hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৯৪
অধ্যায়- ১০ : ইয়াতীম
ইয়াতীমদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে :

وَاعْبُدُوا اللهَ وَلَا تُشْرِكُوْا بِهٖ شَيْئًا وَّبِالْوَالِدَيْنِ اِحْسَانًا وَّبِذِى الْقُرْبٰى وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنِ

তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে, কোনকিছুকে তাঁর সাথে শরীক করবে না এবং পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন, ইয়াতীম ও অভাবগ্রস্তদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। (সূরা নিসা- ৩৬)

আল্লাহর এ বিধান পূর্বযুগেও ছিল :

وَاِذْ اَخَذْنَا مِيْثَاقَ بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ لَا تَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللهَؕ وَبِالْوَالِدَيْنِ اِحْسَانًا وَّذِى الْقُرْبٰى وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنِ

যখন আমি বনী ইসরাঈল হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদাত করবে না, পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে এবং আত্মীয়, ইয়াতীম ও মিসকিনদের সঙ্গেও (সদ্ব্যবহার করবে)। (সূরা বাক্বারা- ৮৩)

ইয়াতীমদেরকে ধমক দেয়া যাবে না :

فَاَمَّا الْيَتِيْمَ فَلَا تَقْهَرْ

আর আপনি ইয়াতীমের প্রতি কঠোর হবেন না। (সূরা যোহা- ৯)

এটা কাফিরদের কাজ :

اَرَاَيْتَ الَّذِيْ يُكَذِّبُ بِالدِّيْنِ فَذٰلِكَ الَّذِيْ يَدُعُّ الْيَتِيْمَ

তুমি কি সে ব্যক্তির কথা (কখনো) ভেবে দেখেছ, যে শেষবিচার দিবসকে অস্বীকার করে? এ তো সেই ব্যক্তি, যে (নিরীহ) ইয়াতীমদেরকে গলা ধাক্কা দেয়। (সূরা মাঊন- ১, ২)

বিশ্বনবী ﷺ ইয়াতীম অবস্থায় বড় হয়েছেন :

اَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيْمًا فَاٰوٰى

তিনি কি আপনাকে ইয়াতীম হিসেবে পাননি? অতঃপর তিনিই আপনাকে আশ্রয় দিয়েছেন। (সূরা যুহা- ৬)

ইয়াতীমদেরকে সম্মান না করার জন্য আল্লাহর তিরস্কার :

كَلَّا بَلْ لَّا تُكْرِمُوْنَ الْيَتِيْمَ

কখনো নয়, বরং তোমরা ইয়াতীমদেরকে সম্মান কর না। (সূরা ফাজর- ১৭)

তাদেরকে খাবার দেয়া ও লালন-পালন করা সওয়াবের কাজ :

وَيُطْعِمُوْنَ الطَّعَامَ عَلٰى حُبِّهٖ مِسْكِيْنًا وَّيَتِيْمًا وَّاَسِيْرًا اِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللهِ لَا نُرِيْدُ مِنْكُمْ جَزَآءً وَّلَا شُكُوْرًا

তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীদেরকে আহার্য দান করে এবং বলে, আমরা তো শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তোমাদেরকে খাদ্য দান করি, আমরা তোমাদের নিকট হতে কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও চাই না। (সূরা দাহর- ৮, ৯)

ইয়াতীমদের ব্যাপারে যা মঙ্গলজনক তাই করা উচিত :

وَيَسْاَلُوْنَكَ عَنِ الْيَتَامٰىؕ قُلْ اِصْلَاحٌ لَّهُمْ خَيْرٌؕ وَاِنْ تُخَالِطُوْهُمْ فَاِخْوَانُكُمْؕ وَاللهُ يَعْلَمُ الْمُفْسِدَ مِنَ الْمُصْلِحِ

তারা তোমাকে ইয়াতীমদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে; বলো, তাদের জন্য সুব্যবস্থা গ্রহণ করাই উত্তম। আর যদি তোমরা তাদেরকে (নিজেদের পরিবারের সাথে) মিলিয়ে নাও, তবে তারা তো তোমাদেরই ভাই। আর আল্লাহ জানেন- সংশোধনকারীদের মধ্যে কে ফাসাদ সৃষ্টিকারী। (সূরা বাক্বারা- ২২০)

শানে নুযূল : ‘‘ইয়াতীমের মাল খাওয়া জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুন খাওয়ারই শামিল’’- এ আয়াতটি নাযিল হলে শ্রবণকারীরা ভীত হয়ে ইয়াতীমদের লালন-পালন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে পৃথক করে দেয়। কিন্তু এরূপ স্বতন্ত্র ব্যবস্থা রাখা খুবই অসুবিধাজনক। ফলে এর সুব্যবস্থার জন্য তারা রাসূল ﷺ এর নিকট আবেদন করলে এ আয়াতটি নাযিল হয়।

ইয়াতীমদের ব্যাপারে ইনসাফের নীতি অবলম্বন করতে হবে :

وَيَسْتَفْتُوْنَكَ فِى النِّسَآءِؕ قُلِ اللهُ يُفْتِيْكُمْ فِيْهِنَّ وَمَا يُتْلٰى عَلَيْكُمْ فِى الْكِتَابِ فِيْ يَتَامَى النِّسَآءِ اللَّاتِيْ لَا تُؤْتُوْنَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُوْنَ اَنْ تَنْكِحُوْهُنَّ وَالْمُسْتَضْعَفِيْنَ مِنَ الْوِلْدَانِ وَاَنْ تَقُوْمُوْا لِلْيَتَامٰى بِالْقِسْطِؕ وَمَا تَفْعَلُوْا مِنْ خَيْرٍ فَاِنَّ اللهَ كَانَ بِهٖ عَلِيْمًا

লোকেরা তোমার নিকট নারীদের বিষয়ে ফতোয়া জানতে চায়। বলো, আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছেন। আর এ কিতাব থেকেও সেসব ইয়াতীম নারীদের ব্যাপারে যা কিছু তোমাদের উপর পঠিত হচ্ছে (তাও জানিয়ে দিচ্ছেন)। তোমরা তো তাদের নির্ধারিত প্রাপ্য (মোহরানা) প্রদান করো না; অথচ তাদেরকে বিবাহ করতে চাও। আর অসহায় শিশু ও ইয়াতীমদের ব্যাপারে (বলা হচ্ছে) তোমরা যেন সুবিচার কায়েম করো; তোমরা যেসব সৎকাজ কর নিশ্চয় আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত। (সূরা নিসা- ১২৭)

শানে নুযূল : কোন কোন ব্যক্তির প্রতিপালনে কুৎসিত ধনবতী ইয়াতীম বালিকা থাকত। কিন্তু কুৎসিত হওয়ার দরুন নিজেও তাকে বিবাহ করতে চাইত না এবং অন্যের সঙ্গেও বিবাহ দিত না- এ কারণে যে, সম্পত্তি অপরের নিকট চলে যাবে। তখন এ সম্বন্ধে রাসূল ﷺ কে জিজ্ঞাসা করা হলে এ আয়াতটি নাযিল হয়। আয়েশা (রাঃ) এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, জাহেলী যুগে যেসব ইয়াতীম মেয়ে কারো আয়ত্তাধীন থাকত তাদের সম্পদ ও সৌন্দর্যের কারণে অনেক অভিভাবক নিজেরাই তাদেরকে বিয়ে করে নিত, তারপর তাদের উপর যুলুম করত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, তোমরা যদি আশঙ্কা করো যে, তাদের সাথে ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে সমাজে আরো অনেক মেয়ে আছে, তাদের মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দমতো কাউকে বিয়ে করে নাও।

জ্ঞানবুদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত ইয়াতীমদের সম্পদের হেফাজত করতে হবে :

وَلَا تُؤْتُوا السُّفَهَآءَ اَمْوَالَكُمُ الَّتِيْ جَعَلَ اللهُ لَكُمْ قِيَامًا

আল্লাহ তোমাদের জন্য যে ধনসম্পদ নির্ধারিত করেছেন, তা নির্বোধদেরকে প্রদান করো না। (সূরা নিসা- ৫)

তাদের সম্পদ থেকে তাদের ভরণ-পোষণ দেয়া যাবে :

وَارْزُقُوْهُمْ فِيْهَا وَاكْسُوْهُمْ وَقُوْلُوْا لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوْفًا

তা হতে তাদেরকে খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলো। (সূরা নিসা- ৫)

অভিভাবক দরিদ্র হলে ভাতা নিতে পারবে :

وَمَنْ كَانَ فَقِيْرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوْفِؕ فَاِذَا دَفَعْتُمْ اِلَيْهِمْ اَمْوَالَهُمْ فَاَشْهِدُوْا عَلَيْهِمْؕ وَكَفٰى بِاللهِ حَسِيْبًا

যে ব্যক্তি অভাবগ্রস্ত হবে সে (ঐ ইয়াতীমের সম্পদ থেকে) ন্যায়সঙ্গত পরিমাণ ভোগ করবে। অতঃপর যখন তাদের সম্পদ তাদেরকে সমর্পণ করতে চাও, তখন তাদের জন্য সাক্ষী রেখো; হিসাব গ্রহণের ব্যাপারে আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা নিসা- ৬)

ব্যাখ্যা : সম্পত্তি দেখাশুনার বিনিময়ে নিজের পারিশ্রমিক ঠিক ততটুকু পরিমাণ গ্রহণ করতে পারে, যতটুকু গ্রহণ করাকে একজন নিরপেক্ষ ও সুবিবেচক ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করতে পারে। তাছাড়া নিজের পারিশ্রমিক হিসেবে সে যতটুকু গ্রহণ করবে, তা গোপনে গ্রহণ করবে না; বরং প্রকাশ্যে গ্রহণ করবে এবং তার হিসাব রাখবে।

ইয়াতীমদের সম্পদ অন্যান্য সম্পদের সাথে মিশ্রিত করা যাবে না :

وَاٰتُوا الْيَتَامٰۤى اَمْوَالَهُمْ وَلَا تَتَبَدَّلُوا الْخَبِيْثَ بِالطَّيِّبِ وَلَا تَأْكُلُوْاۤ اَمْوَالَهُمْ اِلٰۤى اَمْوَالِكُمْؕ اِنَّهٗ كَانَ حُوْبًا كَبِيْرًا

ইয়াতীমদেরকে তাদের ধনসম্পদ বুঝিয়ে দাও এবং খারাপ মালের সাথে উত্তম মালের বিনিময় করো না। আর তোমাদের ধনসম্পদের সাথে তাদের ধনসম্পদ ভোগ করে নিয়ো না। নিশ্চয় এটা মারাত্মক অপরাধ। (সূরা নিসা- ২)

তাদের সম্পদ আত্মসাৎ করা যাবে না :

وَلَا تَقْرَبُوْا مَالَ الْيَتِيْمِ اِلَّا بِالَّتِيْ هِيَ اَحْسَنُ حَتّٰى يَبْلُغَ اَشُدَّهٗ

ইয়াতীম প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ব্যতীত তোমরা তাদের সম্পত্তির নিকটবর্তী হয়ো না। (সূরা আন‘আম- ১৫২)

وَلَا تَأْكُلُوْهَاۤ اِسْرَافًا وَّبِدَارًا اَنْ يَّكْبَرُوْا

তারা বড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাড়াহুড়া করে তাদের মাল আত্মসাৎ করো না। (সূরা নিসা- ৬)

তাদের সম্পদ খাওয়া আগুন খাওয়ার সমান :

اِنَّ الَّذِيْنَ يَأْكُلُوْنَ اَمْوَالَ الْيَتَامٰى ظُلْمًا اِنَّمَا يَأْكُلُوْنَ فِيْ بُطُوْنِهِمْ نَارًاؕ وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيْرًا

নিশ্চয় যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমদের সম্পদ খায়, তারা তাদের পেটে কেবল আগুনই ভর্তি করে। অচিরেই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা নিসা- ১০)

প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দিতে হবে :

وَابْتَلُوا الْيَتَامٰى حَتّٰۤى اِذَا بَلَغُوا النِّكَاحَ فَاِنْ اٰنَسْتُمْ مِّنْهُمْ رُشْدًا فَادْفَعُوْاۤ اِلَيْهِمْ اَمْوَالَهُمْ

ইয়াতীমদেরকে লালন-পালন করবে যতক্ষণ না তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। অতঃপর যদি তাদের মাঝে বিচারবোধ লক্ষ্য কর, তবে তাদের মাল তাদের নিকট ফিরিয়ে দাও। (সূরা নিসা- ৬)

ব্যাখ্যা : যতদিন তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকে, ততদিন তদের ধনসম্পদ তাদের স্বার্থে ব্যয় করো। আর প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাওয়ার পর তাদের হক তাদের কাছে ফিরিয়ে দাও। এখানে ধনসম্পদ তাদের হাতে সোপর্দ করার জন্য দু’টি শর্তারোপ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, যোগ্যতা অর্থাৎ সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করার যোগ্যতা অর্জন করা। সাবালক হওয়ার পরও যদি ইয়াতীমের মধ্যে সে যোগ্যতা না পাওয়া যায়, তাহলে তার অভিভাবককে আরো অপেক্ষা করতে হবে।

সম্পদ ফিরিয়ে দেয়ার সময় সাক্ষী রাখতে হবে :

فَاِذَا دَفَعْتُمْ اِلَيْهِمْ اَمْوَالَهُمْ فَاَشْهِدُوْا عَلَيْهِمْؕ وَكَفٰى بِاللهِ حَسِيْبًا

যখন তাদের সম্পদ তাদেরকে সমর্পণ করতে চাও, তখন তাদের জন্য সাক্ষী রেখো; হিসাব গ্রহণের ব্যাপারে আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা নিসা- ৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন