hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৭৭
অধ্যায়- ১৮ : সন্তানের প্রতি পিতামাতার দায়িত্ব
সন্তানের জীবন রক্ষায় যত্নবান হতে হবে :

وَلَا تَقْتُلُوْاۤ اَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ اِمْلَاقٍؕ نَحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَاِيَّاكُمْؕ اِنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيْرًا

তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্র্যতার ভয়ে হত্যা করো না। কেননা আমি তাদেরকে রিযিক প্রদান করি এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৩১)

ব্যাখ্যা : জাহেলী যুগে দারিদ্রে্যর ভয়ে শিশুহত্যা ও অকালে গর্ভপাত করা হতো। আর আজ তা দুনিয়াবাসীকে তৃতীয় একটি কৌশল অর্থাৎ গর্ভরোধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু ইসলাম মানুষের সংখ্যা কমানোর এ নিকৃষ্ট প্রচেষ্টা ত্যাগ করে এমনসব গঠনমূলক কাজে নিজের শক্তি ও যোগ্যতা প্রয়োগ করার নির্দেশ দেয়, যেগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর প্রাকৃতিক বিধানানুযায়ী রিযিক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অর্থনৈতিক উপায়-উপকরণের স্বল্পতার আশঙ্কায় সন্তান উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বন্ধ করে দিতে উদ্যত হওয়া মানুষের কাজ নয়। কুরআনের এ আয়াতটি মানুষকে এ বলে সাবধান করে দিচ্ছে যে, রিযিক পৌঁছানোর ব্যবস্থাপনা তোমাদের আয়ত্তাধীন নয়, বরং এটি এমন এক আল্লাহর আয়ত্তাধীন যিনি তোমাকেও রিযিক দিচ্ছেন। পূর্বে আগমনকারীদেরকে তিনি যেভাবে রিযিক দিয়ে এসেছেন তেমনিভাবে তোমাদেরকেও দেবেন। ইতিহাসের অভিজ্ঞতাও এ কথাই বলে। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা যতই বৃদ্ধি হয়েছে ঠিক সেই পরিমাণে বা তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে অর্থনৈতিক উপায় উপকরণ বেড়ে গিয়েছে। কাজেই আল্লাহর ব্যবস্থাপনায় মানুষের হস্তক্ষেপ নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সন্তানদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قُوْاۤ اَنْفُسَكُمْ وَاَهْلِيْكُمْ نَارًا وَّقُوْدُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَآئِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا يَعْصُوْنَ اللهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ

হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে ঐ অগ্নি হতে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর; যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম হৃদয় ও কঠোর স্বভাবের ফেরেশতাগণ। (তারা আল্লাহর এমন বান্দা) যারা আল্লাহ যা আদেশ করেন তা অমান্য করে না। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তাই করে। (সূরা তাহরীম- ৬)

সন্তান সৎ হওয়ার জন্য দু‘আ করতে হবে :

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ اَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامًا

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করো, যারা আমাদের জন্য চক্ষুশীতলের কারণ হবে। আর আমাদেরকে মুত্তাক্বীদের জন্য অনুসরণযোগ্য বানিয়ে দাও। (সূরা ফুরক্বান- ৭৪)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ তাদেরকে ঈমান ও সৎকাজের তাওফীক দান করো এবং পরিচ্ছন্ন চারিত্রিক গুণাবলির অধিকারী করো। কারণ একজন মুমিন তার স্ত্রী ও সন্তানদের দৈহিক সৌন্দর্য ও আরাম-আয়েশ থেকে নয়, বরং সদাচার ও সচ্চরিত্রতা থেকেই মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। তারা আল্লাহভীতি ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে যাবে। কল্যাণ ও সৎকর্মশীলদের ক্ষেত্রে সবার চেয়ে অগ্রগামী হবে। ফলে দুনিয়াতে শুধু কল্যাণ ও সৎকর্মশীলতাই প্রসার লাভ করবে। দুনিয়ায় যারা সবচেয়ে প্রিয়, তাদেরকে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হতে দেখার চেয়ে বেশি কষ্টকর বিষয় মানুষের জন্য আর কী হতে পারে?

লুক্বমান (আঃ) এর মতো উপদেশ দিতে হবে :

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا لُقْمَانَ الْحِكْمَةَ اَنِ اشْكُرْ لِلّٰهِؕ وَمَنْ يَّشْكُرْ فَاِنَّمَا يَشْكُرُ لِنَفْسِهٖۚ وَمَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللهَ غَنِيٌّ حَمِيْدٌ

আমি তো লুক্বমানকে প্রজ্ঞা দান করেছিলাম এবং এ আদেশ দিয়েছিলাম যে, তুমি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বস্তুত যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা নিজের কল্যাণের জন্যই করে; আর যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে (তাও সে নিজের জন্যই করে)। নিশ্চয় আল্লাহ অভাবমুক্ত ও প্রশংসিত। (সূরা লুক্বমান- ১২)

সন্তানের প্রতি শিরক না করার উপদেশ :

وَاِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهٖ وَهُوَ يَعِظُهٗ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللهِؕ اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيْمٌ

স্মরণ করো, যখন লুক্বমান স্বীয় ছেলেকে বলেছিলেন, হে আমার ছেলে! আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না। নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় যুলুম। (সূরা লুক্বমান- ১৩)

ব্যাখ্যা : মানুষ দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি যার সাথে আন্তরিকতা বজায় রাখে, তা হলো তার নিজ সন্তান। এক ব্যক্তি অন্যকে ধোঁকা দিতে পারে এমনকি মুনাফিকী আচরণ করতে পারে; কিন্তু সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোকটিও নিজ পুত্রকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা কখনই করতে পারে না। যেমন লুক্বমান (আঃ) তার নিজ পুত্রকে এ নসীহত করা অকাট্যভাবে প্রমাণ করে যে, তাঁর মতে শিরক যথার্থই একটি মহাযুলুম। তাই তিনি সর্বপ্রথম নিজের প্রাণপ্রিয় পুত্রকে এ গোমরাহী থেকে দূরে থাকার উপদেশ দেন। যুলুমের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে, কারো অধিকার হরণ করা এবং ইনসাফ বিরোধী কাজ করা। শিরক এ কারণে বড় যুলুম যে, এর মাধ্যমে মানুষ এমনসব সত্তাকে নিজের স্রষ্টা, রিযিকদাতা ও উপাস্য হিসেবে ধরে নেয়, যাদের মূলত কোনকিছু সৃষ্টি করা বা রিযিক দান করা বা উপাস্য হওয়ার কোন অধিকার নেই। মানুষ আল্লাহর ইবাদাত করার সাথে সাথে অন্যকিছুরও ইবাদাত করে আল্লাহর অধিকার নষ্ট করে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য সত্তার ইবাদাত করতে গিয়ে মানুষ যে কাজই করে তাতে সে নিজের দেহ ও মন থেকে শুরু করে পৃথিবী ও আকাশের বহু জিনিসকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের দাসত্বে ব্যবহার করে। অথচ এ সমস্ত জিনিস এক আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন। তাই কোন জিনিসকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দাসত্বে ব্যবহার করার অধিকার কারো নেই। মানুষ নিজের উপর এ অধিকার রাখে যে, সে নিজেকে লাঞ্ছনা ও দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেবে না। কিন্তু সে স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে সৃষ্টির আনুগত্য করে নিজেকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে এবং নিজেকে শাস্তির যোগ্য বানিয়ে তুলে। এভাবে একজন মুশরিকের সমগ্র জীবন সার্বক্ষণিক যুলুমে পরিণত হয়। তার কোন একটি মুহূর্তও যুলুমমুক্ত নয়।

আকিদা বিশুদ্ধ করার তাকিদ :

يَا بُنَيَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِيْ صَخْرَةٍ اَوْ فِى السَّمَاوَاتِ اَوْ فِى الْاَرْضِ يَأْتِ بِهَا اللهُؕ اِنَّ اللهَ لَطِيْفٌ خَبِيْرٌ

হে আমার ছেলে! কোনকিছুর (আকৃতি) যদি সরিষার বীজের পরিমাণও হয় এবং তা যদি পাথরের ভেতরে অথবা আকাশে কিংবা ভূগর্ভে (যেকোন স্থানে) থেকে থাকে, তাহলেও আল্লাহ তা উপস্থিত করবেন। নিশ্চই আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক অবহিত। (সূরা লুক্বমান- ১৬)

ব্যাখ্যা : আল্লাহর জ্ঞান ও তাঁর পাকড়াও হতে কেউ বাঁচতে পারবে না। পাথরের মধ্যে ছোট্ট একটি কণা মানুষের দৃষ্টির অগোচরে থাকতে পারে কিন্তু তাঁর কাছে তা সুস্পষ্ট। আকাশের একটি ক্ষুদ্রতম কণিকা মানুষ থেকে বহু দূরবর্তী হতে পারে, ভূমির গভীরে অবস্থিত কোন জিনিসের প্রতি তার দৃষ্টি শেষ হয়ে যেতে পারে; কিন্তু তা আল্লাহর অতি নিকটতর। কাজেই মানুষ কোথাও এমন কোন সৎ বা অসৎকাজ করতে পারে না, যা আল্লাহর অগোচরে থেকে যায়। তিনি তা কেবল জানেন তা নয় বরং যখন হিসাব-নিকাশের সময় আসবে তখন তিনি মানুষের প্রত্যেকটি কাজের রেকর্ডও তাদের সামনে উপস্থাপন করবেন।

সালাত প্রতিষ্ঠা ও দাওয়াতী কাজের নির্দেশ :

يَا بُنَيَّ اَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوْفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ

হে আমার ছেলে! সালাত কায়েম করো, সৎকাজের আদেশ দাও ও অসৎকাজ হতে বাধা প্রদান করো। (সূরা লুক্বমান- ১৭)

ধৈর্যধারণ করার নির্দেশ :

وَاصْبِرْ عَلٰى مَاۤ اَصَابَكَؕ اِنَّ ذٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ

তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্যধারণ করো; নিশ্চয় এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (সূরা লুক্বমান- ১৭)

বিনয়ী হওয়ার নির্দেশ :

وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِى الْاَرْضِ مَرَحًا ؕ اِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُوْرٍ

আর তুমি অহংকারবশে মানুষকে অবহেলা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে বিচরণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক-অহংকারীকে ভালোবাসেন না। (সূরা লুক্বমান- ১৮)

ব্যাখ্যা : صَعَرْ (সা‘আর) বলা হয় একটি রোগকে। এ রোগটি হয় উটের ঘাড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হলে উট তার ঘাড় সবসময় একদিকে ফিরিয়ে রাখে। কেউ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অর্থ অহংকারপূর্ণ ব্যবহার করল এবং মুখ ফিরিয়ে কথা বলল।

مُخْتَالٌ (মুখতাল) অর্থ হচ্ছে, এমন ব্যক্তি যে নিজেই নিজেকে বড় কিছু মনে করে।

فَخُوْرٌ (ফাখূর) তাকে বলে, যে নিজের বড়াই অন্যের কাছে করে। মানুষের চালচলনে অহংকার ও দম্ভ তখনই প্রকাশ পায়, যখন সে অন্যদেরকে নিজের বড়াই ও শ্রেষ্ঠত্ব অনুভব করাতে চায়।

কথাবার্তা ও চালচলনে ভারসাম্য রক্ষার নির্দেশ :

وَاقْصِدْ فِيْ مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَؕ اِنَّ اَنْكَرَ الْاَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيْرِ

তুমি তোমার চলাফেরায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নীচু রাখো; নিঃসন্দেহে স্বরের মধ্যে গাধার স্বরই সবচেয়ে বেশি অপছন্দনীয়। (সূরা লুক্বমান- ১৯)

ব্যাখ্যা : এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রবৃত্তির এমন সংশোধন করা, যার প্রভাবে চলার মধ্যে দম্ভ অথবা হীনতার প্রকাশ ঘটে। ধনসম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সৌন্দর্য, জ্ঞান, শক্তি এবং এ ধরনের অন্যান্য যত কিছুই মানুষের মধ্যে অহংকার সৃষ্টি করে বিশেষ ধরনের চালচলনের মাধ্যমে তা প্রকাশ হয়ে যায়। এটা দূষণীয় মানসিক অবস্থার প্রভাবে হয়ে থাকে। লুক্বমান (আঃ) এর উপদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নিজের মনকে এমনভাবে পরিবর্তন করো যেমন তুমি একজন ভদ্রলোক। তোমার মধ্যে কোন অহংকার, দুর্বলতা ও লোক দেখানো কোন বিনয় থাকবে না।

স্বাভাবিক প্রয়োজনের খাতিরে আওয়াজের এক ধরনের নিম্নগামিতা ও উচ্চগামিতা এবং কঠোরতা ও কোমলতা হয়ে থাকে। কাছের বা কম সংখ্যক লোকের সাথে কথা বললে আস্তে বলতে হবে। দূরের অথবা অনেক লোকের সাথে কথা বলতে হলে অব্যশই জোরে বলতে হবে। এমনিভাবে উচ্চারণভঙ্গীর পার্থক্যের ব্যাপারটাও স্থান ও কালের সাথে জড়িত। প্রশংসা বাক্যের উচ্চারণভঙ্গী নিন্দা বাক্যের উচ্চারণভঙ্গী থেকে এবং সন্তোষ প্রকাশের বাক্য অসন্তোষ প্রকাশের বাক্য হতে আলাদা হবে। লুক্বমান (আঃ) এর নসীহতের অর্থ হলো, অহংকার প্রকাশ, ভীতি প্রদর্শন এবং অন্যকে অপমানিত করার জন্য গলা ফাটিয়ে গাধার স্বরে কথা না বলা।

সন্তান সৎ হলে পরকালেও উপকারে আসবে :

وَمَاۤ اَمْوَالُكُمْ وَلَاۤ اَوْلَادُكُمْ بِالَّتِيْ تُقَرِّبُكُمْ عِنْدَنَا زُلْفٰۤى اِلَّا مَنْ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًاؗ فَاُولٰٓئِكَ لَهُمْ جَزَآءُ الضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوْا وَهُمْ فِى الْغُرُفَاتِ اٰمِنُوْنَ

তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন কিছু নয়, যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনবে ও সৎকর্ম করবে তারাই তাদের কর্মের জন্য পাবে বহুগুণ পুরস্কার, আর তারা প্রাসাদসমূহে নিরাপদে বসবাস করবে। (সূরা সাবা- ৩৭)

কোন কোন সন্তান দ্বীনের কাজে শত্রু হয়ে যায় :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِنَّ مِنْ اَزْوَاجِكُمْ وَاَوْلَادِكُمْ عَدُوًّا لَّكُمْ فَاحْذَرُوْهُمْۚ وَاِنْ تَعْفُوْا وَتَصْفَحُوْا وَتَغْفِرُوْا فَاِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

হে মুমিনগণ! তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক থেকো। তোমরা যদি তাদেরকে মার্জনা কর, তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা কর এবং তাদেরকে ক্ষমা কর, তবে আল্লাহও (তোমাদের ও তাদের প্রতি) ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তাগাবুন- ১৪)

শানে নুযূল : একদা কিছু লোক রাসূল ﷺ এর কাছে ইসলাম কবুল করে মদিনায় হিজরত করতে মনস্থ করলেন। কিন্তু স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির কান্না-কাটি ও ভলোবাসা তাদের হিজরতের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াল। ফলে তারা হিজরত করতে অক্ষম হয়ে পড়লেন। তখন তাদের সম্বন্ধে এ আয়াতটি নাযিল হয়।

সন্তান-সন্ততি পরীক্ষাস্বরূপ :

اِنَّمَاۤ اَمْوَالُكُمْ وَاَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌؕ وَاللهُ عِنْدَهٗۤ اَجْرٌ عَظِيْمٌ

তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ; আর আল্লাহরই নিকট রয়েছে এর মহাপ্রতিদান। (সূরা তাগাবুন- ১৫)

সন্তান যেন আল্লাহর ইবাদাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ اَمْوَالُكُمْ وَلَاۤ اَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ

হে মুমিনগণ! তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ হতে উদাসীন করে না দেয়। যারা এমন করবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা মুনাফিকূন- ৯)

অসৎ সন্তান কিয়ামতের দিন কোন কাজে আসবে না :

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمْ وَاخْشَوْا يَوْمًا لَّا يَجْزِيْ وَالِدٌ عَنْ وَّلَدِهٖؗ وَلَا مَوْلُوْدٌ هُوَ جَازٍ عَنْ وَّالِدِهٖ شَيْئًاؕ اِنَّ وَعْدَ اللهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ بِاللهِ الْغَرُوْرُ

হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো এবং ভয় করো সেদিনকে, যেদিন পিতা সন্তানের কোন উপকারে আসবে না এবং সন্তানও পিতার কোন উপকারে আসবে না, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং দুনিয়ার জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয় এবং কোন প্রতারকও যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত না করে। (সূরা লুক্বমান- ৩৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন