hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৯৯
অধ্যায়- ৩ : হজ্জের বিধিবিধান
নির্ধারিত সময়ে হজ্জ করতে হবে :

اَلْحَجُّ اَشْهُرٌمَّعْلُوْمَاتٌ

হজ্জের মাসগুলো নির্ধারিত। (সূরা বাক্বারা- ১৯৭)

চাঁদ উদয়ের মাধ্যমে হজ্জের সময় জানা যায় :

يَسْاَلُوْنَكَ عَنِ الْاَهِلَّةِؕ قُلْ هِيَ مَوَاقِيْتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ

তারা তোমাকে নতুন চাঁদসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বলো, এগুলো হচ্ছে- মানুষের জন্য এবং হজ্জের জন্য সময় নির্ধারক। (সূরা বাক্বারা- ১৮৯)

যাওয়ার সময় পাথেয় নিয়ে যেতে হবে :

وَتَزَوَّدُوْا فَاِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰىؗ وَاتَّقُوْنِ يَاۤ اُولِى الْاَلْبَابِ

তোমরা পাথেয় সংগ্রহ করো; বস্তুত উৎকৃষ্টতম পাথেয় হচ্ছে আল্লাহভীতি। অতএব হে জ্ঞানীগণ! তোমরা আমাকে ভয় করো। (সূরা বাক্বারা- ১৯৭)

ইহরাম বাঁধার পর সবধরনের নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে :

اَ لْحَجُّ اَشْهُرٌ مَّعْلُوْمَاتٌۚ فَمَنْ فَرَضَ فِيْهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوْقَ وَلَا جِدَالَ فِى الحَجِّؕ وَمَا تَفْعَلُوْا مِنْ خَيْرٍ يَّعْلَمْهُ اللهُ

হজ্জের মাসগুলো নির্ধারিত, অতঃএব কেউ যদি ঐ সময়গুলোর মধ্যে হজ্জের সংকল্প করে, তবে সে যেন তাতে (সে দিনগুলোতে) সহবাস, দুষ্কার্য ও ঝগড়া করা হতে বিরত থাকে। আর তোমরা যে কোন সৎকর্ম কর না কেন, আল্লাহ তা জানেন। (সূরা বাক্বারা- ১৯৭)

স্থলভাগের কোন প্রাণী শিকার করা যাবে না :

وَحُرِّمَ عَلَيْكُمْ صَيْدُ الْبَرِّ مَا دُمْتُمْ حُرُمًاؕ وَاتَّقُوا اللهَ الَّذِيْۤ اِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ

আর তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত স্থলভাগের শিকার তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাঁর নিকট তোমাদেরকে একত্র করা হবে। (সূরা মায়েদা- ৯৬)

এটা আল্লাহর একটি পরীক্ষা :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَيَبْلُوَنَّكُمُ اللهُ بِشَيْءٍ مِّنَ الصَّيْدِ تَنَالُهٗۤ اَيْدِيْكُمْ وَرِمَاحُكُمْ لِيَعْلَمَ اللّٰهُ مَنْ يَّخَافُهٗ بِالْغَيْبِ

হে ঈমানদারগণ! ইহরাম অবস্থায় অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে এমন কিছু শিকারের বস্তু দিয়ে পরীক্ষা করবেন, যেগুলো তোমরা নিজেদের হাত ও বর্শার দ্বারা ধরতে পার। যাতে করে আল্লাহ এটা জেনে নিতে পারেন যে, কে তাঁকে না দেখে ভয় করে? (সূরা মায়েদা- ৯৪)

শিকার করলে কাফ্ফারা দিতে হবে :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَاَنْتُمْ حُرُمٌؕ وَمَنْ قَتَلَهٗ مِنْكُمْ مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآءٌ مِّثْلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهٖ ذَوَا عَدْلٍ مِّنْكُمْ هَدْيًا ۢبَالِغَ الْكَعْبَةِ اَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِيْنَ اَوْ عَدْلُ ذٰلِكَ صِيَامًا لِّيَذُوْقَ وَبَالَ اَمْرِهٖؕ عَفَا اللهُ عَمَّا سَلَفَ وَمَنْ عَادَ فَيَنْتَقِمُ اللهُ مِنْهُؕ وَاللهُ عَزِيْزٌ ذُو انْتِقَامٍ

হে মুমিনগণ! তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাকাকালে কোন শিকারকে হত্যা করো না। এরপরও তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে তা হত্যা করবে, তার বিনিময় হচ্ছে অনুরূপ গৃহপালিত জন্তু। এ ব্যাপারে তোমাদের মধ্যে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোক ফায়সালা করে দেবে যে, তা কুরবানীরূপে কা‘বায় প্রেরণ করতে হবে অথবা তার কাফ্ফারাস্বরূপ দরিদ্রকে খাবার প্রদান কিংবা সমসংখ্যক সিয়াম পালন করতে হবে, যাতে করে সে আপন কৃতকর্মের ফল ভোগ করে। যা গত হয়ে গেছে আল্লাহ তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, তবে কেউ যদি তা পুনরায় করে তাহলে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন; আর আল্লাহ মহাপরাক্রশালী ও শাস্তিদাতা। (সূরা মায়েদা- ৯৫)

আরাফার ময়দানে অবস্থান করা :

ثُمَّ اَفِيْضُوْا مِنْ حَيْثُ اَفَاضَ النَّاسُ

অতঃপর যেখান হতে অন্য সকল মানুষ প্রত্যাবর্তন করে সেখান (আরাফা) হতে তোমরাও প্রত্যাবর্তন করো। (সূরা বাক্বারা- ১৯৯)

মুযদালিফায় অবস্থান করা :

فَاِذَاۤ اَفَضْتُمْ مِّنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ وَاذْكُرُوْهُ كَمَا هَدَاكُمْۚ وَاِنْ كُنْتُمْ مِّنْ قَبْلِهٖ لَمِنَ الضَّآلِّيْنَ

অতঃপর যখন তোমরা আরাফাত হতে ফিরে আস, তখন মাশ‘আরে হারাম তথা পবিত্র স্মৃতিস্থানের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করো। আর তিনি তোমাদেরকে যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে তাঁকে স্মরণ করো, যদিও তোমরা ইতোপূর্বে বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে। (সূরা বাক্বারা- ১৯৮)

মিনায় অবস্থান করা :

وَاذْكُرُوا اللهَ فِۤيْ اَيَّامٍ مَّعْدُوْدَاتٍؕ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِيْ يَوْمَيْنِ فَلَاۤ اِثْمَ عَلَيْهِۚ وَمَنْ تَاَخَّرَ فَلَاۤ اِثْمَ عَلَيْهِ لِمَنِ اتَّقٰىؕ وَاتَّقُوا اللهَ وَاعْلَمُوْاۤ اَنَّكُمْ اِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ

আর তোমরা নির্ধারিত দিনসমূহে আল্লাহকে স্মরণ করো। সুতরাং কেউ যদি দু’দিনের মধ্যে (মক্কায় ফিরে যেতে) তাড়াতাড়ি করে, তবে তার জন্য কোন পাপ নেই। আবার কেউ যদি বিলম্ব করে, তবে তার কোন গোনাহ হবে না; এটা (এ সুযোগটা) তাক্বওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য নির্ধারিত। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং জেনে রেখো, তোমরা সকলেই তাঁর দিকে সমবেত হবে। (সূরা বাক্বারা- ২০৩)

কা‘বাঘর তাওয়াফ করা :

وَلْيَطَّوَّفُوْا بِالْبَيْتِ الْعَتِيْقِ

তোমরা প্রাচীন গৃহের তাওয়াফ করো। (সূরা হজ্জ- ২৯)

সাফা-মারওয়ায় দৌড়ানো :

اِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَآئِرِ اللهِۚ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ اَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ اَنْ يَّطَّوَّفَ بِهِمَاؕ وَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَاِنَّ اللهَ شَاكِرٌ عَلِيْمٌ

নিশ্চয় ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। অতএব যে ব্যক্তি এ ঘরে হজ্জ অথবা ওমরা করার জন্য আগমন করবে, তার জন্য এ দু’টির মধ্যে দৌড়ানোতে দোষের কিছু নেই। আর যদি কেউ স্বেচ্ছায় সৎকর্ম করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ (তাদের ব্যাপারে) কৃতজ্ঞ ও সর্বজ্ঞাত। (সূরা বাক্বারা- ১৫৮)

হজ্জের সাথে ওমরা করলে যা করতে হবে :

فَمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ اِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِۚ فَمَنْ لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ اَيَّامٍ فِى الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ اِذَا رَجَعْتُمْؕ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌؕ ذٰلِكَ لِمَنْ لَّمْ يَكُنْ اَهْلُهٗ حَاضِرِى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِؕ وَاتَّقُوا اللهَ وَاعْلَمُوْاۤ اَنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ

অতঃপর কেউ যদি হজ্জের সাথে ওমরাও করতে চায়, তবে সে যা সহজপ্রাপ্য তাই কুরবানী করবে। কিন্তু কেউ যদি তা না পায়, তবে হজ্জের সময় তিন দিন এবং যখন তোমরা ফিরে আস তখন সাত দিন- এই পূর্ণ দশদিন রোযা রাখবে। এটা ঐ ব্যক্তির জন্য যে মাসজিদে হারামের বাসিন্দা নয়। আল্লাহকে ভয় করো ও জেনে রেখো, আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা। (সূরা বাক্বারা- ১৯৬)

মাথামুন্ডন করা বা ছাটানো :

لَقَدْ صَدَقَ اللهُ رَسُوْلَهُ الرُّؤْيَا بِالْحَقِّۚ لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ اِنْ شَآءَ اللهُ اٰمِنِيْنَ مُحَلِّقِيْنَ رُءُوْسَكُمْ وَمُقَصِّرِيْنَ لَا تَخَافُوْنَ

বাস্তবিকই আল্লাহ তাঁর রাসূলকে সঠিক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, যা ছিল সস্পূর্ণ সত্য। ইন্শাআল্লাহ তোমরা মাসজিদুল হারামে সম্পূর্ণ নিরাপদে প্রবেশ করবে- (কেউ কেউ) মাথা কামাবে, (কেউ কেউ) চুল কাঁটবে এবং তোমাদের কোন ভয় থাকবে না। (সূরা ফাতহ- ২৭)

বাধাপ্রাপ্ত হলে কুরবানী করে নেবে :

وَاَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلّٰهِؕ فَاِنْ اُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ

তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও ওমরা সম্পূর্ণ করো; কিন্তু তোমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হও, তবে যা সহজপ্রাপ্য হয় তাই কুরবানী করে নাও। (সূরা বাক্বারা- ১৯৬)

জন্তু কুরবানীর স্থানে পৌঁছার পর মাথামুন্ডন করবে:

وَلَا تَحْلِقُوْا رُءُوْسَكُمْ حَتّٰى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهٗؕ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَّرِيْضًا اَوْ بِهٖۤ اَذًى مِّنْ رَّاْسِهٖ فَفِدْيَةٌ مِّنْ صِيَامٍ اَوْ صَدَقَةٍ اَوْ نُسُكٍ

কুরবানীর জন্তুগুলো যথাস্থানে না পৌঁছা পর্যন্ত তোমাদের মাথামুন্ডন করো না; কিন্তু তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোগাক্রান্ত হয় অথবা মাথায় অসুখ থাকে, তবে সে রোযা রাখবে কিংবা সাদাকা করবে অথবা (কুরবানী দ্বারা) ফিদইয়া দেবে। (সূরা বাক্বারা- ১৯৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন