hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২০
অধ্যায়- ১৫ : আল্লাহর নিদর্শন থেকে যারা হেদায়াত পায়
যারা মুমিন :

اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّلْمُؤْمِنِيْنَ

অবশ্যই এতে মুমিনদের জন্য রয়েছে নিদর্শন। (সূরা হিজর- ৭৭)

যারা চিমত্মাশীল :

اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّقَوْمٍ يَّتَفَكَّرُوْنَ

অবশ্যই এতে চিমত্মাশীল সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন। (সূরা নাহল- ১১)

যারা উপদেশ গ্রহণ করে :

اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّقَوْمٍ يَّذَّكَّرُوْنَ

এতে রয়েছে নিশ্চিত নিদর্শন সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা উপদেশ গ্রহণ করে। (সূরা নাহল- ১৩)

যারা বোধশক্তিসম্পন্ন :

اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّقَوْمٍ يَّعْقِلُوْنَ

এতে অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন। (সূরা নাহল- ৬৫)

যারা অতি ধৈর্যশীল ও পরম কৃতজ্ঞ :

اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ

নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে প্রত্যেক পরম ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য। (সূরা ইবরাহীম- ৫)

ব্যাখ্যা : আল্লাহর নিদর্শন থেকে শুধু তারাই প্রকৃত সত্যে পৌঁছতে পারে, যাদের মধ্যে এসব গুণাবলি রয়েছে। তারা জাহেলী মনোভাব ত্যাগ করে ইলিম অর্জন করবে। ভুল থেকে মুক্ত হয়ে সঠিক পথে চলার ইচ্ছা তাদের মধ্যে থাকবে। তাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং তাদের পদক্ষেপে দৃঢ়তা থাকতে হবে। সহনীয়-অসহনীয় এবং ভালো-মন্দ সকল অবস্থায় তারা একটি সৎ ও সুস্থ বিশ্বাসের উপর অটল থাকবে। তাদের মধ্যে এ ধরনের কোন দুর্বলতা থাকবে না যে, দুঃসময়ের মুখোমুখি হলে আল্লাহর সামনে নতজানু হয়ে কান্নাকাটি করবে আর সুসময় আসার সাথে সাথেই সবকিছু ভুলে যাবে। অথবা এর বিপরীতে ভালো অবস্থায় আল্লাহকে মেনে চলবে এবং বিপদের একটি আঘাতেই আল্লাহকে গালি দিতে শুরু করবে। তাদেরকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী হতে হবে। তারা বিশ্বাসঘাতক হবে না, উপকারীর উপকার ভুলে যাবে না। বরং অনুগ্রহের কদর করবে এবং অনুগ্রহকারীর জন্য কৃতজ্ঞতার অনুভূতি নিজের মধ্যে জাগ্রত রাখবে। মানুষ কোন বড় রকমের বিপদের সম্মুখীন হলে অথবা মৃত্যু তার ভয়াবহ চেহারা নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালে তখন এক আল্লাহর আশ্রয় ছাড়া আর কোন আশ্রয়স্থল তার চোখে পড়ে না। বড় বড় মুশরিকরা এ সময় নিজেদের উপাস্য ও দেবতাদের কথা ভুলে এক আল্লাহকে ডাকতে থাকে। কট্টর আল্লাহদ্রোহী নাস্তিকও এ সময় আল্লাহর কাছে দু‘আ করে। কারণ আল্লাহভক্তি ও তাওহীদের সাক্ষ্য প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। এর উপর গাফলতি ও অজ্ঞতার যতই আবরণ পড়ুক না কেন তবুও তা কখনো না কখনো দৃষ্টি সমক্ষে জেগে ওঠে। তারা যখন এ নিদর্শনগুলোর মাধ্যমে সত্যকে চিনতে পারবে তখন তারা চিরকালের জন্য তাওহীদের শিক্ষাকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে।

অহংকারীরা নিদর্শন থেকে ফায়দা পায় না :

سَاَصْرِفُ عَنْ اٰيَاتِيَ الَّذِيْنَ يَتَكَبَّرُوْنَ فِى الْاَ رْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّؕ وَاِنْ يَّرَوْا كُلَّ اٰيَةٍ لَّا يُؤْمِنُوْا بِهَاۚ وَاِنْ يَّرَوْا سَبِيْلَ الرُّشْدِ لَا يَتَّخِذُوْهُ سَبِيْلًاۚ وَّاِنْ يَّرَوْا سَبِيْلَ الْغَيِّ يَتَّخِذُوْهُ سَبِيْلًاؕ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ كَذَّبُوْا بِاٰيَاتِنَا وَكَانُوْا عَنْهَا غَافِلِيْنَ

পৃথিবীতে যারা অন্যায়ভাবে দম্ভ করে বেড়ায় তাদের দৃষ্টি আমার নিদর্শন হতে ফিরিয়ে দেব, তারা আমার প্রত্যেকটি নিদর্শন দেখলেও তাতে বিশ্বাস স্থাপন করবে না, তারা সৎপথ দেখলেও তাকে পথ বলে গ্রহণ করবে না, কিন্তু তারা ভ্রান্ত পথ দেখলে তাকে (সঠিক) পথ হিসেবে গ্রহণ করবে। কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করেছে; আর সে সম্বন্ধে তারা ছিল গাফিল। (সূরা আ‘রাফ- ১৪৬)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ যারা আল্লাহ থেকে বিমুখ, তারা কখনো কোন নিদর্শন দেখেও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। কেননা তাদের জ্ঞানবুদ্ধির উপর গাফলতি ও গোঁড়ামির পর্দা পড়ে আছে। তার চক্ষু এ দৃশ্য অবশ্যই দেখে যে, বাতাস বয়ে গেল, মেঘরাশি উড়ে আসল, বিদ্যুৎ চমকাল ও বজ্র ধ্বনি হলো এবং বৃষ্টিপাত হলো; কিন্তু তার মস্তিষ্ক এটা ভেবে দেখে না যে, এসব কেন হচ্ছে, কে করছে এবং এ ব্যাপারে তার কী কী দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। যিনি এগুলো তাকে দিচ্ছেন, তিনি তার কাছে কী চাচ্ছেন।

আল্লাহর নিদর্শনাবলি মানুষের চোখ খুলে দেয় :

تَبْصِرَةً وَّذِكْرٰى لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيْبٍ

এসব প্রত্যেক বিনীত ব্যক্তির জন্য জ্ঞান ও উপদেশস্বরূপ। (সূরা ক্বাফ- ৮)

ব্যাখ্যা : প্রত্যেক ব্যক্তি যদি আল্লাহ থেকে গাফিল না হয় এবং বিশ্বজাহানের নিদর্শনগুলোকে বিবেকবুদ্ধিহীন জন্তু-জানোয়ারের দৃষ্টিতে না দেখে গভীর পর্যবেক্ষণের দৃষ্টিতে দেখে; অতঃপর সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে, তাহলে সে প্রতিটি নিদর্শনের সাহায্যে খুব সহজে যথার্থ ও চূড়ান্ত সত্যের দ্বারে পৌঁছতে পারে। যার সামনে বিশ্বজগতের চারদিকে আল্লাহর একত্বের প্রমাণ ছড়িয়ে আছে তারপরও যে তার মধ্য হতে কোনকিছুই দেখতে পায় না, সে অন্ধ। আর চক্ষুষ্মান হচ্ছে এমন ব্যক্তি, যার দৃষ্টি সারা বিশ্বের প্রতিটি জিনিসের মধ্যে একজন অসাধারণ কারিগরের অতুলনীয় কৃতিত্ব দেখতে পায়। যে ব্যক্তি সত্যকে স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছে, সে কখনো দৃষ্টিহীন লোকদের মতো আচরণ করবে না এবং ভ্রান্ত পথে ঘুরে বেড়াবে না।

তারপরও মানুষ আল্লাহকে যথাযথ মূল্যায়ন করে না :

مَا قَدَرُوا اللهَ حَقَّ قَدْرِهٖؕ اِنَّ اللهَ لَقَوِيٌّ عَزِيْزٌ

তারা আল্লাহকে যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেনি, নিশ্চয় আল্লাহ অসীম ক্ষমতাবান ও মহাপরাক্রমশালী। (সূরা হজ্জ- ৭৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন