hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৬৬
অধ্যায়- ৩ : কিয়ামতের দিন পাপীদের অবস্থা
কিয়ামতের দিনটি তাদের জন্য বড়ই কঠিন হবে :

مُهْطِعِيْنَ اِلَى الدَّاعِؕ يَقُوْلُ الْكَافِرُوْنَ هٰذَا يَوْمٌ عَسِرٌ

তারা আহবানকারীর দিকে ছুটে আসবে; তখন কাফিররা বলবে, এটি একটি কঠিন দিন। (সূরা ক্বামার- ৮)

فَذٰلِكَ يَوْمَئِذٍ يَّوْمٌ عَسِيْرٌ عَلَى الْكَافِرِيْنَ غَيْرُ يَسِيْرٍ

সেদিন হবে এক সংকটময় দিন, যা কাফিরদের জন্য সহজ নয়। (সূরা মুদ্দাসসির- ৯, ১০)

তাদের পাপের ফলাফল প্রকাশ পেয়ে যাবে :

وَبَدَا لَهُمْ سَيِّئَاتُ مَا كَسَبُوْا وَحَاقَ بِهِمْ مَّا كَانُوْا بِهٖ يَسْتَهْزِئُوْنَ

তাদের কৃতকর্মের খারাপী তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং তারা যা নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রূপ করত তা তাদেরকে ঘিরে ফেলবে। (সূরা যুমার- ৪৮)

পাপের চিহ্ন তাদের চেহারায় ফুটে উঠবে :

يُعْرَفُ الْمُجْرِمُوْنَ بِسِيْمَاهُمْ فَيُؤْخَذُ بِالنَّوَاصِيْ وَالْاَقْدَامِ

অপরাধীদেরকে তাদের চেহারার আলামত (চিহ্ন) দ্বারা চেনা যাবে। অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করা হবে কপাল (চুলের ঝুঁটি) ও পা ধরে। (সূরা আর রহমান- ৪১)

কিয়ামতের দিন তাদের চেহারা মলিন হয়ে যাবে :

وَوُجُوْهٌ يَّوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ

সেদিন অনেক মুখমন্ডল ধূলায় মলিন হয়ে যাবে, সেগুলোকে আচ্ছন্ন করবে কালো বর্ণ। তারাই কাফির ও পাপাচারী। (সূরা আবাসা, ৪০-৪২)

وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ تَرَى الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا عَلَى اللهِ وُجُوْهُهُمْ مُّسْوَدَّةٌؕ اَلَيْسَ فِيْ جَهَنَّمَ مَثْوًى لِّلْمُتَكَبِّرِيْنَ

যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে কিয়ামতের দিন তুমি তাদের মুখ কালো দেখতে পাবে; জাহান্নাম কি অহংকারীদের আবাসস্থল নয়? (সূরা যুমার- ৬০)

يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوْهٌ وَّ تَسْوَدُّ وُجُوْهٌ ۚ فَاَمَّا الَّذِيْنَ اسْوَدَّتْ وُجُوْهُهُمْ اَكَفَرْتُمْ بَعْدَ اِيْمَانِكُمْ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُوْنَ

সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল এবং কিছু চেহারা হবে কালো। অতঃপর যাদের চেহারা কালো হবে তাদেরকে বলা হবে, তোমরা কি ঈমান আনার পর কুফরী করেছিলে? সুতরাং তোমরা কুফরী করার কারণে শাস্তি ভোগ করো। (সূরা আলে ইমরান- ১০৬)

وَوُجُوْهٌ يَّوْمَئِذٍ ۢبَاسِرَةٌ تَظُنُّ اَنْ يُّفْعَلَ بِهَا فَاقِرَةٌ

সেদিন কোন কোন মুখমন্ডল বিবর্ণ হয়ে যাবে এ আশঙ্কায় যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় আসন্ন। (সূরা ক্বিয়ামাহ- ২৪, ২৫)

তারা ভীত ও ক্লান্ত হয়ে পড়বে :

هَلْ اَتَاكَ حَدِيْثُ الْغَاشِيَةِ وُجُوْهٌ يَّوْمَئِذٍ خَاشِعَةٌ عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ تَصْلٰى نَارًا حَامِيَةً

তোমার কাছে কি আচ্ছন্নকারীর (কিয়ামতের) সংবাদ এসেছে? সেদিন বহু মুখমন্ডল ভীত হয়ে পড়বে এবং কর্মক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে যাবে। অতঃপর তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে। (সূরা গাশিয়াহ, ১-৪)

তারা ভীত হয়ে পড়বে :

مُهْطِعِيْنَ مُقْنِعِيْ رُءُوْسِهِمْ لَا يَرْتَدُّ اِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْۚ وَاَفْئِدَتُهُمْ هَوَآءٌ

তারা ভীত-বিহবল হৃদয়ে আকাশের দিকে চেয়ে ছোটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি কোন দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অমত্মর হবে উদাস। (সূরা ইবরাহীম- ৪৩)

وَاقْتَرَبَ الْوَعْدُ الْحَقُّ فَاِذَا هِيَ شَاخِصَةٌ اَبْصَارُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاؕ يَا وَيْلَنَا قَدْ كُنَّا فِيْ غَفْلَةٍ مِّنْ هٰذَا بَلْ كُنَّا ظَالِمِيْنَ

সত্য প্রতিশ্রুতিকাল আসন্ন হলে কাফিরদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। তারা বলবে, হায় দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো এ বিষয়ে উদাসীন ছিলাম; এমনকি আমরা সীমালঙ্ঘনকারীও ছিলাম। (সূরা আম্বিয়া- ৯৭)

وَيَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ يُبْلِسُ الْمُجْرِمُوْنَ

যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন পাপীরা হতাশ হয়ে পড়বে। (সূরা রূম- ১২)

ব্যাখ্যা : اِبْلَاسٌ (ইবলাস) এর অর্থ হচ্ছে চরম হতাশা ও দুঃখ-বেদনার কারণে কোন ব্যক্তির একেবারে হতভম্ভ হয়ে যাওয়া। আশার সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেখে বিস্ময়-বিমূঢ় হয়ে যাওয়া এবং কোন সমর্থন না পাওয়ার কারণে রুদ্ধশ্বাস হওয়া। এ শব্দটি অপরাধীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে এ অর্থ হয় যে, তাকে হাতে নাতে পাকড়াও করা হয়েছে। সে পালানোর কোন পথ পাচ্ছে না এবং নিজের পক্ষে সুপারিশ করার জন্য কাউকে উপস্থাপন করার আশাও রাখে না। ফলে তার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেছে এবং সে চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

অপমান তাদেরকে ছেয়ে ফেলবে :

خَاشِعَةً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌؕ ذٰلِكَ الْيَوْمُ الَّذِيْ كَانُوْا يُوْعَدُوْنَ

(সেদিন) তাদের দৃষ্টি অবনত হবে; লাঞ্ছনা তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। আর এটাই সেই দিন, যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছিল। (সূরা মা‘আরিজ- ৪৪)

কিয়ামতের দিন তারা আল্লাহকে সিজদা করতে পারবে না :

يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّيُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ - خَاشِعَةً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌؕ وَقَدْ كَانُوْا يُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ وَهُمْ سَالِمُوْنَ

যেদিন হাটুর নিম্নাংশ প্রকাশ করা হবে এবং তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি হবে অবনত, অপমানবোধ তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে, অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তাদেরকে সিজদা করতে আহবান করা হয়েছিল (কিন্তু তারা অমান্য করেছে)। (সূরা ক্বালাম- ৪২, ৪৩)

তারা পালাতে পারবে না, মুহূর্তের মধ্যেই পাকড়াও হবে :

وَلَوْ تَرٰۤى اِذْ فَزِعُوْا فَلَا فَوْتَ وَاُخِذُوْا مِنْ مَّكَانٍ قَرِيْبٍ

তুমি যদি দেখতে, যখন তারা ভীত হয়ে পড়বে এবং পালাতে পারবে না। আর তাদেরকে খুব নিকটবর্তী স্থান থেকেই পাকড়াও করা হবে। (সূরা সাবা- ৫১)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ কিয়ামতের দিন অপরাধীরা এমনভাবে পাকড়াও হবে যেন মনে হবে পাকড়াওকারী কাছেই কোথাও লুকিয়ে ছিল। ফলে সামান্য একটু পালানোর চেষ্টা করার সাথে সাথেই যেন তাকে ধরে ফেলেছে।

তখন ঈমান আনতে চাইবে, কিন্তু কাজ হবে না :

وَقَالُوْاۤ اٰمَنَّا بِهٖۚ وَاَنّٰى لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِنْ مَّكَانٍ ۢبَعِيْدٍ وَقَدْ كَفَرُوْا بِهٖ مِنْ قَبْلُۚ وَيَقْذِفُوْنَ بِالْغَيْبِ مِنْ مَّكَانٍ ۢبَعِيْدٍ وَحِيْلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُوْنَ كَمَا فُعِلَ بِاَشْيَاعِهِمْ مِّنْ قَبْلُؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا فِيْ شَكٍّ مُّرِيْبٍ

তখন তারা বলবে, আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনলাম। কিন্তু তারা দূরবর্তী স্থান থেকে কীভাবে তা হস্তগত করবে? অথচ আগে থেকেই তারা তাঁকে অস্বীকার করে আসছিল। তারা তো দূরবর্তী স্থান থেকেই অদৃশ্য বিষয়কে মিথ্যা মনে করত। সুতরাং এখন তাদের ও তাদের কাঙ্ক্ষিত জিনিসের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে, যেমন তাদের পূর্ববর্তীদের সাথেও করা হয়েছিল। তারা ছিল সন্দেহের মধ্যে উদ্বেগজনক অবস্থায় নিপতিত। (সূরা সাবা, ৫২-৫৪)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ ঈমান আনার জায়গা ছিল দুনিয়া। সেখান থেকে এখন তারা বহুদূরে চলে এসেছে। আখিরাতের জগতে পৌঁছে যাওয়ার পর এখন আর তাওবা করা ও ঈমান আনার সুযোগ কোথায় পাওয়া যেতে পারে।

সেদিন তাদের কোন আমল কাজে লাগবে না :

وَقَدِمْنَاۤ اِلٰى مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا

আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি লক্ষ্য করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করব। (সূরা ফুরক্বান- ২৩)

কোন সুপারিশকারী পাবে না :

مَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ حَمِيْمٍ وَّلَا شَفِيْعٍ يُّطَاعُ

যালিমদের কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না এবং এমন কোন সুপারিশকারীও থাকবে না, যার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। (সূরা মু’মিন- ১৮)

কোন অজুহাত কাজে আসবে না :

يَوْمَ لَا يَنْفَعُ الظَّالِمِيْنَ مَعْذِرَتُهُمْ وَلَهُمُ اللَّعْنَةُ وَلَهُمْ سُوْٓءُ الدَّارِ

সেদিন যালিমদের আপত্তি কোন উপকারে আসবে না। সুতরাং তাদের জন্য রয়েছে লানত, আর তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাসস্থল। (সূরা মু’মিন- ৫২)

فَيَوْمَئِذٍ لَّا يَنْفَعُ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مَعْذِرَتُهُمْ وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُوْنَ

সেদিন যালিমদের কোন আপত্তিই উপকারে আসবে না এবং তাদেরকে তাওবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগও দেয়া হবে না। (সূরা রূম- ৫৭)

কেউ কথা বলার সাহস পাবে না :

هٰذَا يَوْمُ لَا يَنْطِقُوْنَ وَلَا يُؤْذَنُ لَهُمْ فَيَعْتَذِرُوْنَ

এটা এমন একটি দিন, যেদিন তারা কিছু বলতে পারবে না এবং তাদেরকে ওজর পেশ করারও অনুমতি দেয়া হবে না। (সূরা মুরসালাত- ৩৫, ৩৬)

وَيَوْمَ نَحْشُرُ مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ فَوْجًا مِّمَّنْ يُّكَذِّبُ بِاٰيَاتِنَا فَهُمْ يُوْزَعُوْنَ حَتّٰۤى اِذَا جَآءُوْا قَالَ اَكَذَّبْتُمْ بِاٰيَاتِيْ وَلَمْ تُحِيْطُوْا بِهَا عِلْمًا اَمْ مَّاذَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ وَوَقَعَ الْقَوْلُ عَلَيْهِمْ بِمَا ظَلَمُوْا فَهُمْ لَا يَنْطِقُوْنَ

সেদিন আমি সমবেত করব প্রত্যেক সম্প্রদায় হতে এক একটি দলকে, যারা আমার নিদর্শনাবলিকে প্রত্যাখ্যান করত। অতঃপর তাদেরকে সারিবদ্ধ করা হবে। যখন তারা সমাগত হবে তখন আল্লাহ তাদেরকে বলবেন, তোমরা কি আমার নিদর্শনাবলিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলে, অথচ সে বিষয়ে তোমাদের জ্ঞান ছিল না। বরং তোমরা অন্য কিছু করছিলে? অতঃপর সীমালঙ্ঘনের কারণে তাদের উপর ঘোষিত শাস্তি এসে পড়বে; ফলে তারা কোন কথাই উচ্চারণ করতে পারবে না। (সূরা নামল, ৮৩-৮৫)

সেদিন পাপীরা আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করা থেকে বঞ্চিত হবে :

كَلَّاۤ اِنَّهُمْ عَنْ رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوْبُوْنَ ثُمَّ اِنَّهُمْ لَصَالُوا الْجَحِيْمِ

কখনো নয়, সেদিন অবশ্যই তারা তাদের প্রতিপালকের দর্শন লাভ হতে বাধাগ্রস্ত হবে। অতঃপর নিশ্চয় তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মুতাফফিফীন- ১৫, ১৬)

তারা শাস্তি দেখে ভয় পাবে :

تَرَى الظَّالِمِيْنَ مُشْفِقِيْنَ مِمَّا كَسَبُوْا وَهُوَ وَاقِعٌ ۢبِهِمْ

তুমি যালিমদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় দেখতে পারবে। অতঃপর এটাই তাদের উপর আপতিত হবে। (সূরা শূরা- ২২)

পাপীরা সেদিন বাঁচাও-বাঁচাও বলতে থাকবে :

يَوْمَ يَرَوْنَ الْمَلَآئِكَةَ لَا بُشْرٰى يَوْمَئِذٍ لِّلْمُجْرِمِيْنَ وَيَقُوْلُوْنَ حِجْرًا مَّحْجُوْرًا

যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন অপরাধীদের জন্য কোন সুসংবাদ থাকবে না। তখন তারা বলবে, ‘বাঁচাও-বাঁচাও’। (সূরা ফুরক্বান- ২২)

কিন্তু তাদেরকে রক্ষা করার কেউ থাকবে না :

وَالَّذِيْنَ كَسَبُوا السَّيِّئَاتِ جَزَآءُ سَيِّئَةٍ ۢبِمِثْلِهَا وَتَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌؕ مَا لَهُمْ مِّنَ اللهِ مِنْ عَاصِمٍۚ كَاَنَّمَاۤ اُغْشِيَتْ وُجُوْهُهُمْ قِطَعًا مِّنَ اللَّيْلِ مُظْلِمًاؕ اُولٰٓئِكَ اَصْحَابُ النَّارِۚ هُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ

যারা মন্দকাজ করে তাদের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ এবং তাদেরকে হীনতা আচ্ছন্ন করে ফেলবে; কিন্তু আল্লাহ হতে তাদেরকে রক্ষা করার কেউ থাকবে না। তাদের মুখমন্ডল যেন রাত্রির অন্ধকারে আচ্ছাদিত। তারা জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। (সূরা ইউনুস- ২৭)

উপর ও নিচ উভয় দিক থেকে আযাব আসবে :

يَوْمَ يَغْشَاهُمُ الْعَذَابُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ تَحْتِ اَرْجُلِهِمْ وَيَقُوْلُ ذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

সেদিন শাস্তি তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে উপর ও নিচ হতে এবং তিনি বলবেন, তোমরা যা করতে তা আস্বাদন করো। (সূরা আনকাবূত- ৫৫)

পাপীরা সেদিন উপুড় হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে :

وَمَنْ جَآءَ بِالسَّيِّئَةِ فَكُبَّتْ وُجُوْهُهُمْ فِى النَّارِ ؕ هَلْ تُجْزَوْنَ اِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

যে অসৎকর্ম নিয়ে আসবে, তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা করতে তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেয়া হচ্ছে। (সূরা নামল- ৯০)

তাদের হিসাব কঠোর হবে :

وَالَّذِيْنَ لَمْ يَسْتَجِيْبُوْا لَهٗ لَوْ اَنَّ لَهُمْ مَّا فِى الْاَرْضِ جَمِيْعًا وَّمِثْلَهٗ مَعَهٗ لَافْتَدَوْا بِهؕ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ سُوْٓءُ الْحِسَابِ وَمَاْوَاهُمْ جَهَنَّمُؕ وَبِئْسَ الْمِهَادُ

যারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয়নি, পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছুই যদি তাদের (মালিকানাধীন) থাকত এবং তার সমপরিমাণ আরো (সম্পদ) থাকত, তবুও তারা মুক্তিপণস্বরূপ সবকিছুই দিয়ে দিত। তাদের হিসাব হবে খুবই কঠোর, আর তাদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম; সে আশ্রয়স্থল কতই না নিকৃষ্ট! (সূরা রা‘দ- ১৮)

সেদিন পাপীরা মাটির সাথে মিশে যেতে চাইবে :

يَوْمَئِذٍ يَّوَدُّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَعَصَوُا الرَّسُوْلَ لَوْ تُسَوّٰى بِهِمُ الْاَرْضُؕ وَلَا يَكْتُمُوْنَ اللهَ حَدِيْثًا

যারা কুফরী করেছে এবং রাসূলের অবাধ্য হয়েছে, সেদিন তারা কামনা করবে- যদি তারা মাটির সঙ্গে মিশে যেত! আর তারা আল্লাহ হতে কোন কথাই গোপন করতে পারবে না। (সূরা নিসা- ৪২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন