hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩০
অধ্যায়- ১০ : যারা আল্লাহর আইন চালু করতে বাধা দেয়
ক্ষমতাসীন শাসক :

وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا مُوْسٰى بِاٰيَاتِنَا وَسُلْطَانٍ مُّبِيْنٍ اِلٰى فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَقَارُوْنَ فَقَالُوْا سَاحِرٌ كَذَّابٌ

আমি আমার নিদর্শনাবলি ও স্পষ্ট প্রমাণসহ মূসাকে প্রেরণ করেছিলাম। ফিরাউন, হামান ও কারূনের নিকট; কিন্তু তারা বলেছিল, এ তো এক যাদুকর ও চরম মিথ্যাবাদী। (সূরা মু’মিন- ২৩, ২৪)

সমাজের নেতা ও মোড়লরা :

وَقَالَ الْمَلَاُ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ اَتَذَرُ مُوْسٰى وَقَوْمَهٗ لِيُفْسِدُوْا فِى الْاَرْضِ وَيَذَرَكَ وَاٰلِهَتَكَؕ قَالَ سَنُقَتِّلُ اَبْنَآءَهُمْ وَنَسْتَحْيِيْ نِسَآءَهُمْ ۚ وَاِنَّا فَوْقَهُمْ قَاهِرُوْنَ

ফিরাউন সম্প্রদায়ের প্রধানরা বলল, আপনি কি মূসা ও তার সম্প্রদায়কে রাজ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে এবং আপনাকে ও আপনার দেবতাদেরকে বর্জন করতে দেবেন? সে বলল, আমরা তাদের পুত্রদেরকে হত্যা করব এবং তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখব; নিশ্চয় আমরা তাদের উপর প্রবল। (সূরা আ‘রাফ- ১২৭)

যারা অহংকারী :

قَالَ الْمَلَاُ الَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا مِنْ قَوْمِهٖ لَنُخْرِجَنَّكَ يَا شُعَيْبُ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مَعَكَ مِنْ قَرْيَتِنَاۤ اَوْ لَتَعُوْدُنَّ فِيْ مِلَّتِنَاؕ قَالَ اَوَلَوْ كُنَّا كَارِهِيْنَ

তার (শুআইব আ: এর) সম্প্রদায়ের দাম্ভিক প্রধানরা বলল, হে শুয়াইব! আমরা তোমাকে ও তোমার সাথে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে আমাদের জনপদ হতে বহিষ্কার করবই, অথবা তোমাদেরকে আমাদের ধর্মাদর্শে ফিরে আসতে হবে। সে বলল, যদিও আমরা তা ঘৃণা করি তবুও? (সূরা আ‘রাফ- ৮৮)

যারা আল্লাহর বিধান মানতে চায় না :

وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰى قَوْمِهٖ فَقَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللهَ مَا لَكُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَيْرُهٗؕ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ فَقَالَ الْمَلَاُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَوْمِهٖ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُرِيْدُ اَنْ يَّتَفَضَّلَ عَلَيْكُمْؕ وَلَوْ شَآءَ اللهُ لَاَنْزَلَ مَلَآئِكَةً مَا سَمِعْنَا بِهٰذَا فِۤيْ اٰبَآئِنَا الْاَوَّلِيْنَ

আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহর ইবাদাত করো, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নেই; তবুও কি তোমরা সাবধান হবে না? তখন তার সম্প্রদায়ের প্রধানদের মধ্যে যারা (আগে থেকেই) কুফরী করেছিল তারা বলল, এ তো তোমাদের মতোই একজন মানুষ, সে তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে চাচ্ছে, আল্লাহ যদি (নবী পাঠাতেই) চাইতেন তাহলে ফেরেশতাদেরকেই (নবী করে) পাঠাতেন। আমরা তো এমন কোন কথা আমাদের পূর্বপুরুষদের সময়েও (ঘটেছে বলে) শুনিনি। (সূরা মু’মিনূন- ২৩, ২৪)

যারা আখিরাতের আযাবকে ভয় করে না :

وَقَالَ الْمَلَاُ مِنْ قَوْمِهِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَكَذَّبُوْا بِلِقَآءِ الْاٰخِرَةِ وَاَتْرَفْنَاهُمْ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يَاْكُلُ مِمَّا تَاْكُلُوْنَ مِنْهُ وَيَشْرَبُ مِمَّا تَشْرَبُوْنَ وَلَئِنْ اَطَعْتُمْ بَشَرًا مِّثْلَكُمْ اِنَّكُمْ اِذًا لَّخَاسِرُوْنَ

তার সম্প্রদায়ের প্রধানরা, যারা কুফরী করেছিল ও আখিরাতের সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছিল এবং যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোগ-সম্ভার দিয়েছিলাম তারা বলেছিল, এ তো তোমাদের মতোই একজন মানুষ। তোমরা যা আহার কর, সে তাই আহার করে এবং তোমরা যা পান কর, সেও তাই পান করে। যদি তোমরা তোমাদেরই মতো একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (সূরা মু’মিনূন- ৩৩, ৩৪)

সম্পদশালী ব্যক্তিবর্গ :

وَمَاۤ اَرْسَلْنَا فِيْ قَرْيَةٍ مِّنْ نَّذِيْرٍ اِلَّا قَالَ مُتْرَفُوْهَاۤ اِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ كَافِرُوْنَ وَقَالُوْا نَحْنُ اَكْثَرُ اَمْوَالًا وَّاَوْلَادًا وَّمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِيْنَ

যখনই আমি কোন জনপদে সতর্ককারী প্রেরণ করেছি তখনই তার বিত্তবানরা বলেছে, তোমরা যে বিষয় নিয়ে প্রেরিত হয়েছ আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। তারা আরো বলত, আমরা ধনে-জনে সমৃদ্ধশালী; সুতরাং আমরা কিছুতেই শাস্তিপ্রাপ্ত হব না। (সূরা সাবা- ৩৪, ৩৫)

ব্যাখ্যা : এখানে বর্ণিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো ভেবে দেখার মতো। নবীদের বিরোধিতায় যারা এগিয়ে এসেছিল। তারা ছিল জাতির নেতৃস্থানীয় লোক। তাদের সবার মধ্যে যে ভ্রষ্টতা একযোগে কাজ করছিল তা ছিল এই যে, তারা পরকাল অস্বীকার করত। তাই তাদের মনে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করার কোন ভয় ছিল না। আর এজন্যই দুনিয়ার এ জীবনটাই ছিল তাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। বৈষয়িক কল্যাণ ও সাফল্যের ঊর্ধ্বে অন্য কোন মূল্যবোধের স্বীকৃতি তাদের কাছে ছিল না। আবার যে জিনিসটি তাদেরকে এ ভ্রষ্টতার মধ্যে একেবারেই নিমজ্জিত করে দিয়েছিল তা ছিল এমন পর্যায়ের প্রাচুর্য ও সুখ-সম্ভোগ, যাকে তারা নিজেদের সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রমাণ মনে করত। এমনকি তারা এ কথাও মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না যে, যে আকীদা-বিশ্বাস, নৈতিক ব্যবস্থা ও জীবনধারার ভিত্তিতে অগ্রসর হয়ে তারা দুনিয়ায় এসব সাফল্য অর্জন করেছে তা ভুলও হতে পারে। মানুষের ইতিহাস বার বার এ সত্যটির পুনরাবৃত্তি করে চলেছে যে, সত্যের দাওয়াতের বিরোধিতাকারীদের দলে সবসময় এসব বৈশিষ্ট্যের অধিকারী লোকেরাই ভূমিকা রেখেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন