hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৬৫
অধ্যায়- ৮ : শিরকের বিরুদ্ধে আল্লাহর যুক্তি
তোমরা কোন্ দলিলের ভিত্তিতে শিরক করছ?

اَمْ اَنْزَلْنَا عَلَيْهِمْ سُلْطَانًا فَهُوَ يَتَكَلَّمُ بِمَا كَانُوْا بِهٖ يُشْرِكُوْنَ

আমি কি তাদের কাছে এমন কোন দলীল অবতীর্ণ করেছি, যা তাদেরকে আমার সাথে অংশীদার স্থাপন করতে বলে? (সূরা রূম- ৩৫)

وَجَعَلُوْا لِلّٰهِ شُرَكَآءَؕ قُلْ سَمُّوْهُمْؕ اَمْ تُنَبِّئُوْنَهٗ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِى الْاَرْضِ اَمْ بِظَاهِرٍ مِّنَ الْقَوْلِ

তারা আল্লাহর সাথে বহু শরীক স্থাপন করেছে। (তাদেরকে) বলো, এদের পরিচয় দাও। তোমরা কি পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন বিষয়ের সংবাদ দিতে চাও- যা তিনি (আল্লাহ) জানেন না? নাকি এটা বাহ্যিক কথা মাত্র। (সূরা রা‘দ- ৩৩)

যারা লাভ-ক্ষতির ক্ষমতা রাখে না তাদেরকে ডাকছ কেন?

قُلْ اَفَرَاَيْتُمْ مَّا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ اِنْ اَرَادَنِيَ اللهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كَاشِفَاتُ ضُرِّهٖۤ اَوْ اَرَادَنِيْ بِرَحْمَةٍ هَلْ هُنَّ مُمْسِكَاتُ رَحْمَتِهٖ

বলো, তোমরা কি ভেবে দেখেছ যে, যদি আল্লাহ আমার কোন অনিষ্ট চান, তবে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি যদি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চান, তবে কি তারা সে অনুগ্রহকে বন্ধ করতে পারবে? (সূরা যুমার- ৩৮)

শরীকরা কি কোন শরীয়াত প্রদান করেছে?

اَمْ لَهُمْ شُرَكَآءُ شَرَعُوْا لَهُمْ مِّنَ الدِّيْنِ مَا لَمْ يَأْذَنْ ۢبِهِ اللهُ

তাদের কি এমন কতকগুলো শরীকও আছে, যারা তাদের জন্য দ্বীনের এমন বিধান প্রবর্তন করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? (সূরা শূরা- ২১)

বিপদে পড়লে কাকে ডাক?

قُلْ اَرَاَيْتَكُمْ اِنْ اَتَاكُمْ عَذَابُ اللهِ اَوْ اَتَتْكُمُ السَّاعَةُ اَغَيْرَ اللهِ تَدْعُوْنَۚ اِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ بَلْ اِيَّاهُ تَدْعُوْنَ فَيَكْشِفُ مَا تَدْعُوْنَ اِلَيْهِ اِنْ شَآءَ وَتَنْسَوْنَ مَا تُشْرِكُوْنَ

বলো, তোমরা কি ভেবে দেখেছ যে, যদি আল্লাহর শাস্তি তোমাদের উপর এসে যায় অথবা তোমাদের নিকট কিয়ামত উপস্থিত হয়, তবে তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? বরং, তোমরা শুধু তাকেই ডাকবে; তোমরা যে কষ্টের জন্য তাকে ডাকবে, তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের থেকে তা দূর করে দেবেন। ফলে তোমরা যাকে তাঁর শরীক স্থাপন করতে, তাকে ভুলে যাবে। (সূরা আন‘আম- ৪০, ৪১)

قُلْ مَنْ يُّنَجِّيْكُمْ مِّنْ ظُلُمَاتِ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ تَدْعُوْنَهٗ تَضَرُّعًا وَّخُفْيَةًۚ لَئِنْ اَنْجَانَا مِنْ هٰذِهٖ لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الشَّاكِرِيْنَ قُلِ اللهُ يُنَجِّيْكُمْ مِّنْهَا وَمِنْ كُلِّ كَرْبٍ ثُمَّ اَنْتُمْ تُشْرِكُوْنَ

বলো, কে তোমাদেরকে স্থলভাগ ও সমুদ্রের অন্ধকার হতে মুক্তি দান করেন? যখন তোমরা বিনম্রভাবে এবং গোপনে তাঁকে ডাকতে থাক (এ বলে) যে, যদি তুমি আমাদেরকে এটা হতে মুক্তি দান কর তবে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব। বলো, আল্লাহই তোমাদেরকে তা হতে এবং সমস্ত দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি দান করেন। তারপরও তোমরা তাঁর সাথে শরীক স্থাপন কর। (সূরা আন‘আম- ৬৩, ৬৪)

শরীকরা উপাস্য হলে জাহান্নামে যাবে কেন?

اِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ حَصَبُ جَهَنَّمَؕ اَنْتُمْ لَهَا وَارِدُوْنَ لَوْ كَانَ هٰۤؤُلَآءِ اٰلِهَةً مَّا وَرَدُوْهَا وَكُلٌّ فِيْهَا خَالِدُوْنَ

আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদাত কর, সেগুলো তো জাহান্নামের ইন্ধন মাত্র; তোমরা সকলে তাতে প্রবেশ করবে। যদি তারা ইলাহ্ হতো, তবে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করত না; উপরন্তু তাদের সকলেই তাতে স্থায়ী হবে। (সূরা আম্বিয়া- ৯৮, ৯৯)

এ পৃথিবীর মালিক কে?

قُلْ لِّمَنِ الْاَرْضُ وَمَنْ فِيْهَاۤ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ سَيَقُوْلُوْنَ لِلّٰهِؕ قُلْ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ

বলো, এ পৃথিবী এবং এর মধ্যস্থিত সবকিছু কার, যদি তোমরা জেনে থাক? তারা বলবে, আল্লাহর। বলো, তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?। (সূরা মু’মিনূন- ৮৪, ৮৫)

আসমান ও আরশের মালিক কে?

قُلْ مَنْ رَّبُّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ سَيَقُوْلُوْنَ لِلّٰهِؕ قُلْ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ

বলো, সপ্তাকাশ এবং মহা-আরশের অধিপতি কে? তারা বলবে, আল্লাহ। বলো, তবুও কি তোমরা সাবধান হবে না?। (সূরা মু’মিনূন- ৮৬, ৮৭)

বিশ্বের সবকিছু কার?

قُلْ لِّمَنْ مَّا فِى السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِؕ قُلْ لِّلّٰهِ

বলো, আসমান ও জমিনে যা আছে তা কার? বলো, আল্লাহরই। (সূরা আন‘আম- ১২)

আসমান ও জমিন কে সৃষ্টি করেছে?

وَلَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ لَيَقُوْلُنَّ اللهُؕ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِؕ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ

আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আসমান ও জমিন কে সৃষ্টি করেছেন, তবে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ। বলো, সকল প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (সূরা লুক্বমান- ২৫)

পৃথিবী, নদী, পাহাড় ও সাগর কে সৃষ্টি করেছে?

اَمَّنْ جَعَلَ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّجَعَلَ خِلَالَهَاۤ اَنْهَارًا وَّجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًاؕ اَاِلٰهٌ مَّعَ اللهِ ؕ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ

তিনি কি ঐ স্রষ্টা নন, যিনি পৃথিবীকে করেছেন বাসোপযোগী এবং তার মাঝে প্রবাহিত করেছেন নদী-নালা এবং তাতে স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পবর্ত ও দু’সাগরের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন অন্তরায়? (বলো) এরপরও আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? তবুও তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (সূরা নামল- ৬১)

আল্লাহ ছাড়া কে তোমাদের সৃষ্টিকর্তা?

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوْا نِعْمَتَ اللهِ عَلَيْكُمْؕ هَلْ مِنْ خَالِقٍ غَيْرُ اللهِ يَرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَاَنّٰى تُؤْفَكُوْنَ

হে মানুষ! তোমাদের উপর আল্লাহর যেসব নিয়ামত রয়েছে তা স্মরণ করো। আল্লাহ ছাড়া এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আকাশ ও পৃথিবী থেকে রিযিক দান করে? (মনে রেখো) তিনি ছাড়া (তোমাদের) কোন ইলাহ্ নেই। অতএব তোমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? (সূরা ফাতির- ৩)

কে সৃষ্টি করে এবং রিযিকের ব্যবস্থা করে?

اَمَّنْ يَّبْدَاُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهٗ وَمَنْ يَّرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِؕ اَاِلٰهٌ مَّعَ اللهِؕ قُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ

তিনি (সেই স্রষ্টা) যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, অতঃপর তার পুনরাবৃত্তি করবেন এবং যিনি তোমাদেরকে আকাশ ও পৃথিবী হতে জীবনোপকরণ দান করেন। সুতরাং আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? বলো, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমাদের প্রমাণ পেশ করো। (সূরা নামল- ৬৪)

জীবন-মরণের পরিকল্পনা কে করে?

قُلْ مَنْ يَّرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ اَمَّنْ يَّمْلِكُ السَّمْعَ وَالْاَبْصَارَ وَمَنْ يُّخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَمَنْ يُّدَبِّرُ الْاَمْرَؕ فَسَيَقُوْلُوْنَ اللهُؕ فَقُلْ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ فَذٰلِكُمُ اللهُ رَبُّكُمُ الْحَقُّۚ فَمَاذَا بَعْدَ الْحَقِّ اِلَّا الضَّلَالُۚ فَاَنّٰى تُصْرَفُوْنَ

বলো, কে তোমাদেরকে আকাশ ও পৃথিবী হতে জীবনোপকরণ সরবরাহ করেন? অথবা শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি কার কর্তৃত্বাধীন? জীবিতকে মৃত হতে এবং মৃতকে জীবিত হতে কে বের করে আনেন? এবং সকল বিষয় কে নিয়ন্ত্রণ করেন? তখন তারা বলবে, আল্লাহ। বলো, তবুও কি তোমরা সাবধান হবে না? তিনিই আল্লাহ, তোমাদের সত্য প্রতিপালক। সত্য ত্যাগ করার পর বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কী অবশিষ্ট থাকে? সুতরাং তোমরা কোথায় চালিত হচ্ছ? (সূরা ইউনুস- ৩১, ৩২)

কে পানি দিয়ে ফসল উৎপাদন করে?

اَمَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ وَاَنْزَلَ لَكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَنْۢبَتْنَا بِهٖ حَدَآئِقَ ذَاتَ بَهْجَةٍۚ مَا كَانَ لَكُمْ اَنْ تُنْۢبِتُوْا شَجَرَهَاؕ اَاِلٰهٌ مَّعَ اللهِؕ بَلْ هُمْ قَوْمٌ يَّعْدِلُوْنَ

তিনি কে, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি আকাশ হতে তোমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করেন। অতঃপর আমি তা দ্বারা সৃষ্টি করি মনোরম উদ্যান, অথচ তাতে একটি ক্ষুদ্র বৃক্ষ সৃষ্টি করার ক্ষমতাও তোমাদের নেই। অতএব (বলো) আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? বরং তারা সত্যবিচ্যুত সম্প্রদায়। (সূরা নামল- ৬০)

কে মৃত জমিনকে জীবিত করে?

وَلَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ نَّزَّلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَحْيَا بِهِ الْاَرْضَ مِنْ ۢبَعْدِ مَوْتِهَا لَيَقُوْلُنَّ اللهُؕ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِؕ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُوْنَ

যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেন কে? অতঃপর তিনি ভূমিকে মৃত্যুর পর জীবিত (সঞ্জীবিত) করেন। অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ। বলো, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা অনুধাবন করে না। (সূরা আনকাবূত- ৬৩)

কে নিরুপায় ব্যক্তির দু‘আ কবুল করে?

اَمَّنْ يُّجِيْبُ الْمُضْطَرَّ اِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُوْٓءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَآءَ الْاَرْضِؕ اَاِلٰهٌ مَّعَ اللهِؕ قَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ

তিনি কে, যিনি বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির আহবানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে। অতঃপর তিনি তার বিপদাপদ দূরীভূত করেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেন। (এসব কাজে) আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? আসলে তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। (সূরা নামল- ৬২)

কে অন্ধকারে পথের সন্ধান দেবে?

اَمَّنْ يَّهْدِيْكُمْ فِيْ ظُلُمَاتِ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَنْ يُّرْسِلُ الرِّيَاحَ بُشْرًا ۢبَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهٖؕ اَاِلٰهٌ مَّعَ اللهِؕ تَعَالَى اللهُ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ

তিনি কে, যিনি তোমাদেরকে স্থলে ও পানির অন্ধকারে পথপ্রদর্শন করেন? এবং স্বীয় অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহী বায়ু প্রেরণ করেন। অতএব আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? তারা যাকে শরীক করে আল্লাহ তা হতে অনেক ঊর্ধ্বে। (সূরা নামল- ৬৩)

বিশ্বব্যবস্থায় ব্যতিক্রম ঘটলে ঠিক করার ক্ষমতা কার আছে?

اِنَّ اللهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ اَنْ تَزُوْلًا ۚ وَلَئِنْ زَالَتَاۤ اِنْ اَمْسَكَهُمَا مِنْ اَحَدٍ مِّنْ ۢبَعْدِهٖؕ اِنَّهٗ كَانَ حَلِيْمًا غَفُوْرًا

নিশ্চয় আল্লাহই আসমান ও জমিনকে স্থিরভাবে ধরে রাখেন, যাতে ওরা টলে না যায়। যদি ওরা টলে যায় তবে তিনি ছাড়া কে এদেরকে ধরে রাখবে? তিনি অতিশয় সহনশীল ও পরম ক্ষমাশীল। (সূরা ফাতির- ৪১)

শুধু রাত থাকলে কে দিন এনে দিতে পারবে?

قُلْ اَرَاَيْتُمْ اِنْ جَعَلَ اللهُ عَلَيْكُمُ اللَّيْلَ سَرْمَدًا اِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَنْ اِلٰهٌ غَيْرُ اللهِ يَأْتِيْكُمْ بِضِيَآءٍؕ اَفَلَا تَسْمَعُوْنَ

বলো, তোমরা কি ভেবে দেখেছ, আল্লাহ যদি রাতকে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন ইলাহ্ আছে কি, যে তোমাদেরকে আলো এনে দিতে পারে? তবুও কি তোমরা কর্ণপাত করবে না?। (সূরা ক্বাসাস- ৭১)

শুধু দিন থাকলে কে রাত এনে দিতে পারবে?

قُلْ اَرَاَيْتُمْ اِنْ جَعَلَ اللهُ عَلَيْكُمُ النَّهَارَ سَرْمَدًا اِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَنْ اِلٰهٌ غَيْرُ اللهِ يَأْتِيْكُمْ بِلَيْلٍ تَسْكُنُوْنَ فِيْهِؕ اَفَلَا تُبْصِرُوْنَ

বলো, তোমরা ভেবে দেখছ কি, আল্লাহ যদি দিনকে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন ইলাহ্ আছে কি, যে তোমাদের জন্য রাতের আবির্ভাব ঘটাবে, যাতে তোমরা বিশ্রাম করতে পার? তবুও কি তোমরা ভেবে দেখবে না? (সূরা ক্বাসাস- ৭২)

রিযিক বন্ধ করে দিলে তা কে সরবরাহ করবে?

اَمَّنْ هٰذَا الَّذِيْ يَرْزُقُكُمْ اِنْ اَمْسَكَ رِزْقَهٗۚ بَلْ لَّجُّوْا فِيْ عُتُوٍّ وَّنُفُوْرٍ

এমন কে আছে যে, যদি তিনি রিযিক বন্ধ করে দেন তাহলে তোমাদেরকে রিযিক দান করবে? বস্তুত তারা অবাধ্যতা ও সত্য বিমুখতায় অবিচল রয়েছে। (সূরা মুলক- ২১)

পানি না থাকলে কে তার ব্যবস্থা করে?

قُلْ اَرَاَيْتُمْ اِنْ اَصْبَحَ مَآؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ يَّأْتِيْكُمْ بِمَآءٍ مَّعِيْنٍ

বলো, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের তলদেশে চলে যায়, তবে কে তোমাদেরকে প্রবাহমান পানি এনে দেবে? (সূরা মুলক- ৩০)

তোমাদের অঙ্গগুলো স্থায়ী রাখার ক্ষমতা কার আছে?

قُلْ اَرَاَيْتُمْ اِنْ اَخَذَ اللهُ سَمْعَكُمْ وَاَبْصَارَكُمْ وَخَتَمَ عَلٰى قُلُوْبِكُمْ مَّنْ اِلٰهٌ غَيْرُ اللهِ يَأْتِيْكُمْ بِهٖ

বলো, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, আল্লাহ যদি তোমাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি গ্রাস করে নেন এবং তোমাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ আছে কি যিনি তোমাদেরকে এগুলো ফিরিয়ে দেবেন? (সূরা আন‘আম- ৪৬)

আল্লাহর বিরুদ্ধে কারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে?

اَمَّنْ هٰذَا الَّذِيْ هُوَ جُنْدٌ لَّكُمْ يَنْصُرُكُمْ مِّنْ دُوْنِ الرَّحْمٰنِؕ اِنِ الْكَافِرُوْنَ اِلَّا فِيْ غُرُوْرٍ

দয়াময় (আল্লাহ) ব্যতীত তোমাদের এমন কোন সৈন্যবাহিনী আছে কি, যারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে? কাফিররা তো ধোঁকায় পড়ে আছে মাত্র। (সূরা মুলক- ২০)

আল্লাহর পাকড়াও থেকে তোমাদেরকে কে রক্ষা করবে?

قُلْ مَنْ يَّكْلَؤُكُمْ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مِنَ الرَّحْمٰنِؕ بَلْ هُمْ عَنْ ذِكْرِ رَبِّهِمْ مُّعْرِضُوْنَ اَمْ لَهُمْ اٰلِهَةٌ تَمْنَعُهُمْ مِّنْ دُوْنِنَاؕ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ نَصْرَ اَنْفُسِهِمْ وَلَا هُمْ مِّنَّا يُصْحَبُوْنَ

বলো, রাতে ও দিবসে রহমান হতে কে তোমাদেরকে রক্ষা করবে? তবুও তারা তাদের প্রতিপালকের স্মরণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবে কি আমি ব্যতীত তাদের এমন কোন ইলাহ্ আছে, যারা তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? এরা তো নিজেদেরকেই সাহায্য করতে পারে না এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের কোন সাহায্যকারীও থাকবে না। (সূরা আম্বিয়া- ৪২, ৪৩)

কে মৃত্যুর পর আবার জীবন দিতে পারে?

قُلْ هَلْ مِنْ شُرَكَآئِكُمْ مَّنْ يَّبْدَاُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهٗؕ قُلِ اللهُ يَبْدَاُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهٗ فَاَنّٰى تُؤْفَكُوْنَ

বলো, তোমরা যাদেরকে শরীক কর তাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে, যে সৃষ্টিকে অস্তিত্ব দান করে এবং পরে তার পুনরাবর্তন ঘটায়? বলো, আল্লাহই সৃষ্টিকে অস্তিত্ব দান করেন এবং পরে তার পুনরাবর্তন ঘটান। সুতরাং তোমরা কেমন করে সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছ? (সূরা ইউনুস- ৩৪)

اَللهُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ ثُمَّ رَزَقَكُمْ ثُمَّ يُمِيْتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيْكُمْؕ هَلْ مِنْ شُرَكَآئِكُمْ مَّنْ يَّفْعَلُ مِنْ ذٰلِكُمْ مِّنْ شَيْءٍؕ سُبْحَانَهٗ وَتَعَالٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ

আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদেরকে রিযিক দান করেছেন। এরপর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর তোমাদেরকে আবার জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এসব কাজের মধ্য থেকে কোন একটি করতে পারে? তারা (তাঁর সাথে) যা কিছু শরীক স্থাপন করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক পবিত্র ও মহান। (সূরা রূম- ৪০)

যিনি সৃষ্টি করেন আর যারা করে না উভয়ে কি সমান?

اَفَمَنْ يَّخْلُقُ كَمَنْ لَّا يَخْلُقُؕ اَفَلَا تَذََكَّرُوْنَ

সুতরাং যিনি সৃষ্টি করেন, তিনি কি তারই মতো যে সৃষ্টি করে না? তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?

(সূরা নাহল- ১৭)

আল্লাহ ছাড়া তাদের কোন সত্য মা‘বুদ আছে কি?

اَمْ لَهُمْ اِلٰهٌ غَيْرُ اللهِ ؕ سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ

নাকি আল্লাহ ব্যতীত তাদের অন্য কোন (সত্য) মা‘বুদ আছে? (জেনে রেখো) তারা যাকে শরীক স্থাপন করে, আল্লাহ তা হতে অনেক পবিত্র। (সূরা তূর- ৪৩)

কে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারে?

قُلْ هَلْ مِنْ شُرَكَآئِكُمْ مَّنْ يَّهْدِيْۤ اِلَى الْحَقِّؕ قُلِ اللهُ يَهْدِيْ لِلْحَقِّؕ اَفَمَنْ يَّهْدِيْۤ اِلَى الْحَقِّ اَحَقُّ اَنْ يُّتَّبَعَ اَمَّنْ لَّا يَهِدِّيْۤ اِلَّاۤ اَنْ يُّهْدٰىۚ فَمَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُوْنَ

বলো, তোমাদের শরীকদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে, যে সত্যের দিকে পথপ্রদর্শন করে? বলো, আল্লাহই সত্যের দিকে পথপ্রদর্শন করেন। আর যিনি সত্যের দিকে পথপ্রদর্শন করেন তিনি আনুগত্যের অধিকতর হকদার, নাকি ঐ ব্যক্তি (বেশি হকদার) যাকে পথ না দেখালে সে কোন পথ (দেখতে) পায় না? তোমাদের কী হয়েছে? তোমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাক? (সূরা ইউনুস- ৩৫)

আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা কোন দিকে যাবে?

فَذٰلِكُمُ اللهُ رَبُّكُمُ الْحَقُّۚ فَمَاذَا بَعْدَ الْحَقِّ اِلَّا الضَّلَالُۚ فَاَنّٰى تُصْرَفُوْنَ

তিনিই আল্লাহ, তোমাদের সত্য প্রতিপালক। সত্য ত্যাগ করার পর বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কী (বাকি) থাকে? সুতরাং তোমাদেরকে কোথায় ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে? (সূরা ইউনুস- ৩২)

ব্যাখ্যা : এখানে এ কথা বলা হয়নি যে, তোমরা কোথায় ফিরে যাচ্ছ? বরং বলা হয়েছে, তোমাদেরকে কোথায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? অর্থাৎ কেউ তোমাদেরকে বিপথগামী করছে এবং তোমরা তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সহজ ও যুক্তিসঙ্গত কথাও বুঝতে পারছ না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন