hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৯১
অধ্যায়- ১৯ : মক্কার কাফিরদের বৈশিষ্ট্য ও আচরণ
অশ্লীল কাজ করত :

وَاِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً قَالُوْا وَجَدْنَا عَلَيْهَاۤ اٰبَآءَنَا وَاللهُ اَمَرَنَا بِهَاؕ قُلْ اِنَّ اللهَ لَا يَأْمُرُ بِالْفَحْشَآءِؕ اَتَقُوْلُوْنَ عَلَى اللهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ

যখন তারা কোন অশ্লীল আচরণ করে তখন বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এ (আমলের) উপর পেয়েছি; আর আল্লাহও আমাদেরকে এটা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বলো, আল্লাহ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ, যা তোমরা জান না? (সূরা আ‘রাফ- ২৮)

হাততালি ও শিস দেয়া ছিল তাদের ইবাদাত :

وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمْ عِنْدَ الْبَيْتِ اِلَّا مُكَآءً وَّتَصْدِيَةًؕ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُوْنَ

কা‘বা ঘরের নিকট শুধু শিস ও হাততালি দেয়াই ছিল তাদের সালাত; সুতরাং তোমরা তোমাদের কুফরীর জন্য শাস্তি ভোগ করো। (সূরা আনফাল- ৩৫)

তারা সন্তান হত্যা করত :

وَكَذٰلِكَ زَيَّنَ لِكَثِيْرٍ مِّنَ الْمُشْرِكِيْنَ قَتْلَ اَوْلَادِهِمْ شُرَكَآؤُهُمْ لِيُرْدُوْهُمْ وَلِيَلْبِسُوْا عَلَيْهِمْ دِيْنَهُمْؕ وَلَوْ شَآءَ اللهُ مَا فَعَلُوْهُ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُوْنَ

এভাবে তাদের দেবতারা বহু মুশরিকদের দৃষ্টিতে তাদের সন্তানদের হত্যাকে শোভন করে দিয়েছে- তাদের নিজেদের ধ্বংস সাধনের জন্য এবং তাদের ধর্ম সম্বন্ধে তাদের বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য; তবে আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা এসব করত না। সুতরাং তাদেরকে তাদের মিথ্যা নিয়ে থাকতে দাও। (সূরা আন‘আম- ১৩৭)

قَدْ خَسِرَ الَّذِيْنَ قَتَلُوْاۤ اَوْلَادَهُمْ سَفَهًا ۢبِغَيْرِ عِلْمٍ وَّحَرَّمُوْا مَا رَزَقَهُمُ اللهُ افْتِرَآءً عَلَى اللهِؕ قَدْ ضَلُّوْا وَمَا كَانُوْا مُهْتَدِيْنَ

যারা নির্বুদ্ধিতার দরুন ও অজ্ঞতাবশত নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করে এবং আল্লাহর সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ প্রদত্ত জীবিকাকে নিষিদ্ধ করে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্যই তারা বিপথগামী হয়েছে; আর তারা সৎপথপ্রাপ্তও ছিল না। (সূরা আন‘আম- ১৪০)

وَاِذَا الْمَوْءُوْدَةُ سُئِلَتْ بِاَيِّ ذَنْۢبٍ قُتِلَتْ

যখন জীবন্ত কবর দেয়া কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তাকে কী অপরাধে হত্যা করা হয়েছিল? (সূরা তাকভীর- ৮, ৯)

হালাল মাসকে হারাম ও হারাম মাসকে হালাল করে নিত :

اِنَّمَا النَّسِيْٓءُ زِيَادَةٌ فِى الْكُفْرِ يُضَلُّ بِهِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُحِلُّوْنَهٗ عَامًا وَّيُحَرِّمُوْنَهٗ عَامًا لِّيُوَاطِئُوْا عِدَّةَ مَا حَرَّمَ اللهُ فَيُحِلُّوْا مَا حَرَّمَ اللهُؕ زُيِّنَ لَهُمْ سُوْٓءُ اَعْمَالِهِمْؕ وَاللهُ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الْكَافِرِيْنَ

মাসকে পিছিয়ে দেয়া তাদের কুফরীকেই বৃদ্ধি করে, যা দ্বারা কাফিরদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়। তারা তাকে কোন বছর বৈধ করে এবং কোন বছর অবৈধ করে, যাতে তারা আল্লাহ যেগুলোকে নিষিদ্ধ করেছেন সেগুলোর গণনা পূর্ণ করতে পারে এবং আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা হালাল করতে পারে। তাদের মন্দকাজগুলো তাদের জন্য শোভনীয় করা হয়েছে; আর আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। (সূরা তাওবা- ৩৭)

মক্কার কাফিররা কোনভাবেই ঈমান আনতে চাইত না :

وَلَوْ اَنَّنَا نَزَّلْنَاۤ اِلَيْهِمُ الْمَلَآئِكَةَ وَكَلَّمَهُمُ الْمَوْتٰى وَحَشَرْنَا عَلَيْهِمْ كُلَّ شَيْءٍ قُبُلًا مَّا كَانُوْا لِيُؤْمِنُوْاۤ اِلَّاۤ اَنْ يَّشَآءَ اللهُ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ يَجْهَلُوْنَ

আমি তাদের নিকট ফেরেশতা প্রেরণ করলেও এবং মৃতরা তাদের সাথে কথা বললেও অথবা সকল বস্তুকে তাদের সম্মুখে হাজির করলেও যদি আল্লাহ ইচ্ছা না করেন তবে তারা ঈমান আনবে না, কিন্তু তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ। (সূরা আন‘আম- ১১১)

নিদর্শন দেখে ঈমান আনার জন্য কসম খেত :

وَاَقْسَمُوْا بِاللهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَئِنْ جَآءَتْهُمْ اٰيَةٌ لَّيُؤْمِنُنَّ بِهَاؕ قُلْ اِنَّمَا الْاٰيَاتُ عِنْدَ اللهِ وَمَا يُشْعِرُكُمْ اَنَّهَاۤ اِذَا جَآءَتْ لَا يُؤْمِنُوْنَ

তারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করে বলে, তাদের নিকট যদি কোন নিদর্শন আসত তবে অবশ্যই তারা তাতে ঈমান আনত। (তাদেরকে) বলো, নিদর্শন তো কেবল আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আর কিসে তোমাকে জানাবে যে, তাদের নিকট নিদর্শন আসলেও তারা যে ঈমান আনবে না। (সূরা আন‘আম- ১০৯)

ব্যাখ্যা : কাফিররা বলতে লাগল, হে মুহাম্মাদ! তুমি বলে থাক মূসা (আঃ) লাঠি দ্বারা পাথরের উপর আঘাত করলে বারটি ঝর্ণা প্রবাহিত হয়েছিল। ঈসা (আঃ) ফুঁ দিয়ে মৃতকে জীবিত করতেন। সুতরাং তুমিও যদি অনুরূপ কোন মু‘জিযা দেখাতে পার, তবে আমরা ঈমান আনব। রাসূল ﷺ বললেন, সত্যিই কি তাহলে ঈমান আনবে? তখন তারা কসম করে প্রতিশ্রুতি দিল। অতঃপর যখন রাসূল ﷺ দু‘আ করতে উদ্যত হলেন তখন জিবরাইল (আঃ) বললেন, এ মু‘জিযা না মানলে তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন এ প্রেক্ষাপটে উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়।

আসলে তারা কোন নিদর্শনের প্রতিই ঈমান আনত না :

وَلَوْ اَنَّ قُرْاٰنًا سُيِّرَتْ بِهِ الْجِبَالُ اَوْ قُطِّعَتْ بِهِ الْاَرْضُ اَوْ كُلِّمَ بِهِ الْمَوْتٰىؕ بَلْ لِّلّٰهِ الْاَمْرُ جَمِيْعًا

যদি কোন কুরআন এমন হতো, যার দ্বারা পর্বতকে গতিশীল করা যেত অথবা পৃথিবীকে বিদীর্ণ করা যেত অথবা মৃতের সাথে কথা বলা যেত (তবুও তারা তাতে বিশ্বাস করত না।) সমস্ত বিষয়ই আল্লাহর ইচ্ছাধীন। (সূরা রা‘দ- ৩১)

وَمِنْهُمْ مَنْ يَّسْتَمِعُ اِلَيْكَۚ وَجَعَلْنَا عَلٰى قُلُوْبِهِمْ اَكِنَّةً اَنْ يَّفْقَهُوْهُ وَفِۤىْ اٰذَانِهِمْ وَقْرًاؕ وَاِنْ يَّرَوْا كُلَّ اٰيَةٍ لَّا يُؤْمِنُوْا بِهَاؕ حَتّٰۤى اِذَا جَآءُوْكَ يُجَادِلُوْنَكَ يَقُوْلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۤ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِيْرُ الْاَوَّلِيْنَ

তাদের মধ্যে কতক লোক এমনও আছে, যারা তোমার দিকে কান পেতে রাখে। কিন্তু আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ সৃষ্টি করে দিয়েছি, যেন তারা তা উপলদ্ধি করতে না পারে। তাদেরকে বধির করেছি, ফলে সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করলেও তারা তাতে ঈমান আনবে না। সুতরাং তারা যখন তোমার নিকট উপস্থিত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয় তখন কাফিররা বলে, ‘এটা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।’ (সূরা আন‘আম- ২৫)

তারা সবসময় নিদর্শনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করত :

وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِيْ هٰذَا الْقُرْاٰنِ مِنْ كُلِّ مَثَلٍؕ وَلَئِنْ جِئْتَهُمْ بِاٰيَةٍ لَّيَقُوْلَنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۤ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا مُبْطِلُوْنَ

আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য প্রত্যেক প্রকার উদাহরণ বর্ণনা করেছি। আপনি যদি তাদের কাছে কোন দৃষ্টান্ত নিয়ে আসেন, তবুও যারা কুফরী করেছে তারা অবশ্যই বলবে, তোমরা সবাই বাতিলপন্থী ছাড়া আর কিছুই নও। (সূরা রূম- ৫৮)

নিদর্শনকে যাদু মনে করত :

وَاِذَا رَاَوْا اٰيَةً يَّسْتَسْخِرُوْنَ وَقَالُوْاۤ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِيْنٌ

তারা কোন নিদর্শন দেখলে উপহাস করে এবং বলে, এটা তো প্রকাশ্য যাদু ব্যতীত আর কিছু নয়। (সূরা সাফফাত - ১৪, ১৫)

وَاِنْ يَّرَوْا اٰيَةً يُّعْرِضُوْا وَيَقُوْلُوْا سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ

তারা কোন নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে এটা তো পূর্ব হতে চলে আসা (বড় ধরনের) যাদু। (সূরা ক্বামার- ২)

যে নিদর্শনই আসুক তারা মুখ ফিরিয়ে নিত :

وَكَاَيِّنْ مِّنْ اٰيَةٍ فِى السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ يَمُرُّوْنَ عَلَيْهَا وَهُمْ عَنْهَا مُعْرِضُوْنَ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে অনেক নিদর্শন রয়েছে। তারা এগুলো প্রত্যক্ষ করে, কিন্তু তারা এগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা ইউসুফ- ১০৫)

وَمَا تَأْتِيْهِمْ مِّنْ اٰيَةٍ مِّنْ اٰيَاتِ رَبِّهِمْ اِلَّا كَانُوْا عَنْهَا مُعْرِضِيْنَ

তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলির যে কোন নিদর্শনই তাদের কাছে আসে, তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা ইয়াসীন- ৪৬)

তারা কোন উপদেশ গ্রহণ করত না :

وَاِذَا ذُكِّرُوْا لَا يَذْكُرُوْنَ

যখন তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয় তখন তারা তা গ্রহণ করে না। (সূরা সাফফাত- ১৩)

وَمَا يَأْتِيْهِمْ مِّنْ ذِكْرٍ مِّنَ الرَّحْمٰنِ مُحْدَثٍ اِلَّا كَانُوْا عَنْهُ مُعْرِضِيْنَ

যখনই তাদের কাছে দয়াময়ের নিকট হতে কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা সেটা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা শু‘আরা- ৫)

বিপদের সময় মুমিন হওয়ার ওয়াদা করত :

رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ اِنَّا مُؤْمِنُوْنَ اَنّٰى لَهُمُ الذِّكْرٰى وَقَدْ جَآءَهُمْ رَسُوْلٌ مُّبِيْنٌ

(তারা বলবে) হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এই শাস্তি হতে মুক্তি দিন, আমরা ঈমান আনব। (এখন) তারা আর কী করে উপদেশ গ্রহণ করবে? তাদের নিকট তো এসেছিলেন স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদানকারী এক রাসূল। (সূরা দুখান- ১২, ১৩)

বিপদ সরে গেলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেত :

ثُمَّ تَوَلَّوْا عَنْهُ وَقَالُوْا مُعَلَّمٌ مَّجْنُوْنٌ اِنَّا كَاشِفُو الْعَذَابِ قَلِيْلًا اِنَّكُمْ عَآئِدُوْنَ

অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে বলে, সে তো শিখানো (বুলি বলছে) সে তো এক পাগল। আমি (যদি) তোমাদের শাস্তি কিছুকালের জন্য সরিয়ে দেই, তাহলে তোমরা পুনরায় তা-ই করবে। (সূরা দুখান- ১৪, ১৫)

তারা আযাবের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করত :

وَيَسْتَعْجِلُوْنَكَ بِالْعَذَابِؕ وَلَوْلَاۤ اَجَلٌ مُّسَمًّى لَّجَآءَهُمُ الْعَذَابُؕ وَلَيَأْتِيَنَّهُمْ بَغْتَةً وَّهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ يَسْتَعْجِلُوْنَكَ بِالْعَذَابِؕ وَاِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيْطَةٌ ۢبِالْكَافِرِيْنَ

তারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে। যদি নির্ধারিত কাল না থাকত, তবে অবশ্যই তাদের উপর শাস্তি এসে যেত। নিশ্চয় তাদের উপর শাস্তি আসবে আকস্মিকভাবে, তাদের অজ্ঞাতসারে। তারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে, (জেনে রেখো) জাহান্নাম কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করবেই।

(সূরা আনকাবূত- ৫৩, ৫৪)

وَلَوْ يُعَجِّلُ اللهُ لِلنَّاسِ الشَّرَّ اسْتِعْجَالَهُمْ بِالْخَيْرِ لَقُضِيَ اِلَيْهِمْ اَجَلُهُمْ فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَآءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ

আল্লাহ যদি মানুষের অকল্যাণ ত্বরান্বিত করতেন, যেভাবে তারা তাদের কল্যাণ ত্বরান্বিত করতে চায়, তবে অবশ্যই তাদের মৃত্যু ঘটত। সুতরাং যারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না, তাদেরকে আমি তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াতে দেই। (সূরা ইউনুস- ১১)

ব্যাখ্যা : নবী ﷺ যখনই তাদেরকে সত্য অমান্য করার কারণে ভয় দেখাতেন তখনই তারা বলত, তুমি আল্লাহর যে শাস্তির হুমকি দিচ্ছ তা আসছে না কেন? তা আসতে দেরি হচ্ছে কেন? এরই উত্তরে বলা হচ্ছে, মানুষের প্রতি দয়া ও করুণা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আল্লাহ যতটা দ্রুতগামী হন, তাদের পাপের দরুন তাদেরকে পাকড়াও করার ব্যাপারে ততটা তড়িৎ গতি অবলম্বন করেন না। মানুষ যতই অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ করুক না কেন, তাদেরকে পাকড়াও করার আগে তিনি তাদেরকে সংশোধন হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ দেন। একের পর এক সতর্কবাণী পাঠান। অবশেষে যখন অবকাশ শেষ সীমায় উপনীত হয়, তখনই কর্মফল প্রদানের নীতি অবলম্বন করেন।

তারা গোপনে শলা-পরামর্শ করত :

اَ لَّذِيْنَ ظَلَمُوْا هَلْ هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ اَفَتَأْتُوْنَ السِّحْرَ وَاَنْتُمْ تُبْصِرُوْنَ

যারা যালিম তারা গোপনে পরামর্শ করে যে, ‘এ তো তোমাদের মতোই একজন মানুষ, তবুও কি তোমরা দেখেশুনে যাদুর কবলে পড়বে?’ (সূরা আম্বিয়া, ১-৩)

আল্লাহর নিয়ামত জানার পরও অস্বীকার করত :

يَعْرِفُوْنَ نِعْمَتَ اللهِ ثُمَّ يُنْكِرُوْنَهَا وَاَكْثَرُهُمُ الْكَافِرُوْنَ

তারা আল্লাহর নিয়ামত চিনতে পারে তারপরও সেগুলো অস্বীকার করে; আর তাদের অধিকাংশই কাফির। (সূরা নাহল- ৮৩)

ব্যাখ্যা : নিয়ামত অস্বীকার করা বলতে বুঝায়- নিয়ামতকে নিয়ামতদাতা ছাড়া অন্য কারো দান মনে করা, অন্য কারো কাছে নিয়ামত লাভের আশা করা এবং নিয়ামতের অপব্যবহার করা। মুশরিক, কাফির ও মুনাফিকরা জীবজন্তুর সৃষ্টির ব্যাপারে অন্যের হাত আছে বলে দাবী করত না। কিন্তু তারা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে দেবতাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করত, তাদের জন্য মান্নত করত এবং তাদের কাছে প্রার্থনা করত। তাই আল্লাহর কাছে তাদের মৌখিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে পড়ত। এজন্যই আল্লাহ তাদেরকে অস্বীকারকারী ও অকৃতজ্ঞ বলে অভিহিত করেছেন।

অনেকে আল্লাহকেই অস্বীকার করত :

وَهُمْ يَكْفُرُوْنَ بِالرَّحْمٰنِؕ قُلْ هُوَ رَبِّيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَاِلَيْهِ مَتَابِ

তারা দয়াময় (আল্লাহ) কে অস্বীকার করে। (হে নবী! তাদেরকে) বলে দাও, ‘তিনিই আমার প্রতিপালক; তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্য ইলাহ্ নেই। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং আমার প্রত্যাবর্তন তাঁরই নিকট।’ (সূরা রা‘দ- ৩০)

তারা আল্লাহকে সিজদা করতে চাইত না :

وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اسْجُدُوْا لِلرَّحْمٰنِ قَالُوْا وَمَا الرَّحْمٰنُۗ اَنَسْجُدُ لِمَا تَأْمُرُنَا وَزَادَهُمْ نُفُوْرًا

যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘রাহমান’-এর প্রতি সিজদাবনত হও। তখন তারা বলে, ‘রহমান’ আবার কে? তুমি কাউকে সিজদা করতে বললেই কি আমরা তাকে সিজদা করব?’ অতঃপর এতে তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি পায়। (সূরা ফুরক্বান- ৬০)

অনেকে আল্লাহর সাথে শিরক করত :

وَمَا يُؤْمِنُ اَ كْثَرُهُمْ بِاللهِ اِلَّا وَهُمْ مُّشْرِكُوْنَ

তাদের অধিকাংশ আল্লাহকে বিশ্বাস করে, কিন্তু তারা তাঁর সাথে শরীক স্থাপন করে। (সূরা ইউসুফ- ১০৬)

তাওহীদের কথা শুনলে তাদের মন সংকুচিত হয়ে যেত :

وَاِذَا ذُ كِرَ اللهُ وَحْدَهُ اشْمَاَزَّتْ قُلُوْبُ الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِۚ وَاِذَا ذُ كِرَ الَّذِيْنَ مِنْ دُوْنِهٖۤ اِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُوْنَ

যখন আল্লাহর একত্ববাদের কথা উল্লেখ করা হয় তখন যারা আখিরাতকে বিশ্বাস করে না তাদের অন্তর ঘৃণায় ভরে যায় এবং যখন আল্লাহর পরিবর্তে (তাদের দেবতাগুলোর কোন বিষয়) উল্লেখ করা হয় তখন তারা আনন্দিত হয়। (সূরা যুমার- ৪৫)

তারা তাওহীদের কথা মানতে চাইত না :

اِنَّهُمْ كَانُوْاۤ اِذَا قِيْلَ لَهُمْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ يَسْتَكْبِرُوْنَ وَيَقُوْلُوْنَ اَئِنَّا لَتَارِكُوْاۤ اٰلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُوْنٍ

তাদেরকে বলা হতো, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মা‘বুদ নেই, তখন তারা অহংকার করত এবং বলত, আমরা কি এক পাগল কবির কথায় আমাদের ইলাহদেরকে পরিত্যাগ করব? (সূরা সাফফাত- ৩৫, ৩৬)

وَاِذَا ذَ كَرْتَ رَبَّكَ فِى الْقُرْاٰنِ وَحْدَهٗ وَلَّوْا عَلٰۤى اَدْبَارِهِمْ نُفُوْرًا

যখন তুমি কুরআন হতে আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কে (কোনকিছু) পাঠ কর, তখন তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে সরে পড়ে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৪৬)

তারা পরকালকে ভয় করত না :

كَلَّا بَلْ لَّا يَخَافُوْنَ الْاٰخِرَةَ

কখনো নয়, বরং তারা আদৌ আখিরাতের ভয় করে না। (সূরা মুদ্দাসসির- ৫৩)

নবী ﷺ এর দাওয়াতকে স্বার্থপরতা মনে করত :

وَانْطَلَقَ الْمَلَاُ مِنْهُمْ اَنِ امْشُوْا وَاصْبِرُوْا عَلٰۤى اٰلِهَتِكُمْۚ اِنَّ هٰذَا لَشَيْءٌ يُّرَادُ مَا سَمِعْنَا بِهٰذَا فِى الْمِلَّةِ الْاٰخِرَةِ ۚ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا اخْتِلَاقٌ

তাদের নেতারা এ কথা বলে চলে যায় যে, তোমরা চলে যাও এবং নিজেদের উপাস্যদের ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করো, নিশ্চয় এটা এক উদ্দেশ্যমূলক ব্যাপার। এরূপ কথা তো আমরা পূর্ববর্তী ধর্মে শুনিনি। এটা তো মনগড়া উক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। (সূরা সোয়াদ, ৬-৭)

ব্যাখ্যা : যতদিন পর্যন্ত মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর জাতিকে আল্লাহর আয়াত শুনাতে শুরু করেননি ততদিন পর্যন্ত তারা তাকে ‘আল আমীন’ বা সত্যবাদী মনে করত এবং তাঁর সততা ও বিশ্বস্ততার উপর পূর্ণ আস্থা রাখত। কিন্তু যখনই তিনি তাদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছাতে শুরু করেন, তখন থেকেই তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে শুরু করল। অথচ তাদের মধ্যে এমন একজনও ছিল না যে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁকে মিথ্যাবাদী বলার সাহস করতে পারত। কোন কট্টর বিরোধীও তাঁর বিরুদ্ধে কখনো এ ধরনের দোষারোপ করেনি যে, দুনিয়াবী ব্যাপারে তিনি কখনো মিথ্যা কথা বলেছেন। নবী হওয়ার কারণে এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করার জন্যই তারা তাঁকে মিথ্যাচারে অভিযুক্ত করেছে।

নবী ﷺ কে কুরআন থেকে পৃথক করতে চাইত :

وَاِنْ كَادُوْا لَيَفْتِنُوْنَكَ عَنِ الَّذِيْۤ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ لِتَفْتَرِيَ عَلَيْنَا غَيْرَهٗۗ وَاِذًا لَّاتَّخَذُوْكَ خَلِيْلًا وَلَوْلَاۤ اَنْ ثَبَّتْنَاكَ لَقَدْ كِدْتَّ تَرْكَنُ اِلَيْهِمْ شَيْئًا قَلِيْلًا

আমি তোমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ করেছি তারা তা হতে পদস্খলন ঘটানোর চেষ্টা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিল, যাতে তুমি আমার সম্বন্ধে তার বিপরীত মিথ্যা উদ্ভাবন কর। (এতে যদি তারা সফল হতো) তবে তারা অবশ্যই তোমাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করত। আমি তোমাকে অবিচল না রাখলে তুমি তাদের দিকে প্রায় কিছুটা ঝুঁকে পড়তে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৭৩, ৭৪)

কুরআনকে বিশ্বাস করতে চাইত না :

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ بِهٰذَا الْقُرْاٰنِ وَلَا بِالَّذِيْ بَيْنَ يَدَيْهِ

কাফিররা বলে, আমরা এ কুরআন কখনো বিশ্বাস করব না এবং এর পূর্ববর্তী কিতাবসমূহও না। (সূরা সাবা- ৩১)

কুরআন শুনলে পাশ কাটিয়ে চলে যেত :

وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِ اٰيَاتُنَا وَلّٰى مُسْتَكْبِرًا كَاَنْ لَّمْ يَسْمَعْهَا كَاَنَّ فِۤىْ اُذُنَيْهِ وَقْرًاۚ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ

যখন তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন সে অহংকারবশত এমনভাবে ফিরে যায়, যেন সে কিছু শুনতেই পায়নি; যেন তার কর্ণদ্বয়ের মধ্যে ছিপি রয়েছে। অতএব তাকে বেদনাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও। (সূরা লুক্বমান- ৭)

আল্লাহর নিদর্শন নিয়ে বিতর্ক করত :

اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِيْنَ يُجَادِلُوْنَ فِۤيْ اٰيَاتِ اللهِؕ اَنّٰى يُصْرَفُوْنَ

(হে নবী!) তুমি কি তাদের (অবস্থার) দিকে লক্ষ্য করনি, যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলি সম্পর্কে নানা বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছে; (তুমি কি বলতে পার আসলে) তারা কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে? (সূরা মু’মিন- ৬৯)

কোন আসমানী কিতাবই মানতে চাইত না :

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ بِهٰذَا الْقُرْاٰنِ وَلَا بِالَّذِيْ بَيْنَ يَدَيْهِ

কাফিররা বলে, আমরা এ কুরআন কখনো বিশ্বাস করব না এবং এর পূর্ববর্তী কিতাবসমূহও না। (সূরা সাবা- ৩১)

অথচ কিতাব আসার আগে তা মানবে বলে কসম করত :

وَاِنْ كَانُوْا لَيَقُوْلُوْنَ لَوْ اَنَّ عِنْدَنَا ذِكْرًا مِّنَ الْاَوَّلِيْنَ لَكُنَّا عِبَادَ اللهِ الْمُخْلَصِيْنَ

কাফিররা বলত, যদি পূর্ববর্তীদের কিতাবের ন্যায় আমাদের কাছেও কোন কিতাব থাকত, তবে অবশ্যই আমরাও আল্লাহর খাঁটি বান্দা হয়ে যেতাম। (সূরা সাফফাত, ১৬৭-১৬৯)

তারা মিথ্যা কথা বলে বেড়াত :

وَتَصِفُ اَلْسِنَتُهُمُ الْكَذِبَ اَنَّ لَهُمُ الْحُسْنٰىؕ لَا جَرَمَ اَنَّ لَهُمُ النَّارَ وَاَنَّهُمْ مُّفْرَطُوْنَ

তাদের জিহবা এ মিথ্যা বর্ণনা করে যে, মঙ্গল কেবল তাদেরই জন্য। নিঃসন্দেহে তাদের জন্য রয়েছে অগ্নি এবং তাদেরকেই তাতে নিক্ষেপ করা হবে। (সূরা নাহল- ৬২)

তারা ছিল বিভ্রান্ত সম্প্রদায় :

اَمْ تَحْسَبُ اَنَّ اَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُوْنَ اَوْ يَعْقِلُوْنَؕ اِنْ هُمْ اِلَّا كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ سَبِيْلًا

তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ শুনে ও বুঝে? তারা তো পশুর মতোই, বরং তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট! (সূরা ফুরক্বান- ৪৪)

তারা নবী ﷺ এর দাওয়াতকে উন্নতির অন্তরায় মনে করত :

وَقَالُوْاۤ اِنْ نَّتَّبِعِ الْهُدٰى مَعَكَ نُتَخَطَّفْ مِنْ اَرْضِنَا

তারা বলে, আমরা যদি তোমার সাথে সৎপথ অনুসরণ করি তবে আমাদেরকে দেশ হতে উৎখাত করা হবে। (সূরা ক্বাসাস- ৫৭)

তারা বাপ-দাদার ধর্মত্যাগ করতে চাইত না :

وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اتَّبِعُوْا مَاۤ اَنْزَلَ اللهُ قَالُوْا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ اٰبَآءَنَاؕ اَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوْهُمْ اِلٰى عَذَابِ السَّعِيْرِ

যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তোমরা তার আনুগত্য করো তখন তারা বলে, বরং আমরা তো তার আনুগত্য করব, যার উপর আমাদের বাপ-দাদাদেরকে পেয়েছি। যদিও শয়তান তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির দিকে আহবান করতে থাকে তবুও কি (তারা তাদের অনুসরণ করবে)? (সূরা লুক্বমান- ২১)

তারা মুমিনদেরকে নিয়ে ব্যঙ্গ করত :

اِنَّ الَّذِيْنَ اَجْرَمُوْا كَانُوْا مِنَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا يَضْحَكُوْنَ وَاِذَا مَرُّوْا بِهِمْ يَتَغَامَزُوْنَ

যারা অপরাধী তারা মুমিনদেরকে উপহাস করত এবং তারা যখন তাদের নিকট দিয়ে যেত তখন চোখ টিপে কটাক্ষ করত। (সূরা মুতাফ্ফিফীন- ২৯, ৩০)

নবীর বিরোধিতা করার কারণে তাদের অন্তরে মোহর পড়ে গেছে :

وَجَعَلْنَا عَلٰى قُلُوْبِهِمْ اَكِنَّةً اَنْ يَّفْقَهُوْهُ وَفِۤيْ اٰذَانِهِمْ وَقْرًا

আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ তৈরি করে দিয়েছি, যেন তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদেরকে বধির করে দিয়েছি। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৪৬)

তারা নবীকে না মানার কারণে শাস্তি পেয়েছে :

وَلَقَدْ جَآءَهُمْ رَسُوْلٌ مِّنْهُمْ فَكَذَّبُوْهُ فَاَخَذَهُمُ الْعَذَابُ وَهُمْ ظَالِمُوْنَ

তাদের নিকট তাদেরই মধ্য হতে এক রাসূল এসেছিল, কিন্তু তারা তাকে অস্বীকার করেছিল। ফলে সীমালঙ্ঘন করা অবস্থায় শাস্তি (মৃত্যু) তাদেরকে গ্রাস করল। (সূরা নাহল- ১১৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন