hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩১৩
পর্ব- ৩৭ : ফেরেশতা অধ্যায়- ১ : ফেরেশতাদের কার্যাবলি
ফেরেশতারা আল্লাহর গুণগান করে ও আরশ বহন করে :

اَلَّذِيْنَ يَحْمِلُوْنَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَهٗ يُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُوْنَ بِهٖ

যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চারপাশে রয়েছে, তারা প্রশংসার সাথে তাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। (সূরা মু’মিন- ৭)

ফেরেশতারা আল্লাহর ইবাদাতে ক্লান্ত হয় না :

وَلَه مَنْ فِى السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِؕ وَمَنْ عِنْدَهٗ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِهٖ وَلَا يَسْتَحْسِرُوْنَ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা আছে সবই তাঁর। আর যারা তাঁর সান্নিধ্যে আছে তারা অহংকারবশে তাঁর ইবাদাত করা হতে বিমুখ হয় না এবং ক্লামিত্মও বোধ করে না। (সূরা আম্বিয়া- ১৯)

اِنَّ الَّذِيْنَ عِنْدَ رَبِّكَ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِهٖ وَيُسَبِّحُوْنَهٗ وَلَهٗ يَسْجُدُوْنَ

যারা তোমার প্রতিপালকের সান্নিধ্যে রয়েছে তারা অহংকারে তাঁর ইবাদাত হতে বিমুখ হয় না, বরং তারা তাঁরই পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং তাঁরই নিকট সিজদাবনত হয়। (সূরা আ‘রাফ- ২০৬)

ফেরেশতারা আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে :

يُسَبِّحُوْنَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُوْنَ

তারা দিনে ও রাত্রে (সর্বদায়) তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, আর তারা এতে শৈথিল্য করে না। (সূরা আম্বিয়া- ২০)

ফেরেশতারা আল্লাহর জন্য সিজদা করে :

وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَرْضِ مِنْ دَآبَّةٍ وَّالْمَلَآئِكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ

আকাশমন্ডলী ও জমিনের মধ্যে যেসব জীবজন্তু আছে সকলেই আল্লাহকে সিজদা করে। আর ফেরেশতাগণও (তাঁকে সিজদা করে) এবং তারা অহংকার করে না। (সূরা নাহল- ৪৯)

ফেরেশতারা আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেয় :

شَهِدَ اللهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ وَالْمَلَآئِكَةُ وَاُولُو الْعِلْمِ قَآئِمًا ۢبِالْقِسْطِؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া কোন মা‘বুদ নেই। (এ বিষয়ে আরো সাক্ষ্যদানকারী হচ্ছেন) ফেরেশতা ও জ্ঞানীগণ। তিনি ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা আলে ইমরান- ১৮)

ফেরেশতারা কুরআনের সত্যতার সাক্ষ্য দেয় :

لٰكِنِ اللهُ يَشْهَدُ بِمَاۤ اَنْزَلَ اِلَيْكَ اَنْزَلَهٗ بِعِلْمِهٖۚ وَالْمَلَآئِكَةُ يَشْهَدُوْنَؕ وَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا

আল্লাহ এ মর্মে সাক্ষ্য দেন যে, তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন তা নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতাগণও এর সাক্ষ্য দেয়। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা নিসা- ১৬৬)

ফেরেশতাদের আকৃতি বিভিন্ন রকম :

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ جَاعِلِ الْمَلَآئِكَةِ رُسُلًا اُولِۤيْ اَجْنِحَةٍ مَّثْنٰى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَؕ يَزِيْدُ فِى الْخَلْقِ مَا يَشَآءُؕ اِنَّ اللهَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি ফেরেশতাদেরকে করেছেন সংবাদ বাহক, যারা দুই দুই, তিন তিন ও চার চার ডানা বিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টির মধ্যে যা ইচ্ছা বাড়িয়ে দেন; নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা ফাতির- ১)

তারা মানুষের আকৃতি ধারণ করে কথা বলতে পারেন :

فَاَرْسَلْنَاۤ اِلَيْهَا رُوْحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا قَالَتْ اِنِّۤيْ اَعُوْذُ بِالرَّحْمٰنِ مِنْكَ اِنْ كُنْتَ تَقِيًّا قَالَ اِنَّمَاۤ اَنَاْ رَسُوْلُ رَبِّكِ لِاَهَبَ لَكِ غُلَامًا زَكِيًّا

অতঃপর আমি তার নিকট আমার রূহকে (জিবরাঈল) পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল। মারইয়াম বলল, আল্লাহকে ভয় করো যদি তুমি ‘মুত্তাক্বী’ হও, আমি তোমার হতে দয়াময়ের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সে বলল, আমি তো তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত হয়েছি, তোমাকে একটি পবিত্র পুত্র দান করার জন্য। (সূরা মারইয়াম, ১৭-১৯)

আদম (আঃ) সৃষ্টির সময় ফেরেশতাদের সাথে আল্লাহর আলোচনা :

وَاِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَآئِكَةِ اِنِّيْ جَاعِلٌ فِى الْاَرْضِ خَلِيْفَةًؕ قَالُوْاۤ اَ تَجْعَلُ فِيْهَا مَنْ يُّفْسِدُ فِيْهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَآءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ اِنِّۤيْ اَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ

(স্বরণ করো, সেই সময়ের কথা) যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, নিশ্চয় আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করব। তখন তারা বলল, আপনি কি এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যারা সেখানে বিবাদ করবে এবং রক্তপাত করবে? অথচ আমরাই তো আপনার গুণগান করছি এবং আপনারই পবিত্রতা বর্ণনা করে থাকি। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি যা জানি তোমরা তা জান না। (সূরা বাক্বারা- ৩০)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ আমরা আপনার দাস, আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তাসবীহ পড়ছি। তাহলে এখন আর কিসের অভাব? জবাবে আল্লাহ বলেন, খলীফা নিযুক্ত করার জন্য যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা আমি জানি, কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পারবে না। তোমরা নিজেদের যেসব কাজের কথা বলছ, সেগুলোই যথেষ্ট নয়। আমি এর চেয়েও বেশি কিছু চাই। তাই পৃথিবীতে ক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন একটি জীব সৃষ্টি করার সংকল্প করেছি।

ফেরেশতারা আদম (আঃ) কে সিজদা করেছেন :

وَاِذْ قُلْنَا لِلْمَلَآئِكَةِ اسْجُدُوْا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوْاۤ اِلَّاۤ اِبْلِيْسَ اَبٰى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِيْنَ

যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বলেছিলাম যে, তোমরা আদমকে সিজদা করো, তখন ইবলিস ব্যতীত সকলেই সিজদা করেছিল। সে অস্বীকার করল ও অহংকার করল, ফলে সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। (সূরা বাক্বারা- ৩৪)

আল্লাহ ফেরেশতাদের দ্বারা মানুষকে সাহায্য করেন :

اِذْ تَسْتَغِيْثُوْنَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ اَنِّيْ مُمِدُّكُمْ بِاَلْفٍ مِّنَ الْمَلَآئِكَةِ مُرْدِفِيْنَ

স্মরণ করো, যখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে তখন তিনি তোমাদেরকে জবাব দিয়েছিলেন যে, আমি তোমাদেরকে পর পর আগমনকারী এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা সাহায্য করব। (সূরা আনফাল- ৯)

ফেরেশতাদের মধ্যে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বার্তাবাহক নির্বাচন করেন :

اَللهُ يَصْطَفِيْ مِنَ الْمَلَآئِكَةِ رُسُلًا وَّمِنَ النَّاسِ۪ اِنَّ اللهَ سَمِيْعٌ ۢبَصِيْرٌ

আল্লাহ ফেরেশতাদের মধ্য হতে মনোনীত করেন বার্তাবাহক এবং মানুষের মধ্য হতেও; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা হজ্জ- ৭৫)

জিবরাঈল (আঃ) ওহী নিয়ে আসেন :

قُلْ مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيْلَ فَاِنَّهٗ نَزَّلَهٗ عَلَى قَلْبِكَ بِاِذْنِ اللّٰهِ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَّبُشْرٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ

যে ব্যক্তি জিবরাঈলের সাথে শত্রুতা রাখে তাকে বলে দাও, তিনিই তো আল্লাহর হুকুমে এ কুরআনকে তোমার অন্তঃকরণে পৌঁছে দেন, যা তার পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়ন করে এবং মুমিনদেরকে পথপ্রদর্শন করে ও সুসংবাদ দেয়। (সূরা বাক্বারা- ৯৭)

জিবরাঈল (আঃ) খুবই শক্তিশালী ও জ্ঞানী :

عَلَّمَهٗ شَدِيْدُ الْقُوٰى ذُوْ مِرَّةٍؕ فَاسْتَوٰى

তাকে (ওহী) শিক্ষা দান করেছে এমন একজন (ফেরেশতা), যিনি প্রবল শক্তির অধিকারী, বুদ্ধিমত্তার অধিকারী; অতঃপর তিনি একদিন নিজ আকৃতিতে (নবীর সামনে এসে) দাঁড়ালেন। (সূরা নাজম- ৫, ৬)

ক্বদরের রাতে অনেক ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় :

تَنَزَّلُ الْمَلَآئِكَةُ وَالرُّوْحُ فِيْهَا بِاِذْنِ رَبِّهِمْ مِّنْ كُلِّ اَمْرٍ

এ রাতে প্রত্যেক বিষয়ের জন্য তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয়। (সূরা ক্বদর- ৪)

ফেরেশতারা মানুষের জন্য দু‘আ করেন :

اَلَّذِيْنَ يَحْمِلُوْنَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَهٗ يُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُوْنَ بِهٖ وَيَسْتَغْفِرُوْنَ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۚ رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَّعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِيْنَ تَابُوْا وَاتَّبَعُوْا سَبِيْلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيْمِ رَبَّنَا وَاَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنِ نِ الَّتِيْ وَعَدْتَّهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآئِهِمْ وَاَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْؕ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمِ وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِؕ وَمَنْ تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗؕ وَذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ

যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চতুষ্পার্শেব রয়েছে, তারা তাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে; আর তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে। (তারা বলে) হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি সকল কিছুকেই (আপনার) জ্ঞান ও রহমত দ্বারা পরিবেষ্টন করে আছেন। অতএব যারা ফিরে আসে ও আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তাদেরকে প্রবেশ করান স্থায়ী জান্নাতে, যার অঙ্গীকার আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তাদেরকেও (দিয়েছেন)। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান। আর আপনি তাদেরকে মন্দকাজসমূহ হতে রক্ষা করুন। আপনি যাকে মন্দকাজসমূহ হতে রক্ষা করেন সেটাই তো তার উপর আপনার অনুগ্রহ। আর এটাই তো মহাসাফল্য। (সূরা মু’মিন, ৭-৯)

ফেরেশতারা নবী ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করে :

اِنَّ اللهَ وَمَلَآئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّؕ يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারাও নবীর জন্য রহমত প্রার্থনা করে। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তার জন্য রহমত প্রার্থনা করো এবং তার প্রতি সালাম প্রেরণ করো। (সূরা আহযাব- ৫৬)

ফেরেশতারা জান্নাতবাসীদেরকে সালাম জানাবে :

وَالْمَلَآئِكَةُ يَدْخُلُوْنَ عَلَيْهِمْ مِّنْ كُلِّ بَابٍ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ

ফেরেশতাগণ তাদের নিকট উপস্থিত হবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে এবং বলবে, তোমরা ধৈর্যধারণ করেছ বলে তোমাদের প্রতি শামিত্ম; এ পরিণাম কতই না উত্তম! (সূরা রা‘দ- ২৩, ২৪)

মৃত্যুর ফেরেশতা প্রাণীর জান কবজ করে :

قُلْ يَتَوَفَّاكُمْ مَّلَكُ الْمَوْتِ الَّذِيْ وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ اِلٰى رَبِّكُمْ تُرْجَعُوْنَ

আপনি বলে দিন, তোমাদের (জীবন হরণের) দায়িত্বে নিয়োজিত মৃত্যুর ফেরেশতা তোমাদের জীবন হরণ করবে। তারপর তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে। (সূরা সাজদা- ১১)

মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা কাফিরদেরকে প্রহার করে :

وَلَوْ تَرٰۤى اِذْ يَتَوَفَّى الَّذِيْنَ كَفَرُوا الْمَلَآئِكَةُ يَضْرِبُوْنَ وُجُوْهَهُمْ وَاَدْبَارَهُمْۚ وَذُوْقُوْا عَذَابَ الْحَرِيْقِ

তুমি যদি (সেই ভয়াবহ অবস্থা) দেখতে পেতে, যখন ফেরেশতাগণ কাফিরদের মুখমন্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করে তাদের প্রাণ হরণ করে এবং বলে, তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ করো। (সূরা আনফাল- ৫০)

মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা নেককারদেরকে সালাম জানায় :

اَلَّذِيْنَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَآئِكَةُ طَيِّبِيْنَ يَقُوْلُوْنَ سَلَامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

ফেরেশতাগণ পবিত্র থাকাবস্থায় যাদের মৃত্যু ঘটায় তাদেরকে বলে, তোমাদের প্রতি শান্তি! তোমরা যা করতে তার ফলে জান্নাতে প্রবেশ করো। (সূরা নাহল- ৩২)

ফেরেশতারা আল্লাহর আরশ ঘিরে আছেন :

وَتَرَى الْمَلَآئِكَةَ حَآفِّيْنَ مِنْ حَوْلِ الْعَرْشِ يُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ

তুমি ফেরেশতাদেরকে দেখতে পাবে যে, তারা আরশের চারদিক ঘিরে তাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও প্রশংসা করছে। (সূরা যুমার- ৭৫)

কিয়ামতের দিন আটজন ফেরেশতা আরশ বহন করবে :

وَالْمَلَكُ عَلٰۤى اَرْجَآئِهَاؕ وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ

ফেরেশতাগণ তাঁর পার্শ্বে থাকবে এবং সেদিন আটজন ফেরেশতা তোমার প্রতিপালকের আরশকে তাদের উপর বহন করবে। (সূরা হাক্কাহ- ১৭)

কিয়ামতের দিন ফেরেশতারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে :

يَوْمَ يَقُوْمُ الرُّوْحُ وَالْمَلَآئِكَةُ صَفًّا لَّا يَتَكَلَّمُوْنَ اِلَّا مَنْ اَذِنَ لَهُ الرَّحْمٰنُ وَقَالَ صَوَابًا

সেদিন রূহ ও ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। অতঃপর দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন, সে ব্যতীত অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না। আর সে (যা বলবে) সঠিক বলবে। (সূরা নাবা- ৩৮)

وَجَآءَ رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا

যখন আপনার পালনকর্তা উপস্থিত হবেন তখন ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধ থাকবে। (সূরা ফাজর- ২২)

জাহান্নামের শাস্তির কাজে ফেরেশতারা নিয়োজিত রয়েছে :

عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ وَمَا جَعَلْنَاۤ اَصْحَابَ النَّارِ اِلَّا مَلَآئِكَةً۪ وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ اِلَّا فِتْنَةً لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا

সেখানে (জাহান্নামে) রয়েছে ঊনিশজন (প্রহরী)। আর আমি ফেরেশতাদেরকেই জাহান্নামের প্রহরী বানিয়েছি এবং কাফিরদের পরীক্ষার জন্যই তাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছি। (সূরা মুদ্দাসসির- ৩০, ৩১)

জাহান্নামের ফেরেশতারা কঠোর হৃদয়ের অধিকারী :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قُوْاۤ اَنْفُسَكُمْ وَاَهْلِيْكُمْ نَارًا وَّقُوْدُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَآئِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا يَعْصُوْنَ اللهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ

হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে ঐ অগ্নি হতে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর। যেখানে নিয়োজিত আছে কঠোর ও নির্মম হৃদয়ের অধিকারী ফেরেশতাগণ, যারা আল্লাহ যা আদেশ করেন তা অমান্য করে না এবং তাঁরা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই করেন। (সূরা তাহরীম- ৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন