hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬৫
অধ্যায়- ৬ : মোহরানা আদায়ের গুরুত্ব
মোহরের বিনিময়েই স্ত্রী হালাল হয় :

وَاُحِلَّ لَكُمْ مَّا وَرَآءَ ذٰلِكُمْ اَنْ تَبْتَغُوْا بِاَمْوَالِكُمْ مُّحْصِنِيْنَ غَيْرَ مُسَافِحِيْنَ

এদের ছাড়া অন্যান্য নারীদেরকে বিয়ে করা তোমাদের জন্য হালাল- এ শর্তে যে, তোমরা তাদেরকে সম্পদের (মোহরানার) বিনিময়ে বিয়ে করার জন্য কামনা করবে, ব্যভিচারের জন্য নয়। (সূরা নিসা- ২৪)

মোহরানা আদায় করা স্বামীর উপর ফরয :

فَاٰتُوْهُنَّ اُجُوْرَهُنَّ فَرِيْضَةً

তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে দিয়ে দেবে। (সূরা নিসা- ২৪)

খুশি মনে স্ত্রীর মোহর দিতে হবে :

وَاٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً

নারীদেরকে সন্তুষ্টচিত্তে তাদের মোহর দিয়ে দাও। (সূরা নিসা- ৪)

স্ত্রী স্বেচ্ছায় ক্ষমা করে দিলে স্বামী গোনাহগার হবে না :

وَاٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَاِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوْهُ هَنِيْٓئًا مَّرِيْٓئًا

নারীদেরকে তাদের মোহর প্রদান করো, কিন্তু যদি তারা সন্তুষ্টচিত্তে (মোহরের) কিছু অংশ তোমাদেরকে দিয়ে দেয়, তবে (তা) তৃপ্তির সাথে ভোগ করো। (সূরা নিসা- ৪)

মোহর ঠিক করার পরেও স্বামী-স্ত্রী কমবেশি করতে পারে :

وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيْمَا تَرَاضَيْتُمْ بِهٖ مِنْ ۢبَعْدِ الْفَرِيْضَةِؕ اِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيْمًا حَكِيْمًا

যদি মোহর ধার্য করার পরও কোন বিষয়ে তোমরা উভয়ে একমত হও, তবে তোমাদের কোন গোনাহ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা- ২৪)

সহবাসের আগে তালাক দিলেও অর্ধেক মোহর দিতে হবে :

وَاِنْ طَلَّقْتُمُوْهُنَّ مِنْ قَبْلِ اَنْ تَمَسُّوْهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيْضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ

যদি তোমরা মোহর ধার্য করার পর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তালাক দিয়ে দাও, তবে যা (মোহর হিসেবে) নির্ধারণ করেছ (স্ত্রী) তার অর্ধেক পাবে। (সূরা বাক্বারা- ২৩৭)

ব্যাখ্যা : সম্পর্ক স্থাপন করার পর ভেঙে দেয়ার কারণে স্ত্রীলোকের অবশ্যই কিছু না কিছু ক্ষতি হয়ে যায়। সাধ্যমতো এ ক্ষতি পূরণ করার জন্যই আল্লাহ এ নির্দেশ দিয়েছেন।

অনেক মোহরানা দিলেও তা ফেরত নেয়া যাবে না :

وَاِنْ اَرَدْتُّمُ اسْتِبْدَالَ زَوْجٍ مَّكَانَ زَوْجٍ وَّاٰتَيْتُمْ اِحْدَاهُنَّ قِنْطَارًا فَلَا تَأْخُذُوْا مِنْهُ شَيْئًاؕ اَتَأْخُذُوْنَهٗ بُهْتَانًا وَّاِثْمًا مُّبِيْنًا وَكَيْفَ تَأْخُذُوْنَهٗ وَقَدْ اَفْضٰى بَعْضُكُمْ اِلٰى بَعْضٍ وَّاَخَذْنَ مِنْكُمْ مِّيْثَاقًا غَلِيْظًا

আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করতে চাও এবং তাদের কাউকে অঢেল সম্পদও দিয়ে থাক, তবুও তা থেকে কিছুই গ্রহণ করবে না। তোমরা কি তা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপাচারের মাধ্যমে গ্রহণ করতে চাও। আর কীভাবে তোমরা তা গ্রহণ করবে, অথচ তোমরা একে অপরের সাথে মিলিত হয়েছ এবং তোমাদের নিকট থেকে তারা (স্ত্রীরা) দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছে। (সূরা নিসা- ২০, ২১)

জোরপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হওয়া হালাল নয় :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا يَحِلُّ لَكُمْ اَنْ تَرِثُوا النِّسَآءَ كَرْهًاؕ وَلَا تَعْضُلُوْهُنَّ لِتَذْهَبُوْا بِبَعْضِ مَاۤ اٰتَيْتُمُوْهُنَّ اِلَّاۤ اَنْ يَّأْتِيْنَ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍۚ وَعَاشِرُوْهُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ

হে ঈমানদারগণ! জোরপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হওয়া তোমাদের জন্য হালাল নয়। আর তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ তা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে বন্দি করে রেখো না, কিন্তু তারা যদি প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় (তাহলে ভিন্ন কথা)। আর তোমরা তাদের সাথে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করো। (সূরা নিসা- ১৯)

শানে নুযূল : জাহেলীযুগে নিয়ম ছিল, পিতার মৃত্যুর পর ছেলেরা সৎমাতাকে গৃহে আবদ্ধ রেখে তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদ আত্মসাৎ করে নিত। ছেলে না থাকলে মৃত ব্যক্তির ভাইয়েরা ভাইয়ের স্ত্রীকে নানা উপায়ে কষ্ট দিয়ে তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করত। এ অন্যায় বন্ধ করার জন্য উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন