hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৬১
২২. যাকারিয়া (আঃ)
যাকারিয়া (আঃ) ছিলেন ইয়াহিয়া (আঃ) এর পিতা এবং মারইয়াম (আঃ) এর লালন-পালনকারী। আর ইয়াহিয়া (আঃ) ছিলেন পরবর্তী নবী ও মারইয়াম (আঃ) এর পুত্র ঈসা (আঃ) এর খালাতো ভাই। তারা বায়তুল মুকাদ্দাসের সন্নিকটে বসবাস করতেন এবং সেখানেই বনী ইসরাঈলদেরকে দাওয়াত দিয়ে যান। যাকারিয়া (আঃ) সন্তানহীন ছিলেন। এমতাবস্থায় তাঁর স্ত্রীও বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজের দু‘আর বদৌলতে ও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে এ অবস্থাতেও ইয়াহিয়া (আঃ) কে জন্মদান করেন। আর এ সন্তানের নাম আল্লাহ নিজেই রাখেন, যে নাম ইতোপূর্বে আর কারো জন্য রাখা হয়নি। আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহিয়া (আঃ) কে ছোটকাল থেকেই বিশেষ প্রজ্ঞা, কোমলতা, তাক্বওয়া, পিতামাতার আনুগত্য ইত্যাদি বিশেষ গুণাবলি দান করেছিলেন। তিনি বনী ইসরাঈলকে দ্বীনের দাওয়াত দিতেন।

যাকারিয়া (আঃ) ছিলেন নবীদের মধ্যে একজন :

وَزَكَرِيَّا وَيَحْيٰى وَعِيْسٰى وَاِلْيَاسَ كُلٌّ مِّنَ الصَّالِحِيْنَ

আর যাকারিয়া, ইয়াইহয়া, ঈসা এবং ইলয়াসকেও (সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম)। আর এরা সকলেই ছিল নেককারদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা আন‘আম– ৮৫)

তিনি মারইয়াম (আঃ) এর তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন :

فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُوْلٍ حَسَنٍ وَّاَنْۢبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَّكَفَّلَهَا زَكَرِيًّا

অতঃপর তার রব মারইয়ামকে উত্তমভাবে কবুল করলেন এবং তাকে ভালোভাবে লালন-পালনের ব্যবস্থা করলেন। আর যাকারিয়াকে তার অভিভাবকের দায়িত্ব দিলেন। (সূরা আলে ইমরানু ৩৭)

বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহর নিকট সন্তান পাওয়ার জন্য দু‘আ করলেন :

ذِكْرُ رَحْمَتِ رَبِّكَ عَبْدَهٗ زَكَرِيًّا اِذْ نَادٰى رَبَّهٗ نِدَآءً خَفِيًّا قَالَ رَبِّ اِنِّيْ وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّيْ وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَّلَمْ اَكُنْ ۢبِدُعَآئِكَ رَبِّ شَقِيًّا وَاِنِّيْ خِفْتُ الْمَوَالِيَ مِنْ وَّرَآئِيْ وَكَانَتِ امْرَاَتِيْ عَاقِرًا فَهَبْ لِيْ مِنْ لَّدُنْكَ وَلِيًّا يَرِثُنِيْ وَيَرِثُ مِنْ اٰلِ يَعْقُوْبَۗ وَاجْعَلْهُ رَبِّ رَضِيًّا

এটা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি অনুগ্রহের বিবরণ। যখন সে একনিষ্ঠভাবে তার প্রতিপালককে আহবান করেছিল এবং বলেছিল, হে আমার রব! আমার হাঁড় দুর্বল হয়ে গেছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়ে গেছে। আর তোমাকে আহবান করে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি। আমি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে (বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়ার) আশঙ্কা করছি। আর আমার স্ত্রীও বন্ধ্যা। সুতরাং তুমি তোমার পক্ষ হতে আমাকে একজন উত্তরাধিকারী দান করো, যে আমার ও ইয়াকূবের বংশের উত্তরাধিকারী হবে। হে আমার প্রতিপালক! তুমি তাকে সন্তোষভাজন বানিয়ে দাও। (সূরা মারইয়াম, ২– ৬)

وَزَكَرِيَّاۤ اِذْ نَادٰى رَبَّهٗ رَبِّ لَا تَذَرْنِيْ فَرْدًا وَّاَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِيْنَ

স্মরণ করো, যখন যাকারিয়া তার প্রতিপালককে আহবান করে বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একা রেখে দিয়ো না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী। (সূরা আম্বিয়া– ৮৯)

هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيًّا رَبَّهٗۚ قَالَ رَبِّ هَبْ لِيْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةًۚ اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ

সেখানেই যাকারিয়া তার রবকে ডেকে বললেন, হে আমার রব! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে একটি পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি দু‘আ শ্রবণকারী। (সূরা আলে ইমরানু ৩৮)

আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করলেন :

فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ وَوَهَبْنَا لَهٗ يَحْيٰى وَاَصْلَحْنَا لَهٗ زَوْجَهٗ

অতঃপর আমি তার আহবানে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে দান করেছিলাম ইয়াহিয়া; এজন্য তার স্ত্রীকেও যোগ্যতাসম্পন্ন করেছিলাম। (সূরা আম্বিয়া– ৯০)

ফেরেশতা তাকে সন্তান জন্মের সুসংবাদ দিলেন :

فَنَادَتْهُ الْمَلَآئِكَةُ وَهُوَ قَآئِمٌ يُّصَلِّيْ فِى الْمِحْرَابِ اَنَّ اللهَ يُبَشِّرُكَ بِيَحْيٰى مُصَدِّقًا ۢبِكَلِمَةٍ مِّنَ اللهِ وَسَيِّدًا وَّحَصُوْرًا وَّنَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِيْنَ

অতঃপর তিনি মেহরাবে নামাযরত অবস্থায় থাকাকালে ফেরেশতারা তাকে ডেকে বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে ইয়াহিয়ার সুসংবাদ দিচ্ছেন। তিনি হবেন আল্লাহর বাণীর সত্যায়নকারী, নেতা, প্রবৃত্তি দমনকারী এবং পুণ্যবান নবীদের একজন। (সূরা আলে ইমরানু ৩৯)

يَا زَكَرِيَّاۤ اِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامِنِ اسْمُهٗ يَحْيٰى لَمْ نَجْعَلْ لَّهٗ مِنْ قَبْلُ سَمِيًّا

তিনি বললেন, হে যাকারিয়া! আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। তার নাম হবে ইয়াহিয়া, ইতোপূর্বে এ নামে আমি আর কারো নামকরণ করিনি। (সূরা মারইয়াম– ৭)

স্ত্রী বন্ধ্যা হওয়াতে তিনি আল্লাহর নিকট অভিযোগ পেশ করলেন :

قَالَ رَبِّ اَنّٰى يَكُوْنُ لِيْ غُلَامٌ وَّكَانَتِ امْرَاَتِىْ عَاقِرًا وَّقَدْ بَلَغْتُ مِنَ الْكِبَرِ عِتِيًّا

সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমার পুত্র হবে? অথচ আমার স্ত্রী বন্ধ্যা এবং আমিও বার্ধক্যের শেষ সীমায় উপনীত। (সূরা মারইয়াম– ৮)

قَالَ رَبِّ اَنّٰى يَكُوْنُ لِىْ غُلَامٌ وَّقَدْ بَلَغَنِيَ الْكِبَرُ وَامْرَاَتِيْ عَاقِرٌ

তিনি বললেন, হে আমার রব! আমার সন্তান হবে? অথচ আমি বার্ধক্যে উপনীত হয়ে গেছি এবং আমার স্ত্রীও বন্ধ্যা। (সূরা আলে ইমরানু ৪০)

তাকে বলা হলো, এটা আল্লাহর পক্ষে সম্ভব :

قَالَ كَذٰلِكَ اللهُ يَفْعَلُ مَا يَشَآءُ

আল্লাহ বললেন, এভাবেই হবে। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। (সূরা আলে ইমরানু ৪০)

قَالَ كَذٰلِكَۚ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَّقَدْ خَلَقْتُكَ مِنْ قَبْلُ وَلَمْ تَكُ شَيْئًا

তিনি বললেন, এভাবেই হবে। তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজ ব্যাপার। আমি তো ইতোপূর্বে তোমাকেও সৃষ্টি করেছি, যখন তুমি কিছুই ছিলে না। (সূরা মারইয়াম– ৯)

যাকারিয়া (আঃ) আল্লাহর কাছে নিদর্শন প্রার্থনা করলেন :

قَالَ رَبِّ اجْعَلْ لِّۤيْ اٰيَةً

যাকারিয়া বললেন, হে আমার রব! আমাকে কোন নিদর্শন দান করুন। (সূরা আলে ইমরানু ৪১)

আল্লাহ তাকে নিদর্শন দিলেন :

قَالَ اٰيَتُكَ اَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلَاثَةَ اَيَّامٍ اِلَّا رَمْزًا

আল্লাহ বললেন, তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি তিন দিন পর্যন্ত ইঙ্গিত ছাড়া মানুষের সাথে কোন কথা বলতে পারবে না। (সূরা আলে ইমরানু ৪১)

قَال َاٰيَتُكَ اَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلَاثَ لَيَالٍ سَوِيًّا

আল্লাহ বললেন, তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ থাকা সত্ত্বেও কারো সাথে তিন রাত পর্যন্ত বাক্যালাপ করতে পারবে না। (সূরা মারইয়াম– ১০)

আল্লাহ তাকে তাসবীহ পাঠের আদেশ দিলেন :

وَاذْكُرْ رَّبَّكَ كَثِيْرًا وَّسَبِّحْ بِالْعَشِيِّ وَالْاِبْكَارِ

আর বেশি বেশি করে তোমার রবের যিকির করো এবং সকাল–সন্ধ্যায় তার পবিত্রতা বর্ণনা করো।

(সূরা আলে ইমরানু ৪১)

যাকারিয়া (আঃ) নিজ জাতিকেও তাসবীহ পাঠের আদেশ দিলেন :

فَخَرَجَ عَلٰى قَوْمِهٖ مِنَ الْمِحْرَابِ فَاَوْحٰۤى اِلَيْهِمْ اَنْ سَبِّحُوْا بُكْرَةً وَّعَشِيًّا

অতঃপর সে কক্ষ হতে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট আসল এবং ইঙ্গিতে তাদেরকে সকাল–সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে বলল। (সূরা মারইয়াম– ১১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন