hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৩২
অধ্যায়- ১৫ : খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস
‘বৈরাগ্যবাদ’ খ্রিস্টানরাই আবিষ্কার করেছিল :

وَرَهْبَانِيَّةَنِ ابْتَدَعُوْهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ اِلَّا ابْتِغَآءَ رِضْوَانِ اللهِ فَمَا رَعَوْهَا حَقَّ رِعَايَتِهَا

সন্ন্যাসবাদ (সংসারত্যাগী) তো তারা নিজেরাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রবর্তন করে নিয়েছিল। অথচ আমি তাদেরকে এর বিধান দেইনি, কিন্তু এটাও তারা যথাযথভাবে পালন করেনি। (সূরা হাদীদ- ২৭)

তারা ইঞ্জিলের উপদেশ ভুলে গিয়েছিল :

وَمِنَ الَّذِيْنَ قَالُوْاۤ اِنَّا نَصَارٰۤى اَخَذْنَا مِيْثَاقَهُمْ فَنَسُوْا حَظًّا مِّمَّا ذُكِّرُوْا بِه

যারা বলে, ‘আমরা খ্রিস্টান’, তাদেরও অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম; কিন্তু তারা যে উপদেশপ্রাপ্ত হয়েছিল তার একাংশ ভুলে গিয়েছে। (সূরা মায়েদা- ১৪)

অথচ আল্লাহ এটা অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন :

وَلْيَحْكُمْ اَهْلُ الْاِنْجِيْلِ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ فِيْهِؕ وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ

আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন ইঞ্জিলের অনুসারীরা যেন সে অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করে। আর আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিচার-ফায়সালা করে না, তারা ফাসিক। (সূরা মায়েদা- ৪৭)

তারা নিজেদেরকে আল্লাহর প্রিয় মনে করত :

وَقَالَتِ الْيَهُوْدُ وَالنَّصَارٰى نَحْنُ اَبْنَآءُ اللهِ وَاَحِبَّآؤُهٗؕ قُلْ فَلِمَ يُعَذِّبُكُمْ بِذُنُوْبِكُمْؕ بَلْ اَنْتُمْ بَشَرٌ مِّمَّنْ خَلَقَؕ يَغْفِرُ لِمَنْ يَّشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَّشَآءُؕ وَلِلّٰهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَاؗ وَاِلَيْهِ الْمَصِيْرُ

ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানরা বলে, আমরা আল্লাহর পুত্র ও তার প্রিয়পাত্র। বলো, তবে কেন তিনি তোমাদের পাপের জন্য তোমাদেরকে শাস্তি দেন? বরং তোমরা তাদেরই মতো মানুষ, যাদেরকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন, আসমান ও জমিন এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই; আর প্রত্যাবর্তন তো তাঁরই দিকে। (সূরা মায়েদা- ১৮)

তারা ঈসা (আঃ) সম্পর্কে মতভেদে লিপ্ত রয়েছে :

فَاخْتَلَفَ الْاَحْزَابُ مِنْ ۢبَيْنِهِمْۚ فَوَيْلٌ لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ مَّشْهَدِ يَوْمٍ عَظِيْمٍ

অতঃপর (খ্রিস্টানদের) দলগুলো নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি করল, সুতরাং দুর্ভোগ কাফিরদের জন্য মহাদিবস আগমনকালে। (সূরা মারইয়াম- ৩৭)

তারা তিন উপাস্যে বিশ্বাস করে :

لَقَدْ كَفَرَ الَّذِيْنَ قَالُوْاۤ اِنَّ اللهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍۚ وَمَا مِنْ اِلٰهٍ اِلَّاۤ اِلٰهٌ وَّاحِدٌؕ وَاِنْ لَّمْ يَنْتَهُوْا عَمَّا يَقُوْلُوْنَ لَيَمَسَّنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

যারা বলে, ‘আল্লাহ তিনের মধ্যে একজন’ তারা কুফরী করেছে। (কেননা) এক ইলাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। তারা যা বলে তা হতে বিরত না হলে, তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদের উপর অবশ্যই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অবতীর্ণ হবে। (সূরা মায়েদা- ৭৩)

তাদের কেউ কেউ ঈসা (আঃ)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করত :

وَقَالَتِ الْيَهُوْدُ عُزَيْرُنِ ابْنُ اللهِ وَقَالَتِ النَّصَارَى الْمَسِيْحُ ابْنُ اللهِؕ ذٰلِكَ قَوْلُهُمْ بِاَفْوَاهِهِمْۚ يُضَاهِئُوْنَ قَوْلَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَبْلُؕ قَاتَلَهُمُ اللهُۚ اَنّٰى يُؤْفَكُوْنَ

ইয়াহুদিরা বলে, ‘উযায়ের আল্লাহর পুত্র’ এবং খ্রিস্টানরা বলে, ‘মাসীহ আল্লাহর পুত্র’- এগুলো তাদের মুখের কথা। পূর্বে যারা কুফরী করেছিল, তারা তাদের মতোই কথা বলে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। হায় আফসোস! তাদেরকে কোন দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে! (সূরা তাওবা- ৩০)

আবার কেউ কেউ ঈসা (আঃ)-কেই আল্লাহ মনে করত :

لَقَدْ كَفَرَ الَّذِيْنَ قَالُوْاۤ اِنَّ اللهَ هُوَ الْمَسِيْحُ ابْنُ مَرْيَمَ

যারা কুফরী করে তারা বলে থাকে, মারইয়ামের ছেলে মাসীহই আল্লাহ। (সূরা মায়েদা- ১৭)

অথচ ঈসা (আঃ) তাদেরকে শিরক করতে নিষেধ করেছেন :

وَقَالَ الْمَسِيْحُ يَا بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ اعْبُدُوا اللهَ رَبِّيْ وَرَبَّكُمْؕ اِنَّهٗ مَنْ يُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَاْوَاهُ النَّارُؕ وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ

মাসীহ বলেছিল, হে বনী ইসরাঈল! তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর ইবাদাত করো। কেননা যারা আল্লাহর সাথে শিরক করবে আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন; তাদের স্থায়ী আবাসস্থল হচ্ছে জাহান্নাম। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়েদা- ৭২)

খ্রিস্টানদেরকে যেভাবে দাওয়াত দিতে হবে :

يَاۤ اَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوْا فِيْ دِيْنِكُمْ وَلَا تَقُوْلُوْا عَلَى اللهِ اِلَّا الْحَقَّؕ اِنَّمَا الْمَسِيْحُ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُوْلُ اللهِ وَكَلِمَتُهٗۚ اَلْقَاهَاۤ اِلٰى مَرْيَمَ وَرُوْحٌ مِّنْهُؗ فَاٰمِنُوْا بِاللهِ وَرُسُلِه   وَلَا تَقُوْلُوْا ثَلَاثَةٌؕ اِنْتَهُوْا خَيْرًا لَّكُمْؕ اِنَّمَا اللهُ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ سُبْحَانَهٗۤ اَنْ يَّكُوْنَ لَهٗ وَلَدٌۘ لَهٗ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَرْضِؕ وَكَفٰى بِاللهِ وَكِيْلًا

হে আহলে কিতাব! তোমরা নিজেদের দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং ঈসার ঘটনা নিয়ে আল্লাহ সম্পর্কে সত্য ছাড়া কোনকিছুই (মিথ্যা) বলো না। আর সে সত্য কথা হচ্ছে এই যে, মারইয়ামের পুত্র মাসীহ ছিলেন আল্লাহর রাসূল ও তার এমন এক বাণী- যা তিনি মারইয়ামের উপর প্রেরণ করেছেন। আর সে ছিল আল্লাহর কাছ থেকে পাঠানো এক রূহ। অতএব হে আহলে কিতাব! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনয়ন করো এবং কখনো এটা বলো না যে, উপাস্যের সংখ্যা তিন। তোমরা এ জঘন্য মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকো, আর এটাই তোমাদের জন্য উত্তম। নিশ্চয় আল্লাহ একক উপাস্য, তিনি এ থেকে অনেক পবিত্র যে, তাঁর কোন সন্তান থাকবে। আকাশ ও জমিনের সব মালিকানাই তাঁর, আর অভিভাবক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা নিসা- ১৭১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন