hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২১৭
অধ্যায়- ১১ : শপথ পূর্ণ করা
শপথের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিলে আযাব ভোগ করতে হবে :

وَلَا تَتَّخِذُوْاۤ اَيْمَانَكُمْ دَخَلًا ۢبَيْنَكُمْ فَتَزِلَّ قَدَمٌ ۢ بَعْدَ ثُبُوْتِهَا وَتَذُوْقُوا السُّوْٓءَ بِمَا صَدَدْتُّمْ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِۚ وَلَكُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ

তোমরা তোমাদের শপথগুলোকে ধোঁকা ও প্রতারণার উপায় হিসেবে ব্যবহার করো না। নতুবা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও তোমাদের পা পিছলে যাবে এবং আল্লাহর পথে বাধা দেয়ার কারণে (দুনিয়াতে) তোমাদেরকে শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর (আখিরাতে) তোমাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। (সূরা নাহল- ৯৪)

প্রবঞ্চনা করার জন্য শপথকে ব্যবহার করা মারাত্মক অপরাধ :

وَلَا تَكُوْنُوْا كَالَّتِيْ نَقَضَتْ غَزْلَهَا مِنْ ۢبَعْدِ قُوَّةٍ اَنْكَاثًاؕ تَتَّخِذُوْنَ اَيْمَانَكُمْ دَخَلًا ۢبَيْنَكُمْ اَنْ تَكُوْنَ اُمَّةٌ هِيَ اَرْبٰى مِنْ اُمَّةٍؕ اِنَّمَا يَبْلُوْكُمُ اللهُ بِهٖ

তোমরা সে নারীর মতো হয়ো না, যে তার সূতা মজবুত করে পাকানোর পর তার পাক খুলে নষ্ট করে দেয়। তোমরা তো তোমাদের শপথসমূহ পরস্পরকে প্রবঞ্চনা করার জন্য ব্যবহার করে থাক, যাতে একদল অন্যদলের চেয়ে অধিক লাভবান হতে পার। আর আল্লাহ এটা দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। (সূরা নাহল- ৯২)

ভালো কাজ না করার জন্য কসম খাওয়া জায়েয নয় :

وَلَا تَجْعَلُوا اللهَ عُرْضَةً لِّاَيْمَانِكُمْ اَنْ تَبَرُّوْا وَتَتَّقُوْا وَتُصْلِحُوْا بَيْنَ النَّاسِؕ وَاللهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ

তোমরা সৎকাজ, পরহেজগারমূলক কাজ এবং মানুষের মধ্যে মীমাংসা করা থেকে বিরত থাকার উদ্দেশ্যে নিজেদের কসমের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বানিয়ে নিয়ো না। (জেনে রেখো) আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সূরা বাক্বারা- ২২৪)

وَلَا يَأْتَلِ اُولُو الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ اَنْ يُّؤْتُوْاۤ اُولِى الْقُرْبٰى وَالْمَسَاكِيْنَ وَالْمُهَاجِرِيْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ

তোমাদের মধ্যে যারা ঐশবর্য্য ও প্রাচুর্যের অধিকারী তারা যেন এ মর্মে শপথ না করে যে, তারা আত্মীয়স্বজন ও অভাবগ্রস্তদেরকে এবং আল্লাহর রাস্তায় হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। (সূরা নূর- ২২)

আল্লাহ অর্থহীন কসমের জন্য ধরবেন না, বরং শক্ত কসমের জন্য ধরবেন :

لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللهُ بِاللَّغْوِ فِۤيْ اَيْمَانِكُمْ وَلٰكِنْ يُّؤَاخِذُكُمْ بِمَا كَسَبَتْ قُلُوْبُكُمْؕ وَاللهُ غَفُوْرٌ حَلِيْمٌ

আল্লাহ তোমাদেরকে অনর্থক কসমের জন্য পাকড়াও করবেন না, তবে তিনি তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন তোমাদের অন্তর যা অর্জন করে তার জন্য। নিশ্চয় আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাপরায়ণ ও ধৈর্যশীল। (সূরা বাক্বারা- ২২৫)

لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللهُ بِاللَّغْوِ فِۤيْ اَيْمَانِكُمْ وَلٰكِنْ يُّؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُّمُ الْاَيْمَانَ

তোমাদের অনর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। কিন্তু যেসব শপথ তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কর, তার জন্য তিনি তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। (সূরা মায়েদা- ৮৯)

ব্যাখ্যা : আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা, যদি তোমাকে তা চাওয়ার কারণে দেয়া হয়, তাহলে তোমার উপর তা সোপর্দ করা হবে। আর যদি না চাওয়ার কারণে দেয়া হয়, তবে সেখানে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর তুমি কোন শপথ করে তার বিপরীত করা উত্তম দেখলে তা ভঙ্গ করবে এবং কাফ্ফারা দিয়ে দেবে। (সহীহ বুখারী, হা/৬৬২২)

কসমের কাফফারা দেয়ার নিয়ম :

فَكَفَّارَتُهٗۤ اِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِيْنَ مِنْ اَوْسَطِ مَا تُطْعِمُوْنَ اَهْلِيْكُمْ اَوْ كِسْوَتُهُمْ اَوْ تَحْرِيْرُ رَقَبَةٍؕ فَمَنْ لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ اَيَّامٍؕ ذٰلِكَ كَفَّارَةُ اَيْمَانِكُمْ اِذَا حَلَفْتُمْ

কসমের কাফফারা হলো, দশজন দরিদ্রকে মধ্যমমানের খাদ্য দান করা, যা তোমরা তোমাদের পরিবারকে খেতে দাও। অথবা তাদেরকে পোষাক দান করা, কিংবা একজন দাসমুক্ত করা। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন তিনদিন সিয়াম পালন করে। যখন তোমরা শপথ কর (অতঃপর তা ভঙ্গ কর) তখন এটা হচ্ছে তোমাদের শপথ (ভঙ্গের) কাফফারা। (সূরা মায়েদা- ৮৯)

কসমের হেফাজত করা আবশ্যক :

وَاحْفَظُوْاۤ اَيْمَانَكُمْؕ كَذٰلِكَ يُبَيِّنُ اللهُ لَكُمْ اٰيَاتِه لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ

আর তোমরা তোমাদের শপথসমূহ হেফাজত করো। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করে থাকেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার। (সূরা মায়েদা- ৮৯)

ব্যাখ্যা : ‘কসম’ সংরক্ষণ করার কয়েকটি অর্থ হয়। (এক) কসমকে সঠিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে এবং গোনাহের কাজে কসম খাওয়া যাবে না। (দুই) কোন বিষয়ে কসম খেলে সেটা মনে রাখতে হবে এবং কোনভাবে তা ভুলে গিয়ে তার বিরুদ্ধাচরণ করা যাবে না। (তিন) কোন সঠিক বিষয়ে জেনে বুঝে ইচ্ছাকৃতভাবে কসম খেলে অবশ্যই তা পূর্ণ করতে হবে নতুবা তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন