hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭১
অধ্যায়- ২ : ইবাদাত পাওয়ার উপযুক্ত একমাত্র আল্লাহ
আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই :

وَمَا مِنْ اِلٰهٍ اِلَّا اللهُ

আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। (সূরা আলে ইমরান- ৬২)

ذٰلِكُمُ اللهُ رَبُّكُمْؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوْهُ

তিনিই তো আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক; তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তিনিই সবকিছুর স্রষ্টা; সুতরাং তোমরা তাঁরই ইবাদাত করো। (সূরা আন‘আম- ১০২)

اِنَّمَاۤ اِلٰهُكُمُ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ

তোমাদের ইলাহ্ তো কেবল আল্লাহই, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। (সূরা ত্বা-হা- ৯৮)

وَهُوَ اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَؕ لَهُ الْحَمْدُ فِى الْاُوْلٰى وَالْاٰخِرَةِ وَلَهُ الْحُكْمُ وَاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ

তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, দুনিয়া ও আখিরাতে সমস্ত প্রশংসা তাঁরই; বিধান তাঁরই, তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা ক্বাসাস- ৭০)

আসমান ও জমিনে একই উপাস্য :

وَهُوَ الَّذِيْ فِى السَّمَآءِ اِلٰهٌ وَّ فِى الْاَرْضِ اِلٰهٌ وَّهُوَ الْحَكِيْمُ الْعَلِيْمُ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে তিনিই মা‘বুদ; তিনিই প্রজ্ঞাবান এবং সর্বজ্ঞ। (সূরা যুখরুফ- ৮৪)

আল্লাহ ছাড়া অন্য সব উপাস্যই মিথ্যা :

ذٰلِكَ بِاَنَّ اللهَ هُوَ الْحَقُّ وَاَنَّ مَا يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِه هُوَ الْبَاطِلُ

এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আল্লাহই সত্য এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে ডাকে, তা অসত্য। (সূরা হজ্জ- ৬২)

তাওহীদের ব্যাপারে আল্লাহর শপথ :

وَالصَّآفَّاتِ صَفًّا فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا اِنَّ اِلٰهَكُمْ لَوَاحِدٌ

শপথ (সেসব ফেরেশতাদের) যারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। শপথ (সেসব ফেরেশতার) যারা সজোরে ধমক দেয়। শপথ (সেসব ফেরেশতার) যারা সদা আল্লাহর যিকির করে। অবশ্যই তোমাদের উপাস্য হচ্ছেন একজন। (সূরা সাফ্ফাত, ১-৪)

তাওহীদের ব্যাপারে আল্লাহর সাক্ষ্য হচ্ছে সবচেয়ে বড় :

قُلْ اَيُّ شَيْءٍ اَكْبَرُ شَهَادَةًؕ قُلِ اللهُ شَهِيْدٌ ۢبَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْؕ وَ اُوْحِيَ اِلَيَّ هٰذَا الْقُرْاٰنُ لِاُنْذِرَكُمْ بِهٖ وَ مَنْ ۢبَلَغَؕ اَئِنَّكُمْ لَتَشْهَدُوْنَ اَنَّ مَعَ اللهِ اٰلِهَةً اُخْرٰى ۚ قُلْ لَّاۤ اَشْهَدُۚ قُلْ اِنَّمَا هُوَ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ وَّاِنَّنِيْ بَرِيْٓءٌ مِّمَّا تُشْرِكُوْنَ

বলো, কোন্ সাক্ষ্য সবচেয়ে বড়? বলো, আল্লাহর (সাক্ষ্যই সবচেয়ে বড়); যিনি আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। এ কুরআন আমার নিকট ওহী করা হয়েছে, যেন আমি এর দ্বারা তোমাদেরকে এবং যার নিকট তা পৌঁছবে তাদেরকে ভয় দেখাতে পারি। তোমরা কি এ সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ্ আছে? বলো, আমি সে সাক্ষ্য দেই না। বলো, নিশ্চয় তিনিই একমাত্র ইলাহ্ এবং তোমরা যা শরীক কর তা হতে অবশ্যই আমি মুক্ত। (সূরা আন‘আম- ১৯)

ফেরেশতা ও জ্ঞানীদের সাক্ষ্য :

شَهِدَ اللهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ وَالْمَلَآئِكَةُ وَاُولُو الْعِلْمِ قَآئِمًا ۢبِالْقِسْطِؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া কোন মা‘বুদ নেই। (এ বিষয়ে আরো সাক্ষ্যদানকারী হচ্ছেন) ফেরেশতারা এবং জ্ঞানীরা। তিনি ন্যায়নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছাড়া কোন মা‘বুদ নেই; তিনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা আলে ইমরান- ১৮)

ব্যাখ্যা : আল্লাহর পর সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য হচ্ছে ফেরেশতাদের সাক্ষ্য। কারণ তারা হচ্ছেন বিশ্বের ব্যবস্থাপনার কার্যনির্বাহী ও কর্মচারী। তারা সরাসরি নিজেদের জ্ঞানের ভিত্তিতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, এ বিশ্বে আল্লাহ ছাড়া আর কারো হুকুম চলে না। পৃথিবী ও আকাশের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তিনি ছাড়া এমন কোন সত্তা নেই, যার কাছ থেকে তারা নির্দেশ গ্রহণ করতে পারে। ফেরেশতাদের পর এ সৃষ্টিজগতের যারাই প্রকৃত সত্য সম্পর্কে জ্ঞান রাখে, তাদের সর্বসম্মত সাক্ষ্য হচ্ছে, আল্লাহ একাই এ সমগ্র বিশ্বের নিয়ন্ত্রক, মালিক, পরিচালক ও প্রভু।

তাওহীদের পক্ষে ওহীর বাণী :

قُلْ اِنَّمَا يُوْحٰۤى اِلَيَّ اَنَّمَاۤ اِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَهَلْ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ

বলো, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একই ইলাহ। তবুও কি তোমরা আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে না? (সূরা আন্বিয়া- ১০৮)

قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَاْ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوْحٰۤى اِلَيَّ اَنَّمَاۤ اِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ

বলো, আমি তো তোমাদের মতোই একজন মানুষ। আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ মাত্র একজনই। (সূরা কাহফ- ১১০)

কুরআন পাঠানোর একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে তাওহীদের জ্ঞান দেয়া :

الٓرٰ كِتَابٌ اُحْكِمَتْ اٰيَاتُهٗ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِنْ لَّدُنْ حَكِيْمٍ خَبِيْرٍ اَلَّا تَعْبُدُوْاۤ اِلَّا اللهَ

আলিফ-লাম-রা। এ কুরআন হচ্ছে এমন একটি কিতাব, যার আয়াতসমূহকে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও সুবিন্যস্ত করে রাখা হয়েছে। অতঃপর এর বর্ণনাসমূহও বিশদভাবে বলে দেয়া হয়েছে। এ কিতাব এক প্রজ্ঞাময় সর্বজ্ঞ সত্তার কাছ থেকেই (তোমাদের কাছে এসেছে)। এর বক্তব্য হচ্ছে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করো না। (সূরা হুদ- ১, ২)

আল্লাহ আদমসন্তান থেকে তাওহীদের সাক্ষ্য নিয়েছেন :

وَاِذْ اَخَذَ رَبُّكَ مِنْ ۢبَنِيْۤ اٰدَمَ مِنْ ظُهُوْرِهِمْ ذُرِِّيَّتَهُمْ وَاَشْهَدَهُمْۚ عَلٰۤى اَنْفُسِهِمْ اَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوْا بَلٰىۚ شَهِدْنَاۚ اَنْ تَقُوْلُوْا يَوْمَ الْقِيَامَةِ اِنَّا كُنَّا عَنْ هٰذَا غَافِلِيْنَ

স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেছিলেন। অতঃপর তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে বলেছিলেন, আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই? তারা বলেছিল, হ্যাঁ- অবশ্যই আমরা সাক্ষী রইলাম। এটা এজন্য যে, তোমরা যেন কিয়ামতের দিন বলতে না পার যে, আমরা তো এ বিষয়ে গাফিল ছিলাম। (সূরা আ‘রাফ- ১৭২)

ব্যাখ্যা : আদম (আঃ) থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ জন্মগ্রহণ করবে তাদের সবাইকে আল্লাহ তা‘আলা একই সঙ্গে সচেতন সত্তায় আবির্ভূত করে নিজের সামনে উপস্থিত করেছিলেন এবং তাদের কাছ থেকে তাঁর রব হওয়ার ব্যাপারে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছিলেন। তাদেরকে নিজেদের উপর সাক্ষী বানিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আমি কি তোমাদের রব নই? তখন তারা সবাই বলেছে, অবশ্যই আপনি আমাদের রব। তখন আল্লাহ বললেন, কিয়ামতের দিন যাতে তোমরা না বলতে পার যে, আমরা তো এ বিষয়টি জানতাম না। এজন্যই আমি তোমাদের থেকে এ সাÿ্য নিয়েছি। ভালোভাবে জেনে রেখো, আমি ছাড়া ইবাদাত লাভের যোগ্য আর কেউ নেই এবং আমি ছাড়া আর কোন রবও নেই। তোমরা আমার সাথে আর কাউকে শরীক করো না। আমি তোমাদের কাছে আমার নবী পাঠাব। তোমরা আমার সাথে যেসব অঙ্গীকার করেছ, নবীগণ তোমাদেরকে সেসব স্মরণ করিয়ে দেবেন। আর তোমাদের প্রতি কিতাবও নাযিল করব। তখন সকল মানুষ বলে ওঠে- ‘‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমিই আমাদের রব, তুমিই আমাদের মা‘বুদ, তুমি ছাড়া আমাদের আর কোন রব কিংবা মা‘বুদ নেই।’’

অনাদিকালের এ অঙ্গীকারটিকে কিয়ামতের দিন মানুষের বিরুদ্ধে একটি প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হবে। মানবজাতির মধ্য থেকে যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহাত্মক আচরণ করবে তারা যেন নিজেরাই নিজেদের এ অপরাধের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী হয়। নিজেদের অজুহাত পেশ করার কোন সুযোগ যেন তাদের না থাকে। সেই অঙ্গীকারের কথা এখন মানুষের স্মরণ নেই। যদি মানুষের চেতনা ও স্মৃতিপটে তা জাগ্রত রাখা হতো, তাহলে মানুষকে দুনিয়ার বর্তমান পরীক্ষাগারে পাঠানোর ব্যাপারটা একেবারে অর্থহীন হয়ে যেত। কারণ তখন পরীক্ষার আর কোন অর্থই থাকত না। তাই এ অঙ্গীকারের কথা স্মৃতিপটে জাগ্রত রাখা হয়নি, কিন্তু অবচেতন মনে তাকে অবশ্যই সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। যেদিন হিসাব-নিকাশ ও বিচারের আদালত প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন মহান স্রষ্টা তাদের স্মৃতিতে সৃষ্টির প্রথম দিনের সেই স্মৃতিগুলো জাগিয়ে তুলবেন।

তাওহীদ গ্রহণের জন্য বনী ইসরাঈল থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ :

وَاِذْ اَخَذْنَا مِيْثَاقَ بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ لَا تَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللهَ

স্মরণ করো, যখন আমি বনী ইসরাঈল হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদাত করবে না। (সূরা বাক্বারা- ৮৩)

এক আল্লাহর ইবাদাত করাই জিন ও মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য :

وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْاِنْسَ اِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ

আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি এজন্য যে, তারা কেবল আমারই ইবাদাত করবে। (সূরা যারিয়াত- ৫৬)

তাওহীদের ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ :

وَقُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَّلَمْ يَكُنْ لَّهٗ شَرِيْكٌ فِى الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيْرًا

বলো, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। তার সার্বভৌমত্বে কোন অংশীদার নেই এবং তিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং যথাযথ মর্যাদায় তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা করো। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১১১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন