hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬২
অধ্যায়- ৩ : হালাল মহিলা
হারাম তালিকার বাইরের সব মহিলাই হালাল :

وَاُحِلَّ لَكُمْ مَّا وَرَآءَ ذٰلِكُمْ اَنْ تَبْتَغُوْا بِاَمْوَالِكُمْ مُّحْصِنِيْنَ غَيْرَ مُسَافِحِيْنَؕ فَمَا اسْتَمْتَعْتُمْ بِهٖ مِنْهُنَّ فَاٰتُوْهُنَّ اُجُوْرَهُنَّ فَرِيْضَةًؕ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيْمَا تَرَاضَيْتُمْ بِهٖ مِنْ ۢبَعْدِ الْفَرِيْضَةِؕ اِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيْمًا حَكِيْمًا

এদের ছাড়া অন্যান্য সকল নারীদেরকে বিয়ে করা তোমাদের জন্য হালাল; এ শর্তে যে, তোমরা তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে বিয়ে করার জন্য কামনা করবে, ব্যভিচারের জন্য নয়। তোমরা বিয়ের মাধ্যমে যেসব নারীদের উপভোগ করেছ, তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে দিয়ে দেবে। আর যদি মোহর ধার্য করার পর কোন বিষয়ে উভয়ে একমত হও, তাহলে তোমাদের কোন গোনাহ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা- ২৪)

দারুল কুফর থেকে হিজরত করে আসা মহিলাদেরকেও বিয়ে করা যাবে :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِذَا جَآءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوْهُنَّؕ اَللهُ اَعْلَمُ بِاِيْمَانِهِنَّۚ فَاِنْ عَلِمْتُمُوْهُنَّ مُؤْمِنَاتٍ فَلَا تَرْجِعُوْهُنَّ اِلَى الْكُفَّارِؕ لَا هُنَّ حِلٌّ لَّهُمْ وَلَا هُمْ يَحِلُّوْنَ لَهُنَّؕ وَاٰتُوْهُمْ مَّاۤ اَنْفَقُوْاؕ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ اَنْ تَنْكِحُوْهُنَّ اِذَاۤ اٰتَيْتُمُوْهُنَّ اُجُوْرَهُنَّؕ وَلَا تُمْسِكُوْا بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ وَاسْاَلُوْا مَاۤ اَنْفَقْتُمْ وَلْيَسْاَلُوْا مَاۤ اَنْفَقُوْاؕ ذٰلِكُمْ حُكْمُ اللهِؕ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْؕ وَاللهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ

হে মুমিনগণ! তোমাদের নিকট যেসব মুমিন নারীরা হিজরত করে আসে তোমরা তাদেরকে পরীক্ষা করে নাও, আল্লাহ তাদের ঈমান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠিয়ে দিয়ো না। মুমিন নারীরা কাফিরদের জন্য বৈধ নয় এবং কাফিররাও মুমিন নারীদের জন্য বৈধ নয়। কাফিররা (তাদের জন্য) যা ব্যয় করেছে তা তাদেরকে ফিরিয়ে দেবে। অতঃপর তোমরা যদি তাদেরকে বিয়ে কর, তবে তোমাদের কোন অপরাধ হবে না- যদি তোমরা তাদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও। তোমরা কাফির নারীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক (যা পূর্বে ছিল) বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ তা ফেরত চাইবে এবং কাফিররা যা ব্যয় করেছে তা তারা ফেরত চাইবে। এটাই আল্লাহর বিধান, যার দ্বারা তিনি তোমাদের মধ্যে ফায়সালা করে থাকেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান। (সূরা মুমতাহিনা- ১০)

মুসলিম দাসী :

وَمَنْ لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمْ طَوْلًا اَنْ يَّنْكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِنْ مَّا مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْ مِّنْ فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ

তোমাদের মধ্যে যদি কেউ স্বাধীন মুসলিম নারীকে বিয়ে করার ক্ষমতা না রাখে, তবে সে তোমাদের আয়ত্তাধীন ঈমানদার দাসীদেরকে বিয়ে করে নেবে। (সূরা নিসা- ২৫)

ব্যাখ্যা : বিবাহিত স্ত্রী ছাড়া মালিকানাধীন নারীদের সাথেও মিলনের অনুমতি রয়েছে এবং তাদের ব্যাপারে কোন সংখ্যা নির্ধারিত নেই। অনুরূপভাবে যুদ্ধে গ্রেফতারকৃত মহিলাদেরকে যখন তাদের লোকেরা মুসলিম বন্দীদের বিনিময়ে অথবা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে এগিয়ে না আসে, তখন ইসলামী শরীয়াত তাদেরকে দাসী হিসেবে গ্রহণ করার অনুমিত দিয়েছে। তাদেরকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেসব ব্যক্তির মালিকানায় দিয়ে দেয়া হয় তাদেরকে ঐ সব মহিলার সাথে সহবাস করার অধিকার দিয়েছে। এর ফলে তাদের অস্তিত্ব সমাজে নৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। তারপর যেহেতু বিভিন্ন যুদ্ধে গ্রেফতার হয়ে আসা লোকদের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকতে পারে না, তাই আইনগতভাবে এক ব্যক্তি একই সাথে ক’জন গোলাম বা দাসী রাখতে পারে এরও কোন সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। গোলাম ও দাসীদের বেচাকেনাও এজন্য বৈধ রাখা হয়েছে যে, যদি কোন গোলাম বা দাসীর সাথে তার মালিকের সাথে সমঝোতা না হয় তাহলে সে অন্য মালিকের অধীনে চলে যেতে পারবে। শরীয়াত এ সমস্ত নিয়ম ও বিধান তৈরি করেছে মানুষের অবস্থা ও প্রয়োজন সামনে রেখে তার সুবিধার জন্য। যদি ধনী লোকেরা একে বিলাসিতার মাধ্যমে পরিণত করে থাকে তাহলে এজন্য শরীয়াত নয়, তারাই অভিযুক্ত হবে। উল্লেখ্য যে, কাজের মেয়ে কোন ভাবেই ঐ দাসীর অন্তর্ভুক্ত নয়, তাদের সাথে মেলামেশা করাও জায়েজ নেই।

আহলে কিতাবের মহিলা :

اَلْيَوْمَ اُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُؕ وَطَعَامُ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَّكُمْ۪ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَّهُمْؗ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ

আজ তোমাদের জন্য সমস্ত পবিত্র জিনিস হালাল করা হলো, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের খাদ্যদ্রব্য তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের খাদ্যদ্রব্যও তাদের জন্য হালাল। আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী ও তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারী, তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো। (সূরা মায়েদা- ৫)

ব্যাখ্যা : ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যে কেবল মেয়েদের ব্যাপারেই বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সাথে সাথে এ শর্তও আরোপ করা হয়েছে যে, তাদের ‘মুহসানাত’ (সতী-সাধ্বী মহিলা) হতে হবে। ওমর (রাঃ) এর মতে, মুহসানাত এর অর্থ পবিত্র ও নিষ্কলূষ চরিত্রের অধিকারী মেয়ে। মুহসানাত শব্দের এ অর্থ গ্রহণ করার কারণে তিনি আহলে কিতাবদের স্বেচ্ছাচারী মেয়েদের বিয়ে করাকে এ অনুমতির আওতার বাইরে রেখেছেন। আহলে কিতাবদের মেয়েদেরকে বিয়ে করার এ অনুমতি থেকে যে ব্যক্তি লাভবান হতে চাইবে, সে যেন নিজের ঈমান ও চরিত্রের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করে। এমন যেন না হয় যে, কোন মুসলিম কাফির মেয়ের প্রেমে আত্মহারা হয়ে অথবা তার আকীদা ও কর্মকান্ডে প্রভাবিত হয়ে নিজের ঈমানের মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে ফেলে।

সৎ কন্যা যার মায়ের সাথে মিলন হয়নি :

وَرَبَآئِبُكُمُ اللَّاتِيْ فِيْ حُجُوْرِكُمْ مِّنْ نِّسَآئِكُمُ اللَّاتِيْ دَخَلْتُمْ بِهِنَّؗ فَاِنْ لَّمْ تَكُوْنُوْا دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ

তোমাদের স্ত্রীদের পূর্ব স্বামীর কন্যা, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে যদি তোমরা ঐ স্ত্রীদের সাথে মিলন করে থাক (তবে তারা তোমাদের জন্য হারাম); আর যদি মিলন না করে থাক তবে কোন দোষ নেই। (সূরা নিসা- ২৩)

পালক পুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী :

فَلَمَّا قَضٰى زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا لِكَيْ لَا يَكُوْنَ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ حَرَجٌ فِۤيْ اَزْوَاجِ اَدْعِيَآئِهِمْ اِذَا قَضَوْا مِنْهُنَّ وَطَرًاؕ وَكَانَ اَمْرُ اللهِ مَفْعُوْلًا

যায়িদ যখন তার প্রয়োজন শেষে (যায়নাবের সাথে) বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে তোমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম; যাতে মুমিনদের কোন সমস্যা না থাকে। আর আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়েই থাকে। (সূরা আহযাব- ৩৭)

মামাত, খালাত, চাচাত ও ফুফাত বোন :

يَاۤ اَيُّهَا النَّبِيُّ اِنَّاۤ اَحْلَلْنَا لَكَ اَزْوَاجَكَ اللَّاتِۤيْ اٰتَيْتَ اُجُوْرَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِيْنُكَ مِمَّاۤ اَفَآءَ اللهُ عَلَيْكَ وَبَنَاتِ عَمِّكَ وَبَنَاتِ عَمَّاتِكَ وَبَنَاتِ خَالِكَ وَبَنَاتِ خَالَاتِكَ اللَّاتِيْ هَاجَرْنَ مَعَكَ

হে নবী! আমি আপনার জন্য সেসব নারীদেরকেও হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা আদায় করে বিবাহ করেন এবং যাদেরকে গনিমতের মাল হিসেবে আল্লাহ আপনার মালিকানাধীন করেছেন। আর আপনার চাচার কন্যা, ফুফুর কন্যা, মামার কন্যা, খালার কন্যা এবং যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে (তাদেরকেও হালাল করা হয়েছে)। (সূরা আহযাব- ৫০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন