hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২২০
অধ্যায়- ৩ : কাদেরকে দান করতে হবে
দানের খাত :

وَاٰتَى الْمَالَ عَلٰى حُبِّهٖ ذَوِى الْقُرْبٰى وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنَ وَابْنَ السَّبِيْلِ وَالسَّآئِلِيْنَ وَفِى الرِّقَابِ

আর তাঁরই ভালোবাসা অর্জনের জন্য আত্মীয়স্বজন, ইয়াতীম, দরিদ্র (মিসকীন), পথিক (মুসাফির), ভিক্ষুক ও দাসমুক্ত করার কাজে অর্থ ব্যয় করে। (সূরা বাক্বারা- ১৭৭)

মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজন অগ্রাধিকার পাবে :

يَسْأَلُوْنَكَ مَاذَا يُنْفِقُوْنَؕ قُلْ مَاۤ اَنْفَقْتُمْ مِّنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْاَقْرَبِيْنَ وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنِ وَابْنِ السَّبِيْلِؕ وَمَا تَفْعَلُوْا مِنْ خَيْرٍ فَاِنَّ اللهَ بِهٖ عَلِيْمٌ

লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে, তারা কী (কাদের জন্য) ব্যয় করবে? বলে দাও, তোমরা ধনসম্পদ হতে যা ব্যয় করবে তা পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন ও পথিকদের জন্য ব্যয় করবে। আর তোমরা যেসব সৎকর্ম কর নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত। (সূরা বাক্বারা- ২১৫)

যারা দ্বীনের কাজে ব্যস্ত থাকে এবং উপার্জনের সময় পায় না :

لِلْفُقَرَآءِ الَّذِيْنَ اُحْصِرُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ ضَرْبًا فِى الْاَرْضِؗ يَحْسَبُهُمُ الْجَاهِلُ اَغْنِيَآءَ مِنَ التَّعَفُّفِۚ تَعْرِفُهُمْ بِسِيْمَاهُمْۚ لَا يَسْاَلُوْنَ النَّاسَ اِلْحَافًاؕ وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ فَاِنَّ اللهَ بِهٖ عَلِيْمٌ

(দান করতে হবে) ঐ সকল গরীবদের জন্য, যারা আল্লাহর পথে অবরুদ্ধ থাকার কারণে (রোজগারের জন্য) জমিনে বিচরণ করতে সক্ষম হয় না। ভিক্ষা করা থেকে দূরে থাকার কারণে মূর্খ লোকেরা তাদেরকে ধনী বলে মনে করে। তুমি লক্ষণ দ্বারা তাদেরকে চিনতে পারবে। তারা কাকুতি-মিনতি করে মানুষের কাছে চায় না। আর তোমরা উত্তম সম্পদ হতে যা কিছু দান কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে খবর রাখেন। (সূরা বাক্বারা- ২৭৩)

ব্যাখ্যা : এখানে যেসব লোকের কথা বলা হয়েছে, তারা হচ্ছে এমন লোক যারা আল্লাহর দ্বীনের খেদমতে নিজেদেরকে উৎসর্গ করে দেয়। তাদের সমস্ত সময় এ দ্বীনী খেদমতে ব্যয় করার কারণে নিজেদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য কোন কাজকর্ম করার সুযোগ পায় না। নবী ﷺ এর যুগে এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবীদের একটি স্বতন্ত্র দল ছিল। ইতিহাসে তারা ‘আসহাবে সুফ্ফা’ নামে পরিচিত। যেহেতু তারা ছিলেন সার্বক্ষণিক কর্মী এবং নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করার মতো উপকরণও তাদের ছিল না, তাই তাদের সাহায্য করাকে আল্লাহর পথে ব্যয়ের সর্বোত্তম খাত বলে উল্লেখ করেছেন। এ হিসেবে বর্তমান যুগেও যারা দুনিয়ার কোন স্বার্থ ছাড়াই দ্বীনের জন্য কাজ করে যাবে এবং নিজের জীবিকার জন্য কাজ করার কোন সুযোগ না পাবে তাদের পেছনে খরচ করাও আল্লাহর পথে ব্যয়ের সর্বোত্তম খাত হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে দান করতে হবে :

وَاَنْفِقُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَلَا تُلْقُوْا بِاَيْدِيْكُمْ اِلَى التَّهْلُكَةِۚ وَاَحْسِنُوْاۚ اِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِيْنَ

তোমরা আল্লাহর পথে খরচ করো এবং নিজ হাতকে ধ্বংসের দিকে প্রসারিত করো না। আর তোমরা ইহসান করতে থাকো; নিশ্চয় আল্লাহ ইহসানকারীদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা বাক্বারা- ১৯৫)

ব্যাখ্যা : আল্লাহর পথে ব্যয় করার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালানো হয় তাতে অর্থ ব্যয় করা। এখানে আয়াতের অর্থ হচ্ছে, যদি তোমরা আল্লাহর দ্বীনকে উঁচু রাখার এবং তাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজের অর্থ সম্পদ ব্যয় না কর এবং তার মুকাবিলায় তোমাদের ব্যক্তিগত স্বার্থকে সবসময় প্রিয় মনে কর, তাহলে এটা তোমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে ধ্বংসের কারণ হবে। দুনিয়ায় তোমরা কাফিরদের হাতে পরাজিত ও অপমানিত হবে এবং আখিরাতে আল্লাহর সামনে কঠিন জবাবদিহির সম্মুখীন হবে।

প্রয়োজনের সময় দান করলে সওয়াব বেশি হয় :

لَا يَسْتَوِيْ مِنْكُمْ مَّنْ اَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَؕ اُولٰٓئِكَ اَعْظَمُ دَرَجَةً مِّنَ الَّذِيْنَ اَنْفَقُوْا مِنْ ۢبَعْدُ وَقَاتَلُوْاؕ وَكُلًّا وَّعَدَ اللهُ الْحُسْنٰىؕ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ

তোমাদের মধ্যে যারা (মক্কা) বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও সংগ্রাম করেছে তারা সমান নয়। তারা তাদের চেয়ে মর্যাদায় শ্রেষ্ঠতর, যারা পরবর্তীকালে ব্যয় করেছে ও সংগ্রাম করেছে। তবে আল্লাহ উভয়ের ব্যাপারেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তোমরা যা কর আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সূরা হাদীদ- ১০)

শয়তান দরিদ্রের ভয় দেখিয়ে দান করা থেকে বিরত রাখে :

اَلشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَآءِۚ وَاللهُ يَعِدُكُمْ مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلًاؕ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ

শয়তান তোমাদেরকে অভাবের ভয় দেখায় এবং অশ্লীল কাজের আদেশ দেয়; অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আল্লাহ অসীম করুণাময় ও মহাজ্ঞানী।

(সূরা বাক্বারা- ২৬৮)

দান গ্রহণকারী যা পায় তাতেই খুশী থাকা উচিত :

وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّلْمِزُكَ فِى الصَّدَقَاتِۚ فَاِنْ اُعْطُوْا مِنْهَا رَضُوْا وَاِنْ لَّمْ يُعْطَوْا مِنْهَاۤ اِذَا هُمْ يَسْخَطُوْنَ وَلَوْ اَنَّهُمْ رَضُوْا مَاۤ اٰتَاهُمُ اللهُ وَرَسُوْلُهٗ وَقَالُوْا حَسْبُنَا اللهُ سَيُؤْتِيْنَا اللهُ مِنْ فَضْلِهٖ وَرَسُوْلُهٗۤ اِنَّاۤ اِلَى اللهِ رَاغِبُوْنَ

তাদের মধ্যে এমনও লোক আছে, যারা সাদাকা বণ্টন সম্পর্কে তোমাকে দোষারোপ করে। অতঃপর তার কিছু অংশ তাদেরকে দেয়া হলে তারা সন্তুষ্ট হয় এবং তা থেকে তাদেরকে কিছু না দেয়া হলে তৎক্ষণাৎ তারা ক্ষুব্ধ হয়। ভালো হতো যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদেরকে যা দিয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট হতো এবং বলত, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আল্লাহ আমাদেরকে দেবেন নিজ করুণায় এবং তাঁর রাসূলও, আমরা আল্লাহরই প্রতি অনুরক্ত। (সূরা তাওবা- ৫৮, ৫৯)

দানকারীর দোষ বের করা অন্যায় :

اَلَّذِيْنَ يَلْمِزُوْنَ الْمُطَّوِّعِيْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ فِى الصَّدَقَاتِ وَالَّذِيْنَ لَا يَجِدُوْنَ اِلَّا جُهْدَهُمْ فَيَسْخَرُوْنَ مِنْهُمْ سَخِرَ اللهُ مِنْهُمْؗ وَلَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

মুমিনদের মধ্যে যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাদাকা করে এবং যারা নিজ শ্রম ব্যতীত কিছুই পায় না, যারা তাদেরকে নিয়ে বিদ্রূপ করে আল্লাহ তাদেরকে নিয়ে বিদ্রূপ করেন; আর তাদের জন্য রয়েছে মর্মান্তিক শাস্তি। (সূরা তাওবা- ৭৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন