hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৭৮
অধ্যায়- ৬ : মুহাম্মাদ ﷺ এর চারিত্রিক গুণাবলি
তিনি ছিলেন উন্নত চরিত্রের অধিকারী :

وَاِنَّكَ لَعَلٰى خُلُقٍ عَظِيْمٍ

নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছ। (সূরা ক্বালাম- ৪)

তিনি ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী :

فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ اللهِ لِنْتَ لَهُمْۚ وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيْظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوْا مِنْ حَوْلِكَ

অতএব আল্লাহর অনুগ্রহ এই যে, তুমি তাদের প্রতি কোমলচিত্তের অধিকারী। (পক্ষান্তরে) তুমি যদি কর্কশ ভাষী ও কঠোর হৃদয়ের অধিকারী হতে, তবে নিশ্চয় তারা তোমার সংস্পর্শে আসা হতে বিরত থাকত। (সূরা আলে ইমরান- ১৫৯)

তিনি ছিলেন সকলের জন্য কল্যাণকামী ও স্নেহপরায়ণ :

لَقَدْ جَآءَكُمْ رَسُوْلٌ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ

অবশ্যই তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছে। তোমাদেরকে যা কষ্ট দেয়, তা তার নিকট কষ্টদায়ক। সে তোমাদের মঙ্গলকামী এবং মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। (সূরা তাওবা- ১২৮)

তিনি মুমিনদের উপর বিশ্বাস রাখেন :

يُؤْمِنُ بِاللهِ وَيُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِيْنَ وَرَحْمَةٌ لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ

সে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এবং মুমিনদেরকে বিশ্বাস করে, তোমাদের মধ্যে যারা মুমিন সে তাদের জন্য রহমতস্বরূপ। (সূরা তাওবা- ৬১)

তিনি মুমিনদের কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয় :

اَلنَّبِيُّ اَوْلٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٗۤ اُمَّهَاتُهُمْ

তিনি এমন নবী, যিনি মুমিনদের কাছে তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতার মতো। (সূরা আহযাব- ৬)

তাঁর কতিপয় বিশেষ গুণাবলি :

اَلَّذِيْنَ يَتَّبِعُوْنَ الرَّسُوْلَ النَّبِيَّ الْاُمِّيَّ الَّذِيْ يَجِدُوْنَهٗ مَكْتُوْبًا عِنْدَهُمْ فِى التَّوْرَاةِ وَالْاِنْجِيْلِؗ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ اِصْرَهُمْ وَالْاَغْلَالَ الَّتِيْ كَانَتْ عَلَيْهِمْؕ فَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِه وَعَزَّرُوْهُ وَنَصَرُوْهُ وَاتَّبَعُوا النُّوْرَ الَّذِيْۤ اُنْزِلَ مَعَهٗۤ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

যারা বার্তাবাহক নিরক্ষর নবীর অনুসরণ করে, যার ব্যাপারে উল্লেখ পাবে তাওরাত ও ইঞ্জিলে, যা তাদের নিকট রয়েছে। সে তাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজ হতে নিষেধ করে, সে তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহকে হালাল ঘোষণা করে আর অপবিত্র বস্তুসমূহকে হারাম ঘোষণা করে এবং সে তাদেরকে তাদের উপর অর্পিত বড় দায়িত্ব ও শৃঙ্খল হতে মুক্ত করে, যা তাদের উপর আরোপিত ছিল। সুতরাং যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে এবং ঐ নূরের অনুসরণ করে, যা তার উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে- তারাই সফলকাম। (সূরা আ‘রাফ- ১৫৭)

তিনি সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন :

اِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِيْنَ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত। আপনি আছেন সরলসঠিক পথের উপর। (সূরা ইয়াসীন - ৩, ৪)

তিনি মানুষকে সঠিক পথ দেখাতেন :

وَاِنَّكَ لَتَهْدِيْۤ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ صِرَاطِ اللهِ الَّذِيْ لَهٗ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَرْضِؕ اَ لَاۤ اِلَى اللهِ تَصِيْرُ الْاُمُوْرُ

নিশ্চয় তুমি (মানুষকে) সরল পথপ্রদর্শন করে থাক। এটা ঐ আল্লাহর পথ, যাঁর আধিপত্য রয়েছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে (সবকিছুর উপর)। সাবধান! সকল বিষয় আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তন করে। (সূরা শূরা- ৫২, ৫৩)

তিনি ইচ্ছেমতো কথা বলতেন না :

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوٰى اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْيٌ يُّوْحٰى

তিনি প্রবৃত্তি হতে কোন কথা বলেন না। এটা তো এক ওহী, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। (সূরা নাজম- ৩, ৪)

তিনি ওহীর মধ্যে কোন পরিবর্তন করতেন না :

وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِمْ اٰيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ قَالَ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَآءَنَا ائْتِ بِقُرْاٰنٍ غَيْرِ هٰذَاۤ اَوْ بَدِّلْهُؕ قُلْ مَا يَكُوْنُ لِۤيْ اَنْ اُبَدِّلَهٗ مِنْ تِلْقَآءِ نَفْسِيْۚ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰۤى اِلَيَّۚ اِنِّۤيْ اَخَافُ اِنْ عَصَيْتُ رَبِّيْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيْمٍ

যখন তাদের নিকট আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন যারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তারা বলে, এটা ছাড়া অন্য একটি কুরআন নিয়ে আসো, অথবা এটাকে বদলাও। (হে নবী! তাদেরকে) বলো, নিজ হতে এটা বদলানো আমার কাজ নয়। আমার প্রতি যা ওহী করা হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করলে অবশ্যই আমি মহাদিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি। (সূরা ইউনুস- ১৫)

তিনি মানুষের মনগড়া কথা শুনতেন না :

قُلْ لَّاۤ اَتَّبِعُ اَهْوَآءَكُمْ قَدْ ضَلَلْتُ اِذًا وَّمَاۤ اَنَاْ مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ

(হে নবী) বলো, আমি তোমাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করি না, যদি করতাম তবে আমি বিপথগামী হয়ে যেতাম এবং সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকতাম না। (সূরা আন‘আম- ৫৬)

তিনি কেবল ওহীর অনুসরণ করেন :

قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِّنَ الرُّسُلِ وَمَاۤ اَدْرِيْ مَا يُفْعَلُ بِيْ وَلَا بِكُمْؕ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰۤى اِلَيَّ وَمَاۤ اَنَا اِلَّا نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ

(হে রাসূল!) আপনি বলে দিন, আমি তো রাসূলদের মধ্যে নতুন নই। আর আমি জানি না যে, আমার সাথে ও তোমাদের সাথে কেমন আচরণ করা হবে। আমি তো শুধু তা-ই মেনে চলছি, যা আমার উপর ওহী করা হয়। আর আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী ছাড়া আর কিছুই নই। (সূরা আহকাফ- ৯)

قُلْ اِنَّمَاۤ اَتَّبِعُ مَا يُوْحٰۤى اِلَيَّ مِنْ رَّبِّيْ

বলো, আমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আমার কাছে যা ওহী করা হয়, আমি তো শুধু তারই অনুসরণ করি। (সূরা আ‘রাফ- ২০৩)

ব্যাখ্যা : যে ব্যক্তি নিজের কোন স্বার্থ ছাড়াই দাওয়াতের জন্য এতো পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তার বিশ্বাস অবশ্যই একটি শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। তিনি মানসিক প্রশান্তির এমন কোন উপকরণের অধিকারী, যার ভিত্তিতে সকল প্রকার আরাম-আয়েশ পরিত্যাগ করে ক্রমান্বয়ে নিজেকে মারাত্মক বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন। ফলে শত শত বছরের রচিত আকীদা-বিশ্বাস, রীতিনীতি ও জীবনধারার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন এবং এ কারণেই সারা দুনিয়ার শত্রুতার মুখোমুখি হয়েছেন। এ ধরনের মানুষের কথা আর যাই হোক এতটা হালকা হতে পারে না যে, না বুঝেই তা প্রত্যাখ্যান করা যায়।

মুসলিমদের জন্য তিনিই একমাত্র আদর্শ :

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُوا اللهَ وَالْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَذَكَرَ اللهَ كَثِيْرًا

তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনকে ভয় করে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, নিশ্চয় তাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব- ২১)

নবী ﷺ দাওয়াতী কাজে কোন বিনিময় চাননি :

قُلْ لَّاۤ اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِى الْقُرْبٰى

বলো, আমি এর বিনিময়ে তোমাদের নিকট হতে আত্মীয়তার ভালোবাসা ব্যতীত অন্য কোন বিনিময় চাই না। (সূরা শূরা- ২৩)

তিনি শুধুমাত্র সওয়াবের আশা করতেন :

قُلْ مَا سَاَلْتُكُمْ مِّنْ اَجْرٍ فَهُوَ لَكُمْؕ اِنْ اَجْرِيَ اِلَّا عَلَى اللهِۚ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ

বলো, আমি তোমাদের কাছে যে পারিশ্রমিক চাই তা তো তোমাদের জন্যই (অর্থাৎ তোমরা দ্বীনদার হয়ে যাও)। আমার পুরস্কার তো আল্লাহর নিকট প্রস্তুত রয়েছে। আর তিনি সবকিছুর উপর সাক্ষী। (সূরা সাবা- ৪৭)

اَمْ تَسْاَلُهُمْ خَرْجًا فَخَرَاجُ رَبِّكَ خَيْرٌۗ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِيْنَ

অথবা তুমি কি তাদের নিকট কোন প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই শ্রেষ্ঠ এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। (সূরা মু’মিনূন- ৭২)

মানুষ আল্লাহমুখী হোক এটাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য :

قُلْ مَاۤ اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ اَجْرٍ اِلَّا مَنْ شَآءَ اَنْ يَّتَّخِذَ اِلٰى رَبِّهٖ سَبِيْلًا

বলো, ‘আমি তোমাদের নিকট এটার জন্য কোন প্রতিদান চাই না, তবে যে ইচ্ছা করে সে তার প্রতিপালকের দিকে পথ অবলম্বন করুক।’ (সূরা ফুরক্বান- ৫৭)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ নিজের এ কাজে আপনি পুরোপুরি নিঃস্বার্থ। কোন ব্যক্তি সততার সাথে এ দোষারোপ করতে পারে না যে, কোন ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য আপনার সামনে রয়েছে, তাই আপনি এ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে আপনার ভালোই উন্নতি হচ্ছিল। এখন দারিদ্র্য ও অর্থসংকটের সম্মুখীন হলেন। জাতির মধ্যে আপনাকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হতো। এখন গালাগালি ও মার খাচ্ছেন, এমনকি প্রাণনাশের পর্যায়েও পৌঁছে গেছেন। নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তে সুখে জীবন যাপন করছিলেন। এখন এমন একটি কঠিন দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্যে পড়ে গেছেন, যার ফলে এক মুহূর্তের জন্যও শান্তিতে থাকতে পারছেন না। উপরন্তু এমন বিষয় নিয়ে সামনে এসেছেন, যার ফলে সারা দেশের লোক আপনার শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এমনকি নিজের নিকটাত্মীয়রা পর্যন্ত আপনাকে হত্যা করার জন্য পাগলপারা হয়ে উঠেছে। কে বলতে পারে, এটা একজন স্বার্থবাদী লোকের কাজ?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন