hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬৪
অধ্যায়- ৫ : বিয়ের বিধিবিধান
বিয়ের প্রস্তাব মেয়ের পক্ষ থেকেও আগে দেয়া যায় :

قَالَ اِنِّۤيْ اُرِيْدُ اَنْ اُنْكِحَكَ اِحْدَى ابْنَتَيَّ هَاتَيْنِ عَلٰۤى اَنْ تَأْجُرَنِيْ ثَمَانِيْ حِجَجٍ

সে বলল, আমি আমার এ কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সঙ্গে বিবাহ দিতে চাই- এ শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার কাজ করবে। (সূরা ক্বাসাস- ২৭)

বিয়ে গোপনে নয়, প্রকাশ্যে হতে হবে :

فَانْكِحُوْهُنَّ بِاِذْنِ اَهْلِهِنَّ وَاٰتُوْهُنَّ اُجُوْرَهُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ

সুতরাং তোমরা তাদেরকে বিয়ে করবে তাদের পরিবারের (অভিভাবকের) অনুমতিক্রমে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদের মোহর দিয়ে দেবে। (সূরা নিসা- ২৫)

একসাথে সর্বোচ্চ চারজন স্ত্রী রাখা যায় :

وَاِنْ خِفْتُمْ اَلَّا تُقْسِطُوْا فِى الْيَتَامٰى فَانْكِحُوْا مَا طَابَ لَكُمْ مِّنَ النِّسَآءِ مَثْنٰى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ

যদি তোমরা ভয় কর যে ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য হতে তোমাদের পছন্দ অনুযায়ী দু’জন, তিনজন অথবা চারজনকে বিয়ে করে নাও। (সূরা নিসা- ৩)

ব্যাখ্যা : এ আয়াতের মাধ্যেমে স্ত্রীর সংখ্যা সীমিত করে দেয়া হয়েছে এবং একসাথে এক ব্যক্তিকে চারজনের বেশি স্ত্রী রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও এ আয়াতে একাধিক স্ত্রী রাখার বৈধতার ক্ষেত্রে ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠ ব্যবহার করাকে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি ইনসাফের শর্ত পূরণ না করে একাধিক স্ত্রী রাখার বৈধতার সুযোগ গ্রহণ করে, সে মূলত আল্লাহর সাথে প্রতারণা করে। আর যারা স্ত্রীদের সাথে ইনসাফ করে না, ইসলামী সরকারের আদালতসমূহ তাদের অভিযোগ শুনে সে ব্যাপারে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

সাধ্যানুযায়ী সমতা রক্ষা করতে হবে :

وَلَنْ تَسْتَطِيْعُوْاۤ اَنْ تَعْدِلُوْا بَيْنَ النِّسَآءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلَا تَمِيْلُوْا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوْهَا كَالْمُعَلَّقَةِؕ وَاِنْ تُصْلِحُوْا وَتَتَّقُوْا فَاِنَّ اللهَ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا

তোমরা যতই ইচ্ছা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না, তবে তোমরা কোন একজনের দিকে সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকে পড়ো না ও অপরকে ঝুলানো অবস্থায় রেখো না। যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন করে নাও এবং সাবধান হয়ে যাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা নিসা- ১২৯)

ব্যাখ্যা : মানুষ সবসময় একাধিক স্ত্রীদের মধ্যে সবদিক দিয়ে পূর্ণ সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। স্ত্রীদের মধ্যে প্রকৃতিগতভাবে বিভিন্ন পার্থক্য থাকতে পারে। এর ফলে স্বভাবতই এক স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বেশি ও অন্য স্ত্রীর প্রতি কম হতে পারে। কিন্তু স্বামী যদি ইচ্ছা করে কোন স্ত্রীর প্রতি যুলুম না করে এবং ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠার পরিচয় দিতে থাকে, তাহলে অক্ষমতার কারণে সামান্য ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে আল্লাহ তা ÿমা করে দেবেন।

সমতা রক্ষা করতে না পারলে একজনকেই বিয়ে করবে :

فَاِنْ خِفْتُمْ اَلَّا تَعْدِلُوْا فَوَاحِدَةً اَوْ مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْؕ ذٰلِكَ اَدْنٰۤى اَلَّا تَعُوْلُوْا

কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, (একাধিক স্ত্রীর মধ্যে) ন্যায়বিচার করতে পারবে না, তবে একটি (বিয়ে করো) অথবা তোমাদের ডান হাত যার অধিকারী হয় (ক্রীতদাসী)। এটা অবিচার না করার নিকটবর্তী (পন্থা)। (সূরা নিসা - ৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন