো- এরা এমন লোক যাদের কোন প্রতিশ্রুতি আর বাকি রইল না, হয়তো তারা (এর ফলে) বিরত থাকবে। (সূরা তাওবা- ১২)

اَلَا تُقَاتِلُوْنَ قَوْمًا نَّكَثُوْاۤ اَيْمَانَهُمْ وَهَمُّوْا بِاِخْرَاجِ الرَّسُوْلِ وَهُمْ بَدَءُوْكُمْ اَوَّلَ مَرَّةٍؕ اَتَخْشَوْنَهُمْۚ فَاللهُ اَحَقُّ اَنْ تَخْشَوْهُ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ

তোমরা কি সে সম্প্রদায়ের সাথে যুদ্ধ করবে না, যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে ও রাসূলকে বহিষ্কার করার জন্য সংকল্প করেছে? তারাই তো প্রথম তোমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? অথচ যদি তোমরা মুমিন হও তাহলে আল্লাহকে ভয় করাই তোমাদের জন্য অধিক সমীচীন। (সূরা তাওবা- ১৩)

যারা মুসলিমদের উপর আক্রমণ চালায় তাদের বিরুদ্ধে :

فَاِنْ قَاتَلُوْكُمْ فَاقْتُلُوْهُمْؕ كَذٰلِكَ جَزَآءُ الْكَافِرِيْنَ

যদি তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, তবে তোমরাও তাদের সাথে যুদ্ধ করো। আর এটাই কাফিরদের প্রতিদান। (সূরা বাক্বারা- ১৯১)

وَقَاتِلُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ الَّذِيْنَ يُقَاتِلُوْنَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوْاؕ اِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ

আর যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তোমরাও তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ভালোবাসেন না। (সূরা বাক্বারা- ১৯০)

ব্যাখ্যা : এখানে বলা হয়েছে, যারা আল্লাহর কাজে তোমাদের পথ রোধ করে দাঁড়ায়, আল্লাহ প্রদত্ত জীবনবিধান অনুযায়ী তোমরা জীবনব্যবস্থার সংস্কার ও সংশোধন করতে চাও বলে যারা তোমাদের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তোমাদের সংশোধন ও সংস্কার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য যুলুম-অত্যাচার চালাচ্ছে, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করো। এর আগে মুসলিমরা যতদিন দুর্বল ও বিক্ষিপ্ত ছিল, ততদিন তাদেরকে কেবলমাত্র ইসলাম প্রচারের হুকুম দেয়া হয়েছিল এবং বিপক্ষের যুলুম-নির্যাতনের ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করার তাকীদ করা হয়েছিল। এখন মদিনায় তাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, যারাই এ সংস্কারমূলক দাওয়াতের পথে সশস্ত্র প্রতিরোধ সৃষ্টি করছে অস্ত্র দিয়েই তাদের জবাব দাও। এরপরই অনুষ্ঠিত হয় বদরের যুদ্ধ। তারপর একের পর এক যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হতেই থাকে।

যারা ইসলামপন্থীদের উপর নির্যাতন চালায় তাদের বিরুদ্ধে :

وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُوْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَالْمُسْتَضْعَفِيْنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَآءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا مِنْ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ اَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ وَلِيًّاۚ وَاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ نَصِيْرًا

তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে অসহায় নর-নারী এবং শিশুদের জন্য যুদ্ধ করবে না? যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ জনপদ হতে আমাদেরকে বের করে নিয়ে যাও; কেননা তার অধিবাসীরা অত্যাচারী। আর তোমার নিকট হতে কাউকে আমাদের জন্য অভিভাবক হিসেবে মনোনীত করো এবং তোমার পক্ষ হতে আমাদেরকে সাহায্য করো। (সূরা নিসা- ৭৫)

وَاقْتُلُوْهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوْهُمْ وَاَخْرِجُوْهُمْ مِّنْ حَيْثُ اَخْرَجُوْكُمْ وَالْفِتْنَةُ اَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ

তোমরা তাদেরকে যেখানেই পাবে হত্যা করবে। তারা তোমাদেরকে যেসব স্থান থেকে বের করে দিয়েছে, তোমরাও তাদেরকে সেসব স্থান থেকে বের করে দেবে। জেনে রেখো, ফিতনা হত্যা থেকেও মারাত্মক অপরাধ। (সূরা বাক্বারা- ১৯১)

ব্যাখ্যা : আয়াতের মূল বক্তব্য হচ্ছে, নরহত্যা নিঃসন্দেহে একটি জঘণ্য অপরাধ; কিন্তু কোন মানবগোষ্ঠী বা দল যখন জোরপূর্বক নিজের স্বৈরতান্ত্রিক চিন্তাধারা অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয়, সত্য গ্রহণ থেকে লোকদেরকে জোরপূর্বক বিরত রাখে এবং পাশবিক শক্তি প্রয়োগে সংশোধনের ন্যায়সঙ্গত প্রচেষ্টার মুকাবিলা করতে শুরু করে, তখন এটা নরহত্যার চেয়েও জঘণ্যতম অন্যায় কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। কোন ব্যক্তি বা দল প্রচলিত চিন্তাধারা ও মতবাদের পরিবর্তে অন্য কোন চিন্তাধারা ও মতবাদকে সত্য হিসেবে জানার কারণে তা গ্রহণ করেছে এবং প্রচারের মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত ব্যবস্থার সংশোধনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এজন্য তার উপর যুলুম-নির্যাতন চালানো- এটা অমানবিক ও মারাত্মক অন্যায়। এ ধরনের দলকে অস্ত্রের সাহায্যে পথ থেকে সরিয়ে দেয়াই ন্যায়সঙ্গত।

যারা জমিনে অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে :

اِنَّمَا جَزَآءُ الَّذِيْنَ يُحَارِبُوْنَ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَسْعَوْنَ فِى الْاَرْضِ فَسَادًا اَنْ يُّقَتَّلُوْاۤ اَوْ يُصَلَّبُوْاۤ اَوْ تُقَطَّعَ اَيْدِيْهِمْ وَاَرْجُلُهُمْ مِّنْ خِلَافٍ اَوْ يُنْفَوْا مِنَ الْاَرْضِؕ ذٰلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِى الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيْمٌ

যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং পৃথিবীতে ফিতনা সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি হলো- তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ অপমানজনক শাস্তি তাদের দুনিয়ার জীবনের জন্য; আর পরকালে তাদের জন্য রয়েছে আরো ভয়াবহ শাস্তি। (সূরা মায়েদা- ৩৩)

ব্যাখ্যা : পৃথিবী বলতে এখানে পৃথিবীর সেই অঞ্চলকে বুঝানো হয়েছে, যেখানে ইসলামী সরকার শান্তি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা কায়েম করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে লড়াই করার অর্থ হচ্ছে, ইসলামী সরকার দেশে যে ইসলামী সমাজব্যবস্থার প্রচলন করেছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করা। পৃথিবীতে একটি সত্যনিষ্ঠ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই আল্লাহর ইচ্ছা, যার অধীনে পৃথিবীতে অবস্থানকারী মানুষ ও পশুপাখীসহ সমস্ত সৃষ্টি শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করবে। পৃথিবীর সমুদয় উপায়-উপকরণ এমনভাবে ব্যবহৃত হবে, যার ফলে সেগুলো মানবতার ধ্বংসে নয়; বরং তার উন্নতিতে সহায়ক হবে। এ ধরনের ব্যবস্থা কোন ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর তাকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালানো অথবা ক্ষুদ্র পরিসরে হত্যা, লুণ্ঠন, রাহাজানি, ডাকাতি ইত্যাদির মাধ্যমে বিপর্যয় সৃষ্টি করে এ ব্যবস্থাকে উৎখাত করে তার জায়গায় অন্য কোন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা চালানো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হিসেবেই বিবেচিত হবে। এখানে সংক্ষেপে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির কথা বলে দেয়া হয়েছে, যাতে করে কাযী বা সমকালীন ইসলামী শাসক নিজের ইজতিহাদের মাধ্যমে প্রত্যেক অপরাধীকে তার অপরাধের ধরন ও মাত্রানুযায়ী শাস্তি দিতে পারেন। তবে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে এ কথা প্রকাশ করা যে, ইসলামী হুকুমতের আওতায় বাস করে কোন ব্যক্তির ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা চালানো নিকৃষ্ট ধরনের অপরাধ। এজন্য তাকে উল্লেখিত চরম শাস্তিগুলোর মধ্য থেকে যে কোন শাস্তি দেয়া যেতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন