hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৬১
অধ্যায়- ৪ : মানুষ নানাভাবে শিরকের মধ্যে ডুবে আছে
কেউ আল্লাহর সৃষ্টবস্তু অথবা মূর্তির ইবাদাত করে :

وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَةً لَّا يَخْلُقُوْنَ شَيْئًا وَّهُمْ يُخْلَقُوْنَ وَلَا يَمْلِكُوْنَ لِاَنْفُسِهِمْ ضَرًّا وَّلَا نَفْعًا وَّلَا يَمْلِكُوْنَ مَوْتًا وَّلَا حَيَاةً وَّلَا نُشُوْرًا

তারা তাঁর পরিবর্তে এমন কিছুকে ইলাহ্ হিসেবে গ্রহণ করেছে, যারা কোনকিছুই সৃষ্টি করতে পারে না, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা নিজেদেরই কোন অপকার কিংবা উপকারের ক্ষমতা রাখে না এবং মৃত্যু, জীবন ও উত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখে না। (সূরা ফুরক্বান- ৩)

ব্যাখ্যা : এখানে মা‘বুদ বলতে দু’ধরনের মনগড়া উপাস্যকে বুঝানো হয়েছে-

(১) আল্লাহর অনেক সৃষ্টি, যাদেরকে কিছু মানুষ মা‘বুদ বানিয়ে নিয়েছে। যেমন- ফেরেশতা, জিন, নবী, ওলী-আউলিয়া, সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, নদ-নদী, গাছপালা ও পশুপাখী ইত্যাদি।

(২) মানুষ নিজেরাই কিছু জিনিস থেকে একটি অবয়ব তৈরি করে তাদেরকে মা‘বুদ বানিয়ে নিয়েছে। যেমন- পাথর, কাঠ ও মাটির তৈরি মূর্তি ইত্যাদি।

কেউ মানুষের তৈরি আইন মেনে শিরক করে :

وَاِنَّ الشَّيَاطِيْنَ لَيُوْحُوْنَ اِلٰۤى اَوْلِيَآئِهِمْ لِيُجَادِلُوْكُمْۚ وَاِنْ اَطَعْتُمُوْهُمْ اِنَّكُمْ لَمُشْرِكُوْنَ

নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সাথে বিবাদ করার জন্য প্ররোচনা দেয়। যদি তোমরা তাদের কথামতো চল, তবে অবশ্যই তোমরা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (সূরা আন‘আম- ১২১)

ব্যাখ্যা : এখানে জিন ও মানবজাতির শয়তানদের কথা বলা হয়েছে, যাদেরকে দুনিয়ায় আল্লাহর সাথে শরীক করা হয়েছিল, যাদের কথার মুকাবিলায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল এবং যাদের উপর ভরসা করে সরলসঠিক পথ পরিত্যাগ করে ভুলপথ অবলম্বন করা হয়েছিল। এ ধরনের লোকদেরকে কেউ ইলাহ্ বলুক বা না বলুক- যখন তাদের আনুগত্য এমনভাবে করা হয়েছে যেমন আল্লাহর আনুগত্য হওয়া উচিত, তখন অবশ্যই তাদেরকে আল্লাহর সার্বভৌম কর্তৃত্বে শরীক করা হয়েছে। একদিকে আল্লাহর সার্বভৌম কর্তৃত্বের স্বীকৃতি দেয়া এবং অন্যদিকে আল্লাহ বিমুখ লোকদের বিধান অনুযায়ী চলা এবং তাদের নির্ধারিত পদ্ধতির অনুসরণ করাই হচ্ছে শিরক। আর জীবনের সমগ্র বিভাগে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ আনুগত্য কায়েম করার নামই তাওহীদ। আল্লাহর সাথে অন্যদেরকে যদি আকীদাগতভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ আনুগত্যলাভের অধিকারী বলে মনে করা হয়, তাহলে তা হবে আকীদাগত শিরক। আর যদি এমন লোকদের আনুগত্য করা হয়, যারা আল্লাহর বিধানের পরোয়া না করে নিজেরাই বিধি-নিষেধের মালিক হয়ে বসে, তাহলে তা হবে কর্মগত শিরক।

কেউ মাজারে গিয়ে শিরকে লিপ্ত হয় :

وَالَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ لَا يَخْلُقُوْنَ شَيْئًا وَّهُمْ يُخْلَقُوْنَ اَمْوَاتٌ غَيْرُ اَحْيَآءٍۚ وَمَا يَشْعُرُوْنَ اَيَّانَ يُبْعَثُوْنَ

তারা আল্লাহ ব্যতীত অপর যাদেরকে আহবান করে, তারা কিছুই সৃষ্টি করে না; অথচ তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। সেগুলো তো কতিপয় মৃত বস্তু মাত্র, তারা জীবিত নয়। অথচ তাদের এতটুকুও বোধশক্তি নেই যে, তাদেরকে আবার কখন উঠিয়ে আনা হবে। (সূরা নাহল- ২০, ২১)

ব্যাখ্যা : ‘তারা জানে না যে, কবে তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে’- এ বাক্যের মাধ্যমে যেসব বানোয়াট উপাস্যের প্রতিবাদ করা হচ্ছে তারা ফেরেশতা, জিন, শয়তান বা কাঠ-পাথরের মূর্তি নয়, বরং তারা হচ্ছে কবরবাসী। কারণ ফেরেশতা ও শয়তানরা তো জীবিত আছে, তাদের প্রতি মৃত শব্দ প্রযোজ্য হতে পারে না। আর কাঠ-পাথরের মূর্তির ক্ষেত্রে মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের কোন প্রশ্নই ওঠে না। তাই এখানে মানুষ আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব কবরস্থ নবী, পীর, আউলিয়া, শহীদ ও সৎ ব্যক্তিবর্গকে প্রতিকারকারী, আশ্রয়দাতা, ধনদাতা এবং আরো কত কিছু মনে করে নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্য ডাকে, তাদেরকে বুঝানো হয়েছে। যারা এসব করে তারা স্পষ্ট শিরকের মধ্যে লিপ্ত রয়েছে। মৃত লোকেরাই ছিল আরব মুশরিকদের বহু লোকের উপাস্য। পরবর্তী প্রজন্ম পূর্ববর্তী মৃত লোকদেরকে নিজেদের উপাস্য বানিয়ে নিয়েছিল। ওয়াদ, সুওয়া, ইয়াগূস, ইয়াউক ও নাসর- এসবই ছিল পূর্ব যুগের সৎ লোকদের নাম। তারা মৃত্যুবরণ করার পর শয়তানের প্ররোচনায় পরবর্তী যুগের লোকেরা তাদের মূর্তি নির্মাণ করেছিল। এরপর ধীরে ধীরে কালের আবর্তনে লোকেরা তাদেরকেই রিযিকদাতা, আশ্রয়দাতা, সুপারিশকারী এমনকি উপাস্য বানিয়ে নিয়েছিল। আয়েশা (রাঃ) এর বর্ণনা অনুযায়ী, ইসাফ ও নায়েলাহ উভয়ই মানুষ ছিল। এ ধরনের বর্ণনা লাত, মানাত ও উযযা সম্পর্কেও পাওয়া যায়।

মাজারওয়ালারা কারো আহবানে সাড়া দিতে পারে না :

اِنْ تَدْعُوْهُمْ لَا يَسْمَعُوْا دُعَآءَكُمْۚ وَلَوْ سَمِعُوْا مَا اسْتَجَابُوْا لَكُمْؕ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكْفُرُوْنَ بِشِرْكِكُمْؕ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثْلُ خَبِيْرٍ

যদি তোমরা তাদেরকে আহবান কর, তবে তারা তোমাদের আহবানে সাড়া দেবে না। কিয়ামতের দিন তারা তোমাদের শিরক করাকে অস্বীকার করবে। সর্বজ্ঞ আল্লাহর ন্যায় কেউই তোমাকে সঠিক সংবাদ দিতে পারবে না। (সূরা ফাতির- ১৪)

وَمَنْ اَضَلُّ مِمَّنْ يَّدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللهِ مَنْ لَّا يَسْتَجِيْبُ لَهٗۤ اِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَآئِهِمْ غَافِلُوْنَ

ঐ লোকের চেয়ে বেশি গোমরাহ আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামতের দিন পর্যন্তও কোন সাড়া দেবে না। বরং তাদেরকে যে ডাকা হয়েছে, সে কথা তারা জানেই না। (সূরা আহকাফ- ৫)

কিয়ামতের দিন তারা মানুষের ডাককে অস্বীকার করবে :

وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ثُمَّ نَقُوْلُ لِلَّذِيْنَ اَشْرَكُوْا مَكَانَكُمْ اَنْتُمْ وَشُرَكَآؤُكُمْۚ فَزَيَّلْنَا بَيْنَهُمْ وَقَالَ شُرَكَآؤُهُمْ مَّا كُنْتُمْ اِيَّانَا تَعْبُدُوْنَ فَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا ۢبَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ اِنْ كُنَّا عَنْ عِبَادَتِكُمْ لَغَافِلِيْنَ

সেদিন আমি তাদের সকলকে একত্র করে মুশরিকদেরকে বলব, তোমরা এবং তোমরা যাদেরকে শরীক করেছিলে তারা স্ব স্ব স্থানে অবস্থান করো। অতঃপর আমি তাদেরকে পরস্পর হতে পৃথক করে দেব, তখন তারা যাদেরকে শরীক করেছিল তারা বলবে, তোমরা তো আমাদের ইবাদাত করতে না। তোমরা যে আমাদের ইবাদাত করতে এবং আমরা যে এ বিষয়ে গাফিল ছিলাম- এর সাক্ষ্য হিসেবে আমাদের ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা ইউনুস- ২৮, ২৯)

তারা নিজেরাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী :

قُلِ ادْعُوا الَّذِيْنَ زَعَمْتُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ فَلَا يَمْلِكُوْنَ كَشْفَ الضُّرِّ عَنْكُمْ وَلَا تَحْوِيْلًا اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ يَبْتَغُوْنَ اِلٰى رَبِّهِمُ الْوَسِيْلَةَ اَيُّهُمْ اَقْرَبُ وَيَرْجُوْنَ رَحْمَتَهٗ وَيَخَافُوْنَ عَذَابَهٗؕ اِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ كَانَ مَحْذُوْرًا

বলো, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ইলাহ্ মনে কর তাদেরকে আহবান করো। তবে দেখতে পাবে যে, তোমাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করার অথবা একে পরিবর্তন করার কোন শক্তি তাদের নেই। তারা যাদেরকে আহবান করে তারাই তো এভাবে তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে কত নিকটতর হতে পারে। তারা তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের শাস্তি খুবই ভয়াবহ। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৫৬, ৫৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন