hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬৬
অধ্যায়- ৭ : স্বামীর দায়িত্ব
পুরুষরা নারীদের পরিচালক হবে :

اَلرِّجَالُ قَوَّامُوْنَ عَلَى النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللهُ بَعْضَهُمْ عَلٰى بَعْضٍ وَّبِمَاۤ اَنْفَقُوْا مِنْ اَمْوَالِهِمْ

পুরুষরা নারীদের কর্তা, আল্লাহ তাদেরকে একে অপরের উপর কিছু শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। কেননা পুরুষরা (নারীদের জন্য) তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে। (সূরা নিসা- ৩৪)

ব্যাখ্যা : এখানে শ্রেষ্ঠত্ব শব্দটি সম্মান ও মর্যাদা অর্থে ব্যবহার করা হয়নি। বরং এখানে এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তাদের এক পক্ষকে তথা পুরুষদেরকে প্রকৃতিগতভাবে এমনসব বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি দান করেছেন, যা অন্য পক্ষকে তথা নারীদেরকে দেননি অথবা দিলেও প্রথম পক্ষের চেয়ে কম দিয়েছেন। এজন্য পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় পুরুষই ‘কাওয়াম’ বা কর্তা হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আর নারীকে প্রাকৃতিক দিক দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যার কারণে পারিবারিক জীবনে তাকে পুরুষের হেফাজত ও তত্বাবধানে থাকা উচিত।

পুরুষরা সামর্থ্যানুযায়ী নারীদের ব্যয়ভার বহন করবে :

لِيُنْفِقْ ذُوْ سَعَةٍ مِّنْ سَعَتِهٖؕ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهٗ فَلْيُنْفِقْ مِمَّاۤ اٰتَاهُ اللهُؕ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا مَاۤ اٰتَاهَاؕ سَيَجْعَلُ اللهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُّسْرًا

সামর্থ্যবান ব্যক্তি নিজ সামর্থ্যানুযায়ী ব্যয় করবে এবং যার জীবনোপকরণ সীমিত সে আল্লাহ যা দান করেছেন তা হতে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন তার চেয়ে অতিরিক্ত বোঝা তিনি তার উপর চাপিয়ে দেন না। অচিরেই আল্লাহ কষ্টের পর সুখ (সহজতা) আনয়ন করবেন। (সূরা তালাক্ব- ৭)

পুরুষদের উপর স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে :

وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِيْ عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوْفِ۪ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌؕ وَاللهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ

মহিলাদের জন্যও ন্যায়সঙ্গত অধিকার রয়েছে যেভাবে তাদের উপর পুরুষদের অধিকার রয়েছে। তবে তাদের উপর পুরুষদের মর্যাদা একটু বেশি রয়েছে। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী ও মহাবিজ্ঞ। (সূরা বাক্বারা- ২২৮)

স্ত্রীকে খুশি করার জন্য কোন গোনাহের কাজ করা যাবে না :

يَاۤ اَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَاۤ اَحَلَّ اللهُ لَكَۚ تَبْتَغِيْ مَرْضَاتَ اَزْوَاجِكَؕ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

হে নবী! আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন তুমি তা কেন হারাম করেছ? তুমি কি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্ট করতে চাচ্ছ? আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তাহরীম- ১)

হায়েয অবস্থায় সহবাস করা যাবে না :

وَيَسْاَلُوْنَكَ عَنِ الْمَحِيْضِؕ قُلْ هُوَ اَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَآءَ فِى الْمَحِيْضِ وَلَا تَقْرَبُوْهُنَّ حَتّٰى يَطْهُرْنَۚ فَاِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوْهُنَّ مِنْ حَيْثُ اَمَرَكُمُ اللهُؕ اِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ

(হে নবী!) তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলো, তা খুবই কষ্টদায়ক। সুতরাং হায়েযের সময় তোমরা সহবাস করা থেকে দূরে থাকো। তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের সাথে মেলামেশা করো না। আর যখন তারা (মাসিক থেকে) পবিত্র হয়ে যায়, তখন তোমরা আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় তাদের সাথে মেলামেশা করো। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালোবাসেন এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকেও ভালোবাসেন। (সূরা বাক্বারা- ২২২)

ব্যাখ্যা : اَذٰى (আযা) শব্দের অর্থ হচ্ছে, কষ্ট, অপরিচ্ছন্নতা। আবার এটি রোগ-ব্যাধির অর্থেও ব্যবহৃত হয়। হায়েয কেবলমাত্র একটি অশুচিতা (অপবিত্রতা) নয় বরং চিকিৎসা শাস্ত্রের দৃষ্টিতেও এ অবস্থাটি সুস্থতার তুলনায় অসুস্থতারই বেশি কাছাকাছি। এখানে ‘‘দূরে থাকা’’ ও ‘‘ধারে-কাছে না যাওয়া’’ শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এ নয় যে, ঋতুবতী নারীর সাথে এক বিছানায় বসা বা এক সাথে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না। রাসূল ﷺ এ নির্দেশটির যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা থেকে বুঝা যায়, ঋতুবতী অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে কেবলমাত্র সহবাস ছাড়া বাকি সকল প্রকার সম্পর্ক বজায় রাখা যাবে।

স্ত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে :

وَعَاشِرُوْهُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ

তোমরা তাদের সাথে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করো। (সূরা নিসা- ১৯)

স্ত্রীদের ছোটখাট ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করতে হবে :

وَاِنْ تَعْفُوْا وَتَصْفَحُوْا وَتَغْفِرُوْا فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

তোমরা যদি তাদেরকে মার্জনা কর, তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা কর এবং তাদেরকে ক্ষমা কর, তবে আল্লাহও মহাক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তাগাবুন- ১৪)

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক একেবারে ঘনিষ্ঠ :

هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَاَنْتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ

তারা তোমাদের জন্য আবরণ এবং তোমরা তাদের জন্য আবরণস্বরূপ। (সূরা বাক্বারা- ১৮৭)

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ভালোবাসা আল্লাহর নিদর্শন :

وَمِنْ اٰيَاتِهٖۤ اَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْاۤ اِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَّوَدَّةً وَّرَحْمَةًؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَّتَفَكَّرُوْنَ

তাঁর দৃষ্টান্তগুলোর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকে স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পার। অতঃপর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করে দিয়েছেন। নিশ্চয় এতে ঐসব লোকের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা গভীরভাবে চিন্তা করে। (সূরা রূম- ২১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন