hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৩৫
অধ্যায়- ১৮ : মুসলিমদের উপর ফিরাউনের নির্যাতন
ফিরাউন মুসলিমদের উপর নির্যাতন শুরু করল :

وَقَالَ الْمَلَاُ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ اَتَذَرُ مُوْسٰى وَقَوْمَهٗ لِيُفْسِدُوْا فِى الْاَرْضِ وَيَذَرَكَ وَاٰلِهَتَكَؕ قَالَ سَنُقَتِّلُ اَبْنَآءَهُمْ وَنَسْتَحْيِيْ نِسَآءَهُمْۚ وَاِنَّا فَوْقَهُمْ قَاهِرُوْنَ

ফিরাউনের সম্প্রদায়ের প্রধানগণ বলল, আপনি কি মূসাকে ও তার সম্প্রদায়কে রাজ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে এবং আপনাকে ও আপনার দেবতাদেরকে বর্জন করতে দেবেন? সে বলল, আমরা তাদের পুত্রদেরকে হত্যা করব এবং তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখব। নিশ্চয় আমরা তাদের উপর ক্ষমতাবান।

(সূরা আ‘রাফু ১২৭)

সে মুসলিম শিশুদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দিল :

قَالُوا اقْتُلُوْاۤ اَبْنَآءَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ وَاسْتَحْيُوْا نِسَآءَهُمْؕ وَمَا كَيْدُ الْكَافِرِيْنَ اِلَّا فِيْ ضَلَالٍ

তারা বলল, যারা মূসার উপর ঈমান এনেছে, তাদের পুত্রসন্তানদেরকে হত্যা করো এবং তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখো, কিন্তু কাফিরদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবেই। (সূরা মু’মিনু ২৫)

মুসলিমদেরকে কুলক্ষণ মনে করতে লাগল :

فَاِذَا جَآءَتْهُمُ الْحَسَنَةُ قَالُوْا لَنَا هٰذِهٖۚ وَاِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَّطَّيَّرُوْا بِمُوْسٰى وَمَنْ مَّعَهٗؕ اَلَاۤ اِنَّمَا طَآئِرُهُمْ عِنْدَ اللهِ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ

যখন তাদের কোন কল্যাণ হতো তখন তারা বলত, এটা আমাদের প্রাপ্য। আর যখন কোন অকল্যাণ হতো, তখন তারা মূসা ও তার সঙ্গীদেরকে কুলক্ষণ হিসেবে গণ্য করত। (মূলত) তাদের অকল্যাণ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (সূরা আ‘রাফু ১৩১)

মুসলিমরা মূসা (আঃ) এর কাছে অভিযোগ করল :

قَالُوْاۤ اُوْذِيْنَا مِنْ قَبْلِ اَنْ تَأْتِيَنَا وَمِنْ ۢ بَعْدِ مَا جِئْتَنَا

তারা বলল, তুমি আমাদের নিকট আসার পূর্বে আমরা নির্যাতিত হয়েছি এবং তুমি আসার পরেও।

(সূরা আ‘রাফু ১২৯)

মূসা (আঃ) জাতিকে সান্ত্বনা দিলেন :

قَالَ عَسٰى رَبُّكُمْ اَنْ يُّهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِى الْاَرْضِ فَيَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُوْنَ

সে বলল, শীঘ্রই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রুদেরকে ধ্বংস করবেন এবং তোমাদেরকে জমিনে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী কর তা তিনি লক্ষ্য করবেন। (সূরা আ‘রাফু ১২৯)

তিনি জাতিকে ধৈর্যধারণ করতে বললেন :

قَالَ مُوْسٰى لِقَوْمِهِ اسْتَعِيْنُوْا بِاللهِ وَاصْبِرُوْاۚ اِنَّ الْاَرْضَ لِلّٰهِ يُوْرِثُهَا مَنْ يَّشَآءُ مِنْ عِبَادِه ؕ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِيْنَ

মূসা তার সম্প্রদায়কে বলল, আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো এবং ধৈর্যধারণ করো, জমিন তো আল্লাহরই। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার উত্তরাধিকারী করেন। আর শুভ পরিণাম মুত্তাক্বীদের জন্য। (সূরা আ‘রাফু ১২৮)

আল্লাহর উপর ভরসা করার নির্দেশ দিলেন :

وَقَالَ مُوْسٰى يَا قَوْمِ اِنْ كُنْتُمْ اٰمَنْتُمْ بِاللهِ فَعَلَيْهِ تَوَكَّلُوْاۤ اِنْ كُنْتُمْ مُّسْلِمِيْنَ

মূসা বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে থাক এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী হও, তবে তাঁরই উপর নির্ভর করো। (সূরা ইউনুস– ৮৪)

তারা মুক্তি পাওয়ার জন্য দু‘আ করল :

فَقَالُوْا عَلَى اللهِ تَوَكَّلْنَاۚ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِيْنَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ

অতঃপর তারা বলল, আমরা আল্লাহর উপর নির্ভর করলাম। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায়ের উৎপীড়নের পাত্র বানিয়ে দিয়ো না এবং আমাদেরকে তোমার অনুগ্রহে কাফির সম্প্রদায় হতে রক্ষা করো। (সূরা ইউনুস– ৮৫, ৮৬)

ফিরাউনের স্ত্রীও আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইল :

وَضَرَبَ اللهُ مَثَلًا لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوا امْرَاَتَ فِرْعَوْنَۘ اِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِيْ عِنْدَكَ بَيْتًا فِى الْجَنَّةِ وَنَجِّنِيْ مِنْ فِرْعَوْنَ وَعَمَلِه وَنَجِّنِيْ مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِيْنَ

আল্লাহ মুমিনদের জন্য উপস্থিত করেছেন ফিরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত। যিনি প্রার্থনা করেছিলেন, হে আমার প্রতিপালক! আপনার নিকট জান্নাতে আমার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফিরাউন ও তার দুষ্কৃতি হতে উদ্ধার করুন। আর আমাকে উদ্ধার করুন যালিম সম্প্রদায় হতে। (সূরা তাহরীম- ১১)

নবী ও তার সাথিদেরকে উৎখাত করতে চাইল :

فَاَرَادَ اَنْ يَّسْتَفِزَّهُمْ مِّنَ الْاَرْضِ فَاَغْرَقْنَاهُ وَمَنْ مَّعَهٗ جَمِيْعًا

অতঃপর ফিরাউন তাদেরকে দেশ হতে উচ্ছেদ করার সংকল্প করল। ফলে আমি ফিরাউন ও তার সাথিদের সকলকে নিমজ্জিত করলাম। (সূরা বনী ইসরাঈল– ১০৩)

ফিরাউন মূসা (আঃ) কে হত্যা করার চেষ্টা করল :

وَقَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُوْنِۤيْ اَقْتُلْ مُوْسٰى وَلْيَدْعُ رَبَّهٗۚ اِنِّۤيْ اَخَافُ اَنْ يُّبَدِّلَ دِيْنَكُمْ اَوْ اَنْ يُّظْهِرَ فِى الْاَرْضِ الْفَسَادَ

ফিরাউন বলল, আমাকে ছেড়ে দাও আমি মূসাকে হত্যা করি এবং সে তার প্রতিপালককে ডাকুক। আমি আশঙ্কা করি যে, সে তোমাদের দ্বীনকে পরিবর্তন করে ফেলবে অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। (সূরা মু’মিনু ২৬)

ব্যাখ্যা : ফিরাউন বলল, আমি তার পক্ষ থেকে তোমাদের দ্বীন পরিবর্তনের আশঙ্কা করছি। তার কর্মতৎপরতার ফলে দেশে অবশ্যই বিপর্যয় দেখা দেবে। তাই সে মৃত্যুদন্ড লাভের মতো কোন অপরাধ না করলেও শুধু দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার খাতিরে তাকে হত্যা করা প্রয়োজন। সে ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা আইন শৃঙ্খলার জন্য সত্যিই বিপজ্জনক কি না- তা দেখার প্রয়োজন নেই। সরকার যদি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয় যে, এ লোকটি বিপজ্জনক তাহলে বিপজ্জনক হিসেবেই মেনে নিতে হবে এবং এজন্য ঐ ব্যক্তির শিরোচ্ছেদ করা যাবে।

এ স্থানে দ্বীন পাল্টে দেয়ার অর্থ ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। এখানে দ্বীন অর্থ শাসনব্যবস্থা। ফিরাউন ও তার বংশের চূড়ান্ত ক্ষমতার ভিত্তিতে ধর্ম, রাজনীতি ও অর্থনীতির যে ব্যবস্থা মিসরে চলছিল তা ছিল তৎকালে ঐ দেশের ‘দ্বীন’। আর ফিরাউন মূসা (আঃ) এর আন্দোলনের কারণে এ দ্বীন পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা করছিল। কিন্তু প্রত্যেক যুগের কুচক্রী শাসকদের মতো সেও এ কথা বলছে না যে, আমার হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। তাই আমি মূসাকে হত্যা করতে চাই। বরং পরিস্থিতিকে সে এভাবে পেশ করছে যে, হে জনগণ! বিপদ আমার নয় বরং তোমাদের। কারণ মূসার আন্দোলন যদি সফল হয়, তাহলে তোমাদের দ্বীন বদলে যাবে। আমার নিজের জন্য কোন চিন্তা নেই। বরং আমি তোমাদের চিন্তায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি এই ভেবে যে, আমার ক্ষমতার ছায়া থেকে বঞ্চিত হলে তোমাদের কী অবস্থা হবে। তাই যার দ্বারা তোমাদের উপর থেকে এ ছায়া উঠে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাকে হত্যা করা প্রয়োজন। কারণ সে দেশ ও জাতি উভয়ের শত্রু।

নবী আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করলেন :

وَقَالَ مُوْسٰۤى اِنِّيْ عُذْتُ بِرَبِّيْ وَرَبِّكُمْ مِّنْ كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَّا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ

মূসা বলল, যারা হিসাব দিবসের প্রতি বিশ্বাস করে না, সেসব অহংকারী ব্যক্তি হতে আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সূরা মু’মিনু ২৭)

ব্যাখ্যা : মূসা (আঃ) এর কথায় স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে যে, ফিরাউনের হুমকি তাঁর মনে সামান্যতম ভীতিভাবও সৃষ্টি করতে পারেনি। তিনি আল্লাহর উপর নির্ভর করে তার হুমকির জবাব তার মুখের উপরেই দিয়ে দিয়েছেন। যে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কুরআন মাজীদে এ ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে তা থেকে স্বাভাবিকভাবে এ কথা প্রকাশ পায় যে, হিসাবের দিন সম্পর্কে বেপরোয়া হয়ে যেসব যালিমরা মুহাম্মাদ ﷺ কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছিল তাদের জন্যও সে একই জবাব। তাছাড়া আজও যারা ইসলামী নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে তাদের ক্ষেত্রেও এ জবাব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন