hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৫৫
অধ্যায়- ২ : হালাল উপার্জনের গুরুত্ব
আল্লাহ জীবিকা অর্জনের জন্য দিন সৃষ্টি করে দিয়েছেন :

وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا

আমি দিবসকে জীবিকা অর্জনের মাধ্যম করেছি। (সূরা নাবা- ১১)

উপার্জনের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন :

وَتَرَى الْفُلْكَ مَوَاخِرَ فِيْهِ وَلِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ

তোমরা দেখতে পাও যে, সমুদ্রের বুক চিরে নৌযান চলাচল করে। এটা এজন্য যে, যাতে করে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সূরা নাহল- ১৪)

সালাত শেষে হালাল রুজী অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন :

فَاِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوْا فِى الْاَرْضِ وَابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللهِ وَاذْكُرُوا اللهَ كَثِيْرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ

অতঃপর যখন সালাত শেষ হয় তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো। আর তোমরা আল্লাহকে অধিক হারে স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা জুমু‘আ- ১০)

হালাল জিনিস উপভোগ করতে বাধা নেই :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُحَرِّمُوْا طَيِّبَاتِ مَاۤ اَحَلَّ اللهُ لَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوْاؕ اِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ

হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য যেসব পবিত্র বস্তু হালাল করে দিয়েছেন, তোমরা সেগুলোকে হারাম করো না এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা মায়েদা- ৮৭)

قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِيْنَةَ اللهِ الَّتِيْۤ اَخْرَجَ لِعِبَادِهٖ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِؕ قُلْ هِيَ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا خَالِصَةً يَّوْمَ الْقِيَامَةِ

বলো, আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের জন্য যেসব সৌন্দর্যমন্ডিত বস্তু ও পবিত্র জীবিকা সৃষ্টি করেছেন, কে তা হারাম করেছে? বলো, এগুলো পার্থিব জীবনে (জীবিকাস্বরূপ) মুমিনদের জন্য দেয়া হয়েছে। আর কিয়ামতের দিন (এগুলো) কেবল তাদের জন্যই নির্দিষ্ট। (সূরা আ‘রাফ- ৩২)

ব্যাখ্যা : আল্লাহ দুনিয়ার সমস্ত শোভা-সৌন্দর্য এবং সমস্ত পাক-পবিত্র জিনিস তাঁর বান্দাদের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। এখন যদি কোন ধর্ম বা নৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা এগুলোকে হারাম অথবা আত্মিক উন্নতির প্রতিবন্ধক বলে গণ্য করে তাহলে বুঝতে হবে যে, সেটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসেনি। হালাল জীবিকা থেকে বঞ্চিত থাকা আল্লাহর কাছে প্রিয় নয়। বরং তাঁর দেয়া উত্তম পোশাক পরিধান করলে এবং পবিত্র ও হালাল খাবার ভক্ষণ করলেই তিনি বেশি খুশি হন। কেননা এসব নিয়ামত আল্লাহ ভোগ করার জন্যই দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ যখন হালালকে হারাম করার বা হারামকে হালাল করার জন্য তাঁর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রম করে, তখনই তিনি অসন্তুষ্ট হন। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সৃষ্ট সমস্ত জিনিস দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় জগতেই ঈমানদারদের জন্য নির্দিষ্ট। কারণ তারাই আল্লাহর বিশ্বস্ত প্রজা। আর একমাত্র বিশ্বস্ত ও অনুগত লোকেরাই অনুগ্রহ লাভের অধিকারী হতে পারে। কিন্তু দুনিয়ার বর্তমান ব্যবস্থাপনা যেহেতু পরীক্ষা ও অবকাশ দানের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত, তাই এখানে অধিকাংশ সময় আল্লাহর অনুগ্রহগুলো অকৃতজ্ঞদেরকেও দেয়া হয়। তবে আখিরাতের জীবনের আরাম-আয়েশের সমস্ত উপকরণ একমাত্র কৃতজ্ঞ বান্দাদের জন্যই নির্ধারিত থাকবে, নাফরমানরা সেখানে কিছুই পাবে না।

আল্লাহকে ভয় করে চললে রিযিক বৃদ্ধি পায় :

وَلَوْ اَنَّ اَهْلَ الْقُرٰۤى اٰمَنُوْا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ

যদি সকল জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত ও তাক্বওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কল্যাণের দ্বার উন্মুক্ত করে দিতাম। (সূরা আ‘রাফ- ৯৬)

وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ

যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার উপায় বের করে দেন এবং তিনি ঐ ব্যক্তিকে এমন দিক হতে রিযিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। (সূরা তালাক্ব- ২, ৩)

আল্লাহ পবিত্র ও হালাল রিযিক খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন :

فَكُلُوْا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللهُ حَلَالًا طَيِّبًا۪ وَاشْكُرُوْا نِعْمَتَ اللهِ اِنْ كُنْتُمْ اِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ

আল্লাহ তোমাদেরকে হালাল ও পবিত্র যা কিছু রিযিক হিসেবে দান করেছেন তোমরা তা হতে আহার করো এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদাত করে থাক। (সূরা নাহল- ১১৪)

পূর্ববর্তী উম্মতের উপরও এই নির্দেশ ছিল :

يَا بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ قَدْ اَنْجَيْنَاكُمْ مِّنْ عَدُوِّكُمْ وَوَاعَدْنَاكُمْ جَانِبَ الطُّوْرِ الْاَيْمَنَ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوٰى كُلُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَلَا تَطْغَوْا فِيْهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِيْۚ وَمَنْ يَّحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِيْ فَقَدْ هَوٰى

হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদেরকে শত্রু হতে উদ্ধার করেছিলাম এবং তূর পর্বতের দক্ষিণ পার্শ্বের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আর তোমাদের নিকট মান্না ও সালওয়া প্রেরণ করেছিলাম; (অতঃপর বলেছিলাম) তোমাদেরকে রিযিক হিসেবে যা দান করেছি তা হতে পবিত্র বস্তুসমূহ আহার করো এবং এ বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করো না, নতুবা তোমাদের উপর আমার ক্রোধ অবধারিত হয়ে যাবে। আর যার উপর আমার ক্রোধ অবধারিত হয়, সে ধ্বংস হয়ে যায়। (সূরা ত্বা-হা- ৮০, ৮১)

দান-সাদাকা কবুলের জন্য সম্পদ হালাল হওয়া অপরিহার্য :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَنْفِقُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّاۤ اَخْرَجْنَا لَكُمْ مِّنَ الْاَرْضِ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা উপার্জন করেছ এবং আমি জমিন থেকে যা উৎপন্ন করি, তার মধ্য হতে পবিত্র বস্তুসমূহ ব্যয় করো। (সূরা বাক্বারা- ২৬৭)

আমল কবুল হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হলো হালাল খাদ্য খাওয়া :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُلُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوْا لِلّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ اِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ

হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে জীবিকাস্বরূপ যা দান করেছি, সেসব পবিত্র বস্তুসমূহ হতে খাও এবং আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদাত করে থাক। (সূরা বাক্বারা- ১৭২)

يَاۤ اَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوْا صَالِحًاؕ اِنِّيْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِيْمٌ

হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার করো ও সৎকর্ম করো; নিশ্চয় তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত। (সূরা মু’মিনূন- ৫১)

ব্যাখ্যা : বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে আগমনকারী নবীদেরকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং স্থান-কালের ভিন্নতা সত্ত্বেও তাঁদের সকলকে একই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পবিত্র বস্তু বলতে এমন বস্তুসমূহকে বুঝানো হয়েছে, যা পবিত্র এবং হালাল পথে অর্জিত একজন মুসলিম যেমনিভাবে বৈরাগী ও যোগীদের মতো পবিত্র জীবিকা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে পারে না, ঠিক তেমনি সে দুনিয়াপূজারী ও ভোগবাদীর মতো হালাল-হারামের পার্থক্য না করে সব জিনিসে মুখও লাগাতে পারে না। সৎকাজ করার আগে পবিত্র ও হালাল জিনিস খাওয়ার নির্দেশের মধ্যে পরিষ্কারভাবে এ ইঙ্গিত রয়েছে যে, হারাম খেয়ে সৎকাজ করার কোন অর্থ হয় না। আল্লাহর কাছে সৎকর্ম কবুল হওয়ার শর্ত হচ্ছে, রিযিক হালাল হওয়া। যেহেতু আল্লাহ নিজে পবিত্র আর তিনি পবিত্র জিনিসই পছন্দ করেন; সেহেতু বস্তুটি হালাল হলেও তা হারাম পথে উপার্জনের কারণে অপবিত্র হওয়ায় তা আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন না।

হালাল-হারাম না জেনে খাওয়া কাফিরদের কাজ :

وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا يَتَمَتَّعُوْنَ وَيَأْكُلُوْنَ كَمَا تَأْكُلُ الْاَنْعَامُ وَالنَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ

আর যারা কুফরী করেছে তারা দুনিয়ায় কিছু দিনের স্বাদ ভোগ করছে ও চতুষ্পদ জন্তুর মতো খাওয়া-দাওয়া করছে। তবে জাহান্নামই হলো তাদের ঠিকানা। (সূরা মুহাম্মাদ- ১২)

ব্যাখ্যা : জীবজন্তু আহার করে অথচ আদৌ চিন্তা করে না যে, এ রিযিক কোথা থেকে এসেছে? কে তা তৈরি করেছে? আর এ রিযিকের সাথে তার উপর রিযিকদাতার কী কী অধিকার বর্তাচ্ছে? ঠিক তেমনি এসব লোকও শুধু খেয়ে যাচ্ছে, এর চেয়ে অধিক আর কোন চিন্তাই তাদের নেই।

অপবিত্র ও হারাম বস্তু খাওয়া শয়তানের কাজ :

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ كُلُوْا مِمَّا فِى الْاَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًاؗ وَلَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِؕ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ

হে মানবজাতি! পৃথিবীর মধ্যে যা হালাল ও পবিত্র তা হতে খাও। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাক্বারা- ১৬৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন