hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৩৪
অধ্যায়- ৬ : পাপকাজ ও তার পরিণাম
আল্লাহ পাপ করাকে হারাম করে দিয়েছেন :

قُلْ اِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْاِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَاَنْ تُشْرِكُوْا بِاللهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهٖ سُلْطَانًا وَّاَنْ تَقُوْلُوْا عَلَى اللهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ

বলো, নিশ্চয় আমার প্রতিপালক হারাম করে দিয়েছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, পাপকাজ, অন্যায়ভাবে বিরোধিতা করা এবং আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করা, যার কোন প্রমাণ তিনি প্রেরণ করেননি। আর আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলাও (হারাম করে দিয়েছেন), যা তোমরা জান না। (সূরা আ‘রাফ- ৩৩)

ব্যাখ্যা : اِثْمٌ (ইছমুন) এর আসল অর্থ হচ্ছে ত্রুটি-বিচ্যুতি। আর اٰثِمَةٌ (আছিমাতুন) এমন ধরনের উটনীকে বলা হয়, যে দ্রুত চলতে পারে; কিন্তু জেনে বুঝে অলসভাবে চলে। এ থেকেই এ শব্দের মধ্যে গোনাহের ভাবধারা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ যখন নিজের রবের আনুগত্য করা ও তাঁর হুকুম মেনে চলার ক্ষমতা ও সামর্থর্র্্য থাকা সত্ত্বেও গাফলতী করে এবং জেনে-বুঝে ত্রুটি করে, যার ফলে সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে অসমর্থ্য হয়, তখন সেই আচরণটিকেই গোনাহ বলা হয়।

وَذَرُوْا ظَاهِرَ الْاِثْمِ وَبَاطِنَهٗۤ اِنَّ الَّذِيْنَ يَكْسِبُوْنَ الْاِثْمَ سَيُجْزَوْنَ بِمَا كَانُوْا يَقْتَرِفُوْنَ

তোমরা প্রকাশ্য এবং গোপনীয় সকল পাপকাজ বর্জন করো। যারা পাপ করে অচিরেই তাদেরকে তাদের পাপকাজের সমুচিত শাস্তি দেয়া হবে। (সূরা আন‘আম- ১২০)

আল্লাহ পাপকাজে সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন :

وَتَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوٰى۪ وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْاِثْمِ وَالْعُدْوَانِ

তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিমূলক কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনমূলক কাজে একে অপরের সহযোগিতা করো না। (সূরা মায়েদা- ২)

মানুষ যেসব পাপ করে আল্লাহ তার হিসাব রাখেন :

وَكَفٰى بِهٖ بِذُنُوْبِ عِبَادِ هٖ خَبِيْرًا

তিনি তাঁর বান্দাদের পাপ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত। (সূরা ফুরক্বান- ৫৮)

وَكَفٰى بِرَبِّكَ بِذُنُوْبِ عِبَادِ هٖ خَبِيْرًا ۢبَصِيْرًا

বান্দাদের পাপাচারের সংবাদ রাখা ও পর্যবেক্ষণের জন্য তোমার রব-ই যথেষ্ট। (সূরা বনী ইসরাঈল-১৭)

অপরাধীরা আল্লাহর আওতার বাহিরে যেতে পারবে না :

اَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ يَعْمَلُوْنَ السَّيِّئَاتِ اَنْ يَّسْبِقُوْنَاؕ سَآءَ مَا يَحْكُمُوْنَ

তবে কি যারা মন্দকাজ করে তারা মনে করে যে, তারা আমার আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে? তাদের সিদ্ধান্ত কতই না মন্দ! (সূরা আনকাবূত- ৪)

অপরাধীদের থেকে আযাব সরানো হয় না :

وَلَا يُرَدُّ بَاْسُهٗ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ

অপরাধী সম্প্রদায়ের উপর হতে তাঁর শাস্তি সরিয়ে নেয়া হয় না। (সূরা আন‘আম- ১৪৭)

আল্লাহ অপরাধীদেরকে ভালোবাসেন না :

وَاللهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ اَثِيْمٍ

আর আল্লাহ প্রত্যেক অস্বীকারকারী ও অপরাধীকে ভালোবাসেন না। (সূরা বাক্বারা- ২৭৬)

যে পাপ করবে সে নিজেই এর পরিণাম ভোগ করবে :

وَمَنْ يَّتَعَدَّ حُدُوْدَ اللهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهٗ

যে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে, সে নিজের উপরই যুলুম করে। (সূরা তালাক্ব- ১)

وَمَنْ يَّكْسِبْ اِثْمًا فَاِنَّمَا يَكْسِبُهٗ عَلٰى نَفْسِهٖؕ وَكَانَ اللهُ عَلِيْمًا حَكِيْمًا

যে ব্যক্তি পাপকাজ করে, সে তো তা নিজের (ক্ষতির) জন্যই করে। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা- ১১১)

প্রত্যেকেই নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী :

لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ مَّا اكْتَسَبَ مِنَ الْاِثْمِ

তাদের প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে তাদের কৃত পাপকর্মের ফল। (সূরা নূর- ১১)

كُلُّ امْرِئٍ ۢبِمَا كَسَبَ رَهِيْنٌ

প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য জিম্মী। (সূরা তূর- ২১)

ব্যাখ্যা : এখানে ‘জিম্মী’ বা ‘বন্ধক’ শব্দটির রূপক ব্যবহার অত্যন্ত অর্থবহ। কোন ব্যক্তি যদি কাউকে কোন ঋণ দেয় এবং ঋণদাতা তার পাওনা আদায়ের নিশ্চয়তা হিসেবে ঋণ গ্রহীতার কোন জিনিস নিজের কাছে বন্ধক রাখে, তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত সে ঋণ পরিশোধ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধকী বস্তু মুক্ত হবে না। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি বন্ধকী বস্তু মুক্ত না করে তাহলে বন্ধকী বস্তুটি বাজেয়াপ্ত বা হাতছাড়া হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলাও মানুষের মধ্যকার লেনদেনের বিষয়টিকে এখানে বন্ধকী লেনদেনের সাথে তুলনা করেছেন। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে যেসব শক্তি, যোগ্যতা, সাজ-সরঞ্জাম এবং ইখতিয়ার দিয়েছেন, তা যেন ঋণ দিয়েছেন। এ ঋণের জামানত হিসেবে সে নিজেই আল্লাহর কাছে বন্ধক বা জিম্মী হয়ে রয়েছে। বান্দা যদি এসব সাজ-সরঞ্জাম, শক্তি এবং ইখতিয়ার সঠিকভাবে ব্যবহার করে এমন নেকী অর্জন করে, যা দ্বারা এসব ঋণ পরিশোধ হবে, তাহলে সে বন্ধকী মাল অর্থাৎ নিজেকে মুক্ত করে নেবে। অন্যথায় তা বাজেয়াপ্ত করে নেয়া হবে।

সকলেই নিজ নিজ পাপের বোঝা বহন করবে :

وَلَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ اِلَّا عَلَيْهَاۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰى

প্রত্যেকে স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী এবং কেউ অন্য কারো ভার গ্রহণ করবে না। (সূরা আন‘আম- ১৬৪)

وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰىؕ وَاِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ اِلٰى حِمْلِهَا لَا يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ وَّلَوْ كَانَ ذَا قُرْبٰى

কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। যদি কোন বোঝা ভারাক্রান্ত ব্যক্তি কাউকে তার বোঝা বহন করতে ডাকে, তবে তা থেকে কিছুই বহন করা হবে না, যদিও সে তার নিকটাত্মীয় হয়।

(সূরা ফাতির- ১৮)

ব্যাখ্যা : প্রত্যেক ব্যক্তিরই একটি স্বতন্ত্র নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। আল্লাহর সামনে এ দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। ইনসাফের মানদন্ডে একজনের পাপের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। তাই একজন জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য অন্যরা কী করছে তা দেখা উচিত নয়, বরং তিনি নিজে কী করছেন সেদিকেই তাঁর সর্বক্ষণ দৃষ্টি থাকা উচিত। যদি তার মধ্যে নিজের সকল দায়-দায়িত্বের সঠিক অনুভূতি থাকে, তাহলে অন্যেরা যাই করুক না কেন সে নিজে সফল হবেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন