hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১২৭
অধ্যায়- ৭ : ইসলামী সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য
আইনের চূড়ান্ত সনদ হিসেবে কুরআন ও সুন্নাহকে নির্দিষ্ট করা :

فَاِنْ تَنَازَعْتُمْ فِيْ شَيْءٍ فَرُدُّوْهُ اِلَى اللّٰهِ وَالرَّسُوْلِ اِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِؕ ذٰلِكَ خَيْرٌ وَّاَحْسَنُ تَاْوِيْلًا

অতঃপর তোমাদের মাঝে যদি কোন মতবিরোধ সৃষ্টি হয়, তাহলে সে বিষয়টি ফায়সালার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান আনয়ন করে থাক; এটাই উত্তম এবং চূড়ান্ত সিন্ধান্ত গ্রহণের জন্য অধিকতর উপযুক্ত। (সূরা নিসা- ৫৯)

মানবসমাজকে ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত করা :

لَقَدْ اَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَاَنْزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيْزَانَ لِيَقُوْمَ النَّاسُ بِالْقِسْطِۚ وَاَنْزَلْنَا الْحَدِيْدَ فِيْهِ بَاْسٌ شَدِيْدٌ وَّمَنَافِعُ لِلنَّاسِ

নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে প্রেরণ করেছি স্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাদের সঙ্গে দিয়েছি কিতাব ও তুলাদন্ড, যাতে করে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি লৌহ দিয়েছি, যাতে রয়েছে প্রচন্ড শক্তি ও মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। (সূরা হাদীদ- ২৫)

কিসাস বা নর হত্যার বিধান প্রয়োগ করা :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِى الْقَتْلٰىؕ - اَلْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ وَالْاُنْثٰى بِالْاُنْثٰىؕ فَمَنْ عُفِيَ لَه مِنْ اَخِيْهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ ۢبِالْمَعْرُوْفِ وَاَدَآءٌ اِلَيْهِ بِاِحْسَانٍؕ ذٰلِكَ تَخْفِيْفٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَرَحْمَةٌؕ فَمَنِ اعْتَدٰى بَعْدَ ذٰلِكَ فَلَه عَذَابٌ اَلِيْمٌ

হে ঈমানদারগণ! নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের জন্য কিসাস (প্রতিশোধ গ্রহণের বিধান) ফরয করে দেয়া হলো। স্বাধীন ব্যক্তির পরিবর্তে স্বাধীন ব্যক্তি, দাসের পরিবর্তে দাস এবং নারীর পরিবর্তে নারী; কিন্তু কেউ যদি তার ভাই কর্তৃক কোন বিষয়ে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়, তবে যেন ন্যায় সঙ্গতভাবে রক্তমূল্য দাবী করে এবং (হত্যাকারী) সৎভাবে তা পরিশোধ করে দেয়। এটা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে হালকা বিধান ও করুণা। এরপরও যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে, তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সূরা বাক্বারা- ১৭৮)

ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের শাস্তি প্রয়োগ করা :

اِنَّمَا جَزَآءُ الَّذِيْنَ يُحَارِبُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَسْعَوْنَ فِى الْاَرْضِ فَسَادًا اَنْ يُّقَتَّلُوْاۤ اَوْ يُصَلَّبُوْاۤ اَوْ تُقَطَّعَ اَيْدِيْهِمْ وَاَرْجُلُهُمْ مِّنْ خِلَافٍ اَوْ يُنْفَوْا مِنَ الْاَرْضِؕ ذٰلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِى الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيْمٌ

যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিপক্ষে লড়াই করে এবং পৃথিবীতে ফিতনা সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি হলো- তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটা হলো তাদের জন্য পৃথিবীতে অপমান; কিন্তু পরকালে তাদের জন্য রয়েছে আরো ভয়াবহ শাস্তি। (সূরা মায়েদা- ৩৩)

চুরির শাস্তি প্রয়োগ করা :

وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوْاۤ اَيْدِيَهُمَا جَزَآءً ۢبِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِّنَ اللهِؕ وَاللهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ

যে পুরুষ এবং যে নারী চুরি করে তাদের কর্মফলের শাস্তি হিসেবে তাদের হাত কেটে দাও, এ হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে দন্ড। আল্লাহ মহাপ্রতাপশালী ও মহাবিজ্ঞ। (সূরা মায়েদা- ৩৮)

যিনার শাস্তি প্রয়োগ করা :

اَلزَّانِيَةُ وَالزَّانِيْ فَاجْلِدُوْا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ وَّلَا تَاْخُذْكُمْ بِهِمَا رَاْفَةٌ فِيْ دِيْنِ اللهِ اِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِۚ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَآئِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِيْنَ

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী- তাদের প্রত্যেককে একশ’ বেত্রাঘাত করবে। আল্লাহর বিধান কার্যকরী করণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে প্রভাবিত না করে, যদি তোমরা আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হও। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের উভয়ের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। (সূরা নূর- ২)

যিনার অপবাদের শাস্তি প্রদান করা :

وَالَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَاْتُوْا بِاَرْبَعَةِ شُهَدَآءَ فَاجْلِدُوْهُمْ ثَمَانِيْنَ جَلْدَةً وَّلَا تَقْبَلُوْا لَهُمْ شَهَادَةً اَبَدًاۚ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ اِلَّا الَّذِيْنَ تَابُوْا مِنْ ۢبَعْدِ ذٰلِكَ وَاَصْلَحُوْاۚ فَاِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

যারা সতী-সাধ্বী নারীদের উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেবে এবং এর স্বপক্ষে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারবে, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং ভবিষ্যতে আর কখনো তাদের থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না। কেননা এরা হচ্ছে নিকৃষ্ট গোনাহগার। তবে এরপর যারা তাওবা করবে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেবে তারা ব্যতীত। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা নূর- ৪, ৫)

ব্যাখ্যা : যে ব্যক্তি অন্যের বিরুদ্ধে যিনার অভিযোগ আনে, সে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিজের অভিযোগ প্রমাণ করবে। আর যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারে, তাহলে তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে সে আর কখনো এ ধরনের কোন মিথ্যা কথা বিনা প্রমাণে নিজের মুখ থেকে বের করার সাহস না করে। যখন কোন পুরুষ অথবা নারী অপর কোন সচ্চরিত্রবান পুরুষ অথবা নারীর উপর যিনার অপবাদ চাপিয়ে দেয়, তখন তার জন্য এ আইন প্রযোজ্য হবে। এখানে ‘মুহসিন’ ও ‘মুহসিনা’ অর্থ বিবাহিত পুরুষ ও নারী নয়, বরং সচ্চরিত্রবান পুরুষ ও নারীকে বুঝানো হয়েছে।

পতিতালয় বন্ধ করা :

وَلَا تُكْرِهُوْا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَآءِ اِنْ اَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِّتَبْتَغُوْا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَاؕ وَمَنْ يُّكْرِهْ هُّنَّ فَاِنَّ اللّٰهَ مِنْ ۢبَعْدِ اِكْرَاهِهِنَّ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

যদি তোমাদের দাসীরা সতীত্ব রক্ষা করতে চায়, তবে পার্থিব জীবনের ধনসম্পদের লোভ-লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারিণী হতে বাধ্য করো না। আর কেউ তাদেরকে বাধ্য করলে, তাদের উপর জবরদস্তির পর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা নূর- ৩৩)

সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরকে দমন করা :

لَئِنْ لَّمْ يَنْتَهِ الْمُنَافِقُوْنَ وَالَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ وَّالْمُرْجِفُوْنَ فِى الْمَدِيْنَةِ لَنُغْرِيَنَّكَ بِهِمْ ثُمَّ لَا يُجَاوِرُوْنَكَ فِيْهَاۤ اِلَّا قَلِيْلًا مَّلْعُوْنِيْنَۚ اَيْنَمَا ثُقِفُوْاۤ اُخِذُوْا وَقُتِّلُوْا تَقْتِيْلًا

যদি মুনাফিকরা ও যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা এবং মদিনায় গুজব রটনাকারীরা বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তোমাকে তাদের উপর প্রবল করে বসিয়ে দেব। অতঃপর তারা সেখানে তোমার প্রতিবেশী হিসেবে খুব সামান্য সময়ই অবস্থান করতে পারবে। এরপরও এখানে যারা থেকে যাবে তারা থাকবে অভিশপ্ত হয়ে। অতঃপর তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে পাকড়াও করা হবে এবং হত্যা করার মতোই হত্যা করা হবে। (সূরা আহযাব- ৬০, ৬১)

রাষ্ট্রের সর্বত্র আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করা :

وَقَاتِلُوْهُمْ حَتّٰى لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَّيَكُوْنَ الدِّيْنُ كُلُّهٗ لِلّٰهِۚ فَاِنِ انْتَهَوْا فَاِنَّ اللهَ بِمَا يَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ

তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দ্বীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর যদি তারা বিরত হয়, তবে তারা যা করে আল্লাহ সে ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা। (সূরা আনফাল- ৩৯)

সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নেয়া :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِنْ جَآءَكُمْ فَاسِقٌ ۢبِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوْاۤ اَنْ تُصِيْبُوْا قَوْمًا ۢبِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوْا عَلٰى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِيْنَ

হে ঈমানদারগণ! যদি কোন ফাসিক লোক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে এর সত্যতা যাচাই করে নিও। এমন যেন না হয় যে, তোমরা না জেনে কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে বস এবং তোমরা যা করেছ সেজন্য পরিতাপ করতে থাক। (সূরা হুজুরাত- ৬)

ব্যাখ্যা : আল্লাহ তা‘আলা মুসলিমদেরকে এ মৌলিক নির্দেশটি জানিয়ে দিলেন যে, যখন তোমরা এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর পাবে যার ভিত্তিতে বড় রকমের কোন ঘটনা সংঘটিত হতে পারে তখন তা বিশ্বাস করার পূর্বে খবরের বাহক কেমন ব্যক্তি তা যাচাই করে দেখো। সে যদি কোন ফাসিক হয় তাহলে তার দেয়া খবর অনুসারে কাজ করার পূর্বে প্রকৃত ঘটনা কি তা অনুসন্ধান করে দেখো। আললাহর এ নীতি অনুসারে যার চরিত্র ও কাজকর্ম নির্ভরযোগ্য নয় এমন কোন সংবাদদাতার সংবাদের উপর নির্ভর করে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা জাতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা বৈধ নয়।

বহিরাগতদেরকে নিরাপত্তা দেয়া :

وَاِنْ اَحَدٌ مِّنَ الْمُشْرِكِيْنَ اسْتَجَارَكَ فَاَجِرْهُ حَتّٰى يَسْمَعَ كَلَامَ اللهِ ثُمَّ اَبْلِغْهُ مَاْمَنَه ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْلَمُوْنَ

মুশরিকদের মধ্যে কেউ তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তুমি তাকে আশ্রয় দেবে; যাতে করে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়। অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেবে; কারণ তারা কিছুই জানে না। (সূরা তাওবা- ৬)

চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে :

اِلَّا الَّذِيْنَ عَاهَدْتُّمْ مِّنَ الْمُشْرِكِيْنَ ثُمَّ لَمْ يَنْقُصُوْكُمْ شَيْئًا وَّلَمْ يُظَاهِرُوْا عَلَيْكُمْ اَحَدًا فَاَتِمُّوْاۤ اِلَيْهِمْ عَهْدَهُمْ اِلٰى مُدَّتِهِمْؕ اِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِيْنَ

তবে মুশরিকদের মধ্যে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছ, তারপর যারা তোমাদের চুক্তি রক্ষায় কোন ত্রুটি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তোমরা তাদের সাথে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাক্বীদেরকে পছন্দ করেন। (সূরা তাওবা- ৪)

সম্পদের অপব্যবহারকারীদের হাতে অর্থনৈতিক দায়িত্ব না দেয়া :

وَلَا تُؤْتُوا السُّفَهَآءَ اَمْوَالَكُمُ الَّتِيْ جَعَلَ اللّٰهُ لَكُمْ قِيَامًا وَّارْزُقُوْهُمْ فِيْهَا وَاكْسُوْهُمْ وَقُوْلُوْا لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوْفًا

আল্লাহ তোমাদের যে সম্পদকে দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠা লাভের উপকরণ বানিয়েছেন, তা নির্বোধ লোকদের হাতে ছেড়ে দিয়ো না। তবে অবশ্যই এ থেকে তোমরা তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করবে, পোশাক সরবরাহ করবে এবং তাদের সাথে ভালো কথা বলবে। (সূরা নিসা- ৫)

ব্যাখ্যা : অর্থ-সম্পদ জীবন-যাপনের একটি মাধ্যম। এ সম্পদ এমন ধরনের অজ্ঞ ও নির্বোধ লোকদের হাতে তুলে দেয়া উচিত নয়, যারা এর ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বিনষ্ট করে দেয়। এমনকি নৈতিক অবস্থাকেও ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।

সম্পদের সুষম বণ্টন করা :

كَيْ لَا يَكُوْنَ دُوْلَةً ۢبَيْنَ الْاَغْنِيَآءِ مِنْكُمْ

(তোমরা সম্পদ এমনভাবে বণ্টন করবে) যেন তা কেবল তোমাদের সমাজের বিত্তবান লোকদের মাঝেই আবর্তিত না হয়। (সূরা হাশর- ৭)

যাকাত আদায় করে তা বণ্টন করা :

خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْؕ اِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْؕ وَاللهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ

তাদের সম্পদ হতে ‘সাদাকা’ (যাকাত) গ্রহণ করবে। এটার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশুদ্ধ করবে; আর তুমি তাদের জন্য দু‘আ করবে। নিশ্চয় তোমার দু‘আ তাদের জন্য প্রশান্তিদায়ক। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সূরা তাওবা- ১০৩)

বিশেষ চারটি কাজ করা :

اَ لَّذِيْنَ اِنْ مَّكَّنَّاهُمْ فِى الْاَرْضِ اَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ وَاَمَرُوْا بِالْمَعْرُوْفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ

আমি এদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করলে এরা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎকাজ হতে নিষেধ করবে। (সূরা হজ্জ- ৪১)

ব্যাখ্যা : যদি দুনিয়ায় তাদেরকে রাষ্ট্র ও শাসন ক্ষমতা দান করা হয় তাহলে তারা ব্যক্তিগত জীবনে ফাসিকী, দুষ্কৃতি ও অহংকার না করে সালাত কায়েম করবে। তারা বিলাসিতা ও প্রবৃত্তি পূজার পরিবর্তে ধনসম্পদের যাকাত প্রদান করবে। তাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা সৎকাজকে দাবিয়ে দেয়ার পরিবর্তে তাকে বিকশিত ও সম্প্রসারিত করবে এবং অসৎকাজকে সম্প্রসারিত করার পরিবর্তে দাবিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করবে। এ আয়াতটির মধ্যে ইসলামী রাষ্ট্রের লক্ষ্য এবং তার কর্মকর্তাদের বৈশিষ্ট্যের নির্যাস বের করে দেয়া হয়েছে। কেউ যদি ইসলামী রাষ্ট্র ও ইসলামী সংগঠনের সাথে পরিচিত হতে চায়, তাহলে সে এ আয়াত থেকেই তা বুঝে নিতে পারবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন