hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৮৮
অধ্যায়- ১২ : মিথ্যা বলা
মানুষের মধ্যে অনেকেই মিথ্যুক :

وَاِنَّا لَنَعْلَمُ اَنَّ مِنْكُمْ مُّكَذِّبِيْنَ

আমি ভালো করেই জানি যে, নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে মিথ্যা প্রতিপন্নকারীও রয়েছে। (সূরা হাক্কাহ- ৪৯)

মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী :

وَاللهُ يَشْهَدُ اِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ لَكَاذِبُوْنَ

আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয় মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী। (সূরা মুনাফিকূন- ১)

কাফিররাও মিথ্যাবাদী :

بَلِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُكَذِّبُوْنَ

বরং কাফিররা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। (সূরা ইনশিক্বাক- ২২)

মুশরিকরাও মিথ্যাবাদী :

اَلَاۤ اِنَّهُمْ مِّنْ اِفْكِهِمْ لَيَقُوْلُوْنَ وَلَدَ اللهُ وَاِنَّهُمْ لَكَاذِبُوْنَ

দেখো, তারা নিজেদের মনগড়া কথা থেকে বলে যে, আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। (সূরা সাফ্ফাত- ১৫১, ১৫২)

মিথ্যাবাদীদের পরিণাম খারাপ হয়েছে :

فَسِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِيْنَ

তোমরা দুনিয়া ভ্রমণ করো, অতঃপর লক্ষ্য করো যে, মিথ্যাবাদীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে। (সূরা আলে ইমরান- ১৩৭)

মিথ্যারোপকারীরা শাস্তি ভোগ করবে :

فَاَنْذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظّٰى لَا يَصْلَاهَاۤ اِلَّا الْاَشْقٰى اَلَّذِيْ كَذَّبَ وَتَوَلّٰى

অতএব আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছি। এতে নিতান্ত হতভাগা ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউই প্রবেশ করবে না। (সে এমন ব্যক্তি) যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা লাইল, ১৪-১৬)

اِنَّا قَدْ اُوْحِيَ اِلَيْنَاۤ اَنَّ الْعَذَابَ عَلٰى مَنْ كَذَّبَ وَتَوَلّٰى

আমাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি (কেবলমাত্র) তার জন্য (নির্ধারিত) যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা ত্বা-হা- ৪৮)

আল্লাহ মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন :

فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِ

তোমরা মূর্তিপূজার অপবিত্রতা বর্জন করো এবং মিথ্যা কথোপকথন হতে দূরে থাকো। (সূরা হজ্জ- ৩০)

ব্যাখ্যা : অত্র আয়াতে এমনকিছু বাতিল আকিদা-বিশ্বাস, বিধিবিধান ও কুসংস্কারের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যেগুলোর উপর কুফরী ও শিরকের ভিত্তি গড়ে উঠেছে। যেমন আল্লাহর নিজ সত্তা, গুণাবলি, ক্ষমতা ও অধিকারে অন্য কাউকে অংশীদার স্থাপন করা, আল্লাহ কর্তৃক হালালকৃত পশুকে হারাম মনে করা, দেব-দেবিদের নামে পশু যবাই করা ইত্যাদি। কেননা এগুলোই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মিথ্যা কার্যকলাপ। আর তাই অত্র আয়াতের পরবর্তী হুকুমেই সকল ধরনের মিথ্যা কথাকে পরিহার করতে বলা হয়েছে। সুতরাং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া ও মিথ্যা কসম করাও একই বিধানের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামী আইনে এ দু’টি অত্যন্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উমর (রাঃ) এর আদালতে এক ব্যক্তির সাক্ষ্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফলে তিনি তাকে একদিন প্রকাশ্যে জনসমাগমের স্থানে দাঁড় করিয়ে রাখেন এবং ঘোষণা করে দেন যে, এ ব্যক্তি হচ্ছে অমুকের ছেলে অমুক। সে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে, তাকে চিনে রেখো। তারপর তাকে কারাগারে আটক করেন।

আল্লাহ মিথ্যা ফতওয়া দিতে নিষেধ করেছেন :

وَلَا تَقُوْلُوْا لِمَا تَصِفُ اَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هٰذَا حَلَالٌ وَّهٰذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُوْا عَلَى اللهِ الْكَذِبَؕ اِنَّ الَّذِيْنَ يَفْتَرُوْنَ عَلَى اللهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُوْنَ

তোমরা তোমাদের জিহবা দ্বারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে (এ কথা) বলো না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করবে, তারা সফলকাম হতে পারবে না। (সূরা নাহল- ১১৬)

আল্লাহ মিথ্যাবাদীদেরকে হেদায়াত দান করেন না :

اِنَّ اللهَ لَا يَهْدِيْ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ

নিশ্চয় আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না, যে সীমালঙ্ঘনকারী ও মিথ্যাবাদী। (সূরা মু’মিন- ২৮)

اِنَّ اللهَ لَا يَهْدِيْ مَنْ هُوَ كَاذِبٌ كَفَّارٌ

নিশ্চয় আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না, যে মিথ্যাবাদী ও কাফির। (সূরা যুমার- ৩)

মিথ্যুকদেরকে শয়তান আয়ত্তে নিয়ে নেয় :

هَلْ اُنَبِّئُكُمْ عَلٰى مَنْ تَنَزَّلُ الشَّيَاطِيْنُ تَنَزَّلُ عَلٰى كُلِّ اَفَّاكٍ اَثِيْمٍ

(হে নবী) আমি কি তোমাকে জানিয়ে দেব না যে, শয়তানরা কার নিকট অবতীর্ণ হয়? তারা তো অবতীর্ণ হয় প্রত্যেকটি ঘোর মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট। (সূরা শু‘আরা- ২২১, ২২২)

মিথ্যুকদের জন্য রয়েছে ধ্বংস :

وَيْلٌ يَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِيْنَ

সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের জন্য। (সূরা মুরসালাত- ১৫)

وَاَمَّاۤ اِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِيْنَ الضَّآلِّيْنَ فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيْمٍ وَتَصْلِيَةُ جَحِيْمٍ

কিন্তু সে যদি মিথ্যা প্রতিপন্নকারী ও বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে তার আপ্যায়নের জন্য রয়েছে টগবগে ফুটন্ত পানি এবং জাহান্নামের দহন। (সূরা ওয়াক্বিয়া, ৯২-৯৪)

মিথ্যুকদের অনুসরণ করা যাবে না :

فَلَا تُطِعِ الْمُكَذِّبِيْنَ

অতএব তুমি মিথ্যাবাদীদের অনুসরণ করো না। (সূরা ক্বালাম- ৮)

ব্যাখ্যা : ষষ্ঠ হিজরীতে আয়েশা (রাঃ) বনু মুস্তালিকের যুদ্ধে রাসূল ﷺ এর সঙ্গে ছিলেন। অতঃপর প্রত্যাবর্তনের সময় তাঁরা এক মনযিলে বিশ্রাম গ্রহণ করেন। যাত্রার প্রাক্কালে আয়েশা (রাঃ) ইস্তিঞ্জা করতে গেলেন। কিন্তু যাত্রার আদেশ হলে চালক উট হাঁকিয়ে দিল। ফলে তিনি ফিরে এসে কাউকে দেখতে পেলেন না। পরে পতিত দ্রব্যের সন্ধানকারী সাফওয়ান (রাঃ) এসে তাকে নিয়ে গেলেন। এতে মুনাফিকরা তাঁর প্রতি মিথ্যা অপবাদ রটাল। কতিপয় সাহাবীও এতে যোগ দিলেন। অতঃপর ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে রাসূল ﷺ অপরাধীদেরকে অপবাদের শাস্তি দিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন