hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪২
অধ্যায়- ২০ : কুরআন হেদায়াত লাভের উৎস
কুরআন সঠিক পথের সন্ধান দেয় :

اِنَّ هٰذَا الْقُرْاٰنَ يَهْدِيْ لِلَّتِيْ هِيَ اَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِيْنَ الَّذِيْنَ يَعْمَلُوْنَ الصَّالِحَاتِ اَنَّ لَهُمْ اَجْرًا كَبِيْرًا

নিশ্চয় এ কুরআন সে পথের দিকে হেদায়াত করে, যা খুবই সুদৃঢ়। আর এটি সৎকর্মপরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৯)

কুরআনের হেদায়াতই প্রকৃত হেদায়াত :

قُلْ اِنَّ هُدَى اللهِ هُوَ الْهُدٰىؕ وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ اَهْوَآءَهُمْ بَعْدَ الَّذِيْ جَآءَكَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ اللهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا نَصِيْرٍ

বলো, আল্লাহর প্রদর্শিত পথই সঠিক পথ। সুতরাং তোমার নিকট জ্ঞান আসার পরও যদি তুমি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কর, তবে আল্লাহ হতে তোমার জন্য কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী থাকবে না। (সূরা বাক্বারা- ১২০)

ذٰلِكَ هُدَى اللهِ يَهْدِيْ بِهٖ مَنْ يَّشَآءُ وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَمَا لَهٗ مِنْ هَادٍ

এটাই আল্লাহর হেদায়াত, এর দ্বারা তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়াত দান করেন। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথপ্রদর্শক নেই। (সূরা যুমার- ২৩)

কুরআন শান্তির পথ দেখায় :

قَدْ جَآءَكُمْ مِّنَ اللهِ نُوْرٌ وَّكِتَابٌ مُّبِيْنٌ - يَهْدِيْ بِهِ اللهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهٗ سُبُلَ السَّلَامِ وَيُخْرِجُهُمْ مِّنَ الظُّلُمَاتِ اِلَى النُّوْرِ بِاِذْنِهٖ وَيَهْدِيْهِمْ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

আল্লাহর নিকট হতে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব তোমাদের নিকট এসেছে। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চায় এর দ্বারা তিনি তাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং তাদেরকে নিজ ইচ্ছায় অন্ধকার হতে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন। অতঃপর তাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা মায়েদা- ১৫, ১৬)

কুরআন হেদায়াতের নূর :

وَكَذٰلِكَ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ رُوْحًا مِّنْ اَمْرِنَاؕ مَا كُنْتَ تَدْرِيْ مَا الْكِتَابُ وَلَا الْاِيْمَانُ وَلٰكِنْ جَعَلْنَاهُ نُوْرًا نَّهْدِيْ بِهٖ مَنْ نَّشَآءُ مِنْ عِبَادِنَاؕ وَاِنَّكَ لَتَهْدِيْۤ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

এভাবেই আমি আমার নির্দেশে তোমার প্রতি ওহী করেছি রূহ (কুরআন); তুমি তো জানতে না কিতাব কী এবং ঈমান কী? পক্ষান্তরে আমি একে করেছি আলো, যা দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পথপ্রদর্শন করি। নিশ্চয় তুমি সরল পথের দিকেই পথপ্রদর্শন করে থাক। (সূরা শূরা- ৫২)

اَوَمَنْ كَانَ مَيْتًا فَاَحْيَيْنَاهُ وَجَعَلْنَا لَهٗ نُوْرًا يَّمْشِيْ بِهٖ فِى النَّاسِ كَمَنْ مَّثَلُهٗ فِى الظُّلُمَاتِ لَيْسَ بِخَارِجٍ مِّنْهَاؕ كَذٰلِكَ زُيِّنَ لِلْكَافِرِيْنَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

যে ব্যক্তি মৃত ছিল, পরে আমি তাকে জীবিত করেছি এবং মানুষের মধ্যে চলার জন্য আলো দিয়েছি, সে ব্যক্তি কি ঐ ব্যক্তির মতো, যে এমন অন্ধকারে রয়েছে যেখান থেকে সে বের হবার নয়? এভাবে কাফিরদের দৃষ্টিতে তাদের কৃতকর্ম শোভনীয় করে দেয়া হয়েছে। (সূরা আন‘আম- ১২২)

ব্যাখ্যা : এখানে মৃত্যু বলা হয়েছে অজ্ঞতা, মূর্খতা ও চেতনাবিহীন অবস্থাকে। আর জীবন বলতে বুঝানো হয়েছে জ্ঞান, উপলব্ধি ও প্রকৃত সত্যকে চিনতে পারার অবস্থাকে। যে ব্যক্তির মধ্যে ভুল ও নির্ভুলের পার্থক্যবোধ নেই এবং যার সত্য ও সরল পথের স্বরূপ জানা নেই, জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সে জীবনসম্পন্ন হলেও প্রকৃত সত্যের বিচারে সে মৃত। সে অবশ্যই জীবন্ত প্রাণী কিন্তু জীবন্ত মানুষ নয়। জীবন্ত মানুষ একমাত্র তাকেই বলা যাবে যে সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ও ভুল-নির্ভুলের পার্থক্যের জ্ঞান রাখে। যে মানুষটি মানবিক চেতনা লাভ করেছে এবং জ্ঞানের উজ্জ্বল আলোয় বাঁকা পথগুলোর মধ্যে সোজা রাজপথটি দেখতে পাচ্ছে, তার ব্যাপারে কেমন করে আশা করা যেতে পারে যে, সে এমনসব চেতনাবিহীন লোকদের মতো দুনিয়ায় জীবন-যাপন করবে, যারা অজ্ঞতা ও মূর্খতার অন্ধকারে পথ হারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে?

কুরআনের পথ ছাড়া বাকী সকল পথ গোমরাহী :

اِنَّاۤ اَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ لِلنَّاسِ بِالْحَقِّۚ فَمَنِ اهْتَدٰى فَلِنَفْسِهٖۚ وَمَنْ ضَلَّ فَاِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَاۚ وَمَاۤ اَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيْلٍ

আমি তোমার প্রতি মানুষের জন্য সত্য সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছি। সুতরাং যে হেদায়াত গ্রহণ করে, সে তার নিজের জন্যই হেদায়াত গ্রহণ করে এবং যে পথভ্রষ্ট হয়, সে নিজের (ধ্বংসের) জন্যই পথভ্রষ্ট হয়। আর তুমি তাদের জিম্মাদার নও। (সূরা যুমার- ৪১)

মুত্তাক্বীরাই কুরআন থেকে হেদায়াত পায় :

ذٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَۚ فِيْهِۚ هُدًى لِّلْمُتَّقِيْنَ اَلَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ وَالَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْكَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَۚ وَبِالْاٰخِرَةِ هُمْ يُوْقِنُوْنَ اُولٰٓئِكَ عَلٰى هُدًى مِّنْ رَّبِّهِمْۗ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

এটা ঐ গ্রন্থ যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। আর এটা মুত্তাক্বীদের জন্য হেদায়াতস্বরূপ। এরা (মুত্তাক্বীগণ) ঐ সকল লোক, যারা অদৃশ্য বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সালাত প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা হতে ব্যয় করে। আর তারা তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছিল তার প্রতি এবং পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে। তারাই তাদের রবের পক্ষ হতে প্রাপ্ত হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। (সূরা বাক্বারা, ২-৫)

ব্যাখ্যা : কুরআন একটি হেদায়াত ও পথনির্দেশনার গ্রন্থ। কিন্তু এ থেকে লাভবান হতে চাইলে মানুষের মধ্যে তাক্বওয়ার গুণ থাকতে হবে। তাকে ‘মুত্তাক্বী’ বা আল্লাহভীরু হতে হবে। তার মধ্যে মন্দ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া ও ভালোকে গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষা এবং এ আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা থাকতে হবে।

মুত্তাক্বীর প্রথম গুণ হচ্ছে, ‘গায়েব’ বা অদৃশ্যে বিশ্বাস। নবী ﷺ অদৃশ্যের বিষয়ে যেসব সংবাদ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে নেয়াই হচ্ছে অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস। যে ব্যক্তি এ সত্যগুলো মেনে নিতে প্রস্তুত হবে, সে-ই কুরআনের হেদায়াত থেকে উপকৃত হতে পারবে।

দ্বিতীয় গুণ হচ্ছে, নামায কায়েম করা। যারা ঈমান আনার পর বসে থাকবে তারা কুরআন থেকে উপকৃত হতে পারবে না। এ থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য একান্ত প্রয়োজন হচ্ছে, ইসলামকে মেনে নেয়ার পর পরই আল্লাহর আনুগত্য করা ও ইসলামের বিধিবিধান বাস্তবায়ন করা।

তৃতীয় গুণ হচ্ছে, যাকাত আদায় করা। সংকীর্ণমনা না হয়ে আল্লাহ ও তাঁর বান্দার অধিকার আদায়কারী হওয়া। তার সম্পদে আল্লাহ ও তাঁর বান্দার যে অধিকার রয়েছে, তাকে তা আদায় করার জন্য প্রস্তুত থাকা। যে বিষয়ের উপর সে ঈমান এনেছে, তার জন্য অর্থনৈতিক ত্যাগ স্বীকার করার ব্যাপারে ইতস্ততবোধ না করা।

চতুর্থ গুণ হচ্ছে, যাকাত আদায় করা।

পঞ্চম গুণ হচ্ছে, আসমানী কিতাবসমূহের উপর বিশ্বাস রাখা।

ষষ্ট গুণ হচ্ছে, আখিরাতের উপর ঈমান রাখা। এ বিষয়গুলো অস্বীকার করা তো দূরের কথা এগুলো সম্পর্কে কারো মনে যদি সামান্যতম সন্দেহ থাকে, তাহলে মানুষের জীবনের জন্য কুরআন যে পথনির্দেশ দিয়েছে, সে পথে তারা চলতে পারবে না। রিসালাতের এ কল্যাণধারা থেকে কেবলমাত্র সেসব লোক লাভবান হতে পারে, যারা মূলত সৎ প্রবৃত্তির অধিকারী। অন্যদিকে দুষ্ট মনোবৃত্তির অধিকারী ও দুষ্কর্মশীল লোকেরা হচ্ছে এমন ধরনের অনুর্বর জমির মতো, যা রহমতের বারি বর্ষণে কোনক্রমেই লাভবান হয় না। অনুরূপভাবে রিসালাতের আবির্ভাবও তাদের কোন উপকারে আসে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন