hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৩
পর্ব- ২ : ওহী অধ্যায়- ১ : ওহীর পরিচয়
ওহীর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, প্রত্যাদেশ, বার্তা, আদেশ, ইশারা ইত্যাদি। আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে, এমন সূক্ষ্ম ও গোপন ইশারা, যা ইশারাকারী ও ইশারা গ্রহণকারী ছাড়া তৃতীয় কেউ বুঝতে পারে না। এ সম্পর্কের ভিত্তিতে এ শব্দটি اِلْقَاءُ (ইলকা) তথা মনের মধ্যে কোন কথা নিক্ষেপ করা ও اِلْهَامُ (ইলহাম) তথা গোপনে শিক্ষা ও উপদেশ দান করা অর্থে ব্যবহৃত হয়। মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকে যে শিক্ষা দান করেন তা যেহেতু কোন মকতব, স্কুল বা বিদ্যালয়ে দেয়া হয় না বরং এমন সূক্ষ্ম পদ্ধতিতে দেয়া হয়, যা বাহ্যত কাউকে শিক্ষা দিতে এবং কাউকে শিক্ষা নিতে দেখা যায় না, তাই একে কুরআনে ওহী, ইলকা বা ইলহাম শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। কুরআনে আকাশ, পৃথিবী, মৌমাছি, মূসা (আঃ) এর মাতা- এদের প্রতিও ওহী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব মূলত শাব্দিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আর নবীদেরকে যে ওহী করা হতো, তা ছিল এক বিশেষ ধরনের ওহী। এ ওহীর বৈশিষ্ট্য অন্যান্য ওহী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এতে যাকে ওহী করা হয় তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে এ ওহী আসার ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন ও নিশ্চিত থাকেন। এ ওহী হয় আকীদা-বিশ্বাস, বিধিবিধান, আইনকানুন ও নির্দেশনাবলি সংক্রান্ত। নবীগণ এ ওহীর মাধ্যমে তাদের জাতিকে পথনির্দেশ দিয়ে থাকেন।

আল্লাহ সকল নবীর কাছে ওহী পাঠিয়েছেন :

اِنَّاۤ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ كَمَاۤ اَوْحَيْنَاۤ اِلٰى نُوْحٍ وَّالنَّبِيِّيْنَ مِنْ ۢبَعْدِهٖۚ وَاَوْحَيْنَاۤ اِلٰۤى اِبْرَاهِيْمَ وَاِسْمَاعِيْلَ وَاِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْاَسْبَاطِ وَعِيْسٰى وَاَيُّوْبَ وَيُوْنُسَ وَهَارُوْنَ وَسُلَيْمَانَۚ وَاٰتَيْنَا دَاوُوْدَ زَبُوْرًا -

আমি তোমার নিকট ওহী প্রেরণ করেছি যেমনিভাবে নূহ ও তাঁর পরবর্তী নবীদের নিকট ওহী প্রেরণ করেছিলাম। আর ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাঁর বংশধর এবং ঈসা, আইয়ূব, ইউনুস, হারূন ও সুলায়মানের নিকটও ওহী প্রেরণ করেছিলাম; আর দাউদকে যাবূর (কিতাব) দান করেছিলাম। (সূরা নিসা- ১৬৩)

ওহীর জ্ঞানই সত্য এবং সঠিক :

وَالَّذِيْۤ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ هُوَ الْحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِؕ اِنَّ اللهَ بِعِبَادِهٖ لَخَبِيْرٌ ۢبَصِيْرٌ

আর আমি যে কিতাব তোমার প্রতি ওহীরূপে নাযিল করেছি, তা সম্পূর্ণ সত্য; তা পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে ভালো করেই জানেন ও দেখেন। (সূরা ফাতির- ৩১)

কেবল ওহীর জ্ঞান দ্বারাই হেদায়াত লাভ করা যায় :

قُلْ اِنْ ضَلَلْتُ فَاِنَّمَاۤ اَضِلُّ عَلٰى نَفْسِيْۚ وَاِنِ اهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوْحِيْۤ اِلَيَّ رَبِّيْؕ اِنَّهٗ سَمِيْعٌ قَرِيْبٌ

বলো, যদি আমি পথভ্রষ্ট হই, তবে তো নিজেরই ক্ষতি করব; আর যদি আমি সরলসঠিক পথের উপর থাকি, তবে তা এজন্য সম্ভব হচ্ছে যে, আমার প্রতিপালক আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শুনেন এবং তিনি অতি নিকটবর্তী। (সূরা সাবা- ৫০)

ওহীর মাধ্যমেই গায়েব সম্পর্কে জানা যায় :

ذٰلِكَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الْغَيْبِ نُوْحِيْهِ اِلَيْكَ

এসব গায়েবের সংবাদ ওহীর মাধ্যমে আমি তোমাকে জানিয়ে দিয়েছি। (সূরা আলে ইমরান- ৪৪)

تِلْكَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الْغَيْبِ نُوْحِيْهَاۤ اِلَيْكَۚ مَا كُنْتَ تَعْلَمُهَاۤ اَنْتَ وَلَا قَوْمُكَ مِنْ قَبْلِ هٰذَاؕ فَاصْبِرْ اِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِيْنَ

এ সমসত্ম অদৃশ্যের সংবাদ আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি, যা এর পূর্বে তুমি জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়েরও কেউ জানত না। সুতরাং ধৈর্যধারণ করো, নিশ্চয় শুভ পরিণাম মুত্তাক্বীদের জন্য। (সূরা হুদ- ৪৯)

ওহী নাযিলের পদ্ধতি :

وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ اَنْ يُّكَلِّمَهُ اللهُ اِلَّا وَحْيًا اَوْ مِنْ وَّرَآءِ حِجَابٍ اَوْ يُرْسِلَ رَسُوْلًا فَيُوْحِيَ بِاِذْنِهٖ مَا يَشَآءُؕ اِنَّهٗ عَلِيٌّ حَكِيْمٌ وَكَذٰلِكَ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ رُوْحًا مِّنْ اَمْرِنَاؕ مَا كُنْتَ تَدْرِيْ مَا الْكِتَابُ وَلَا الْاِيْمَانُ وَلٰكِنْ جَعَلْنَاهُ نُوْرًا نَّهْدِيْ بِهٖ مَنْ نَّشَآءُ مِنْ عِبَادِنَاؕ وَاِنَّكَ لَتَهْدِيْۤ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

মানুষের জন্য অসম্ভব যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ওহীর মাধ্যম ছাড়া, অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে অথবা এমন দূত প্রেরণ ছাড়া, যে দূত তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করে; নিশ্চয় তিনি সমুন্নত ও প্রজ্ঞাবান। এভাবেই আমি তোমার প্রতি ওহী করেছি রূহ (কুরআন) আমার নির্দেশে। তুমি তো জানতে না কিতাব কী ও ঈমান কী। আমি একে করেছি আলোকস্বরূপ, যা দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা সঠিক পথ দেখাই; নিশ্চয় তুমি সরল পথের দিকেই পথপ্রদর্শন করে থাক। (সূরা শূরা- ৫১, ৫২)

ব্যাখ্যা : যেসব পদ্ধতিতে নবী ﷺ এর কাছে ওহী নাযিল হয়েছে তাহলো :

(১) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী ﷺ এর কাছে ওহী আসার সূচনা হয়েছিল সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে- (সহীহ বুখারী, হা/৩)। এ ধারা পরবর্তী সময় পর্যন্ত জারি ছিল। হাদীসে তাঁর বহু সংখ্যক স্বপ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে হয় তাঁকে কোন শিক্ষা দেয়া হয়েছে কিংবা কোন বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তাছাড়া কুরআন মাজীদেও নবী ﷺ এর একটি স্বপ্নের বিষয় সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। (ফাতহ- ২৭)

(২) মে‘রাজের রাত্রিতে নবী ﷺ কে দ্বিতীয় প্রকার ওহী দ্বারা সম্মানিত করা হয়ছে। কতিপয় হাদীসে নবী ﷺ কে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নির্দেশ দেয়া এবং তা নিয়ে বার বার দরখাস্ত পেশ করার কথা যেভাবে উল্লেখিত হয়েছে তা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, সে সময় আল্লাহ এবং তাঁর বান্দা মুহাম্মাদ ﷺ এর মধ্যে ঠিক তেমনি কথাবার্তা হয়েছিল যেমনটি তূর পাহাড়ের পাদদেশে মূসা (আঃ) ও আল্লাহর মধ্যে হয়েছিল।

(৩) ওহীর তৃতীয় প্রকারের ব্যাপারে কুরআন নিজেই সাক্ষ্য দেয় যে, কুরআনকে জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে রাসূল ﷺ এর কাছে পৌঁছানো হয়েছে।

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হারিস ইবনে হিশাম (রাঃ) রাসূল ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার নিকট কীভাবে ওহী আসে? উত্তরে রাসূল ﷺ বললেন, কোন কোন সময় আমার নিকট তা ঘণ্টার ধ্বনির ন্যায় আসে। এ প্রকারের ওহী আমার নিকট খুবই কষ্টদায়ক মনে হয়। উক্ত কষ্টজনিত ক্লান্তি এভাবে সমাপ্ত হয় যে, সে যা বলে তা আমার মুখস্ত হয়ে যায়। আবার কোন কোন সময় ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে আমার সাথে কথা বলেন, আর আমি তা সাথে সাথে মুখস্থ করতে সক্ষম হই যা সে বলে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘‘অতি প্রচন্ড শীতের সময়ও ওহী নাযিলকালে আমি রাসূল ﷺ কে দেখেছি যে, ওহী নাযিলের পরপরই তাঁর ললাট থেকে ঘাম ঝরে পড়ত।’’ (সহীহ বুখারী, হা/২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন