hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬
অধ্যায়- ১১ : আল্লাহ সর্বশক্তিমান
আল্লাহ যা চান তাই করতে পারেন :

فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيْدُ

তিনি যা চান তাই করেন। (সূরা বুরুজ- ১৬)

আল্লাহর কোন কাজ করার ইচ্ছা করলে ‘হও’ বললেই হয়ে যায় :

اِنَّمَاۤ اَمْرُهٗۤ اِذَاۤ اَرَادَ شَيْئًا اَنْ يَّقُوْلَ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ

বস্তুত তাঁর বিষয়টি এমন যে, যখন তিনি কোনকিছু করতে ইচ্ছা করেন তখন তিনি তাকে বলেন, ‘হও’ অমনি তা হয়ে যায়। (সূরা ইয়াসীন- ৮২)

اِذَا قَضٰۤى اَمْرًا فَاِنَّمَا يَقُوْلُ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ

যখন তিনি কোনকিছু করার সিন্ধান্ত নেন তখন বলেন, ‘হও’ তখন তা হয়ে যায়। (সূরা মারইয়াম- ৩৫)

তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তাঁকে কেউ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে না :

لَا يُسْاَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْاَلُوْنَ

তিনি যা করেন সে বিষয়ে তিনি জিজ্ঞেসিত হবেন না; বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে। (সূরা আম্বিয়া- ২৩)

আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান :

لِلّٰهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَ رْضِ وَمَا فِيْهِنَّ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

আসমান ও জমিন এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই এবং তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা মায়েদা- ১২০)

জমিনের নিচে যা আছে তাও তাঁরই :

لَهٗ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَ رْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا تَحْتَ الثَّرٰى

আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং উভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে ও ভূগর্ভে যা আছে তা তাঁরই। (সূরা ত্বা-হা- ৬)

আসমান ও জমিনের উত্তরাধিকারী আল্লাহ :

اِنَّا نَحْنُ نَرِثُ الْاَ رْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا وَاِلَيْنَا يُرْجَعُوْنَ

নিশ্চয় পৃথিবী ও তার উপর যারা আছে তাদের চূড়ামত্ম মালিকানা আমারই এবং তারা আমারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা মারইয়াম- ৪০)

তিনিই একদিন এ পৃথিবীকে উদ্ভিদশূন্য ময়দানে পরিণত করবেন :

اِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْاَ رْضِ زِيْنَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ اَيُّهُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا - وَاِنَّا لَجَاعِلُوْنَ مَا عَلَيْهَا صَعِيْدًا جُرُزًا

পৃথিবীর উপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার জন্য সুশোভিত করে দিয়েছি। যাতে করে মানুষকে এ পরীক্ষা করে নেয়া যায় যে, তাদের মধ্যে কর্মে কে শ্রেষ্ঠ। অতঃপর (একদিন) তার উপর যা কিছু আছে তা অবশ্যই আমি উদ্ভিদশূন্য ময়দানে পরিণত করব। (সূরা কাহফ- ৭, ৮)

আল্লাহ সবকিছুর উপর একক ক্ষমতাবান :

لِلّٰهِ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَ رْضِ

আকাশ এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। (সূরা বাক্বারা- ২৮৪)

তিনি খুঁটি ছাড়া আকাশকে উপরে স্থীর করে রেখেছেন :

خَلَقَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا

তিনি আসমান সৃষ্টি করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত, যা তোমরা দেখতেই পাচ্ছ। (সূরা লুক্বমান- ১০)

اَللهُ الَّذِيْ رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا

আল্লাহ ঐ সত্তা, যিনি আকাশমন্ডলীকে ঊর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন সত্মম্ভ ব্যতীত; আর তোমরা তো তা দেখতেই পাচ্ছ। (সূরা রা‘দ- ২)

আল্লাহই সকল প্রাণীকে নিয়ন্ত্রণ করেন :

مَا مِنْ دَآبَّةٍ اِلَّا هُوَ اٰخِذٌ ۢبِنَاصِيَتِهَا

এমন কোন জীবজন্তু নেই, যে তাঁর পূর্ণ আয়ত্তাধীন নয়। (সূরা হুদ- ৫৬)

আল্লাহ সবকিছু পরিবেষ্টন করে আছেন :

وَلِلّٰهِ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَ رْضِؕ وَكَانَ اللهُ بِكُلِّ شَيْءٍ مُّحِيْطًا

আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর এবং সবকিছুকে আল্লাহ পরিবেষ্টন করে রেখেছেন। (সূরা নিসা- ১২৬)

সবকিছুর অবস্থা তিনি দেখেন ও শুনেন :

وَلَهٗ مَا سَكَنَ فِى اللَّيْلِ وَالنَّهَارِؕ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ

রাত ও দিনে যা কিছু থাকে তা তাঁরই এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী। (সূরা আন‘আম- ১৩)

কাউকে অনুগ্রহ করা বা না করা তাঁর ইচ্ছাধীন :

مَا يَفْتَحِ اللهُ لِلنَّاسِ مِنْ رَّحْمَةٍ فَلَا مُمْسِكَ لَهَاۚ وَمَا يُمْسِكْ فَلَا مُرْسِلَ لَهٗ مِنْ ۢبَعْدِهٖؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত উন্মুক্ত করে দেন, তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না এবং যা তিনি বন্ধ করে দেন, তা বন্ধ করার পরে কেউ উন্মুক্ত করতে পারে না। তিনিই মহাপ্রতাপশালী ও পরম কৌশলী। (সূরা ফাতির- ২)

ব্যাখ্যা : মুশরিকরা মনে করে, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেউ তাদের রিযিকদাতা, কেউ সন্তানদাতা এবং কেউ রোগ নিরাময়কারী। এ আয়াতে তাদের এ ভুল ধারণা দূর করা হয়েছে। শিরকের এ সমস্ত ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন। নির্ভেজাল সত্য এতটুকু যে, বান্দাদের কাছে যে ধরনের রহমতই আসে তা মহান আল্লাহর অনুগ্রহেই আসে। অন্য কারো এ রহমত দান করার ক্ষমতা নেই এবং একে রোধ করার শক্তিও কারো নেই। এ বিষয়টি কুরআন মাজীদ ও হাদীসের বহু স্থানে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ বিষয়টিও ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে যে, মানুষের ভাগ্যের ভাঙা-গড়ায় এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইখতিয়ার নেই।

আল্লাহই সুখ-দুঃখ দেয়ার অধিকার রাখেন :

وَاِنْ يَّمْسَسْكَ اللهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهٗۤ اِلَّا هُوَؕ وَاِنْ يَّمْسَسْكَ بِخَيْرٍ فَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

আল্লাহ তোমাকে কষ্ট দিলে তিনি ব্যতীত তা মোচনকারী আর কেউ নেই। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ করেন, তবে তিনিই তো সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। (সূরা আন‘আম- ১৭)

وَاِنْ يَّمْسَسْكَ اللهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهٗۤ اِلَّا هُوَؕ وَاِنْ يُّرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهٖؕ يُصِيْبُ بِهٖ مَنْ يَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ ؕ وَهُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

আল্লাহ যদি তোমাকে কষ্ট দেন, তবে তিনি ব্যতীত তা মোচনকারী আর কেউ নেই। আর তিনি যদি তোমার মঙ্গল চান, তবে তাঁর অনুগ্রহ বন্ধ করারও কেউ নেই। তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি মঙ্গল দান করেন; নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা ইউনুস- ১০৭)

আল্লাহ আকাশ থেকে খাবার পাঠাতে সক্ষম :

اِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّوْنَ يَا عِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيْعُ رَبُّكَ اَنْ يُّنَزِّلَ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَآءِؕ قَالَ اتَّقُوا اللهَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ

(স্মরণ করো) যখন হাওয়ারীরা বলেছিল, হে মারইয়ামের ছেলে ঈসা! তোমার প্রতিপালক কি আমাদের জন্য আসমান হতে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ করতে সক্ষম? সে বলেছিল, আল্লাহকে ভয় করো, যদি তোমরা মুমিন হও। (সূরা মায়েদা- ১১২)

قَالَ اللهُ اِنِّيْ مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ

আল্লাহ বললেন, আমি তোমাদের নিকট তা প্রেরণ করব। (সূরা মায়েদা- ১১৫)

আল্লাহ বৃদ্ধ বয়সেও সন্তান দিতে পারেন :

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ وَهَبَ لِيْ عَلَى الْكِبَرِ اِسْمَاعِيْلَ وَاِسْحَاقَ اِنَّ رَبِّيْ لَسَمِيْعُ الدُّعَآءِ

সমসত্ম প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক প্রার্থনা শ্রবণ করে থাকেন। (সূরা ইবরাহীম- ৩৯)

قَالَ رَبِّ اَنّٰى يَكُوْنُ لِيْ غُلَامٌ وَّكَانَتِ امْرَاَتِيْ عَاقِرًا وَّقَدْ بَلَغْتُ مِنَ الْكِبَرِ عِتِيًّا قَالَ كَذٰلِكَۚ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَّقَدْ خَلَقْتُكَ مِنْ قَبْلُ وَلَمْ تَكُ شَيْئًا

তিনি (যাকারিয়া) বললেন, হে আমার প্রতিপালক! কেমন করে আমার পুত্র হবে অথচ আমার স্ত্রী বন্ধ্যা আর আমিও বার্ধক্যের শেষ সীমায় উপনীত হয়েছি। আল্লাহ বললেন, এভাবেই হবে। তোমার প্রতিপালক বলেন, এটা আমার জন্য খুবই সহজ (বিষয়)। (তাছাড়া) আমি তো ইতোপূর্বে তোমাকেও সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না। (সূরা মারইয়াম- ৮, ৯)

আল্লাহ বন্ধ্যার ঘরেও সন্তান দিতে পারেন :

قَالَ رَبِّ اَنّٰى يَكُوْنُ لِيْ غُلَامٌ وَّقَدْ بَلَغَنِيَ الْكِبَرُ وَامْرَاَتِيْ عَاقِرٌؕ قَالَ كَذٰلِكَ اللهُ يَفْعَلُ مَا يَشَآءُ

তিনি বললেন, হে আমার রব! কীভাবে আমার সন্তান হবে অথচ আমি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি এবং আমার স্ত্রীও বন্ধ্যা। আল্লাহ বললেন, এভাবেই হবে। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। (সূরা আলে ইমরান- ৪০)

পিতা ছাড়াও মানুষ সৃষ্টি করতে পারেন :

قَالَتْ رَبِّ اَنّٰى يَكُوْنُ لِيْ وَلَدٌ وَّلَمْ يَمْسَسْنِيْ بَشَرٌؕ قَالَ كَذٰلِكِ اللهُ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُؕ اِذَا قَضٰۤى اَمْرًا فَاِنَّمَا يَقُوْلُ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ

মারইয়াম বললেন, হে আমার রব! কেমন করে আমার সন্তান হবে? আমাকে তো কোন মানুষ স্পর্শ করেনি। আল্লাহ বললেন, এভাবেই। আল্লাহ যা চান তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কোন কাজের ফায়সালা করেন তখন বলেন, ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায়। (সূরা আলে ইমরান- ৪৭)

আগুনের মাঝেও মানুষকে বাঁচাতে পারেন :

قُلْنَا يَا نَارُ كُوْنِيْ بَرْدًا وَّسَلَامًا عَلٰۤى اِبْرَاهِيْمَ

আমি বললাম, হে অগ্নি! ইবরাহীমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও। (সূরা আম্বিয়া- ৬৯)

আল্লাহ মি‘রাজ সংঘটিত করাতে পারেন :

سُبْحَانَ الَّذِيْۤ اَسْرٰى بِعَبْدِهٖ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ اِلَى الْمَسْجِدِ الْاَقْصَى الَّذِيْ بَارَكْنَا حَوْلَهٗ لِنُرِيَهٗ مِنْ اٰيَاتِنَاؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ

পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রজনীতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মাসজিদুল হারাম হতে মাসজিদুল আকসা পর্যমত্ম, যার পরিবেশকে করে দিয়েছিলাম বরকতময়। যাতে করে তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখাতে পারি; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১)

তিনি ইচ্ছা করলে সবাইকে একই দলভুক্ত করতে পারেন :

وَلَوْ شَآءَ اللهُ لَجَعَلَكُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّلٰكِنْ لِّيَبْلُوَكُمْ فِيْ مَاۤ اٰتَاكُمْ فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ

আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে অবশ্যই তিনি তোমাদের সবাইকে এক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করে দিতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যাচাই করতে চান, যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার মাধ্যমে। অতএব তোমরা সৎকাজের প্রতি ধাবিত হও। (সূরা মায়েদা- ৪৮)

তিনি ইচ্ছা করলে সবাইকে হেদায়াত দিতে পারেন :

وَلَوْ شَآءَ اللهُ لَجَمَعَهُمْ عَلَى الْهُدٰى فَلَا تَكُوْنَنَّ مِنَ الْجَاهِلِيْنَ

আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের সবাইকে অবশ্যই সৎপথে একত্র করতে পারতেন। সুতরাং তুমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা আন‘আম- ৩৫)

فَلَوْ شَآءَ لَهَدَاكُمْ اَجْمَعِيْنَ

যদি তিনি ইচ্ছা করতেন তবে তোমাদের সবাইকে অবশ্যই সৎপথে পরিচালিত করতেন। (সূরা আন‘আম- ১৪৯)

ইচ্ছা করলে তিনি সবাইকে ঈমানদার বানাতে পারেন :

وَلَوْ شَآءَ رَبُّكَ لَاٰمَنَ مَنْ فِى الْاَ رْضِ كُلُّهُمْ جَمِيْعًاؕ اَفَاَنْتَ تُكْرِهُ النَّاسَ حَتّٰى يَكُوْنُوْا مُؤْمِنِيْنَ

তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে পৃথিবীতে যারা আছে তারা সকলে অবশ্যই ঈমান আনত; তবুও কি তুমি মুমিন হওয়ার জন্য মানুষের উপর জবরদস্তি করবে? (সূরা ইউনুস- ৯৯)

তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়াত দান করেন :

وَمَنْ يَّشَاْ يَجْعَلْهُ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

আর তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা আন‘আম- ৩৯)

যাকে চান পবিত্র করেন :

اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِيْنَ يُزَكُّوْنَ اَنْفُسَهُمْ بَلِ اللهُ يُزَكِّيْ مَنْ يَّشَآءُ

তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা নিজেদেরকে পবিত্র মনে করে? বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে পবিত্র করেন। (সূরা নিসা- ৪৯)

যাকে ইচ্ছা সন্তান-সন্ততি দিয়ে থাকেন :

يَخْلُقُ مَا يَشَآءُؕ يَهَبُ لِمَنْ يَّشَآءُ اِنَاثًا وَّيَهَبُ لِمَنْ يَّشَآءُ الذُّكُوْرَ اَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَّاِنَاثًاۚ وَّيَجْعَلُ مَنْ يَّشَآءُ عَقِيْمًاؕ اِنَّهٗ عَلِيْمٌ قَدِيْرٌ

আল্লাহ যা ইচ্ছা তা-ই সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা তাকে বন্ধ্যা করে রাখেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান। (সূরা শূরা- ৪৯, ৫০)

ব্যাখ্যা : এটা আল্লাহর নিরঙ্কুশ ক্ষমতার একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ। কোন মানুষ, সে পার্থিব ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের যত বড় কর্তাই হোক না কেন, কিংবা তাকে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার যত বড় মালিকই মনে করা হোক না কেন, অন্যদের সন্তান দেয়া তো দূরের কথা নিজের জন্য নিজের ইচ্ছানুসারে সন্তান জন্ম দানেও সে কখনো সক্ষম হয়নি। আল্লাহ যাকে বন্ধ্যা করে দিয়েছেন সে সন্তানওয়ালা হতে পারেনি। আল্লাহ যাকে শুধু কন্যাসন্তান দান করেছেন সে পুত্রসন্তানলাভ করতে পারেনি এবং আল্লাহ যাকে শুধু পুত্রসন্তানই দিয়েছেন সে কন্যাসন্তান লাভ করতে পারেনি, এ ক্ষেত্রে সবাই অসহায়। এসব দেখে শুনেও যদি কেউ আল্লাহর বাদশাহীতে সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী দাবী করে, কিংবা অন্য কাউকে তাঁর অংশীদার মনে করে, তাহলে সেটা তার নিজের অদূরদর্শিতা- যার পরিণাম সে নিজেই ভোগ করবে। কেউ নিজে নিজেই কোনকিছু বিশ্বাস করলে, তার কারণে প্রকৃত সত্যে কোন পরিবর্তন সাধিত হয় না।

আল্লাহ একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী :

وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهٖؕ وَهُوَ الْحَكِيْمُ الْخَبِيْرُ

তিনি তাঁর বান্দাদের উপর একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী, তিনি মহাজ্ঞানী ও সকল বিষয়ের খবর রাখেন। (সূরা আন‘আম- ১৮)

আল্লাহ চাইলে আরো উত্তম মানুষ আনতে পারেন :

اِنْ يَّشَاْ يُذْهِبْكُمْ اَيُّهَا النَّاسُ وَيَاْتِ بِاٰخَرِيْنَؕ وَكَانَ اللهُ عَلٰى ذٰلِكَ قَدِيْرًا

হে মানুষ! তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে অপসারণ করতে এবং (তোমাদের স্থলে) অপর কাউকে নিয়ে আসতে পারেন; আর আল্লাহ এটা করতে সম্পূর্ণ সক্ষম। (সূরা নিসা- ১৩৩)

اِنْ يَّشَاْ يُذْهِبْكُمْ وَيَاْتِ بِخَلْقٍ جَدِيْدٍ وَمَا ذٰلِكَ عَلَى اللهِ بِعَزِيْزٍ

যদি তিনি ইচ্ছা করেন তবে তোমাদেরকে অপসারণ করে দেবেন এবং তদস্থলে নতুন এক জাতি সৃষ্টি করবেন। আর এরূপ করা আল্লাহর পক্ষে মোটেই কঠিন নয়। (সূরা ফাতির- ১৬, ১৭)

اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللهَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْاَ رْضَ بِالْحَقِّؕ اِنْ يَّشَاْ يُذْهِبْكُمْ وَيَاْتِ بِخَلْقٍ جَدِيْدٍ - وَمَا ذٰلِكَ عَلَى اللهِ بِعَزِيْزٍ

তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন? তিনি ইচ্ছা করলেই তোমাদের অসিত্মত্ব বিলুপ্ত করতে পারেন এবং এক নতুন সৃষ্টি অসিত্মত্বে আনতে পারেন। আর এটা আল্লাহর জন্য আদৌ কঠিন নয়। (সূরা ইবরাহীম- ১৯, ২০)

আল্লাহ ইচ্ছা করলে পানি শুকিয়ে দিতে পারেন :

وَاَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ۢبِقَدَرٍ فَاَسْكَنَّاهُ فِى الْاَ رْضِ وَاِنَّا عَلٰى ذَهَابٍ ۢبِهٖ لَقَادِرُوْنَ

আমি আকাশ হতে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে; অতঃপর আমি সেটা মৃত্তিকায় সংরক্ষণ করি। আর আমি তাকে অপসারণ করতেও সক্ষম। (সূরা মু’মিনূন- ১৮)

قُلْ اَرَاَيْتُمْ اِنْ اَصْبَحَ مَآؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ يَّاْتِيْكُمْ بِمَآءٍ مَّعِيْنٍ

বলো, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের তলদেশে চলে যায় তবে কে তোমাদেরকে সে প্রবাহমান পানি এনে দেবে? (সূরা মুলক- ৩০)

আল্লাহ ইচ্ছা করলে ওহীর জ্ঞান ছিনিয়ে নিতে পারেন :

وَلَئِنْ شِئْنَا لَنَذْهَبَنَّ بِالَّذِيْۤ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ بِه عَلَيْنَا وَكِيْلًا

আমি ইচ্ছা করলে তোমার প্রতি যা ওহী করেছি তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে পারতাম; আর এ বিষয়ে তুমি আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পেতে না। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৮৬)

আল্লাহ যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন :

يَغْفِرُ لِمَنْ يَّشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَّشَآءُؕ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি প্রদান করেন। আর আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়। (সূরা আলে ইমরান- ১২৯)

اَلَمْ تَعْلَمْ اَنَّ اللهَ لَهٗ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَ رْضِؕ يُعَذِّبُ مَنْ يَّشَآءُ وَيَغْفِرُ لِمَنْ يَّشَآءُؕ وَاللهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

তুমি কি জান না যে, আসমান ও জমিনের আধিপত্য আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান (সূরা মায়েদা- ৪০)

আল্লাহর শাস্তি কেউ প্রতিহত করতে পারে না :

وَلَا يُرَدُّ بَاْسُهٗ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ

অপরাধী সম্প্রদায়ের উপর হতে তাঁর শাস্তি প্রতিহত করা হয় না। (সূরা আন‘আম- ১৪৭)

আল্লাহর পাকড়াও খুবই কঠোর :

وَكَذٰلِكَ اَخْذُ رَبِّكَ اِذَاۤ اَخَذَ الْقُرٰى وَهِيَ ظَالِمَةٌؕ اِنَّ اَخْذَهٗۤ اَلِيْمٌ شَدِيْدٌ

তোমার প্রতিপালকের শাসিত্ম এমনই! তিনি শাসিত্ম দান করেন জনপদবাসীকে, যখন তারা যুলুম করে থাকে। নিশ্চয় তাঁর শাসিত্ম মর্মান্তিক ও কঠিন। (সূরা হুদ- ১০২)

আল্লাহ বিভিন্নভাবে শাস্তি দিতে পারেন :

قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلٰۤى اَنْ يَّبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِّنْ فَوْقِكُمْ اَوْ مِنْ تَحْتِ اَرْجُلِكُمْ اَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعًا وَّيُذِيْقَ بَعْضَكُمْ بَاْسَ بَعْضٍؕ اُنْظُرْ كَيْفَ نُصَرِّفُ الْاٰيَاتِ لَعَلَّهُمْ يَفْقَهُوْنَ

বলো, তিনি তোমাদের ঊর্ধ্বদেশ অথবা পাদদেশ হতে শাস্তি প্রেরণ করতে অথবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে অথবা একদলকে অপর দলের দ্বারা শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতে সক্ষম। দেখো, আমি কীভাবে বিভিন্ন প্রকার আয়াত বার বার বর্ণনা করি, যেন তারা অনুধাবন করে। (সূরা আন‘আম- ৬৫)

আল্লাহর আযাব খুবই দ্রুত আসতে পারে :

وَرَبُّكَ الْغَفُوْرُ ذُو الرَّحْمَةِؕ لَوْ يُؤَاخِذُهُمْ بِمَا كَسَبُوْا لَعَجَّلَ لَهُمُ الْعَذَابَؕ بَلْ لَّهُمْ مَّوْعِدٌ لَّنْ يَّجِدُوْا مِنْ دُوْنِه مَوْئِلًا

তোমার প্রতিপালক পরম ক্ষমাশীল ও দয়াবান। তাদের কৃতকর্মের জন্য যদি তিনি তাদেরকে পাকড়াও করতে চাইতেন তবে তিনি অবশ্যই তাদের শাসিত্ম ত্বরান্বিত করতেন। কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে এক প্রতিশ্রুত মুহূর্ত, যা হতে তারা কখনই কোন আশ্রয়স্থল পাবে না। (সূরা কাহফ- ৫৮)

আল্লাহ জমিনকে ধসিয়ে দিতে সক্ষম :

اَاَمِنْتُمْ مَّنْ فِى السَّمَآءِ اَنْ يَّخْسِفَ بِكُمُ الْاَ رْضَ فَاِذَا هِيَ تَمُوْرُ

তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকেসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? তখন ওটা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে। (সূরা মুলক- ১৬)

শিলা দিয়েও ধ্বংস করতে পারেন :

اَفَاَمِنْتُمْ اَنْ يَّخْسِفَ بِكُمْ جَانِبَ الْبَرِّ اَوْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا ثُمَّ لَا تَجِدُوْا لَكُمْ وَكِيْلًا

তোমরা কি নিরাপত্তা পেয়েছ যে, তিনি তোমাদেরকেসহ কোন অঞ্চল ধসিয়ে দেবেন না অথবা তোমাদের উপর শিলা বর্ষণ করবেন না? (যদি এমনটি ঘটতে শুরু করে) তখন তোমরা তোমাদের কোন অভিভাবক (খুঁজে) পাবে না। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৬৮)

সমুদ্রের মধ্যেও ডুবিয়ে দিতে পারেন :

اَمْ اَمِنْتُمْ اَنْ يُّعِيْدَكُمْ فِيْهِ تَارَةً اُخْرٰى فَيُرْسِلَ عَلَيْكُمْ قَاصِفًا مِّنَ الرِّيْحِ فَيُغْرِقَكُمْ بِمَا كَفَرْتُمْ ثُمَّ لَا تَجِدُوْا لَكُمْ عَلَيْنَا بِه تَبِيْعًا

অথবা তোমরা কি নিরাপত্তা পেয়েছ যে, তিনি তোমাদেরকে সমুদ্রে নিয়ে যাবেন না এবং তোমাদের উপর প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া পাঠাবেন না। অতঃপর তোমাদের কুফরীর জন্য তোমাদেরকে নিমজ্জিত করবেন না? তখন তোমরা এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পাবে না। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৬৯)

আল্লাহকে ব্যর্থ করার কেউ নেই :

وَمَا كَانَ اللهُ لِيُعْجِزَهٗ مِنْ شَيْءٍ فِى السَّمَاوَاتِ وَلَا فِى الْاَ رْضِؕ اِنَّهٗ كَانَ عَلِيْمًا قَدِيْرًا

আল্লাহ এমন নন যে, আসমান ও জমিনের কোনকিছু তাঁকে অক্ষম করতে পারে। তিনিই সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান। (সূরা ফাতির- ৪৪)

وَمَاۤ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِيْنَ فِى الْاَ رْضِ وَمَا لَكُمْ مِّنْ دُوْنِ اللهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا نَصِيْرٍ

তোমরা পৃথিবীতে (আল্লাহকে) ব্যর্থ করতে পারবে না। আর আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক নেই এবং কোন সাহায্যকারীও নেই। (সূরা শূরা- ৩১)

আল্লাহর কথার কোন পরিবর্তন হয় না :

مَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ وَمَاۤ اَنَاْ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ

আমার কথার রদ-বদল হয় না এবং আমি আমার বান্দাদের প্রতি অত্যাচারীও নই। (সূরা ক্বাফ- ২৯)

আল্লাহ সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন :

وَيُحِقُّ اللهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهٖ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ

আল্লাহ তাঁর বাণী অনুযায়ী সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, যদিও অপরাধীরা এটা অপছন্দ করে। (সূরা ইউনুস- ৮২)

আল্লাহ সত্য প্রকাশে লজ্জাবোধ করেন না :

وَاللهُ لَا يَسْتَحْيِيْ مِنَ الْحَقِّ

আর আল্লাহ সত্য প্রকাশ করতে লজ্জা করেন না। (সূরা আহযাব- ৫৩)

আসমান ও জমিনের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে :

لَهٗ مَقَالِيْدُ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِ

আসমান ও জমিনের চাবিকাঠি তাঁরই অধিকারে। (সূরা যুমার- ৬৩)

لَهٗ مَقَالِيْدُ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِۚ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَآءُ وَيَقْدِرُؕ اِنَّهٗ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ

আসমান ও জমিনের চাবিসমূহ তাঁরই অধিকারে। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে রিযিক বৃদ্ধি করে দেন অথবা সংকুচিত করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ। (সূরা শূরা- ১২)

সবকিছুর ভান্ডার আল্লাহর হাতে :

وَلِلّٰهِ خَزَآئِنُ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِ وَلٰكِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ لَا يَفْقَهُوْنَ

আসমান ও জমিনের ধনভান্ডার তো আল্লাহরই; কিন্তু মুনাফিকরা তা বুঝে না। (সূরা মুনাফিকূন- ৭)

আল্লাহই সবকিছুর মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন :

وَاِنْ مِّنْ شَيْءٍ اِلَّا عِنْدَنَا خَزَآئِنُهٗ وَمَا نُنَزِّلُهٗۤ اِلَّا بِقَدَرٍ مَّعْلُوْمٍ

আমারই নিকট আছে প্রত্যেক বস্তুর ধনভান্ডার এবং আমি তা পরিজ্ঞাত পরিমাণেই সরবরাহ করে থাকি।

(সূরা হিজর- ২১)

ব্যাখ্যা : এখানে এ সত্যটি সম্পর্কে সজাগ করে দেয়া হয়েছে যে, সীমিত ও পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধির এ নিয়ম কেবল উদ্ভিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়; বরং যাবতীয় সৃষ্টির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাতাস, পানি, আলো, শীত, গ্রীষ্ম, জীব, জড়, উদ্ভিদ তথা প্রত্যেকটি জিনিস, প্রত্যেকটি প্রজাতি, প্রত্যেকটি শ্রেণি ও প্রত্যেকটি শক্তির জন্য আলাদা আলাদা সীমা নির্ধারিত রয়েছে। সবকিছুই নিজ নিজ সীমার মধ্যে অবস্থান করছে। তাদের জন্য যে পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে তার চেয়ে তারা কখনো বাড়েও না আবার কমেও না। এ প্রজ্ঞামূলক নির্ধারিত অবস্থার ফলে পৃথিবী থেকে আকাশ পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বব্যবস্থায় ভারসাম্য ও সমন্বয় সাধিত হচ্ছে। এ পৃথিবী যদি একটি আকস্মিক ঘটনার ফল হতো অথবা বহু উপাস্যের কর্মের ফল হতো, তাহলে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অসংখ্য বস্তু ও শক্তির মধ্যে এ পর্যায়ের পূর্ণ ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া ও অব্যাহতভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকা সম্ভব হতো না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন